‘সুন্দরবন বাঁচাও' আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত থাকায় ভারতের রোষানলে পড়েছেন বাংলাদেশের অন্যতম মানবাধিকার কর্মী সুলতানা কামাল৷ ফলে কলকাতায় থাকা তাঁর অসুস্থ আত্মীয়কে দেখতে যেতে পারছেন না তিনি৷
বিজ্ঞাপন
সুন্দরবনের কাছে রামপালে ভারতের সহায়তায় কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের বিপক্ষে দাঁড়িয়েছেন বাংলাদেশের অনেক অ্যাক্টিভিস্ট৷ তাঁদের দাবি, এর ফলে সুন্দরবনের জীব বৈচিত্র্যের মারাত্মক ক্ষতি হবে৷ তাই সুন্দরবন বাঁচাতে রামপালের কাছে কয়লাভিত্তিক প্রকল্পের বিরোধী তাঁরা, যদিও সরকারের কথায় সুন্দরবনের ক্ষতি এড়াতে যথেষ্ট উদ্যোগ নেয়া হবে৷
মানবাধিকার কর্মী এবং আইনজীবী সুলতানা কামাল সরকারের এই বক্তব্য আশ্বস্ত নন৷ বরং নেদাল্যান্ডসের দ্য হেগ শহরে রবিবার ডয়চে ভেলেকে দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি তুলে ধরেন তাঁর উদ্বেগের কারণগুলো৷ সুন্দরবনের কাছে কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্র সম্পর্কে তিনি জানান, ‘‘বিষয়টি – ‘আমি তোমার শরীরে বিষ ঢোকাবো ঠিকই, কিন্তু সেই বিষে বিষক্রিয়া যাতে না হয় সেই চেষ্টাও করবো'-র মতো ব্যাপার৷''
অভিজিৎ রায়ের স্মরণে দ্য হেগে ফ্রিডম বুকফেয়ার
বাংলাদেশে নিহত ব্লগার অভিজিৎ রায়ের স্মরণে নেদারল্যান্ডসের দ্য হেগ শহরে আয়োজন করা হয় চারদিনব্যাপী ‘ফ্রিডম বুকফেয়ার’৷ সেই মেলার কিছু স্থিরচিত্র থাকছে এই ছবিঘরে৷
ছবি: DW/A. Islam
নিহত ব্লগার, অ্যাক্টিভিস্টদের স্মরণ
নেদারল্যান্ডসের দ্য হেগ শহরে আয়োজিত ফ্রিডম বুকফেয়ারে বাংলাদেশে গত কয়েক বছরে নিহত ব্লগার, অ্যাক্টিভিস্টদের স্মরণ করা হয়৷ মেলায় অংশ নেন মুক্তমনা ব্লগের বন্যা আহমেদসহ ইউরোপে অবস্থানরত বেশ কয়েকজন বাংলাদেশি ব্লগার ও অ্যাক্টিভিস্ট৷
ছবি: DW/A. Islam
বাংলাদেশ, তুরস্ক এবং সোমালিয়ার বইয়ের প্রদর্শনী
গতবছরের আধাবেলার বইমেলা এ বছর চারদিনে গড়িয়েছে৷ শুধু বাংলাদেশ নয়, তুরস্ক এবং সোমালিয়াতে বাকস্বাধীনতার চর্চা করতে গিয়ে আক্রান্তদের কথাও জানানো হয়েছে বইমেলায়৷ এছাড়া তুরস্কে নিষিদ্ধ বিভিন্ন বইও প্রদর্শন করা হয় ২৪ থেকে ২৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত আয়োজিত এই মেলায়৷
ছবি: DW/A. Islam
কার্টুনে বাকস্বাধীনতা
ডয়চে ভেলেকে সাক্ষাৎকার দেয়ার সময় কার্টুনে বাংলাদেশে বাকস্বাধীনতার বর্তমান পরিস্থিতি ফুটিয়ে তুলতে বললে এই কার্টুনটি আঁকেন নরওয়ে থেকে মেলায় আসা বাংলাদেশি কার্টুনিস্ট আরিফুর রহমান৷ তাঁর সাক্ষাৎকারটি ডয়চে ভেলের ফেসবুক পাতায় সরাসরি সম্প্রচার করা হয়৷ আরো জানতে উপরের ‘+’ চিহ্নে ক্লিক করুন৷
