1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ডুবোজাহাজ দুর্ঘটনার কারণ নিয়ে বিতর্ক

অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুন দিল্লি২১ আগস্ট ২০১৩

মুম্বই বন্দরের অদূরে এক বিস্ফোরণে তলিয়ে গেল ভারতের আধুনিকতম ডুবোজাহাজ ‘সিন্ধুরক্ষক’৷ আশঙ্কা মারা গেছেন ১৮ জন নৌ-সেনা৷ অন্তর্ঘাত, নিরাপত্তা ব্যবস্থায় ত্রুটি, উচ্চ-প্রযুক্তির প্রশিক্ষণে গলদ ইত্যাদিই এর সম্ভাব্য কারণ৷

A man watches Indian Navy submarine INS Sindhurakshak on fire in Mumbai late August 13, 2013. An explosion on the Indian submarine on Wednesday killed crew members, India's defence minister said, giving no further details of what he described as one of the greatest tragedies of recent times. Picture taken late August 13, 2013. REUTERS/Vikalp Shah (INDIA - Tags: DISASTER MILITARY TPX IMAGES OF THE DAY)
ছবি: Reuters

‘সিন্ধুরক্ষক' ডুবোজাহাজ বিপর্যয়ে বাস্তবিকভাবেই অথৈ জলে পড়লো ভারতীয় নৌ-বাহিনী৷ প্রাথমিক রিপোর্টে অবশ্য বলা হয়েছে যে, ডুবোজাহাজটির সামনের দিকে মজুত ছিল টর্পেডো৷ বিস্ফোরণ ঘটেছিল সেখানেই৷ কিন্তু এই ধরণের দুর্ঘটনা, যেখানে ১৮ জন নৌ-সেনার জীবনহানি এবং ব্যয়বহুল ডুবোজাহাজ হারানোর ক্ষতি জড়িত, সেখানে সঠিক কারণ জানা অত্যন্ত জরুরি, বলেছেন নৌ-বাহিনীর প্রাক্তন শীর্ষকর্তারা৷ এক্ষেত্রে স্রেফ অন্তর্ঘাত বলে পার পাওয়া যাবে না৷

জানতে হবে রাশিয়া থেকে ‘সিন্ধুরক্ষক' নামে ডুবোজাহাজটির খোলনলচে বদলে আরো আধুনিক করে সবে আনা হয়েছে, সেখানে কোনো ত্রুটি ছিল কিনা৷ জানতে কী সেই কারণ, যার জন্য হাইড্রোজেনে আগুন লাগে যায় এবং আপৎকালীন অবস্থার মোকাবিলায় সতর্কতামূলক জরুরি ব্যবস্থা ছিল কিনা এবং তার সঠিক প্রয়োগ হয়েছিল কিনা৷ এইসব জানতে অতি উন্নত ফরেনসিক এবং কেমিক্যাল বিশ্লেষণ দরকার৷ কারণ, তদন্তে দেরি হলে অনেক তথ্যপ্রমাণ জলেই নষ্ট হয়ে যাবে৷

‘সিন্ধুরক্ষক'-এর এ পরিণতি নৌ-বাহিনীর পক্ষে বড় ধাক্কা...ছবি: Reuters

বিশেষজ্ঞরা বলেন, ডুবোজাহাজের নীচের দিকে থাকে ব্যাটারি৷ তার ওপরে থাকে আগ্নেয়াস্ত্র৷ চার্জ করার সময় ব্যাটারি থেকে হাইড্রোজেন গ্যাস ‘লিক' করে বিস্ফোরণ ঘটতে পারে৷ কারণ ২০১০ সালে ত্রুটিপূর্ণ ব্যাটারি ভাল্ভ থেকে হাইড্রোজেন লিক করেই একটি ডিজেল চালিত ডুবোজাহাজে আগুন লেগেছিল৷

ভারত-রাশিয়ার যৌথ উদ্যোগে ‘সিন্ধুরক্ষক' ভারতীয় নৌ-বাহিনীর অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল ১৯৯৭ সালে৷ তখন খরচ হয়েছিল প্রায় ৪০০ কোটি টাকা৷ অগ্নিকাণ্ডের পর সেটা মেরামতি এবং রণকৌশল ও মারণ ক্ষমতা আরো উন্নত করতে পাঠানো হয় রাশিয়াতে৷ তারজন্যও খরচ হয় কয়েকশো কোটি টাকা৷ কাজেই এই রকম অতি উন্নত একটা ডুবোজাহাজের এই পরিণতি সত্যিই নৌ-বাহিনীর পক্ষে এক বড়সড় ধাক্কা৷ ভারতের জলসীমা সুরক্ষিত রাখতে এবং বঙ্গোপসাগর ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে নিজেদের প্রভাব অক্ষুন্ন রাখতে কমপক্ষে ২০টি ডুবোজাহাজ দরকার ভারতের৷ এই মুহূর্তে আছে মাত্র ১৪টি৷

ভারত বিদেশ থেকে অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান, পরমাণুশক্তি-চালিত সাবমেরিন, আধুনিক দুরপাল্লার ক্ষেপনাস্ত্র এবং অন্যান্য সমর উপকরণ কিনে চলেছে, কিন্তু তার সঠিক ব্যবহারের উপযুক্ত প্রশিক্ষণ এবং রক্ষণাবেক্ষণের দিকে জোর দেয়া হচ্ছে কী? প্রশ্ন তুলেছেন প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