1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ভারতের প্রথম পারমাণবিক ডুবোজাহাজ উদ্বোধন

২৬ জুলাই ২০০৯

আইএসএন হরিহন্ত৷ ভারতের নিজস্ব প্রযুক্তি এবং লোকবলের তৈরি প্রথম পরমাণু শক্তি চালিত ডুবোজাহাজ৷ রবিবার প্রধানমন্ত্রী ড. মনমোহন সিং এর উপস্থিতিতে উদ্বোধন করা হলো এই পারমাণবিক সাবমেরিন৷

পারমাণবিক ডুবোজাহাজের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ড. মনমোহান সিংছবি: AP

কারগিল যুদ্ধের ১০ম বার্ষিকীতে বিশাখাপত্তম নৌ ঘাঁটিতে ড. মনমোহন সিং এর স্ত্রী প্রথাগত ভাবে একটি নারিকেল ভেঙ্গে আইএসএন হরিহন্তের উদ্বোধন করার সঙ্গে সঙ্গে পৃথিবীর আর ৫টি পরমাণু শক্তি চালিত সাবমেরিন নির্মাণকারী দেশের তালিকায় নিজেদের নাম লেখালো ভারত৷ এই অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী এ কে এন্থনি এবং সামরিক বাহিনীর উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তারা৷ বলা হচ্ছে শান্তির জন্যই এই ডুবো জাহাজ৷

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে দেয়া ভাষণে ড. মনমোহন সিং একে একটি ঐতিহাসিক ঘটনা হিসাবে বর্ণনা করে বলেছেন, আমরা আজ নিজেরাই পরমাণু শক্তি চালিত ডুবো জাহাজ বানাতে পারে এমন অন্য পাঁচটি দেশের কাতারে সামিল হলাম৷ তিনি বলেন, পরিবর্তিত পরিস্থিতির কারণে আমাদের সামরিক বাহিনীকে আরও আধুনিক ও শক্তিশালী করতে হবে৷ আর এই ক্ষেত্রে নৌবাহিনীর একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে৷ তিনি বলেন, এই ডুবোজাহাজ বানানোর অর্থ এই নয় যে আমরা আগ্রাসী ভুমিকায় রয়েছি, আমরা কারও প্রতি কোন হুমকিও দিচ্ছি না৷ ভারত তার সুরক্ষার জন্যই সকল কাজ করছে৷

অনেকটা গোপনেই দীর্ঘদিন যাবত এই জাহাজের নির্মাণ কাজটি চালানো হচ্ছিলো৷ ৩০০ বিলিয়ন ভারতীয় রুপির এই প্রকল্পের কাজ শুরু হয় ১৯৮০ সালে৷ এই প্রকল্পের আওতায় তৈরি হবে মোট তিনটি একই ধরণের শক্তিশালী ডুবো জাহাজ৷ আইএস এন হরিহন্ত হচ্ছে এর প্রথমটি৷ হরিহন্ত মানে হচ্ছে শত্রুকে ধ্বংসকারী৷

রাশিয়ার একটি পারমাণবিক ডুবোজাহাজ (ফাইল ছবি)ছবি: AP

বিষয়টি গোপনেই চলছিল৷ কিন্তু চলতি বছরের গোড়ার দিকে পরমাণু ডুবোজাহাজ নির্মাণের গোপন পরিকল্পনা সম্পর্কে প্রথম অবহিত করেছিলেন এ কে এন্থনি৷ এ বছরের শুরুর দিকে এই ডুবো জাহাজের কথা আনুষ্ঠানিক ভাবে জানিয়েছিলেন তিনি৷ ৬ হাজার টন ওজনের এই ডুবো জাহাজটিতে রয়েছে ৮৫ মেগাওয়াট ক্ষমতার পরমাণু রিএক্টর৷ সমুদ্রের গভীরে এর গতিসীমা ঘন্টায় ৪৪ কিলোমিটার৷ আর পানির উপরে ভেসে চলতে পারে ২২ থেকে ২৮ কিলোমিটার বেগে৷ ১১২ মিটার লম্বা এই ডুবো জাহাজটি ৫০০ কিলোগ্রাম ওজনের পরমাণু বোমাবাহী সাড়ে সাতশ কিলোমিটার দূরে আঘাত করতে পারে এমন দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র বহনে সক্ষম৷

এর মাধ্যমে ভারত ভূমি, সাগর এবং আকাশ থেকে পরমাণু বোমা নিক্ষেপের সুবিধা তৈরি করলো৷

প্রতিবেদক: সাগর সরওয়ার, সম্পাদনা: হোসাইন আব্দুল হাই

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