প্রজাতন্ত্র দিবসের প্রধান অতিথি
২৬ জানুয়ারি ২০১৫![Indien Parade Barack Obama Pranab Mukherjee Narendra Modi Mohammad Hamid Ansari 26.1.](https://static.dw.com/image/18214263_800.webp)
কুয়াশা, গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি – এ সব সত্ত্বেও রিপাবলিক ডে প্যারেডে দর্শকের কোনোদিনই অভাব হয় না – এবার সেই সঙ্গে ছিলেন ওবামা দম্পতি৷ প্রেসিডেন্ট আর ফার্স্ট লেডি তাঁদের আর্মার্ড লিমোজিনে অকুস্থলে পৌঁছানোর পর জনতা তাঁদের সহর্ষ সম্বর্ধনা জানায়৷ ওবামার সফর মাত্র তিনদিনের, মঙ্গলবারই তিনি সৌদি আরব যাচ্ছেন সৌদি নৃপতির মৃত্যুতে শোক ও সমবেদনা জ্ঞাপন করার জন্য – যে কারণে তাজ মহলের সামনে বারাক আর মিশেলের একটি চমৎকার ছবি থেকে বঞ্চিত হলো বিশ্ববাসী৷
এবারকার রিপাবলিক ডে প্যারেডে প্রথমেই যেটা চোখে পড়েছে, সেটা হলো নিরাপত্তা৷ দর্শকদের ঢোকার মুখেই সিকিওরিটি চেক করেছে হাজার হাজার পুলিশ: কাউকে সেল ফোন, ক্যামেরা, ছাতা কিংবা বল পয়েন্ট পেন নিয়ে ভেতরে ঢুকতে দেওয়া হয়নি৷গোটা ভেন্যুটা সুরক্ষিত করার জন্য নিযুক্ত ছিলেন কমপক্ষে ৫০ হাজার নিরাপত্তা কর্মী, সেই সঙ্গে শ'পাঁচেক মার্কিন গুপ্তচর বিভাগের কর্মকর্তা৷ অকুস্থলের কাছাকাছি উঁচু বাড়িগুলির মাথায় বসানো ছিল বন্দুকধারী স্নাইপার৷ বারাক ও মিশেল ওবামা, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, ভারতের প্রেসিডেন্ট প্রণব মুখার্জি এবং অন্যান্য ভিআইপি-রা বসেছিলেন ‘বুলেটপ্রুফ' কাচের আড়ালে৷ এ সব সত্ত্বেও: মার্কিন প্রেসিডেন্ট যে বিদেশ-বিভুঁয়ে একটি প্রকাশ্য স্থানে মোট দু'ঘণ্টা কাটিয়েছেন, সেটাই আশ্চর্য৷
শুধু কাটিয়েছেন নয়, দৃশ্যত রিপাবলিক ডে প্যারেড উপভোগ করেছেন৷ সামরিক বাহিনির মোটরসাইকেল আরোহী বার্তাবহদের ডেয়ারডেভিল কাণ্ডকারখানাকে ‘থামস আপ' সাইন দিয়ে প্রশংসা জানিয়েছেন ওবামা; মিশেলের ভালো লেগেছে ছোট ছেলে-মেয়েদের নাচ৷তবে প্যারেডে রাশিয়ায় নির্মিত ট্যাংক আর রকেট লঞ্চার দেখে মার্কিন প্রেসিডেন্ট কী ভেবেছেন, সেটা জানার কোনো উপায় নেই৷ সমরসজ্জা ছাড়া রিপাবলিক ডে শোভাযাত্রায় আয়ুর্বেদি ভেষজ শাস্ত্র এবং যোগব্যায়ামও স্থান পেয়েছে, ‘ফ্লোট' হিসেবে, সেই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর প্রিয় একটি বিষয় – এটিএম মেশিন, যার অর্থ, ভারতীয়রা যা-তে আরো বেশি করে ব্যাংক অ্যকাউন্ট খোলে৷
মোট কথা, মার্কিন কর্মকর্তারা প্রথমে ওবামার প্রতি মোদীর আমন্ত্রণে কিছুটা বিস্মিত হলেও, পরে সানন্দে সেই সুযোগের সদ্ব্যবহার করেছেন, কেননা মোদীর যুক্তরাষ্ট্র সফরের সময় থেকেই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল যে, বারাক আর নরেন্দ্র-র মধ্যে রসায়ন খুবই বন্ধুত্বপূর্ণ এবং ইতিবাচক – এই ২৬শে জানুয়ারি তা আবার নতুন করে প্রমাণ করল৷
এসি/ডিজি (ডিপিএ, এপি)