1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

কংগ্রেস-বিজেপি কাজিয়া

অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুনদিল্লি৩১ অক্টোবর ২০১৩

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলের উত্তরাধিকার প্রশ্নে কংগ্রেস বনাম বিজেপির তিক্ত দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে এসে পড়ে৷প্যাটেলকে নিয়ে বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী ড.মনমোহন সিং এবং রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী৷

India's Gujarat state chief minister Narendra Modi, greets his supporters upon arriving at the party's state headquarters after casting his vote in the second phase of the state assembly elections in Ahmadabad, India, Monday, Dec. 17, 2012. Ninety-five seats go for polls on Monday in the second and last phase of the elections in which 19.8 million voters will decide the fate of 820 candidates including Modi, who is seeking his third term, according to local news agency Press Trust of India. (Foto:Ajit Solanki/AP/dapd)
ছবি: AP

কেন্দ্রীয় সরকারের উদ্যোগে সংস্কার করা সর্দার প্যাটেল স্মৃতিসৌধ ও সংগ্রহালয়ের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মোদী বলেন, গোটা ভারতবাসীর মনে চিরদিন একটা দুঃখবোধ থাকবে যে, সর্দার প্যাটেলের মতো দেশের যোগ্যতম ব্যক্তিকে স্বাধীন ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী করা হয়নি৷ যদি করা হতো তাহলে ভারতের ভবিষ্যত পালটে যেত৷ সন্ত্রাসবাদ আর মাওবাদ দেশকে ক্ষতবিক্ষত করতে পারতো না৷ দেশের বিপথগামী যুব সম্প্রদায়কে মূলস্রোত থেকে বিচ্ছিন্ন হতে দিতেন না তিনি৷ নিখিল ভারত কংগ্রেস কমিটি সর্দার প্যাটেলের রাজনৈতিক বিচক্ষণতা এবং দুরদৃষ্টির প্রতি অবিচার করেছে৷ এমনকি সর্দার প্যাটেলের শেষকৃত্যেও উপস্থিত ছিলেন না নেহেরু৷

তবে কংগ্রেসের পক্ষ থেকে এই মন্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে ছবি ও তথ্যাদি দিয়ে তা খণ্ডন করা হয়৷ বলা হয় সর্দার প্যাটেলের শেষকৃত্যে উপস্থিত ছিলেন পন্ডিত নেহেরু৷ প্রধানমন্ত্রী ড. সিং বলেন, জওহরলাল নেহেরু এবং সর্দার প্যাটেলের মধ্যে বিভিন্ন ইস্যুতে মতের অমিল থাকলেও তারচেয়ে বেশি ইস্যুতে ছিল মতের মিল৷ সর্দার প্যাটেলের পরামর্শে গভীর আস্থা ছিল পন্ডিত নেহেরুর৷ উভয়েই ছিলেন ভারতের ঐক্য ও ধর্ম নিরপেক্ষতার প্রতি একনিষ্ঠ৷ তাঁদের মূল্যবোধ আজকের ভারতে তলানিতে এসে ঠেকেছে বলেন প্রধানমন্ত্রী৷

প্রধানমন্ত্রী ড.মনমোহন সিংছবি: AFP/Getty Images

ঐতিহাসিক প্রসঙ্গ উল্লেখ করে বলা যেতে পারে, বিভক্ত ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী পদের দাবিদার ছিলেন পন্ডিত নেহেরু এবং সর্দার প্যাটেল দুজনেই৷ উভয়েই ছিলেন আইনজীবী এবং মহাত্মা গান্ধীর ঘনিষ্ঠ৷ কিন্তু শেষ পর্যন্ত মহাত্মা গান্ধীর সুপারিশে প্রধানমন্ত্রী হন পন্ডিত নেহেরু৷ যদিও চরিত্রগত দিক থেকে একের অবস্থান অপরের বিপরীত মেরুতে৷ দুজনের জন্মগত পটভূমি ছিল ভিন্ন৷ নেহেরুর জন্ম উচ্চবিত্ত কাশ্মীরি ব্রাহ্মন পরিবারে৷ সর্দার প্যাটেলের জন্ম অতি মধ্যবিত্ত গুজরাটের কৃষিজীবী পরিবারে৷ নেহেরুর হাবভাব, চালচলনে একটা দেখনদারি ভাব ছিল৷ সর্দার প্যাটেলের মধ্যে ছিল অন্তর্মুখী গভীরতা৷

তাঁর রাজনৈতিক জীবনের হাতেখড়ি কৃষক আন্দোলনের মধ্য দিয়ে৷ ব্রিটিশ সরকার জোর করে কৃষিজমি অধিগ্রহণ করলে সর্দার প্যাটেল কৃষিজীবীদের একজোট করে আন্দোলন চালিয়ে ব্রিটিশ সরকারকে জমি ফিরিযে দিতে বাধ্য করার পর তাঁকে ‘সর্দার' উপাধি দেয়া হয়৷ স্বাধীনতার পর ভারতের সামন্ত রাজারা এবং হায়দ্রাবাদের নিজাম ভারতভুক্তিতে আপত্তি জানালে প্যাটেল কড়া হাতে তা খারিজ করে বিনা রক্তপাতে তাঁদের ভারতে শামিল করেন এবং ভারতের সংহতি ও ঐক্য রক্ষা করেন৷ তাই তিনি ‘লৌহ পুরুষ' উপাধি পান৷ এরআগে দেশভাগ অনিবার্য জেনে তিনি নেহেরুকে পরামর্শ দেন দেশভাগ মেনে নিতে যাতে আরো রক্তপাত না হয়৷ মুসলিম লীগের এক বড় নেতা পাকিস্তানে যাবার আগে সেকথা স্বীকার করেছিলেন৷

সর্দার প্যাটেলের অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ সর্দার প্যাটেলের ১৩৮তম জন্মবার্ষিকীতে আগামী ৩১শে অক্টোবর নর্মদাসাগর বাঁধের ওপর বিশ্বের উচ্চতম প্রতিমূর্তির শিলান্যাস করবেন মোদী৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