রোনাল্ডো হওয়ার স্বপ্ন
১৮ মে ২০১৪গত মার্চ মাস থেকে করাচিতে যাত্রা শুরু করেছে কিশোরদের এই ফুটবল অ্যাকাডেমি৷ যে শহরে টানা দু'সপ্তাহ শান্তিতে বসবাস দীর্ঘদিন ধরেই কল্পনা মাত্র, সেখানে বড় ফুটবলার হওয়ার জন্য অ্যাকাডেমিতে এসেছে ৫০ জন কিশোর৷ ৬ থেকে ১৭ বয়সি এই কিশোরদের স্বপ্নে এখন রেয়াল মাদ্রিদের বার্নাবু স্টেডিয়াম৷ স্বপ্নের নায়ক রোনাল্ডো৷ ১৪ বছর বয়সি আফজাল ভবিষ্যত লক্ষ্যের কথা জানিয়েছে এভাবে, ‘‘রোনাল্ডো খুব দ্রত ছুটে গিয়ে গোল করে৷ তাই আমি তাঁর ভক্ত৷ রোনাল্ডো তাঁর ক্লাব এবং দেশের হয়ে খুব ভালো খেলে৷ তাঁর জন্য আমি গর্বিত৷ আমি চাই একদিন আমাকে নিয়েও সবাই এমন গর্ব বোধ করুক৷''
রেয়াল মাদ্রিদ ফাউন্ডেশনের সহায়তায় করাচিতে এই অ্যাকাডেমি গড়েছে আমান স্পোর্টস৷ ক্রীড়া সামগ্রী বিক্রি থেকে এখন তারা ফুটবলার তৈরিতেও হাত দিয়েছে৷ অ্যাকাডেমিতে আসা বেশির ভাগ কিশোরই গরিব ঘরের৷ কারো বাবা জেলে, কারো বাবা দিনমজুর, কারো মা হয়ত কাজ করেন পরের বাড়িতে৷
মোহাম্মদ আশরাফের বাবা জেলে৷ এলাকার বেশির ভাগ কিশোরের মতো আশরাফও কিছুদিন আগে সময় পেলে বাবার কাজে সহায়তা করতো৷ এখন অনেকটা সময় কাটে ফুটবল অ্যাকাডেমিতে৷ সেখানে প্রথম দিনের কথা বলতে গিয়ে খুশিতে হেসে উঠল আশরাফের মন, বলল, ‘‘প্রথম দিন সবার আগে আম্মাকে, তারপর একে একে বাড়ির সবাইকে জানিয়েছিলাম, আমি ফুটবল খেলেছি৷ সবাই খুব খুশি হয়েছিল৷''
করাচির কিশোররা ইতিমধ্যেই ফুটবল মাঠে সাফল্য পেতে শুরু করেছে৷ গত মার্চে ব্রাজিলে বসেছিল পথশিশুদের বিশ্বকাপ৷ সেখানে করাচির দলই অংশ নিয়েছিল পাকিস্তানের হয়ে৷ এক ম্যাচে তাদের প্রতিপক্ষ ছিল ভারত৷ সব খেলায় পাকিস্তানের এই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীকে ১৩-০ গোলে হারিয়েছে করাচির কিশোর ফুটবলাররা৷ তারপরও চ্যাম্পিয়ন হতে পারেনি৷ তৃতীয় হয়ে ফিরেছে দেশে৷ বিশ্বকাপে তৃতীয় হওয়াই বা কম কিসে!
এসিবি/ডিজি (এএফপি, এপি)