‘ভারতই সুপার খাপ পঞ্চায়েত'
৩১ আগস্ট ২০১৫![Indien Vergewaltigung Proteste](https://static.dw.com/image/16502370_800.webp)
দেশের সংবিধান না তথাকথিত ধর্মীয় বা সামাজিক ঐতিহ্য – ভারতীয় রাষ্ট্রে কোন বিষয়টিকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে, বিভিন্ন চলমান বিতর্কে এই প্রশ্নটা বার বার উঠে আসছে৷ সাংবিধানিক কাঠামোর বাইরে গ্রামাঞ্চলে তথাকথিত ‘খাপ পঞ্চায়েত' কোন অধিকারে আদৌ কোনো নাগরিকের বিচার করতে পারে এবং আইন ভেঙে নারী নির্যাতনের শাস্তি দিতে পারে? সম্প্রতি উত্তর প্রদেশ রাজ্যে দুই নারীর প্রতি চরম অবমাননাকর নির্দেশকে কেন্দ্র করে সোচ্চার হয়ে উঠেছে সোশ্যাল মিডিয়া৷
শোয়েব ডানিয়াল শুধু তথাকথিত খাপ পঞ্চায়েতের উপর দায় চাপাতে প্রস্তুত নন৷ ভারতে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে বিবাহের ক্ষেত্রে রাষ্ট্রের ভূমিকাও অত্যন্ত দুর্বল বলে মনে করেন তিনি৷ এ বিষয়ে লেখা নিজের একটি প্রতিবেদন শেয়ার করেছেন তিনি৷
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের ডাকে সাড়া দিচ্ছেন অসংখ্য মানুষ৷ এই ঘটনায় বিচলিত অনেকেই টুইটারে সেই প্রতিবেদনটি শেয়ার করছেন৷ যেমন ড. ব্রায়ান মে৷
মাইক মা নামের একজন লিখেছেন, এই মুহূর্তে ভারতে কোনো পরিষদ ধর্ষণকে নারীদের শাস্তির হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে৷
বলিউডের সংগীত পরিচালক বিশাল ডাডলানি এই ঘটনায় তীব্র বিরক্তি প্রকাশ করে লিখেছেন, ‘‘দেশে আইন-কানুন কোথায়? যে দিনে বোনেরা ভাইদের রাখি পরায়, এমন দিনে এই খবর শুনে আমি অত্যন্ত মর্মাহত৷''
আশওয়াক মনে করেন, বিপুল প্রতিবাদ, সমালোচনা ও লবিয়িং সত্ত্বেও ভারতে ধর্ষণকে হালকা করে দেখার প্রবণতা দূর হচ্ছে না৷
লতা ভেঙ্কটেশ লিখেছেন, ভারতের সংসদ, প্রধানমন্ত্রী ও অন্যান্য মন্ত্রীরা যত দ্রুত সম্ভব উত্তর প্রদেশে দুই বোনের ধর্ষণের ন্যাক্কারজনক নির্দেশ বন্ধ করতে এগিয়ে আসবেন?
সংকলন: সঞ্জীব বর্মন
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