ভারতীয় টিভি সিরিয়ালে থাকবে না খলনায়িকা, কূটচরিত্র?
পায়েল সামন্ত কলকাতা
৬ নভেম্বর ২০২১
টিভি ধারাবাহিকের খল চরিত্র ও কুটিলতা সমাজে নেতিবাচক বার্তা দেয়, এমন ভাবনায় ভারতের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রক এ ধরনের বিষয়বস্তুতে নিয়ন্ত্রণ আনতে চায়৷ তবে জনরুচিতে এই হস্তক্ষেপের প্রশ্নে শুরু হয়েছে বিতর্ক৷
বিজ্ঞাপন
সন্ধ্যা হলেই নারী ও তাদের জীবনকেন্দ্রিক বিষয়বস্তু নিয়ে ভারতের বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেলগুলোর পর্দায় হাজির হয় জনপ্রিয় ধারাবাহিকগুলো৷ ভারত ছাড়িয়ে সেগুলোর বিপুল দর্শক রয়েছে বাংলাদেশের ঘরে ঘরেও৷ এসব সিরিয়ালের নেতিবাচক বা খলনায়িকা চরিত্রগুলোও থাকে দর্শক আগ্রহের কেন্দ্রে৷ কিন্তু ধারাবাহিকগুলোর কুটিল দৃশ্য ও নেতিবাচক চরিত্রের মাধ্যমে সমাজের কাছে নেতিবাচক বার্তা পৌঁছে যাচ্ছে বলে মনে করছে কেন্দ্র৷ তাই ১৯৯৪ সালের কেবল টেলিভিশন নেটওয়ার্ক বিধিতে বদল আসতে চলেছে৷ এজন্য কেন্দ্রীয় সরকারের আন্ডার সেক্রেটারি সোনিকা খাট্টার নোটিস জারি করেছেন বলে খবর প্রকাশ হয়েছে গণমাধ্যমে৷ কিন্তু এ নিয়ে বিতর্কও শুরু হয়েছে৷
এই মুহূর্তে ‘খড়কুটো’, ‘দেশের মাটি’, ‘শ্রীময়ী’ ভারতীয় বাংলা চ্যানেলগুলোতে চলা জনপ্রিয় ধারাবাহিক৷ শ্রীময়ী সিরিয়ালের ‘জুন আন্টি' খলনায়িকা রূপে আলাদা খ্যাতি কুড়িয়েছেন৷ এই ধারাবাহিকের লেখক, পরিচালক লীনা গঙ্গোপাধ্যায় ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘টেলিভিশনই শুধু কূটকচালি করে এমনটা নয়, জীবনেও সেটা থাকে৷ আবার ভাল চরিত্রও থাকে, যা আমাদের উৎসাহিত করে৷’’ সফল চিত্রনাট্যকার হিসেবে তিনি প্রশ্ন তোলেন, ‘‘সাহিত্যে এ ধরনের চরিত্রের দেখা কি মেলে না? জীবনের দর্পণ হিসেবে সাহিত্যে যদি এ সব থাকতে পারে, তা হলে টেলিভিশনে নয় কেন? কূটকচালি কি জীবনে ঘটে না? জীবনের একটা দিক বাদ দিয়ে চিত্রনাট্যে পূর্ণতা আসবে?’’ দর্শক স্বাধীনতার উপর গুরুত্ব দিয়ে তার বক্তব্য, ‘‘পরিণত দর্শকের বেছে নেওয়ার স্বাধীনতা আছে৷ তবে নির্দিষ্ট বিধি যদি কার্যকর হয়, তার বিরুদ্ধে আমরা কথা বলতে পারি না৷’’
টাইমলাইন: ক্লিন ফিড চ্যানেল বিতর্ক
২০১৯ সালে তথ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন টেলিভিশন স্টেশনের মালিকরা৷ তারা বাংলাদেশে সম্প্রচারিত বিদেশি চ্যানেলে বাংলাদেশের বিজ্ঞাপন প্রচারের বিপক্ষে ছিলেন৷ ১ অক্টোবর থেকে বিদেশি চ্যানেলের সম্প্রচার বন্ধ আছে৷
