1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ভারতের জিএসপি সুবিধা বাতিল করল যুক্তরাষ্ট্র

১ জুন ২০১৯

উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে ভারতকে দেয়া বিশেষ বাণিজ্য সুবিধা—জেনারালাইজড সিস্টেম অব প্রিফারেন্সেস (জিএসপি) বাতিল করেছে যুক্তরাষ্ট্র৷ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প শুক্রবার ভারতের জিএসপি সুবিধা বাতিলের ঘোষণা দেন৷

USA Trump und Modi im Weißen Haus
ছবি: Reuters/K. Lamarque

বুধবার থেকে এই ঘোষণা কার্যকর হবে৷ জিএসপি বাতিলের বিষয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, ভারতের বাজারে যুক্তরাষ্ট্রের পণ্যের ‘গ্রহনযোগ্য‘ প্রবেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেনি দেশটি৷ যে কারণে, ভারতকে দেয়া বিশেষ বাণিজ্য সুবিধা প্রত্যাহার করে নেয়া হল বলে জানান তিনি৷

ট্রাম্পের এ পদক্ষেপকে ‘দুঃখজনক‘ উল্লেখ করে ভারত সরকার জানিয়েছে, তারা ওয়াশিংটনের সাথে একটি দৃঢ় বাণিজ্য সম্পর্ক বজায় রাখার চেষ্টা চালিয়ে যাবে৷ ট্রাম্পের সিদ্ধান্তের পর এক বিবৃতিতে নতুন দিল্লি জানায়, ''আমরা নিশ্চিত যে, উভয় দেশের স্বার্থ বজায় রেখে একটি দৃঢ় সম্পর্ক ধরে রাখতে দু'দেশ নিবিড়ভাবে কাজ করে যাবে৷''

কি সুবিধা পেত ভারত?

উন্নয়নশীল দেশগুলোকে বাণিজ্য সুবিধা প্রদানের লক্ষ্যে ১৯৭৬ সালে জিএসপি প্রকল্প চালু করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র৷ এ প্রকল্পের আওতায়, উন্নয়নশীল দেশগুলো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে শুল্কমুক্ত সুবিধায় সুনির্দিষ্ট কিছু পণ্য রপ্তানি করতে পারে৷ জিএসপির সুবিধার আওতায় ভারত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে প্রায় ছয় বিলিয়ন ডলার মূল্যের বিভিন্ন পণ্য শুল্কমুক্ত সুবিধায় রপ্তানি করতে পারতো৷ ভারতীয় এক কর্মকর্তার উদ্ধৃতি দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, জিএসপি সুবিধার আওতায় যুক্তরাষ্ট্রে পণ্য রপ্তানি বাবদ দেশটি প্রতিবছর প্রায় দুই'শ ৫০ মিলিয়ন ডলার মুনাফা করত৷

ভারতের ‘রক্ষণশীল বাণিজ্য নীতি’

চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে স্থানীয় ব্যবসা ও শিল্পকে প্রণোদনা প্রদানের অংশ হিসেবে নানামুখী পদক্ষেপ নেয় ভারত সরকার৷ এ সময় দেশটিতে ই-কমার্স খাতের বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য আলাদা নিয়ম চালু করে ভারত সরকার৷ ফলে ব্যবসায়িক চাপের মুখে পড়ে আমাজন ও ফ্লিপকার্টের মতো প্রতিষ্ঠানগুলো৷

গত বছর, ভারত সরকার ভিসাকার্ড এবং মাস্টারকার্ড প্রদানকারি ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠানগুলোকে ভারতীয় কার্ড ব্যহারকারিদের তথ্য শুধুমাত্র ভারতের অনলাইন সার্ভারে জমা রাখার আদেশ দেয়৷ আদেশের পর এ খাতের সংশ্লিষ্ট অ্যামেরিকান প্রতিষ্ঠানগুলো তীব্র প্রতিবাদ জানায়৷

এর আগে, বিদেশি ইলেকট্রনিক্স সামগ্রী ও স্মার্টফোন আমদানির উপর আরোপিত শুল্ক বাড়িয়ে দেয় ভারত সরকার৷ ভারত সরকারের এ পদক্ষেপের সমালোচনা করে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য কর্মকর্তারা অভিযোগ করেন, ভারত সরকারের এ ধরনের পদক্ষেপ যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্যখাতে প্রভাব ফেলছে৷

তার আগে ভারত থেকে আমদানিকৃত স্টিল ও অ্যালুমিনিয়ামের উপর যথাক্রমে শতকরা ২৫ ভাগ এবং ১০ ভাগ শুল্ক আরোপ করেছিল যুক্তরাষ্ট্র৷ চলমান এ অস্থিরতায়, গত মার্চ মাস থেকেই ভারতের জিএসপি সুবিধা বাতিলের পরিকল্পনা করছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প৷

গত ৪ মার্চ কংগ্রেসকে দেয়া এক চিঠিতে হোয়াট হাউস জানায়, ভারত ও তুরস্কের জিএসপি সুবিধা বাতিলের পরিকল্পনা করছে তারা৷ ধারণা করা হচ্ছে, জিএসপি সুবিধা বাতিলের চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়ার জন্য ভারতের জাতীয় নির্বাচন শেষ হওয়ার অপেক্ষায় ছিলেন ট্রাম্প৷ নির্বাচন শেষ হওয়ার পর পরই জিএসপি সুবিধা বাতিলের এ ঘোষণা দেয়া হলো৷ 

আরআর/এডিকে (রয়টার্স, ডিপিএ)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