ভারতের কাছে ড্রোনের ব্যাখ্যা
১০ সেপ্টেম্বর ২০১৩![HANDOUT - A U.S. Air Force MQ-1 Predator unmanned aerial vehicle assigned to the California Air National Guard's 163rd Reconnaissance Wing flies near the Southern California Logistics Airport in Victorville, Calif., Jan. 7, 2012. (U.S. Air Force photo by Tech. Sgt. Effrain Lopez/Released (zu dpa Obama erlässt strenge Richtlinien für Drohnenschläge) +++(c) dpa - Bildfunk+++](https://static.dw.com/image/16833445_800.webp)
বাংলাদেশে ও পাকিস্তান সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ ড্রোন মোতায়েন করবে, এই খবর ভারতের একটি পত্রিকায় প্রকাশ করা হয় সোমবার৷ আর এর কর্মপদ্ধতি খসড়া নিয়ে ভারতীয় বিমান বাহিনীর সঙ্গে বিএসএফ বৈঠকও করেছে বলে পত্রিকাটি খবর দিয়েছে৷
বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ইতিমধ্যেই ভারতের কাছে এর ব্যাখ্যা চেয়ে পাঠিয়েছে৷ মঙ্গলবার আনুষ্ঠানিকভাবে ব্যাখ্যা চাওয়া হয় বলে সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা৷ তিনি জানান, যতদূর জানা গেছে, তাতে সীমান্তের ১০-১২ হাজার ফুট ওপর থেকে ঐ বিমান সীমান্তের যে কোনো স্থানে অনুপ্রবেশকারীর গতিবিধি সংক্রান্ত ছবি তুলবে এবং তথ্য পাঠাবে৷ তবে ভারতের ব্যাখ্যা পাওয়ার পরই বাংলাদেশ এ ব্যাপারে তার অবস্থান জানাবে৷
এদিকে বাংলাদেশে ইন্সটিটিউট অফ পিস অ্যান্ড সিকিউরিটি স্টাডিজ বা বিআইপিএসএস-এর চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মুনীরুজ্জামান (অব.) ডয়চে ভেলেকে জানান, ‘‘বাংলাদেশ সীমান্তে ভারতের ড্রোন বিমান মোতায়েনের তেমন কোনো যুক্তি নেই৷ বরং এটা মোতায়েন করা হলে আস্থার সংকট বাড়বে৷ তিনি বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের মোট সীমান্ত প্রায় ৪,০০০ কি.মি.৷ এর প্রায় ৩,০০০ কি.মি এলাকায় ভারত এরই মধ্যে কাঁটাতারে বেড়া দিয়েছে৷ সীমান্তে ফ্লাড লাইট লাগানোর ব্যবস্থা চূড়ান্ত হয়েছে৷ প্রক্রিয়া চলছে কাঁটাতারের বেড়া বিদ্যুতায়িত করার৷ তারপরও আর কত নজরদারি প্রয়োজন?'' তাঁর মতে, সীমান্তপথে ভারত থেকে বাংলাদেশে চোরাচালানকারীর মাধ্যমে গরু আর মাদকদ্রব্য ফেনসিডিল আসে৷ তা খালি চোখেই দেখা যায়৷ এ জন্য ড্রোনের প্রয়োজন নেই৷
মুনীরুজাজামান জানান, তবুও ভারতের ব্যাখ্যা জরুরি৷ কারণ ঢাকা এখনো জানেনা তারা সার্ভেইলেন্স না লিথাল ড্রোন মোতায়েন করতে চায়৷ লিথাল ড্রোন স্বয়ংক্রিয়ভাবে লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালাতে পারে৷ আর সার্ভেইলেন্স ড্রোন নজরদারির কাজে ব্যবহার করা হয়৷ তা থেকে ছবি ও তথ্য পাওয়ায় যায়৷ তিনি বলেন, ‘‘লিথাল ড্রোন তো নয়ই, সার্ভেইলেন্স ড্রোনও গ্রহণযোগ্য নয়৷ কারণ বাংলাদেশ ভারতের সীমান্ত সমতল৷ এখানে তেমন কোনো দুর্গম পাহাড় পর্বত নেই৷ তাই সমতলভুমির সীমান্তে ড্রোন মোতায়েনের কোন যুক্তি নেই৷'' তাঁর মতে, এই ড্রোন দুই দেশের মধ্যে সুসম্পর্কের ক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়াবে৷