ছবি: DW/A. Islam
ইউরোপীয়দের আগ্রহ
বাকস্বাধীনতা রক্ষায় আগ্রহী অনেক ইউরোপীয়কে দেখা গেছে মেলাপ্রাঙ্গণে৷ সমকামীদের অধিকার বিষয়ক এক প্যানেলেও ছিল উপচে পড়া ভিড়৷
ছবি: DW/A. Islam
লেখিকার অটোগ্রাফ
ফ্রিডম বুকফেয়ারে তানবীরা তালুকদারের ‘একদিন অহনার অভিবাসন’ উপন্যাসটি প্রদর্শন করা হয়৷ ইউরোপে এক বাঙালি নারীর জীবনসংগ্রাম নিয়ে লেখা উপন্যাসটিতে অটোগ্রাফ দিচ্ছেন তানবীরা৷
ছবি: DW/A. Islam
বইমেলায় সুলতানা কামাল
দ্য ফ্রিডম বুকফেয়ারে অংশ নিতে বাংলাদেশ থেকে দ্য হেগ শহরে আসেন মানবাধিকার কর্মী সুলতানা কামাল৷ তিনি বাংলাদেশের মানুষের বাকস্বাধীনতা রক্ষায় সরকারের আরো সক্রিয় ভূমিকা কামনা করেন৷
ছবি: DW/A. Islam
সোমালিয়ার কবিতা সন্ধ্যায় উপচেপড়া ভিড়
দ্য ফ্রিডম বুকফেয়ারে আয়োজিত সোমালিয়ার কবিতা সন্ধ্যায় ছিল উপচে পড়া ভিড়৷ বার্লিনে নির্বাসিত কবি দাউদ হায়দারকে নিয়েও একটি কবিতা সন্ধ্যার আয়োজন করা হয়৷ ডয়চে ভেলে অনুষ্ঠানটি ফেসবুকে সরাসরি সম্প্রচার করে৷ সম্প্রচারটি দেখতে ক্লিক করুন উপরের ‘+’ চিহ্নটিতে৷
ছবি: DW/A. Islam
অভিজিৎ রায়ের স্মরণে মোমবাতি প্রজ্জ্বলন
২৬ ফেব্রুয়ারি ছিল বিজ্ঞান লেখক অভিজিৎ রায়ের দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী৷ এই দিনে তাঁর স্মরণে বিশেষ স্মরণসভার আয়োজন করা হয় ফ্রিডম বুকফেয়ারে৷ এতে সংগীত পরিবেশন করেন সারানা ইউসূফ৷ স্মরণসভাটির ভিডিও রয়েছে ডয়চে ভেলের ফেসবুক পাতায়৷ সেই ভিডিওটি দেখতে চাইলে ক্লিক করুন উপরের ‘+’ চিহ্নে৷
ছবি: DW/A. Islam
ফেসবুকে লাইভ সাক্ষাৎকার
ফ্রিডম বুকফেয়ার চলাকালে বাংলাদেশি ব্লগার, অ্যাক্টিভিস্টদের বেশ কয়েকজনের সাক্ষাৎকার প্রকাশ করা হয়েছে ডয়চে ভেলের ফেসবুক পাতায়৷ বাকস্বাধীনতা বিষয়ক একাধিক আলোচনাও সরাসরি সম্প্রচার করা হয়৷ সেগুলো পেতে ক্লিক করুন উপরের ‘+’ চিহ্নে৷
ছবি: DW/A. Islam
9 ছবি1 | 9
সরকারের তরফ থেকে দাবি করা হয়েছে যে, রামপালে আল্ট্রা সুপার ক্রিটিক্যাল টেকনোলজি ব্যবহার করে সুন্দরবনকে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করা হবে৷ কিন্তু সুলতানা কামাল জানান, এ রকম কোনো প্রযুক্তি আসলে ব্যবহার করা হবে কিনা তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে৷ কেননা প্রকল্পের কাগজপত্রে বা যেসব সরঞ্জাম কেনা হচ্ছে, তাতে এই প্রযুক্তির কথা উল্লেখ নেই৷
