এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, মধ্যবিত্ত ভারতীয়রা গড়ে তাদের মাসিক আয়ের দুই-তৃতীয়াংশ ব্যয় করে খাদ্যসামগ্রীতে৷ গ্রামাঞ্চলে সেটা আরও বেশি৷ তবু দারিদ্র্য আর অপুষ্টি কমেনি৷
বিজ্ঞাপন
ভারতের গ্রামাঞ্চলের তুলনায় শহরাঞ্চলের, বিশেষ করে মধ্যবিত্ত ভারতীয় পরিবারগুলি তাদের মাসিক রোজগারের ৮৪ শতাংশ খরচ করে খাবার-দাবারের মতো অত্যাবশ্যক ভোগ্যসামগ্রীতে৷ পরিসংখ্যান মন্ত্রণালয়ের জাতীয় নমুনা সমীক্ষায় এই রকম ছবিই উঠে এসেছে৷ সমীক্ষা চালানো হয় গোটা ভারতের গ্রামাঞ্চলের ৭৪৬৯ টি গ্রামে এবং শহরাঞ্চলের ৫২৬৮টি ব্লকে৷ গ্রামের লোকেরা খাবার-দাবারে আয়ের সিংহভাগ খরচ করে৷ অন্যান্য ক্ষেত্রম যেমন, জ্বালানি বা বিদ্যুতের জন্য খরচ করে থাকে আট শতাংশ, জামা কাপড় ও জুতোর জন্য সাত শতাংশ, চিকিত্সায় ৬ দশমিক ৭ শতাংশ এবং শিক্ষায় ৩ দশমিক ৫ শতাংশ৷ তবু মাথা পিছু গড় ক্যালোরি, প্রোটিন, ফ্যাট বিশ্বের মধ্যে ভারত সবথেকে কমের তালিকায় পড়ে৷ এমনকি দক্ষিণ আফ্রিকা, ব্রাজিল ও ইন্দোনেশিয়া থেকেও কম, বলেছে অর্থনৈতিক সহযোগিতা ও উন্নয়ন সংস্থা৷
কলকাতায় অন্যরকম এক ভাসমান বাজার
কলকাতায় রাজ্য সরকারের সহায়তায় লেকের উপর একটি ভাসমান বাজার চালু হয়েছে৷ এখানে নৌকার উপর পসার সাজিয়ে বসেন বিক্রেতারা৷ ক্রেতাদের কাছে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে এটি৷ দেখে নিন ছবিঘরে৷
ছবি: DW/Prabhakar
লেকের উপর বাজার
কলকাতায় একটি বিশাল লেকের উপর এটি দেশের প্রথম ভাসমান বাজার৷ এর বিশেষত্ব হল এক একটি নৌকায় দু’টি করে দোকান আছে এবং নৌকাগুলো স্থান পরিবর্তন করে না৷
ছবি: DW/Prabhakar
ব্যাংককের ভাসমান বাজার থেকে ভাবনা
পশ্চিমবঙ্গ সরকার ব্যাংককের ভাসমান বাজার থেকে এই বাজার তৈরির চিন্তা করেছিলেন৷ এর ফলে ২০০’রও বেশি হকার যাঁদের উচ্ছেদ করা হয়েছিল, তাঁদের পুনর্বাসন করা হয়েছে৷ এতে ব্যয় হয়েছে ৯ কোটি ভারতীয় মুদ্রা৷
ছবি: DW/Prabhakar
পাওয়া যায় সব কিছু
এই ভাসমান বাজারে সব ধরনের জিনিস খুব সহজেই পাওয়া যায়৷ ফল-সবজি হোক বা মাছ-ডিম৷ দামও অন্যান্য বাজারের তুলনায় বেশ কম৷
ছবি: DW/Prabhakar
১৫০টি নৌকা
কেএমডিএ এই বাজার বানানোর জন্য হুগলী জেলার বালাগড় থেকে দেড়শ’ নৌকা কিনেছে৷
ছবি: DW/Prabhakar
কেনাকাটার পাশাপাশি বেড়ানো