ছবি: bdnews24.com
আইন
২০০৬ সালের কেবল টেলিভিশন নেটওয়ার্ক পরিচালনা আইনে বিদেশি কোনো চ্যানেলের মাধ্যমে বিজ্ঞাপন সম্প্রচার বা সঞ্চালন করলে লাইসেন্স বাতিল এবং দুই বছরের কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ডের বিধান রয়েছে৷
ছবি: bdlaws.minlaw.gov.bd
টেলিভিশন মালিকদের দাবি
২০১৯ সালের এপ্রিলে তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদের সঙ্গে বৈঠক করেন টেলিভিশন স্টেশন মালিকদের সংগঠন ‘অ্যাটকো’র নেতারা৷ তারা বাংলাদেশে সম্প্রচারিত বিদেশি চ্যানেলে বাংলাদেশের বিজ্ঞাপন প্রচার বন্ধের দাবি জানিয়ে আসছিলেন৷ এর ফলে দেশি চ্যানেলগুলো বিজ্ঞাপন হারাচ্ছে বলে অভিযোগ ছিল তাদের৷ ঐ বৈঠকে তথ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, বিদেশি চ্যানেল শুধু বাংলাদেশি বিজ্ঞাপন নয়, আইন আনুযায়ী কোনো ধরনের বিজ্ঞাপনই দেখাতে পারে না৷
ছবি: Sanjay Kumar
এরপর তথ্য মন্ত্রণালয়ের নোটিশ
২০১৯ সালের এপ্রিলে তথ্য মন্ত্রণালয় থেকে দুই কেবল অপারেটর ও পরিবেশক প্রতিষ্ঠান জাদু মিডিয়া ভিশন ও নেশনওয়াইড মিডিয়া লিমিটেডকে বিজ্ঞাপন ছেঁটে বিদেশি টিভি চ্যানেল সম্প্রচারের নোটিশ দেয়া হয়েছিল৷ ৩০ জুন পর্যন্ত তাদের সময় বেঁধে দেয়া হয়েছিল৷
ছবি: moi.gov.bd
২৪ ঘণ্টা চ্যানেল বন্ধ
তথ্য মন্ত্রণালয়ের নোটিশ জারির পর জি নেটওয়ার্কের পাঁচটি চ্যানেলের সম্প্রচার ২৪ ঘণ্টা বন্ধ ছিল৷ এর কারণ হিসেবে পরে ‘কেবল অপারেটর অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের’ (কোয়াব) নেতারা বলেছিলেন, বিজ্ঞাপন বাদ দিয়ে বিদেশি চ্যানেল সম্প্রচারের প্রযুক্তি না থাকায় বাধ্য হয়ে তাদের চ্যানেলগুলো বন্ধ রাখতে হয়েছিল৷
ছবি: Zee Bangla
তথ্যমন্ত্রীর মন্তব্য
এপ্রিল মাসে মন্ত্রণালয়ের নোটিশ জারির মাসখানেক পর মে মাসে তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেছিলেন, জুলাইয়ের পর কেবল অপারেটরদের বিদেশি বিজ্ঞাপন ছাড়া অনুষ্ঠান সম্প্রচার করতে হবে৷
ছবি: bdnews24.com
মন্ত্রীর বক্তব্যে অপারেটরদের প্রতিক্রিয়া
নেশনওয়াইড মিডিয়া লিমিটেডের কর্ণধার আফসার খায়ের মিঠু বাংলাদেশে ডয়চে ভেলের কনটেন্ট পার্টনার বিডিনিউজকে সেই সময় বলেছিলেন, তাদের পক্ষে জুলাইয়ের মধ্যে ফ্রেশ ফিড সম্প্রচার সম্ভবপর হচ্ছে না৷ তিনি জানিয়েছিলেন, ‘‘পুরো বাংলাদেশ ডিজিটাল না হলে এটি বাস্তবায়ন করতে বেশ কষ্ট হবে৷ ঢাকা ও চট্টগ্রামে এটি চালু করতে মোটামুটি দুই বছরের মতো লাগতে পারে৷ আর পুরো দেশে এটি চালুর জন্য সরকার আমাদের পাঁচ বছর সময় দিতে পারে৷’’
