1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ভারতের ভুটান নীতি

অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুন দিল্লি১৬ জুলাই ২০১৩

ভুটানের সদ্য শেষ হওয়া সাধারণ নির্বাচনে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতায় জয়লাভ করেছে বিরোধী দল পিডিপি৷ জাতীয় সভার ৪৭টি আসনের মধ্যে ৩২টি আসনে জিতে সরকার গড়তে চলেছে তারা৷

epa03786581 A Bhutanese woman shows her voter ID card while standing in a queue along with others to cast her vote at Bangtsho polling station in Deothang constituency, Samdrupjongkhar district, Bhutan, 13 July 2013. Tens of thousands of people in Bhutan voted 13 July in the second-ever parliamentary elections, which are being seen as a verdict on five years of democracy in the tiny Himalayan nation. EPA/STRINGER
ছবি: picture-alliance/dpa

স্থল-বেষ্টিত হিমালয় রাজ্য ভুটানের রাজা ২০০৮ সালে স্বেচ্ছায় ক্ষমতা ছেড়ে দিয়ে গণতন্ত্রের পথ সুগম করার পর, এটা হলো ভুটানের দ্বিতীয় সাধারণ নির্বাচন৷ এবার জাতীয় সভার ৪৭টি আসনের মধ্যে ৩২টি আসন ছিনিয়ে নেয় বিরোধী দল পিডিপি৷ শাসক দল ডিপিটি পায় মাত্র ১৫টি আসন৷ আর কয়েকদিনের মধ্যেই হারভার্ট শিক্ষিত শেরিং টোবগে হতে চলেছেন দেশের প্রধানমন্ত্রী৷ নির্বাচনের আগে থেকেই তিনি ভারতের সঙ্গে চিরাচরিত দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের অপরিহার্যতার ওপর জোর দিয়ে এসেছেন৷ বলেছেন, ভারতের সঙ্গে ভুটানের সম্পর্ক গভীরতর করাই হবে তাঁর সরকারের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার৷

ইদানীংকালে বিদায়ী সরকার ডিপিটি-র চীন-ঘেঁষা নীতি দিল্লির উষ্মার কারণ হয়ে উঠছিল৷ ব্রাজিলে সম্প্রতি বিশ্ব পরিবেশ শীর্ষ সম্মেলনে ভুটানের বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী জিগমে থিনলে সাক্ষাৎ করেন চীনা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে৷ ভুটানের ওপর চীনের প্রভাব ধীরে ধীরে বাড়ার লক্ষণ দিল্লির নজর এড়ায়নি৷

ভারতের প্রধানমন্ত্রী ড. মনমোহন সিংছবি: picture alliance/AP

এ মাসের প্রথম দিকে ভুটানকে দেয়া জ্বালানি এবং কেরোসিন তেলের ওপর ভরতুকি তুলে নেয় ভারত৷ এতে বেশ অসুবিধায় পড়ে ভোটদাতারা৷ বলা বাহুল্য, এটাকেই তুরুপের তাস হিসেবে কাজে লাগায় বিরোধী দল পিডিপি৷ ভোটারদের বোঝায়, ভারতের সঙ্গে ঘনিষ্ট সম্পর্ক রাখা কতটা জরুরি৷ উল্লেখ্য, পিডিপি-র বিদেশনীতি রাজতন্ত্রের সমর্থনপুষ্ট৷

তাই পিডিপি-র জয়লাভের পর প্রধানমন্ত্রী ড. মনমোহন সিং ভুটানে গণতন্ত্র শক্তিশালী করার পাশাপাশি দেশটির সার্বিক অর্থনৈতিক উন্নয়নে ভারতের সব রকম সাহায্যের আশ্বাস দেন৷ ভরতুকি অব্যাহত থাকার কথাও বলেন তিনি৷ সেজন্য নতুন সরকার গড়ার পর ভারত-ভুটান বৈঠকের প্রস্তাব দেন প্রধানমন্ত্রী৷ ভুলে গেলে চলবে না, ভুটানের সাড়ে সাত লাখ জনসংখ্যার ৩০ শতাংশের বয়স ১৮ থেকে ২৫ বছর৷ তাঁদের কর্মসংস্থান ভুটানের সামনে একটা বড় চ্যালেঞ্জ৷ আর সেই চ্যালেঞ্জের মোকাবিলাতেও এগিয়ে আসতে হবে ভারতকে৷

ঐতিহাসিক, অর্থনৈতিক, ভৌগোলিক এবং সাংস্কৃতিক দিক থেকে ভুটানের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত৷ ভুটানের সবথেকে বড় দাতা দেশ ভারত৷ উভয়দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের মৌলিক কাঠামো দাঁড়িয়ে আছে ১৯৪৯ সালের মৈত্রী ও সহযোগিতা চুক্তির ওপর৷ ষাটের দশক থেকে সেই সম্পর্ক লালন করে এসেছে ভুটানের শাসকরা৷

এছাড়া, ভুটানের অর্থনৈতিক কাঠামোটা ভারতেরই সাহায্যপুষ্ট৷ ভুটানে অনেক জলবিদ্যুৎ প্রকল্প নির্মাণ করেছে ভারত এবং সেই বিদ্যুৎ কিনেছেও ভারত৷ তার ওপর কয়েক হাজার ভুটানি ছাত্র-ছাত্রি পড়াশুনা করে ভারতে৷ ভারতের ওপর দীর্ঘদিনের সার্বিক নির্ভরতা ভারত-ভুটান সম্পর্কের বুনিয়াদ৷ তাই সেটাকে দুর্বল করা হবে দু'দেশের স্বার্থেরই পরিপন্থী৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