চরবৃত্তির অভিযোগে ভারতের প্রাক্তন নৌ-সেনা অফিসার কুলভূষণের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করায় পাকিস্তানকে তার পরিণাম ভুগতে হবে – এই মর্মে হুঁশিয়ারি দিল্লির৷ পাকিস্তানের সামরিক আদালতের অভিযোগ ‘সাজানো', এমনটাই মনে করছে ভারত৷
বিজ্ঞাপন
ভারতীয় নৌ-সেনার প্রাক্তন অফিসার কুলভূষণ যাদবকে পাকিস্তানের সামরিক আদালত মৃত্যুদণ্ড দেওয়ায় তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে ভারতে৷ সংসদের ভেতরে এবং বাইরে দলমত নির্বিশেষে এই নিয়ে তুমুল আলোড়ন৷ এ বছর জানুয়ারিতে কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণ রেখা পেরিয়ে পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে ভারতের সার্জিক্যাল স্টাইকের পর, দু'দেশের মধ্যে যে উত্তেজনা শুরু হয়, এখন তা তুঙ্গে৷ সরকারকে চেপে ধরে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির দাবি – রাজনৈতিক বা কূটনৈতিক যেভাবেই হোক, কুলভূষণকে দেশে ফিরিয়ে আনতে হবে৷ তাই ইসলামাবাদের ওপর পাল্টা চাপ তৈরিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, পাকিস্তান যদি কুলভূষণের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করে তাহলে তার পরিণাম ভুগতে হবে পাকিস্তানকে৷ ভারত মনে করে, কুলভূষের বিরুদ্ধে অভিযোগের যথেষ্ট প্রমাণ দেখাতে পারেনি পাকিস্তান৷ পুরো অভিযোগই সাজানো এবং পূর্ব-পরিকল্পিত৷ এমনকি গোটা বিচার প্রক্রিয়ায় বিশ্বকে অন্ধকারে রাখা হয়েছে, বলে মন্তব্য করেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী৷ তাঁর কথায়, ‘‘এটা বিচার নয়, বিচারের প্রহসন৷'' কারণ বিচার প্রক্রিয়ার প্রথম শর্ত, অভিযুক্তকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দেওয়া৷ এক্ষেত্রে সেটা দেওয়া হয়নি৷ পাকিস্তানে ভারতীয় দূতাবাসের বারংবার অনুরোধ সত্ত্বেও, তাঁর সঙ্গে দেখা করার অনুমতি পর্যন্ত দেওয়া হয়নি৷ কুলভূষণ ব্যবসা সংক্রান্ত কাজে গিয়েছিলেন ইরানে৷ সেখান থেকে অপহরণ করে পাকিস্তানের আইএসআই তাঁকে নিয়ে যায় বালুচিস্তানে, এমনটাই দাবি ভারতের৷ দিল্লির পাকিস্তানি হাই-কমিশনারকে তলব করে পররাষ্ট্র সচিব জয় শংকর এ বিষয়ে ভারতের ক্ষোভের কথা জানিয়ে কড়া বার্তা দেন৷
কাশ্মীরে বহুদিনের সংঘাত, বহুদিনের ক্ষত
স্বাধীনতার পর থেকেই ভারত ও পাকিস্তানের সম্পর্কে যেন গলার ফাঁস হয়ে রয়েছে কাশ্মীর৷ তাই কাশ্মীর সংক্রান্ত ঘটনাবলী আজ নিজেরাই ইতিহাস৷
ছবি: Getty Images/AFP/R. Bhat
১৯৪৭
বলা হয় দেশবিভাগের পর পাকিস্তান থেকে আগত উপজাতিক যোদ্ধারা কাশ্মীর আক্রমণ করে৷ তখন কাশ্মীরের মহারাজা ভারতের সাথে সংযোজনের চুক্তি করেন, যা থেকে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হয়ে যায়৷
ছবি: dapd
১৯৪৮
ভারত জাতিসংঘে কাশ্মীর প্রসঙ্গ উত্থাপন করলে পর, ৪৭ ক্রমিক সংখ্যক প্রস্তাবটি গৃহীত হয়৷ ঐ প্রস্তাব অনুযায়ী গোটা কাশ্মীরে গণভোট অনুষ্ঠিত হবার কথা রয়েছে৷
ছবি: Keystone/Getty Images
১৯৪৮
কিন্তু পাকিস্তান প্রস্তাব অনুযায়ী, কাশ্মীর থেকে সৈন্যাপসারণ করতে অস্বীকার করে৷ অতঃপর কাশ্মীরকে দু’ভাগে ভাগ করা হয়৷
ছবি: Getty Images
১৯৫১