কলকাতা মহানগর বিকাশ কর্তৃপক্ষ, অর্থাৎ কেএমডিএ তত্ত্বাবধানে তৈরি বাজারটিতে ভিড় লেগেই থাকে৷ অনেকে আবার কেনাকাটার পাশাপাশি ঘুরে দেখতে আসেন বাজারটি৷
ছবি: DW/Prabhakar
গরম চা
বাজারে একটি নৌকায় চায়ের দোকান আছে, তাই বেচা-কেনা করতে করতে মন চাইলে চা খেতে পারেন এই দোকানে৷
ছবি: DW/Prabhakar
বালিশ এবং তোশক
এই বাজারে অন্য সব কিছুর পাশাপাশি বালিশ এবং তোশকও পাওয়া যায়৷ অর্থাৎ আপনার দরকারি সব জিনিসই এখানে পাবেন আপনি৷
ছবি: DW/Prabhakar
সকাল থেকে রাত পর্যন্ত
কলকাতার এই বাজার সকাল ৬টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত খোলা থাকে৷ এরপর বিকেল ৪টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত খোলা থাকে৷
ছবি: DW/Prabhakar
নৌকার উপর নাপিতের দোকান
ভাসমান বাজারে একটি নৌকার উপর সেলুন রয়েছে, অর্থাৎ আপনি এখানে চুল দাড়ি কাটতে পারবেন৷
ছবি: DW/Prabhakar
নম্বর দেখে যায় চেনা
প্রতিটি নৌকায় নম্বর লেখা আছে৷ এই নম্বর দেখেই দোকানগুলি মনে রাখতে পারবেন আপনি৷ রাজ্য সরকার এ ধরনের আরও বাজার বানানোর পরিকল্পনা করছে৷
ছবি: DW/Prabhakar
10 ছবি1 | 10
সরকার ভরতুকি দামে খাদ্যশস্য সরবরাহ বাড়িয়েছে তাতে কোনো সন্দেহ নেই৷ কিন্তু তারপরও পুষ্টিমাত্রা বাড়ানো এখনও চ্যালেঞ্জ হয়ে রয়েছে৷ মাথাপিছু খাদ্যের জোগানের হিসেবটা হয় খাদ্যশস্য উত্পাদনের পরিমাণ তারসঙ্গে যোগ করা হয় আমদানি, বিয়োগ করা হয় রপ্তানি৷ তারপর সেই অঙ্কটা ভাগ করা হয় দেশের জনসংখ্যা দিয়ে৷ সেটাই ভারতের খাদ্য সরবরাহের পরিস্থিতি৷ মাথাপিছু খাদ্যের জোগান দেশের দারিদ্রের প্রতিফলন৷ তবে হ্যাঁ, বিশ্ব ব্যাংকের অভিমত, ভারত দারিদ্র্য দূরীকরনে এক বড় ভূমিকা নিয়েছে৷ ২০১১-১২ সালে ভারতের ১৬ কোটি মানুষ দারিদ্র্য সীমার ওপরে উঠেছে৷ যদি সাধারণ মানুষের হাতে যথেষ্ট টাকা-পয়সা থাকতো, তাহলে মাথাপিছু খাদ্যের জোগান আরও বাড়তো৷ উদ্বৃত্ত মজুত ভান্ডার থাকতো না, বলেছেন জহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের ইকোনমিক স্টাডিজ অ্যান্ড প্ল্যানিং শাখার অধ্যাপক বিশ্বজিৎ ধর৷ মজুত খাদ্যশস্যের অপচয় সরবরাহের অপ্রতুলতার জন্য আংশিক দায়ী৷ ২০১৫-১৬ সালে ফুড কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়ার হিসেবে দেখানো হয় তিন হাজার টন খাদ্যশস্য নষ্ট হয়েছে৷ তার আগের বছরে হয়েছিল ১৯ হাজার টন৷ এর বিহিত করা একটা দীর্ঘকালীন চ্যালেঞ্জ হলেও সরকার স্বল্পকালীন পরিকল্পনা হাতে নিয়েছেন, যাতে মাথাপিছু প্রোটিনযুক্ত দানা শস্য, চিনি তেল ইত্যাদি সরবরাহ করা যায়৷