ছবি: Getty Images/AFP/J. Samad
গতমাসে মন্ত্রীর ঘোষণা
গতমাসে মন্ত্রীর ঘোষণাসেপ্টেম্বরের শুরুতে কোয়াব, অ্যাটকো, বিদেশি চ্যানেলের ডিস্ট্রিবিউটর, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধির সঙ্গে এক বৈঠকের পর তথ্যমন্ত্রী ঘোষণা দেন, ‘ক্লিন ফিড’ ছাড়া বিদেশি চ্যানেল সম্প্রচার করলে আইন প্রয়োগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার৷ ক্লিন ফিড মানে হলো কোনো বিজ্ঞাপন থাকতে পারবে না৷ ঐ সময় বলা হয়েছিল, ১ অক্টোবর থেকে ক্লিন ফিড ছাড়া বিদেশি চ্যানেল বাংলাদেশে সম্প্রচার করা যাবে না
ছবি: bdnews24.com
সম্প্রচার বন্ধ
ঘোষণা মেনে ১ অক্টোবর থেকে অনুষ্ঠানের ফাঁকে বিজ্ঞাপন প্রচার করে এমন বিদেশি চ্যানেলের সম্প্রচার বন্ধ করে দেন কেবল অপারেটররা৷ তবে এটা করতে গিয়ে বিজ্ঞাপন ছাড়া (ক্লিন ফিড) চলে এমন বিদেশি চ্যানেলও বন্ধ করে দিয়েছিলেন কেবল অপারেটররা৷ পরে বিজ্ঞাপন ছাড়া চলে এমন ২৪টি চ্যানেলের তালিকা পাঠিয়ে সরকার পরিবেশক ও কেবল অপারেটরদের তা সম্প্রচারের নির্দেশ দিলে সেগুলো চালু করা হয়৷
ছবি: bdnews24.com
8 ছবি1 | 8
তবে কেন্দ্রীয় সরকারের এই পরিকল্পনা সামনে আসার পর তাকে সাধুবাদ দিয়েছেন নেটিজেনদের একটা বড় অংশ৷ তাদের মতে, অনেকদিন আগেই এ ধরনের আপত্তিকর বিষয় বাদ দেওয়া উচিত ছিল৷ এতে পারিবারিক সম্পর্কে প্রভাব পড়ছে৷ কেবল টেলিভিশন নেটওয়ার্ক রুল মানতে হয় ৯০০র বেশি টিভি চ্যানেলকে৷ কেবল টেলিভিশনের বিধিতে, ২০২১ এর সংশোধনীতে কনটেন্ট সংক্রান্ত অভিযোগ নিষ্পত্তির প্রক্রিয়া আরো দৃঢ় করা হয়েছে৷ ত্রি স্তরীয় ব্যবস্থায় অভিযোগ জানানো যাবে৷ এর শেষ ধাপে থাকছে কেন্দ্রের কাছে অভিযোগ জানানোর ব্যবস্থাও৷
যদিও মনোবিদরা নয়া বিধির মধ্যে যুক্তি দেখছেন না৷ মনোবিদ ডা. কামাল হোসেনের মতে, ‘‘খলনায়ক-নায়িকাদের দেখে বাস্তব জীবনেও ত্রুটি- বিচ্যুতি ঘটবে, এটা খুব বালখিল্য ধারণা৷ অতীতে শেক্সপিয়রের আমল থেকেই তো খল চরিত্র আছে৷ বরং টেলিভিশনে যে অপরাধ, হিংসার দৃশ্য দেখানো হয়, তা মানুষের মনে বিরূপ প্রভাব ফেলে৷ সেগুলি নিয়ন্ত্রণ করা উচিত৷ খলনায়িকাকে বাদ দিলেই যে পৃথিবী স্বর্গোদ্যান হয়ে যাবে, এমন ভাবা শিশুসুলভ৷’’