ভারতীয় কাশ্মীরে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ও ভারতের সঙ্গে সংযোজনকে সমর্থন করা হয়৷ অতঃপর ভারত বলে, আর গণভোট অনুষ্ঠানের কোনো প্রয়োজন নেই৷ জাতিসংঘ ও পাকিস্তানের মতে, গণভোট অনুষ্ঠিত হওয়া আবশ্যক৷
ছবি: picture-alliance/dpa/F. Khan
১৯৫৩
কাশ্মীরের ‘প্রধানমন্ত্রী’ শেখ আব্দুল্লাহ গণভোটের সমর্থক ছিলেন ও ভারতের সঙ্গে সংযোজনকে বিলম্বিত করার চেষ্টা করেন৷ ফলে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়৷ জম্মু-কাশ্মীরের নতুন সরকার ভারতের সঙ্গে কাশ্মীরের সংযোজনকে পাকা করেন৷
ছবি: picture-alliance/dpa/F. Khan
১৯৬২-৬৩
১৯৬২ সালের যুদ্ধে চীন আকসাই দখল করে৷ তার আগের বছর পাকিস্তান কাশ্মীরের ট্রান্স কারাকোরাম ট্র্যাক্ট এলাকাটি চীনকে প্রদান করে৷
ছবি: Getty Images
১৯৬৫
কাশ্মীরকে কেন্দ্র করে আবার ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ হয়৷ কিন্তু যুদ্ধশেষে উভয় দেশের সেনা তাদের পুরোনো অবস্থানে ফিরে যায়৷
ছবি: picture-alliance/dpa/J. Singh
১৯৭১-৭২
আবার ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ৷ যুদ্ধে পাকিস্তানের পরাজয়ের পর সিমলা চুক্তি সম্পাদিত হয় ১৯৭২ সালে৷ যুদ্ধবিরতি রেখাকে লাইন অফ কন্ট্রোল বা নিয়ন্ত্রণ রেখায় পরিণত করা হয় ও আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে বিবাদ সমাধান সম্পর্কে ঐকমত্য অর্জিত হয়৷
ছবি: AP
১৯৮৪
ভারত সিয়াচেন হিমবাহ নিজ নিয়ন্ত্রণে আনার পর পাকিস্তান তা একাধিকবার দখল করার চেষ্টা করেছে, কিন্তু সফল হতে পারেনি৷
ছবি: AP
১৯৮৭
জম্মু-কাশ্মীরে বিতর্কিত নির্বাচনের পর রাজ্যে বিচ্ছিন্নতাবাদী স্বাধীনতা আন্দোলন শুরু হয়৷ ভারত পাকিস্তানের বিরুদ্ধে উগ্রপন্থাকে উসকানি দেওয়ার অভিযোগ করে, কিন্তু পাকিস্তান সে দোষারোপ চিরকাল অস্বীকার করে এসেছে৷
ছবি: AP
১৯৯০
গওকাদল সেতুর কাছে ভারতীয় সিআরপি রক্ষীবাহিনী কাশ্মীরি বিক্ষোভকারীদের উপর গুলি চালালে পর শতাধিক আন্দোলনকারী নিহত হন৷ প্রায় সমস্ত হিন্দু কাশ্মীর উপত্যকা ছেড়ে চলে যান৷ জম্মু-কাশ্মীরে সেনাবাহিনীকে আফসা বা আর্মড ফোর্সেস স্পেশাল পাওয়ার্স অ্যাক্ট অনুযায়ী বিশেষ ক্ষমতা প্রদান করা হয়৷
ছবি: AFP/Getty Images/Tauseef Mustafa
১৯৯৯
কাশ্মীর ভ্যালিতে গোটা নব্বই-এর দশক ধরে অশান্তি চলে৷ ১৯৯৯ সালে আবার ভারত-পাকিস্তানের লড়াই হয়, এবার কারগিলে৷
ছবি: picture-alliance/dpa
২০০১-২০০৮
ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে আলাপ-আলোচনার যাবতীয় প্রচেষ্টা প্রথমে নতুন দিল্লির সংসদ ভবন ও পরে মুম্বই হামলার ফলে ব্যর্থ হয়৷
ছবি: picture-alliance/Pacific Press/F. Khan
২০১০
ভারতীয় সেনার গুলি লেগে এক বিক্ষোভকারীর মৃত্যুর পর কাশ্মীর ভ্যালি উত্তেজনায় ফেটে পড়ে৷ বিক্ষোভ চলে বেশ কয়েক সপ্তাহ ধরে, প্রাণ হারান অন্তত ১০০ জন৷
ছবি: picture-alliance/Pacific Press/U. Asif
২০১৩
সংসদ ভবনের উপর হামলার মুখ্য অপরাধী আফজল গুরুকে ফাঁসি দেওয়া হয়৷ এর পর যে বিক্ষোভ চলে, তা-তে দু’জন প্রাণ হারায়৷ এই বছরই ভারত আর পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীদ্বয় মিলিত হয়ে উত্তেজনা উপশমের কথা বলেন৷