তাই নয়, বিভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের মধ্যেও ভোগ্য পণ্য তথা জীবন ধারণের ব্যয়ে তারতম্য লক্ষ্য করা গেছে৷ যেমন, শহর ও গ্রামাঞ্চলে এই ব্যবধানের কারণ মুসলিমরা ভারতীয় সমাজে অপেক্ষাকৃত গরিব৷ তাঁরা খাদ্য সামগ্রীতে খরচ করে আয়ের তুলনায় বেশি৷ পল্লি এলাকায় হিন্দুরা যেখানে ব্যয় করে মাসে ১৭৫৭ টাকা মুসলিমরা ব্যয় করে গড়ে ১৭৬৫ টাকা৷ শহরাঞ্চলে হিন্দুরা যেখানে গড়ে খরচ করে মাসে ২৯৩৫ টাকা, মুসলিমরা করে ২৩৫৫ টাকা৷ পাশাপাশি খ্রিস্টানরা করে গ্রামাঞ্চলে এবং শহরাঞ্চলে যথাক্রমে গড়ে মাসিক ২২০০টাকা এবং ৩২৪২ টাকা৷
কলকাতা নিউ মার্কেটের সুখাদ্য সম্ভার
কলকাতার নিউ মার্কেটের খ্যাতি নানা কারণে৷ তার মধ্যে অন্যতম, তার সুখাদ্যের বিপুল সম্ভার৷ এমাথা থেকে ওমাথা, আস্ত একটা রাস্তা জুড়ে সেখানে সারি সারি খাবারের দোকান৷
কথায় বলে, নিউ মার্কেটে খুঁজলে বাঘের দুধও পাওয়া যায়৷ আদতে তা হয়ত পাওয়া যায় না, কিন্তু দুধ থেকে তৈরি বিদেশি চিজ পাওয়া যায় হরেক রকম৷
ছবি: DW/S. Bandopadhyay
কেক-পেস্ট্রি
নিউ মার্কেটের বিশেষ খ্যাতি তার কেক-পেস্ট্রি-প্যাটির সম্ভারের জন্য, যা চলে আসছে সেই সাহেবি আমল থেকে৷ যে কারণে, আজও ক্রিসমাসের কেক মানেই নিউ মার্কেট৷
ছবি: DW/S.Bandopadhyay
ঐতিহাসিক নাহুমস্
এখনও চলছে ১১৪ বছরের ঐতিহ্যবাহী ‘নাহুম এন্ড সন্স’, যা কলকাতাবাসীর কাছে নাহুমস্ নামে পরিচিত৷ কলকাতার এক ইহুদি পরিবার পরিচালিত বেকারি এটি৷ সারা পৃথিবীতে এদের খাবারের ভারি নামডাক৷
ছবি: DW/S.Bandopadhyay
রাম বল, টার্ট
কলকাতার নিজস্ব কিছু পেস্ট্রি, যেমন রাম বল বা লেমন টার্ট বিখ্যাত হয়েছে এই নিউ মার্কেট থেকেই, যা পরে অনুসরণ করেছে অন্যরা৷
ছবি: DW/S.Bandopadhyay
কাজু-কিশমিশ
শুধু কাবুলিওয়ালারা নয়, কলকাতা শহরকে কাজু, কিশমিশ, খোবানির মতো শুকনো খাবার চিরকাল সরবরাহ করে গেছে নিউ মার্কেটের এইসব খাবারের দোকান৷
ছবি: DW/S.Bandopadhyay
মুখরোচক
নানা ধরনের চানাচুর, সুখাদ্য না হলেও সুস্বাদু তো বটেই৷ এরও ভাঁড়ার আছে নিউ মার্কেটে৷
ছবি: DW/S. Bandopadhyay
হাতে বানানো রুটি
নানা ধরনের সুখাদ্য ও সুস্বাদু খাবারের পাশে, নিউ মার্কেটে আপনি পাবেন সাধারণ হাতে বানানো রুটিও৷ দুপুরে এই রুটি খেতে আজও ভিড় জমে নিউ মার্কেটে৷
