ইলিশের সংকট
২৩ জুলাই ২০১২আর বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নদীর নাব্যতা হ্রাস ও ডুবোচর জেগে ওঠাসহ পানি প্রবাহের গতি কমে যাওয়ায় মাছ কম পাওয়া যাচ্ছে৷
টানা দুই মাস পর চাঁদপুর ও লক্ষীপুরের মেঘনা নদীতে জাল ফেলতে শুরু করেন প্রায় ৬৫ হাজার জেলে৷ কিন্তু গত দেড় মাস ধরে নদীতে পর্যাপ্ত ইলিশের দেখা মিলছে না৷ এ কারণে দৈনন্দিন ব্যয়ের তুলনায় আয় না হওয়ায় পরিবার পরিজন নিয়ে ভীষন কষ্টে দিন যাপন করছেন জেলেরা৷
অন্যদিকে পুঁজি খাটিয়ে অলস সময় কাটাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা৷ বিভিন্ন মাছের আড়তে পড়ে থাকা খালি বাক্সগুলোই বলে দিচ্ছে ইলিশের এই আকালের কথা৷ ব্যবসায়ীরা বললেন, বিভিন্ন এলাকা থেকে তারা ঋণ নিয়ে জেলেদের দিয়েছেন৷ কিন্তু নদীতে ইলিশ ধরা না পড়ায় তাদের ব্যবসা লাটে উঠার উপক্রম৷ এদিকে চাঁদপুরেও চলছে ইলিশের আকাল৷ নদীতে পর্যাপ্ত মাছ না থাকায় স্থানীয় জেলেরা ভীষণ হতাশ৷
ভরা মৌসুমে ইলিশের এই আকালের জন্য জলবায়ু পরিবর্তন ও নদী ভরাটকে দায়ী করলেন মৎস্য কর্মকর্তারা৷ তবে টানা বৃষ্টি হলে নদীতে ইলিশ ধরা পড়বে এমনই আশার কথা তাদের মুখে৷ মৎস বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নদীর নাব্যতা হ্রাস ও ডুবোচর জেগে ওঠাসহ পানি প্রবাহের গতি কমে যাওয়ায় মাছ কম পাওয়া যাচ্ছে৷ উজান থেকে পানি প্রবাহের সঙ্গে অধিকহারে পলিমাটি আসার কারণে পলি জমে জমে মেঘনা নদীর অনেকাংশ ভরাট হয়ে গেছে৷ তাই কমে গেছে গতি প্রবাহ৷ পাওয়া যাচ্ছে না চাহিদামত ইলিশ৷
এদিকে নদীতে ইলিশ সংকটের প্রভাব পড়েছে বাজারে৷ ছোট সাইজের এক হালি ইলিশের দাম অন্তত ৩ থেকে সাড়ে ৩ হাজার টাকা৷ ক্রেতারা বলছেন, এমন দাম হলে তাদের বাজারে এসে শুধু ইলিশ দেখতে হবে, কেনা আর হবে না৷
প্রতিবেদন: সমীর কুমার দে, ঢাকা
সম্পাদনা: রিয়াজুল ইসলাম