ছবি: Reuters
২০১৪
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ উপস্থিত থাকেন৷ কিন্তু এর পর নতুন দিল্লিতে পাকিস্তানি হাই কমিশনার কাশ্মীরি বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সঙ্গে মিলিত হওয়ায় ভারত আলাপ-আলোচনা স্থগিত রাখে৷
ছবি: Reuters
২০১৬
আজাদ কাশ্মীর ভিত্তিক হিজবুল মুজাহিদীন-এর অধিনায়ক বুরহান ওয়ানি-র মৃত্যুর পর কাশ্মীরে স্বাধীনতা সমর্থকরা আবার পথে নেমেছেন৷ এই আন্দোলনে এ পর্যন্ত অন্তত ১০০ জনের মৃত্যু হয়েছে ও বিক্ষোভ অব্যাহত আছে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/R.S.Hussain
২০১৯
২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে জম্মু-কাশ্মীরের পুলওয়ামা সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্স (সিআরপিএফ)-এর গাড়িবহরে বোমা হামলার ঘটনা ঘটে৷ এতে ৪২ জওয়ান নিহত হন৷ বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন জৈশ-ই-মোহাম্মদ হামলার দায় স্বীকার করেছে৷ এরপর ২৬ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তান সীমান্তের ভেতরে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের ঘাঁটিতে বিমান হামলা চালায় ভারতীয় বিমান বাহিনী৷
ছবি: picture-alliance/ZUMA Wire/P. Kumar Verma
২০১৯
ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ নং ধারা অনুযায়ী, জম্মু ও কাশ্মীরের কাছে কিছু বিশেষ অধিকার ছিল। ৫ আগস্ট স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ৩৭০ ধারাটি অবসানের দাবি তোলেন৷ বিল পাস হয়। একই দিনে তাতে সই করেন ভারতের রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ৷ ফলে, কাশ্মীরের ‘বিশেষ মর্যাদা' বাতিল হয়। তাছাড়া মোদী সরকারের সিদ্ধান্তের ফলে জম্মু ও কাশ্মীর রাজ্যের মর্যাদা হারায়। জম্মু ও কাশ্মীর ও লাদাখ নামে দুইটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল গঠিত হয়।
ছবি: Reuters
19 ছবি1 | 19
ওদিকে দিল্লির দাবি অগ্রাহ্য করে পাকিস্তনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা হাসিফ বলেন, গত বছর বালুচিস্তানে এবং করাচিতে গুপ্তচরবৃ্ত্তি এবং নাশকতামূলক কার্যকলাপ চালানোর অভিযোগে কুলভূষণ যাদবকে গ্রেপ্তার করা হয়৷ তাঁর পাসপোর্টে ছিল অন্য নামে৷ তাতে ছিল, তাঁর নাম হোসেন মুবারক পযাটেল৷ তিনি মহারাষ্ট্রের বাসিন্দা৷ তিন মাস ধরে তাঁর বিচারপর্ব চলে৷ পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা দপ্তর থেকে জাননো হয়, কূলভূষণ যাদব তাঁর অপরাধ কবুল করেছে৷ তবুও তাঁকে উচ্চতর সামরিক আদালতে এবং চূড়ান্ত পর্যায়ে পাকিস্তানের প্রেসিডেন্টের কাছে প্রাণদণ্ড মকুবের আবেদন করার জন্য ৬০ দিনের সময় দেওয়া হয়েছে৷
প্রশ্ন হলো, পাকিস্তানকে উপযুক্ত শিক্ষা দিতে ভারতের হাতে এই মুহূর্তে কী আছে? এ মাসেই ১২ জন পাকিস্তানি কয়েদিকে মুক্তি দেওয়ার কথা ছিল৷ কিন্ত এ অবস্থায় আপাতত সেটা হচ্ছে না৷ ফাঁসির আদেশ প্রত্যাহারের জন্য দ্বিপাক্ষিক স্তরে প্রবল চাপ তৈরি করা এবং তাতে কাজ না হলে আন্তর্জাতিক আদালতে এই রায়ের উপরে স্থগিতাদেশ চাওয়া৷ বলা হবে, পাকিস্তানে বছরের পর বছর ধরে মসুদ আজাহার এবং সঈদ হাফিজের মতো সন্ত্রাসবাদীরাঅবাধে ঘুরে বেড়াচ্ছে৷ অথচ পাকিস্তান তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে তাদের মদত দিয়ে এসেছে৷ এটা গোটা দুনিয়া জানে৷ তাই কুলভূষণের ফাঁসির আদেশকে ক্যাঙ্গারু আদালতের রায় বলেই মানবে বিশ্ব, মনে করে ভারত৷