ছবি: Getty Images/AFP/M. Sharma
বিদেশি বাহার
আর আছে নানা স্বাদের বিদেশি চকোলেট, যা অনেক বড় দোকানেও পাওয়া যায় না৷ এ সবেরও খনি মহানগরীর এই নিউ মার্কেট৷
ছবি: DW/S.Bandopadhyay
9 ছবি1 | 9
আমরা জানি, ভারতীয় সমাজে ধনী-দরিদ্রের ব্যবধান বেশি৷ খাবার-দাবারের ক্ষেত্রে ছবিটা কিন্তু ঠিক উল্টো৷ আয়ের চেয়ে ধনীরা খাদ্য সামগ্রীতে তুলনামূলকভাবেমাসে খরচ করে কম৷ বিলাসবহুল ভোগ্যপণ্যের ক্ষেত্রে অবশ্য অসাম্যটা অনেক বেশি প্রকট৷ খাবার-দাবারের ক্ষেত্রে কেন নয়? প্রশ্নটা উঠতেই পারে৷ ধরা যাক, একজন মানুষ কতটা খেতে পারে? সেই পরিমাণের একটা সীমা আছে৷ শহরাঞ্চলে ধনীদের সংখ্যা যদি পাঁচ শতাংশ হয়, তাহলে ফলফলাদি খাওয়ার পরিমাণকে উদাহরণের একটা নমুনা হিসেবে সমীক্ষায় তুলে ধরে বলা হয়, একজন ধনী মাসে ১৫টা কলা, মাসে আধা কিলো আম, একটা ডাব বা নারকেল, ৭০০ গ্রাম আপেল এবং দুশ' গ্রাম আঙুর খেয়ে থাকে৷ তরল পানীয়ের ক্ষেত্রেও একই কথা খাটে৷ ভারতের পাবলিক মনে করে, প্রোটিন এবং ক্যালরির মাত্রা কম হলেও ভারতীয়রা চর্বিজাতীয় খাবার বেশি খায় বলে স্থুলত্ব বেশি৷
খাবার দেখে মানুষ চিনুন
অন্যের সম্পর্কে জানার আগ্রহ কম-বেশি সকলেরই থাকে, তাই না? খুব তাড়াডাড়ি এই আগ্রহ মেটাতে চাইলে আপনার আশেপাশের মানুষ কী খাচ্ছে, তার দিকে লক্ষ্য রাখুন৷ তাহলেই জেনে যাবেন কী ধরনের মানুষ তাঁরা৷
সমীক্ষা যা জানায়
নতুন সহকর্মী, নতুন প্রতিবেশী, অল্প পরিচিত বা অপরিচিতদের সম্পর্কে প্রাথমিক ধারণা পেতে তাঁদের খাবারের দিকে একটু নজর দিন৷ কারণ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ১৮,০০০ মানুষকে নিয়ে করা এক সমীক্ষা থেকে সে তথ্যই বেরিয়ে এসেছে, যা জানিয়েছেন মার্কিন মনোবিজ্ঞানী ডা. এলান হির্শ৷
ছবি: R. Richter
কাঠবাদামপ্রেমীরা হয় শান্ত প্রকৃতির
কাঠবাদাম বা অ্যালমন্ড যে খুব ভালোভাবে চিবিয়ে খেতে হয়, তা আমরা সকলেই জানি৷ আর এভাবে খাওয়ার মধ্যে কোথায় যেন একটা শান্তির ছাপ থাকে৷ তাই কাউকে কাঠবাদাম খেতে দেখলে ধরে নিতে পারেন যে, সেই ব্যক্তি তাড়াহুড়ো বা কোনো ধরনের চাপ পছন্দ করেন না৷ এ সব মানুষ পরিবার বা পেশা – সব জায়গাতেই শান্ত পরিবেশকে প্রাধান্য দেয় বলে জানান ডা. হির্শ৷
ছবি: picture-alliance/Arco Images
চিপসপ্রেমীরা কি উচ্চাভিলাষী?
