1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ভারতের অস্ত্র আমদানি

গাব্রিয়েল ডমিনগেজ/এসি৩০ মে ২০১৫

জার্মান প্রতিরক্ষামন্ত্রী উর্সুলা ফন ডেয়ার লাইয়েন তিন দিনের ভারত সফরে এসেছিলেন৷ এখন প্রশ্ন হলো: ভারত বছরের পর বছর ধরে অস্ত্র আমদানি করে চলেছে কেন, আর এর ফলে দক্ষিণ এশিয়ায় অস্ত্র প্রতিযোগিতা বেড়েছে কিনা৷

Atomwaffenfähige Rakete / Indien
ছবি: AP

ফন ডেয়ার লাইয়েন যখন ভারত যাত্রা করছেন, ঠিক তখনই ভারত ফ্রান্সের কাছ থেকে ‘রাফাল' জঙ্গিজেট কেনার ব্যাপারে আলাপ-আলোচনা শেষ করতে চলেছে৷ অপরদিকে ভারত স্বদেশেই আরো ছ'টি ডুবোজাহাজ নির্মাণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যার জন্য জলের তলায় প্ল্যাটফর্ম তৈরির দরকার পড়বে, জার্মান কোম্পানি ট্যুসেন-ক্রুপ আবার যে কাজে বিশেষভাবে অভিজ্ঞ৷

এই দু'টি ঘটনা থেকে একটি প্রবণতা স্পষ্ট হয়: ভারত বিদেশ থেকে বড় মাপের অস্ত্রপ্রণালী কিনতে আগ্রহী৷ এবং এই প্রবণতা বেড়েই চলেছে৷ ২০১০ থেকে ২০১৪ সালের মধ্যে ভারতে বড় মাপের অস্ত্রের আমদানি বেড়েছে ১৪০ শতাংশ – যার অর্থ, বিগত পাঁচ বছরে ভারত বিশ্বব্যাপী বড় অস্ত্রপ্রণালীর ক্রেতাদের মধ্যে প্রথম স্থানে৷ এই তথ্য দিয়েছে স্টকহোমের সিপ্রি সংস্থা৷

২০১০ থেকে ২০১৪ ভারতের অস্ত্র আমদানি ছিল সারা বিশ্বের মোট অস্ত্র আমদানির ১৫ শতাংশ – অর্থাৎ চীনের অস্ত্র আমদানির প্রায় তিনগুণ৷ বলতে কি, চীনের অস্ত্র আমদানি বিগত দশ বছরে প্রায় ৪২ শতাংশ কমেছে৷ বর্তমানে সৌদি আরব বিশ্বের বৃহত্তম অস্ত্র আমদানিকারক দেশ, কিন্তু ভারত শীঘ্রই দ্বিতীয় স্থানে পৌঁছে যাবে, বলে বিশ্লেষকদের ধারণা৷

অবশ্য জার্মানি কিংবা ফ্রান্স ভারতের বৃহত্তম অস্ত্র সরবরাহকারী দেশগুলির মধ্যে পড়ে না৷ বিগত পাঁচ বছর ধরে ভারত তার চাহিদার ৭০ শতাংশ মিটিয়েছে রাশিয়া থেকে অস্ত্র আমদানি করে৷ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে এসেছে ১২ শতাংশ, ইসরায়েলের কাছ থেকে সাত শতাংশ – এরা হলো দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে৷

সেক্ষেত্রে গত পাঁচ বছরে ভারতের অস্ত্র আমদানির মাত্র এক দশমিক দুই শতাংশ এসেছে জার্মানি থেকে, শূন্য দশমিক সাত শতাংশ ফ্রান্স থেকে৷ অপরদিকে রাশিয়া থেকে ভারত কিনেছে ২০১৩ সালে একটি গর্শকভ বিমানবাহী পোত, ২০১২ সালে একটি আকুলা-দুই ডুবোজাহাজ, ২০১২-১৩ সালে তিনটি তালওয়ার রণতরী, ২০১০ থেকে ২০১৪ সালের মধ্যে ৩৩টি মিগ-২৯কে জঙ্গিজেট এবং ১০৫টি এসইউ-৩০এমকেআই জঙ্গিবিমান৷ এছাড়া ২০১১ থেকে ২০১৪ সালের মধ্যে ১১৪টি এমআই-১৭ভি৫ হেলিকপ্টার৷

কিন্তু ভারত এই সব অস্ত্র নিজে তৈরি করে না কেন? তার কারণ, ভারতে বড় মাপের অস্ত্র তৈরির কোনো ঐতিহ্য নেই৷ প্রযুক্তির ক্ষেত্রেও ঘাটতি আছে, যে কারণে ভারত প্রতিটি বড় অস্ত্রক্রয়ের ক্ষেত্রে ‘টেকনোলজি ট্র্যান্সফার' সংক্রান্ত একটি শর্ত রাখার চেষ্টা করে – যদিও ভারতীয় শিল্পের এই পরিমাণ প্রযুক্তি একবারে গ্রহণ করার অথবা কাজে লাগানোর মতো ক্ষমতা নেই৷

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দৃশ্যত ভারতীয় সামরিক বাহিনীর সংস্কারে আগ্রহী৷ তাঁর পরিকল্পনার ভিত্তি হলো বিদেশি সহযোগীদের সঙ্গে একযোগে সমরাস্ত্র ও সামরিক যানবাহন উৎপাদনের আয়োজন করা৷ এই পরিকল্পনাকে ‘মেক ইন ইন্ডিয়া' অভিযানের অঙ্গ করা হয়েছে৷

অপরদিকে চীন ও পাকিস্তানের মতো দুই প্রতিবেশীর পরিপ্রেক্ষিতে ভারতের প্রতিরক্ষার দিকে নজর না দিয়ে উপায় নেই৷ এক বিশ্লেষকের মতে ভারত ও তার প্রতিবেশীদের মধ্যে নাজুক ভারসাম্যে ‘‘প্রতিরোধমূলক প্রতিরক্ষার'' একটা উপাদান আছে৷ বিশেষ করে পাকিস্তান, ভারত কিংবা চীনের পক্ষে পারমাণবিক শক্তি একটি বড় প্রতিরোধমূলক প্রতিরক্ষা৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