পাশাপাশি ভারতের কূটনৈতিক মহলের একাংশের মতে, কুলভূষণের ভাগ্য সম্ভবত সরবজিৎ সিং-এর মতোই হবে৷ ২০১৩ সালে পাকিস্তানি জেলে তাঁর মৃত্যু হয়৷ সন্দেহ, জেলে প্রচণ্ড অত্যাচারেই মৃত্যু হয়েছিল সরবজিতের৷ কুলভূষণ যাদবকেও হয়ত ফাঁসি না দিয়ে এইভাবেই মেরে ফেলা হতে পারে, এমন আশঙ্কাও রয়েছে৷ তাই ভারত-পাকিস্তানের সুশীল সমাজ মনে করে, চরবৃত্তি বিশ্বে অলিখিত এক রীতি রেওয়াজ৷ ঠান্ডা লড়াইয়ের সময়েও সোভিয়েত ইউনিয়ন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ধরা পড়া গুপ্তচরদের একে-অপরকে ফিরিয়ে দিয়েছিল৷ কাশ্মীরে ধরা পড়া জঙ্গিদের যদি ভারত ফাঁসি দিতে শুরু করে, তাহলে বিষয়টা কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে তা বলার অপেক্ষা রাখে না৷ এখানে স্মরণ করা যেতে পারে, ২০০০ সালে লালকেল্লার উপর সন্ত্রাসী হামলা মামলায় দোষী সাব্যস্ত পাকিস্তানি নাগরিককে কিন্তু ফাঁসি দেয়নি ভারত৷
ভারতে পাকিস্তানি যে ৭ তারকাকে নিষিদ্ধ করার দাবি উঠেছে
ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে যে উত্তেজনা চলছে, এর জের ধরে এবার সাতজন পাকিস্তানি তারকাকে ভারতে নিষিদ্ধের দাবি জানিয়েছে মহারাষ্ট্র নবনির্মাণ সেনা৷ অবিলম্বে তাঁদের ভারত ছাড়ার হুমকি দিয়েছে সংগঠনটি৷
ছবি: Getty Images/AFP/STR
ফাওয়াদ খান
বর্তমানে বলিউডে সবচেয়ে জনপ্রিয় পাকিস্তানি তারকা ফাওয়াদ খান৷ ২০১৪ সালে ‘খুবসুরত’ মুভির মাধ্যমে তিনি বলিউডে ঘাঁটি গাড়েন৷
ছবি: STRDEL/AFP/Getty Images
মীরা
পাকিস্তানি অভিনেত্রী মীরা যখন বলিউডে পদার্পণ করলেন, তখন তাঁকে নিয়ে বেশ আলোচনা হয়েছিল৷ বলিউডে তাঁর সবশেষ মুভি ‘ভড়াস’, যা ২০১৩ সালে মুক্তি পায়৷
ছবি: Getty Images/AFP/STR
বীণা মালিক
বীণা মালিক বিগ বস-এর মাধ্যমে ভারতীয় মিডিয়ায় আলোচনায় আসেন৷ এরপর তিনি বলিউডে প্রবেশ করেন৷ ‘ডাল মে কুছ কালা হ্যায়’ তাঁর প্রথম হিন্দি ছবি৷ কিন্তু দর্শক তাঁকে ভালোভাবে নেয়নি৷
ছবি: Getty Images/AFP/STR
আতিফ আসলাম
গায়ক অভিজিতসহ বলিউডের বেশ কিছু ব্যক্তি বরাবরই আতিফ আসলামের বিরোধিতা করে আসছেন৷ কিন্তু এরপরই বলিউডের বেশ কিছু জনপ্রিয় চলচ্চিত্রের সুপারহিট গানে কণ্ঠ দিয়েছেন আতিফ আসলাম৷
ছবি: Getty Images/AFP/STRDEL
জাবেদ শেখ
‘জান্নাত’, ‘যুবরাজ, ‘তামাশা’সহ বেশ কিছু জনপ্রিয় হিন্দি চলচ্চিত্রের অভিনয়ের মাধ্যমে বলিউডে জায়গা করে নিয়েছেন জাবেদ শেখ৷
ছবি: DW/T. Saeed
আলী জাফর
‘তেরে বিন লাদেন’ ছবির মাধ্যমে দর্শকদের নজর কেড়েছিলেন আলী জাফর৷ এরপর বেশ কিছু হিন্দি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি৷
ছবি: Imago/Hindustan Times/W. Gashroo
রাহাত ফাতেহ আলী খান
‘তুঝে দেখ দেখ সোনা’ রাহাত ফাতেহ আলী খানের অন্যতম জনপ্রিয় গান৷ এরপরও বহু হিন্দি চলচিত্রে অনেক জনপ্রিয় গান উপহার দিয়েছেন তিনি শ্রোতাদের৷