তাংর কথায়, ‘‘আল্ট্রা সুপার ক্রিটিক্যাল টেকনোলজি ব্যবহার করলে কয়লার ব্যবহার কমবে, সেটাই একমাত্র মহাত্ব, আর কিছু নয়৷ কিন্তু এরফলে বিষাক্ত গ্যাসের নিঃসরণ কমানো যাবে না৷ মোটের উপর এই প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে এমন কোনো প্রমাণও আমরা পাইনি৷''
প্রসঙ্গত রামপাল বিরোধী আন্দোলনকারীদের অধিকাংশই ভারতবিরোধী, স্বাধীনতার বিপক্ষের এবং উন্নয়ন বিরোধী বলে জানিয়েছেন সরকারের একাধিক এমপি-মন্ত্রী৷ এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে সরকারের প্রতি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেন সুলতানা কামাল৷ তাঁকে স্বাধীনতার বিরোধী প্রমাণ করতে পারলে সুন্দরবন বাঁচাও আন্দোলন থেকে সরে যাওয়ার ঘোষণা দেন তিনি৷
সুন্দরবন ও রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র নিয়ে প্রতিক্রিয়া
বিদ্যুৎ অবশ্যই দরকার, বিশেষ করে গরিবদের তো আরো বেশি দরকার৷ তারপরও রামপাল কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র হলে তা হবে মর্মান্তিক৷ একদিকে দেশের-দশের প্রয়োজন, অন্যদিকে পরিবেশ বিপর্জয়ের ভয়৷ কী বলছে দেশের মানুষ?
ছবি: picture-alliance/dpa/Pacific Press/M. Hasan
মোশাহিদা সুলতানা, শিক্ষক
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালেয়ের শিক্ষক মোশাহিদা সুলতানা ঋতুর মতে, সুন্দরবনের পাশে এত বড় একটা কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র করে একে ঝুঁকির মধ্যে ফেলা কোনোভাবেই ঠিক হবে না৷ তাঁর মতে, সুন্দরবনের কোনো বিকল্প নেই, কিন্তু বিদ্যুৎকেন্দ্রের বিকল্প আছে৷
ছবি: DW
সায়েম ইউ চৌধুরী, পাখি ও বন্যপ্রাণী গবেষক
৪০ বারেরও বেশি সুন্দরবনে গেছেন সায়েম৷ তিনি জানান, সম্প্রতি চট্টগ্রামের একটি সার কারখানা থেকে অ্যামোনিয়া গ্যাস নিঃসরণ হয়ে পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতি হয়৷ পুকুরের মাছ, গাছপালা, প্রাণী – সব মারা পড়ে৷ এ রকম ছোট একটা সার কারখানার দুর্ঘটনা থেকে আমাদের পরিবেশ রক্ষা করার সক্ষমতা যেখানে নেই, সেখানে এত বড় একটি বিদ্যুৎকেন্দ্রে কোনো দুর্ঘটনা হলে আমাদের সরকার কী-ই বা করার থাকবে?
ছবি: DW
মারুফ বিল্লাহ, স্থানীয় বাসিন্দা
মারুফ বিল্লাহর জন্ম রামপালেই৷ ছোটবেলা থেকেই তিনি সুন্দরবনকে ধ্বংস হতে দেখে আসছেন৷ আর এখন সুন্দরবন ঘেঁষে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র করে একে ধ্বংসের আরেক পায়তারা করছে সরকার৷ তিনি জানান, সিডর আর আইলার পরে আমরা দেখেছি ঐ জনপদকে সে যাত্রায় বাঁচিয়েছিল সুন্দরবন৷ এখন যদি আমরাই তাকে মেরে ফেলি, তাহলে জনগণ কোথায় যাবে? তাই তাঁর প্রশ্ন, জীবন আগে, নাকি বিদ্যুৎ আগে?
