1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ভারতকে সবচেয়ে সুবিধাপ্রাপ্ত দেশের মর্যাদা দিল পাকিস্তান

৩ নভেম্বর ২০১১

দীর্ঘ টালবাহানার পর অবশেষে ভারতকে সবথেকে সুবিধাপ্রাপ্ত দেশের মর্যাদা দেবার সিদ্ধান্ত নিল পাকিস্তান৷ ভারত এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে ৷ বলেছে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের সার্বিক উন্নতিতে তা গভীর প্রভাব ফেলবে৷

Indian Foreign Minister S.M. Krishna, left and his Pakistan counterpart Hina Rabbani Khar pose for photographs before their talks in New Delhi, India, Wednesday, July 27, 2011. The ministers met Wednesday for the first time since the nuclear-armed rivals resumed peace talks in February. Those talks were suspended after Pakistan-based militants attacked the city of Mumbai in November 2008.(Foto:Manish Swarup/AP/dapd)
পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ে সাম্প্রতিক বৈঠকের পর মালদ্বীপে শীর্ষ বৈঠক হতে চলেছে৷ছবি: dapd

প্রায় ১৬ বছর গড়িমসি করার পর আগামী সপ্তাহে মালদ্বীপে সার্ক সম্মেলনের ঠিক আগে ভারতকে শেষ পর্যন্ত সবথেকে সুবিধাপ্রাপ্ত দেশের মর্যাদা দিল পাকিস্তান৷ কাশ্মীর ইস্যুকে এর সঙ্গে জড়ানোর ফলে বিষটা ঝুলে ছিল৷ যদিও ভারত এই সুবিধা পাকিস্তানকে দিয়েছিল ১৯৯৬ সালে৷

পাকিস্তানের এই ইতিবাচক সিদ্ধান্তের প্রশংসা করে ভারতের বাণিজ্যমন্ত্রী আনন্দ শর্মা বলেছেন, এরফলে দুদেশের ব্যবসা বাণিজ্যে গতি আসবে৷ সমৃদ্ধি ও সুস্থিতি ত্বরান্বিত হবে৷ মজবুত হবে রাজনৈতিক সম্পর্ক৷ বাণিজ্যিক প্রতিবন্ধকতা দূর করে স্থল পরিবহনের বাধা কাটিয়ে উঠতে পারলে এই অঞ্চলের মানুষের জীবনের মানোন্নয়ন সুনিশ্চিত হবে৷

শীর্ষ পর্যায়ের বৈঠকের আগে পাকিস্তানের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে ভারতছবি: AP

কনফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ান ইন্ডাস্ট্রিজের মহাঅধিকর্তা চন্দ্রজিত ব্যানার্জী বলেছেন, এতে দক্ষিণ এশিয়ার আর্থিক সংহতির পথ সুগম হবে৷ বেআইনি ও তৃতীয় দেশের মাধ্যমে করা ব্যবসা বাণিজ্যের পরিমাণ হ্রাস করবে আগামী পাঁচ বছরের কম সময়ে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ বর্তমানের ২.৬ বিলিয়ন ডলার থেকে বাড়ে হতে পারে আট বিলিয়ান ডলার৷ বাড়বে দুদেশের লোকজনদের মধ্যে সংযোগ৷ পাশাপাশি দরকার অন্য বাধাগুলি দূর করা৷ যেমন, ভিসা নিয়ম শিথিল করা, যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি করা এবং ওয়াগার মত আরো বাণিজ্যিক রুট খোলা৷

ভারত বর্তমানে দু হাজারের মত পণ্য রপ্তানি করে পাকিস্তানে৷ বিশেষ সুবিধা প্রাপ্ত দেশের মর্যাদা না দেয়ায় কুড়ি হাজার পণ্য রপ্তানি করতে হয় তৃতীয় দেশের মাধ্যমে৷

পাকিস্তানের এই সিদ্ধান্তের রাজনৈতিক অভিঘাত কী হতে পারে এবং কী কীরণে পাকিস্তান এই সিদ্ধান্ত নিল সে বিষয়ে জহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর পলিটিক্যাল স্টাডিজের অধ্যাপক এ.কে রায় ডয়চে ভেলেকে বললেন, পাকিস্তান সম্পর্কে বিশ্বে ক্রমশই একটা নেতিবাচক ধারণা গড়ে উঠছে সন্ত্রাস, ধর্মীয় মৌলবাদ ইত্যাদি ইস্যুতে৷ যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পাকিস্তানের সম্পর্ক ঠান্ডা-গরম৷ প্রকট পাকিস্তানের অর্থনৈতিক দুর্বলতা৷ সম্ভবত এইসব কিছুই এই সিদ্ধান্ত নেবার পেছনে কাজ করেছে৷ তবে এথেকে খুব বেশি আশা করা ঠিক হবেনা৷এগুলো সব একটা প্রতীকী মনোভাব বলে তিনি মনে করেন৷

প্রতিবেদন: অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুনদিল্লি

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