লীনা গঙ্গোপাধ্যায়
কারো কোনো বিষয় পছন্দ না হলে তা বর্জনের অধিকার আছে৷ কিন্তু সেজন্য কি গোটা বিষয়বস্তু বাদ দেয়া যুক্তিসঙ্গত? এখানেই স্বাধীনতার প্রশ্নটিকে সামনে আনছেন সমাজবিজ্ঞানীরা৷ প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজতত্ত্বের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক সুহৃতা সাহা বলেন, ‘‘ডোমেস্টিক স্পেসও ক্ষমতা আর রাজনীতির বাইরে নয়৷ খলনায়িকা এর কানে, ওর কানে বিষ দিচ্ছে, এটা বাস্তবের ছবি৷ তবে গল্পের জন্য কিছুটা রং চড়িয়ে দেখানো হয়৷ এগুলির টিআরপি যদি ভালো থাকে, তার মানে দর্শক আছে৷ জোর করে খলনায়িকাদের কণ্ঠরোধ করে পরিবারগুলির সমস্যা মিটে যাবে, এটা ভাবা ঠিক নয়৷’’
রাষ্ট্রের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সুহৃতা৷ বলেন, ‘‘মানুষকে শিশু ভাবলে চলবে না৷ জনতার রুচি নির্ধারণ করে দেবে রাষ্ট্র, এটা মোটেই স্বাস্থ্যকর নয়৷ টেলিভিশনের অনেক কনটেন্ট সমর্থনযোগ্য নয়৷ সেটা মানুষ বিচার করবে৷ কিন্তু জোর করে বন্ধ করে দেয়া মানে এডাল্ট দর্শককে শিশু ভাবা৷’’
কিন্তু রাষ্ট্রেরও কি ভূমিকা নেই জনরুচি গঠনে? যা নেতিবাচক, তাতে নিষেধাজ্ঞা জারি করলে সমস্যা কোথায়? দর্শকদের একটা বড় অংশ এই যুক্তি দিচ্ছেন৷ যদিও চলচ্চিত্রবিদ্যার শিক্ষকরা নিয়ন্ত্রণের পক্ষপাতী নন৷ অধ্যাপক সঞ্জয় মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘এই বিধি মানলে রামায়ণ থেকে মন্থরা, মহাভারত থেকে শকুনি বাদ দিতে হবে৷ কিন্তু এ সব তো মানুষের সভ্যতার ইতিহাসে অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত, বাদ দেয়া যাবে কীভাবে? বাস্তব বুদ্ধিরহিত হয়ে এ রকম নির্দেশ চলচ্চিত্রেও জারি হয়েছে৷ এখন টিভি সিরিয়ালের ক্ষেত্রে করা হচ্ছে৷ ভবিষ্যতে ওয়েব সিরিজে করবে৷ শিল্প, সাহিত্যে হস্তক্ষেপ না করে সরকারের নিজের সংবিধান নির্দিষ্ট কাজ মন দিয়ে করা উচিত৷’’
ফিল্ম ও টেলিভিশন সেটে দুর্ঘটনা
বৃহস্পতিবার এক সিনেমার শ্যুটিংয়ে মহড়ার সময় মার্কিন অভিনেতা অ্যালেক বল্ডউইনের গুলিতে সিনেমাটোগ্রাফার হেলিনা হ্যাচিন্স নিহত হন৷ ‘রাস্ট’ মুভির সেটে এই দুর্ঘটনা ঘটে৷ এমন দুর্ঘটনা আগেও ঘটেছে৷
ছবি: AP Photo/picture alliance
রাস্ট