ছবি: DW
সাইমুম জাহান হিয়া, শিক্ষার্থী
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সাইমুম জাহান হিয়া মনে করেন, সারা পৃথিবীতে বাংলাদেশের পরিচয় বহন করে বিশ্বের সবচেয়ে বড় এই ম্যানগ্রোভ বন৷ এর পাশে বিশাল আকারের কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র হলে যে কখনো কোনো দুর্ঘটনা হবে না – এটা কেউ নিশ্চিত করে বলতে পারবে না৷ তাঁর মতে, দেশের উন্নয়নের জন্য বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রয়োজন আছে, এটা ঠিক, তবে সেটা সুন্দরবনকে ধ্বংস করে নয়৷
ছবি: DW
হাসিব মোহাম্মদ, শিক্ষার্থী
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হাসিব মোহাম্মদ কয়েকবার সুন্দরবনে গেছেন৷ আসলে এই বনাঞ্চলের জীববৈচিত্র তাঁকে সবসময় টানে৷ তাই এ বনের কোনোরকম ক্ষতি করে তিনি এর কাছাকাছি রামপালের মতো কোনো বিদ্যুৎকেন্দ্র চান না৷ গত বছরের কয়েকটি ছোট ছোট জাহাজ সুন্দরবনে ডোবার পর যে ভয়াবহ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছিল, সে কথাও মনে করিয়ে দেন তিনি৷ তাঁর আশঙ্কা, রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র চালু হলে জাহাজ চলাচল বেড়ে গিয়ে দুর্ঘটনাও বাড়বে৷
ছবি: DW
মিমু দাস, শিক্ষার্থী
লেদার ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ছাত্র মিমু দাসও মনে করেন, সুন্দরবনের এত কাছে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র করা ঠিক হবে না৷ বিভিন্ন পত্র-পত্রিকার খবর পড়ে তাঁর মনে হয়েছে যে, এই বিদ্যুৎকেন্দ্র পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতি করবে৷ মিমু বিদ্যুৎকেন্দ্র চান, তবে সেটা অন্য কোথাও৷
ছবি: DW
আদনান আজাদ আসিফ, মডেল ও অভিনেতা
মডেল ও অভিনেতা আদনান আজাদ আসিফ একজন ওয়াইল্ডলাইফ ফটোগ্রাফারও৷ কয়েক বছর ধরে সময় পেলেই তিনি সুন্দরবনে ছুটে যান৷ বিশ্বের সবেচেয়ে বড় এই ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট বেঙ্গল টাইগারের একমাত্র আবাসস্থল৷ তাঁর মতে, সুন্দরবন বাংলাদেশের ফুসফুস৷ আর এমনিতেই নানা কারণে এখানে বাঘের সংখ্যা অস্বাভাবিক হারে হ্রাস পেয়েছে৷ তাই এর কাছাকাছি পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর এমন কোনো প্রকল্প করে এ বনকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দেয়া ঠিক হবে না৷
ছবি: DW
আমিনুর রহমান, চাকুরিজীবী
ঢাকার একটি পরিবহন সংস্থায় কাজ করেন আমিনুর রহমান৷ তাঁর মতে, দেশের উন্নয়নের জন্য বিদ্যুৎ দরকার৷ তাই বড় কোনো বিদ্যুৎকেন্দ্র হলে দেশের জন্য ভালোই হবে৷ তাছাড়া তিনি শুনেছেন যে, রামপালে বিদ্যুৎকেন্দ্র হলে তা সুন্দরবনের কোনো ক্ষতিই করবে না৷
ছবি: DW
আব্দুল আজীজ ঢালী, মধু চাষি
