ভারতের পশ্চিম উপকূলীয় একটি গ্রাম ভেলাস৷ সেখানকার লোকজন কৃষিকাজ করেন৷ তবে উপকূলীয় গ্রাম হওয়ায় সেখানে মাঝেমধ্যে কচ্ছপরা চলে আসে ডিম পাড়তে৷
বিজ্ঞাপন
জার্মানির সহায়তায় এই কচ্ছপদের ডিম রক্ষা ও তা থেকে বাচ্চা ফোটানোর একটি কর্মসূচি চলছে সেখানে৷ ফলে ভেলাসের নাম এখন হয়ে গেছে ‘কচ্ছপ গ্রাম'৷
প্রতিদিন সকাল পাঁচটার দিকে সৈকতে কচ্ছপের ডিম খোঁজেন বীরেন্দ্র পাটি ও সমীর মহাদিক৷ একটি সংরক্ষণ কর্মসূচির আওতায় কাজ করেন তাঁরা৷ মোহন উপাধ্যায় এই কর্মসূচির আহ্বায়ক৷
ডিমের খোঁজ পেলে মানুষ ও প্রাণীর হাত থেকে বাঁচাতে সেগুলোকে নির্দিষ্ট একটি জায়গায় নিয়ে গিয়ে ব্রিডিং করতে দেয়া হয়৷ ডিমগুলো বালুর মধ্যে রেখে গরম করার জন্য তার ওপর ঝুড়ি দেয়া হয়৷
সমুদ্রতটে ভেসে আসে ‘অলিভ রিডলে’ কচ্ছপরা
03:19
সমীর মহাদিক বলেন, ‘‘আমরা প্রতিদিন বালুর দিকে খেয়াল রাখি৷ যদি বালিতে কোনোরকম নড়াচড়া দেখতে পাই তাহলে সতর্ক হয়ে যাই৷ মনে করি, হয়ত ডিম ফুটে বাচ্চা বের হয়েছে, এখন উপর উঠতে চেষ্টা করছে৷ এমনটা হলে আমরা তাদের বের করে সাগরে নিয়ে গিয়ে ছেড়ে আসি৷''
ভেলাসের সৈকতে যে কচ্ছপ আসে তা ‘অলিভ রিডলে' প্রজাতির৷ একেকটির ওজন হয় ৫০ কেজি৷ সাগরের কচ্ছপদের মধ্যে এই জাতটাই সবচেয়ে ছোট৷
ভেলাস গ্রামে ৫০০ জনের বাস৷ সেখানকার লোকজন কৃষিকাজ করেন৷ গোলমরিচ, কাজুবাদাম আর আমের ফলন করেন তাঁরা৷ সেখানকার স্কুলের শিক্ষার্থীদের পরিবেশ সংরক্ষণের উপর শিক্ষা দেয়া হয়৷
প্রায়ই শিক্ষকদের সঙ্গে পড়াশোনার বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন মোহন উপাধ্যায়৷ কচ্ছপরা এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে৷ শিক্ষার্থীদের শেখানো হয়, কেন সৈকত রক্ষা করা জরুরি৷
এটাই জার্মানির আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা জিআইজেড-এর অর্থায়নে পরিচালিত কর্মসূচির লক্ষ্য৷
এত সুন্দর হামলাকারী!
দেখতে সুন্দর ও আদরণীয় বলেই আমরা বিড়াল কিংবা কাঠবিড়ালির মতো প্রাণী পুষে থাকি৷ কিন্তু তারাই অন্যদের ক্ষতি করছে৷ ছবিঘরে থাকছে সেসব কথা৷
ছবি: picture alliance/chromorange/B. Tuerk
ধূসর রঙয়ের কাঠবিড়ালি
পোষা প্রাণী হিসেবে ব্যবহারের লক্ষ্যে উত্তর অ্যামেরিকা থেকে ধূসর রঙয়ের এই কাঠবিড়ালিদের ইউরোপে নিয়ে আসা হয়েছিল৷ কিন্তু তারা এসে কী করলো? ইউরোপের যে নিজস্ব লাল রঙয়ের কাঠবিড়ালি আছে সেগুলো আকারে ছোট আর একটু লাজুক স্বভাবের হওয়ায় তাদের ঘরছাড়া করা শুরু করলো৷ শুধু বেচারা লাল কাঠবিড়ালিই নয়, ধূসর এই কাঠবিড়ালি ইউরোপের গাছের জন্যও ক্ষতিকর হয়ে উঠেছে৷ কেননা এরা গাছের রস খাওয়ার জন্য গাছের ছাল খুলে ফেলে৷
ছবি: picture alliance / Hinrich Bäsemann
খরগোশ
ইস্টার মানেই খরগোশ৷ কিন্তু রূপকথার এই চরিত্রটি যেন আমাদের ইকোসিস্টেমের শত্রু৷ তাই তো গাছ, মাটি সব তার হামলায় তটস্থ৷ অস্ট্রেলিয়া সহ বিভিন্ন দ্বীপে খরগোশকে ধরার মতো প্রাণীর অভাবে সেখানকার ‘ইকোসিস্টেম’-এর বেশি ক্ষতি করতে পারে খরগোশ৷
লাল রঙের কানওয়ালা কচ্ছপের আদিবাস যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে৷ সেখান থেকে পোষা প্রাণী হিসেবে বিশ্বের অনেক দেশে তার যাওয়া৷ কিন্তু গিয়েই ঐ সব অঞ্চলের কচ্ছপের সঙ্গে প্রতিযোগিতা শুরু করে দেয় তারা৷ দ্রুত বংশবিস্তার আর আকারে বড় হওয়ার কারণে অন্য কচ্ছপের শরীরে রোগ ছড়িয়ে দেয় তারা৷ জীববৈচিত্র্যের উপর যেসব প্রাণীর নেতিবাচক ভূমিকা আছে লাল কানওয়ালা এই কচ্ছপগুলো তাদের মধ্যে একটি৷
ছবি: picture alliance/Arco Images GmbH/Wermter
খেঁকশেয়াল
বাড়ি ইউরোপে৷ পরবর্তীতে অ্যামেরিকা, অস্ট্রেলিয়া ও আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়ে তারা৷ ইঁদুর, কাঠবিড়ালির মতো প্রাণীর সংখ্যা নিয়ন্ত্রণে খেঁকশেয়ালের ভূমিকা আছে৷ কিন্তু অস্ট্রেলিয়ার মতো দেশে খেঁকশেয়ালের সংখ্যা নিয়ন্ত্রণের কোনো প্রাণী না থাকায় এগুলো সেখানকার পরিবেশের বেশ ক্ষতি করছে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/H. Schröder
বিড়াল
প্রায় সাড়ে নয় হাজার বছর আগে থেকে বিশ্বের সবচেয়ে প্রিয় পোষা প্রাণী বিড়াল৷ কিন্তু জানেন কি, বিড়ালের কারণে প্রায় ৩৩ প্রজাতির প্রাণী বিলুপ্ত হয়ে গেছে?
ছবি: picture-alliance/blickwinkel/F. Herrmann
ফেনেল
মৌরি জাতীয় সুগন্ধী হলুদ রঙের এই সবজি দিয়ে চা তৈরি করা যায়৷ এই ঔষধি গাছের আশেপাশে অন্য কোনো গাছ থাকা মানেই বিপদ৷ কারণ অন্য গাছের কথা না ভেবে ফেনেল সবসময় আশেপাশে থাকা আলো, পানি ও পুষ্টিকর উপাদানের পুরোটা নিজের জন্য সংগ্রহ করে থাকে৷