বৃহস্পতিবার এক সিনেমার শ্যুটিংয়ে মহড়ার সময় মার্কিন অভিনেতা অ্যালেক বল্ডউইনের প্রপ বন্দুকের গুলিতে সিনেমাটোগ্রাফার হেলিনা হ্যাচিন্স নিহত হন৷ ‘রাস্ট’ মুভির সেটে এই দুর্ঘটনা ঘটে৷ বল্ডউইনের হাতে প্রপ বন্দুকটি দেয়ার সময় সেটি ব্যবহার করা নিরাপদ বলে তাকে জানিয়েছিলেন ফিল্মের সহকারী পরিচালক ডেভ হলস৷
ছবি: Jim Weber/Santa Fe New Mexican via AP/picture alliance
টোয়াইলাইট জোন
১৯৮২ সালে এই মুভির শ্যুটিংয়ের সময় হেলিকপ্টার দুর্ঘটনা ঘটে অভিনেতা ভিক মরো ও দুজন শিশু অভিনেতা নিহত হন৷ মুভির দৃশ্যের প্রয়োজনে ভূমিতে বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছিল৷ সেখান থেকে বিভিন্ন টুকরো উপরের দিকে উঠে গিয়ে হেলিকপ্টারের রোটোরকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছিল৷
ছবি: AP Photo/picture alliance
দ্য ক্রো
১৯৯৩ সালে ব্রুস লির ছেলে ব্র্যান্ডন লি শ্যুটিংয়ের সময় মারা গিয়েছিলেন৷ লিকে যে বন্দুক দিয়ে গুলি করা হয়েছিল সেখানে ভুল করে মেকশিফট বুলেট থেকে গিয়েছিল৷
ছবি: United Archives/IFTN/picture alliance
মিডনাইট রাইডার
২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্রের জর্জিয়ার এক নদীর উপর সেতুতে শ্যুটিং চলছিল৷ সেই সময় একটি ট্রেন চলে আসলে (সেতুর উপর শ্যুটিংয়ের অনুমতি ছিল না, তবে তারা মনে করেছিলেন ঐ সময় ট্রেন আসার কথা না) সারাহ জোনস নামের এক ক্যামেরা অপারেটর মারা যান৷
ছবি: picture-alliance/dpa/L. Bo Bo
কপস
২০১৪ সালের আগস্টে নেব্রাস্কায় টিভি রিয়ালিটি সিরিজ কপসের শ্যুটিং করতে গিয়ে গুলিতে প্রাণ হারান অডিও টেকনিশিয়ান ব্রাইস ডিওন মারা যান৷ কপস সিরিজে অন-ডিউটি পুলিশ কর্মকর্তাদের কাজ দেখানো হয়৷ দুর্ঘটনার সময় ডিওন পুলিশের গোলাগুলির শব্দধারণ করছিলেন৷ ঐ ঘটনার পর শ্যুটিংয়ের সময় আরও দূরে থাকার নিয়ম করা হয়৷ এছাড়া আরও কাছ থেকে দৃশ্য ধারনের জন্য বোনাস সিস্টেম বাতিলের পরামর্শ দেয়া হয়েছিল৷
ছবি: Pat A. Robinson/ZUMA Wire/picture alliance
আনটাইটেলড মিলিটারি প্রজেক্ট
২০১৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে লস অ্যাঞ্জেলসে ডিসকভারি চ্যানেলের জন্য একটি রিয়ালিটি টিভি সিরিজের শ্যুটিং চলছিল৷ ভোরবেলায় হেলিকপ্টারে শ্যুটিং করা হচ্ছিল৷ কিন্তু সেই সময় চাঁদের আলো ছিল না, পাইলটেরও নাইট ভিশন চশমা ছিল না৷ এছাড়া অভিনেতার মুখের ওপর ফেলা লাইটের আলো পাইলটের দেখার সামর্থ্য কমিয়ে দিয়েছিল৷ ফলে দুর্ঘটনা ঘটে পাইলটসহ তিনজন মারা গিয়েছিলেন৷