সুন্দরবনে গত ৫০ বছরেরও বেশি সময় ধরে মধু আহরণ করেন সাতক্ষীরার আব্দুল আজীজ ঢালী৷ জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত এ বনের সঙ্গে থাকতে চান তিনি৷ সুন্দরবনে থাকলেও রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র সম্পর্কে কিছুই জানেন না আব্দুল আজীজ৷
ছবি: DW
ভবেন বিশ্বাস, মাছ শিকারি
ভবেন বিশ্বাসের জীবিকার অন্যতম উৎস সুন্দরবন৷ উদবিড়াল দিয়ে এ বনে তিনি মাছ ধরেন ৩০ বছরেরও বেশি সময় ধরে৷ তাঁর বাবা ও ঠাকুরদাদার এ পেশা এখনো তিনি ধরে রেখেছেন৷ রামপালে বিদ্যুৎকেন্দ্র হচ্ছে এ খবর তিনি শুনে থাকলেও, এর ভালো বা খারাপের দিকগুলো – কিছুই জানা নেই তাঁর৷ তবে সুন্দরবনকে তিনি ভালোবাসেন, খুব ভালোবাসেন৷
ছবি: DW
10 ছবি1 | 10
শুধু তাই নয়, ভারতবিরোধীতার বিষয়েও কথা বলেছেন বর্তমানে ফ্রিডম বুকফেয়ারে অংশ নিতে দ্য হেগে অবস্থানরত এই মানবাধিকার কর্মী৷ তিনি জানান, সুন্দরবন বাঁচাও আন্দোলন করায় সম্প্রতি তাঁকে ভিসা দেয়নি ভারত৷
তিনি বলেন, ‘‘আমার ভাসুর কলকাতায় থাকেন, তিনি অসুস্থ৷ অথচ তাঁকে আমি দেখতে যেতে পারছি না, কারণ রামপালবিরোধী আন্দোলন করায় ভারত আমাকে ভিসা দেয়নি৷''
সুলতানা কামালের কথায়, ‘‘ভারতের এই যে আমাদের সার্বভৌমত্বের ওপর হস্তক্ষেপ করা...৷ আমাদের জাতীয় ইস্যু নিয়ে যখন কথা বলছি, সেটার মধ্যে অনাকাঙ্খিতভাবে একটা পরিস্থিতি তৈরি করা, এগুলো যদি তারা করতে থাকে, একে একে অনেক মানুষই ভারতবিরোধী হয়ে যাবে৷ বিশেষ করে ভারতের আগ্রাসী, অযৌক্তিক এবং দাদাগিরির যে মনোভাব রয়েছে, সেটার কারণে৷''
ডয়চে ভেলেকে দেয়া সাক্ষাৎকারটি ফেসবুকে সরাসরি সম্প্রচার করা হয়৷ সাক্ষাৎকারে বাংলাদেশের বাকস্বাধীনতা পরিস্থিতি নিয়েও কথা বলেন সুলতানা কামাল৷ তিনি বলেন, ‘‘যারা মুক্তভাবে কথা বলতে চায়, তাদের সঙ্গে আমাদের অমত থাকতে পারে৷ যাদের ব্লগার বলছি, তাদের অনেকেই অনেককিছু লেখে, যার সঙ্গে আমিও সবসময় একমত হই না, অনেকেই হবেন না৷ অনেকের সেটা ভালো নাও লাগতে পারে৷ কিন্তু একটা সভ্য দেশে, সভ্য সমাজে, একটা নিয়মনীতি থাকে যে তারা তাদের কথাবার্তা বলুক...৷ আমাদের পছন্দ না হলে আমরা দৃঢ়ভাবে, স্পষ্টভাবে বলি যে এটা আমাদের পছন্দ হচ্ছে না৷ কিন্তু এখানে সহিংসতার কোনো জায়গা থাকতে পারে না৷''
তিনি আরো বলেন, ‘‘যারা এই সমস্ত হত্যাকাণ্ডগুলো ঘটাচ্ছে, তারা কী বলে এগুলো ঘটাচ্ছে, তার বিরুদ্ধে যতটা না দাঁড়াচ্ছি, তার থেকেও আমি পরিষ্কার করে বলতে চাই যে, তারা যেহেতু সহিংসতার আশ্রয় নিয়ে এটা করছে, সেইজন্য আমরা তাদের বিরুদ্ধে৷''
বাংলাদেশের বড় রাজনৈতিক দলগুলোর হেফাজতে ইসলামকে সাথে রাখার বিপজ্জনক কৌশলেরও সমালোচনা করেন সুলতানা কামাল৷ জানান, বর্তমান ক্ষমতাসীন দলের উচিত সাধারণ জনগণের প্রতি দায়বদ্ধ থাকা, কোনো উগ্রপন্থি ইসলামি দলের প্রতি নয়৷ পুরো সাক্ষাৎকারটি দেখতে ক্লিক করুন এখানে৷
সাক্ষাৎকারটি নিয়ে আপনার কিছু বলার থাকলে লিখুন নীচের ঘরে৷