নতুন চিসপ-এর প্যাকেট খোলার শব্দ এবং তাড়াতাড়ি হুমড়ে খেয়ে পড়ে খাওয়ার ধরণই জানিয়ে দেয়, যে খাচ্ছে সে কতটা ‘ডাইনামিক’৷ কীভাবে তিনি কত তাড়াতাড়ি প্যাকেটটা শেষ করবেন, অর্থাৎ কীভাবে তিনি তাঁর গন্তব্যে পৌঁছবেন, তা তিনি খুব ভালো করেই জানেন৷ হোক তা পেশা কিংবা পরিবার, সব ক্ষেত্রেই এঁরা চিপস খাওয়ার মতো তাড়াতাড়ি সাফল্য চান৷
ছবি: etiennevoss - Fotolia
পুদিনার স্বাদ এনে দেয় সমস্যার সমাধান
পুদিনা পাতার স্বাদ যাতে আছে, সেটা স্ন্যাক্স বা চুইংগাম যাই হোক না কেন, এর মিষ্টি তাজা সুগন্ধ মাথার জট খুলে দেয়৷ অর্থাৎ কোনো সমস্যার চটজলদি সমাধান পেতে সহায়তা করে পুদিনার সুগন্ধ৷ শোনা যায়, পুদিনাপ্রেমীরা টেকনিক্যাল বিষয়ে চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে পছন্দ করেন৷ পছন্দ করেন কম্পিউটারে নানা জটিল সব কাজ করতে৷
ছবি: Colourbox
আসল কথা রঙিন, চাই বৈচিত্র!
যাঁরা নানা রঙের লজেন্স, টফি বা এ ধরনের মিষ্টিজাতীয় খাবারের দিকে হাত বাড়ান, তাঁদের দেখে বুঝতে হবে যে তাঁরা জীবনে বৈচিত্র পছন্দ করেন৷ এঁদের নাকি একঘেয়ে বা অবিবেচক মানুষকে ভীষণ অপছন্দ৷
ছবি: Colourbox
‘শান্তনা’ পেতে চকোলেট
যাঁরা সহজে নিজের দুর্বলতা ঢাকতে চান বা মাথা নত করতে চান না, তাঁরা ঝটপট এক টুকরো চকোলেট বা চকলেটের খোঁজ করেন৷ চকোলেটপ্রেমীরা নাকি নিয়মিত মানুষকে আলিঙ্গন করে শান্তনা বা রোম্যান্টিকতা পাবার আশায়৷ চকোলেটের জন্য অস্থির হয়ে রয়েছে – এমন মানুষকে দেখলে বুঝতে হবে তাঁদের সে মুহূর্তে প্রয়োজন শান্তনা বা দু’টো মিষ্টি কথার৷
ছবি: picture-alliance/chromorange/Media for Medical
চেহারা রাগী, তবে মনটা নরম
পপকর্ণের শক্ত দানা দেখলে বোঝায় উপায় নেই যে, মাত্র কয়েক সেকেন্ডের তাপেই তা হয়ে উঠতে পারে মচমচে মজাদার খাবার৷ সেরকমই অনেক মানুষকে দেখে কঠিন প্রকৃতির মনে হয় বটে, কিন্তু তাঁদের সাথে মিশলে বোঝা যাবে যে আসলে তাঁদের মনটা নরম৷ তাছাড়া এঁরা বিনিময়ে কিছু পাওয়ার আশা না করেই প্রয়োজনে অন্যের সাহায্যে এগিয়ে আসেন৷ সমীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের মধ্য থেকে এ রকম তথ্যই বেরিয়ে এসেছে, জানান ডা. হির্শ৷