1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মনমোহন সিং-এর জার্মানি সফর

অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুন দিল্লি৯ এপ্রিল ২০১৩

ভারতের প্রধানমন্ত্রী ড. মনমোহন সিং তিনদিনের সফরে আগামী ১০ই এপ্রিল পৌঁছবেন বার্লিনে৷ সঙ্গে থাকছেন পররাষ্ট্র, বাণিজ্য, শিক্ষা, বিজ্ঞান ও নবায়নযোগ্য বিদ্যুৎ মন্ত্রীসহ উচ্চ-স্তরীয় প্রতিনিধিদল৷

Indian Prime Minister Manmohan Singh attends a Full Planning Commission meeting at his residence in New Delhi on September 15, 2012. Indian Prime Minister Manmohan Singh defended September 15 a string of economic reforms unveiled by his government, despite protests over higher fuel prices and new foreign investment rules. AFP PHOTO/POOL/RAVEENDRAN (Photo credit should read RAVEENDRAN/AFP/GettyImages)
ছবি: AFP/Getty Images

চিরাচরিতভাবে ভারত-জার্মান সম্পর্ক অত্যন্ত সৌহার্দপূর্ণ ও আন্তরিক৷ সেই সম্পর্কের এক নতুন পর্ব শুরু হতে যাচ্ছে প্রধানমন্ত্রী ড. মনমোহন সিং-এর তিনদিনের বার্লিন সফরে৷ ২০০০ সালে সম্পাদিত ‘স্ট্র্যাটিজিক পার্টনারশিপ'-এর অধীনে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রভূত উন্নতি হয়৷ সরকারি স্তরে নিয়মিত উচ্চ পর্যায়ের সফর বিনিময় তারই অঙ্গ৷ নতুন দিল্লিতে নিযুক্ত জার্মান রাষ্ট্রদূত মিশায়েল স্টাইনার-এর মতে, ভারত এই অঞ্চলের একমাত্র দেশ যার সঙ্গে জার্মানির শীর্ষ পর্যায়ের আলোচনার এক নির্দিষ্ট কাঠামো তৈরি করা আছে৷ জার্মান চ্যান্সেলার আঙ্গেলা ম্যার্কেল আগে দু-বার ভারতে এসেছিলেন – ২০০৭ এবং ২০১১ সালে৷

চিরাচরিতভাবে ভারত-জার্মান সম্পর্ক অত্যন্ত সৌহার্দপূর্ণ ও আন্তরিকছবি: AP

দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের মূল স্তম্ভ হলো অর্থনৈতিক সহযোগিতা, শিক্ষা, বিজ্ঞান, ও সাংস্কৃতিক সহযোগিতা এবং দুদেশের জনগণের মধ্যে যোগাযোগ৷ উল্লেখ্য, জার্মানিতে প্রায় এক লাখ দশ হাজার ভারতীয়ের বাস, যার মধ্যে ৪৩ হাজার ভারতীয় পাসপোর্টের অধিকারী৷ আর বাদ বাকি সে দেশের নাগরিকত্ব গ্রহণকারী৷ শিক্ষার্থী হিসেবে আছেন আরো সাড়ে চার হাজার৷ জার্মানি ইউরোপে ভারতের বৃহত্তম বাণিজ্যিক পার্টনার৷ আন্তর্জাতিক মঞ্চেও দুদেশের সমঝোতা ঘনিষ্ঠ৷ সই হবে বেশ কয়েকটি চুক্তি৷

তবে মনমোহন-ম্যার্কেল বৈঠকের বিতর্কিত প্রসঙ্গ হবে ইইউ-ভারত অবাধ বাণিজ্য চুক্তির চুড়ান্তকরণ ইস্যু, যা ঝুলে আছে ২০০৭ সাল থেকে৷ ১৫ দফা বৈঠকের পরও তা চূড়ান্ত করা সম্ভব হয়নি৷ ইইউ-এর শক্তিশালী দেশ জার্মানি৷ অবাধ বাণিজ্য চুক্তির মতানৈক্য দূর করার দায়িত্ব জার্মানি এড়াতে পারেনা৷

কী নিয়ে মতানৈক্য? প্রথমত, ইউরোপীয় ইউনিয়ন চাইছে মোটরগাড়ি, সুরা ও অন্যান্য পণ্য রপ্তানিতে ভারত কাস্টমস ডিউটি কমিয়ে দিক৷ বিমা ক্ষেত্রে বিদেশি বিনিয়োগের উর্দ্ধসীমা বর্তমানের ২৬ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৪৯ শতাংশ করা হোক৷ জার্মানি চায় অবাধ বাণিজ্য চুক্তি বা এফটিএ হবে ব্যাপক-ভিত্তিক – আংশিক ভিত্তিতে নয়৷ যেটা ভারত করেছে দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার জোট আসিয়ান দেশগুলির সঙ্গে৷

কিন্তু ভারত নিজের বাজার কতটা খুলতে পারে? ভারত এমন কিছু করবে না যা ২০১৪ সালের নির্বাচনে এবং অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে বর্তমান সরকারের ওপর প্রতিকূল প্রভাব পড়ে৷ অন্যদিকে, জার্মানির কাছে ভারত স্বল্প মেয়াদের চুক্তিবদ্ধ ভারতীয় পেশাদার ব্যক্তিদের জন্য সিঙ্গল ভিসা দেবার দাবি জানাতে পারে৷

বামদলগুলি ইতিমধ্যেই এফটিএ নিয়ে হুঁশিয়ারি দিয়েছে যে সংসদে এবং বিশেষজ্ঞ কমিটিতে এফটিএ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা না করে এফটিএ চুক্তি সই করলে ভারতের আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে এর অভিঘাত হবে গভীর এবং দীর্ঘস্থায়ী৷ এর ফলে কারেন্ট অ্যাকাউন্ট ও বাণিজ্য ঘাটতি বেড়ে যাবে৷

উল্লেখ্য, ভারত-ইইউ বাণিজ্যিক লেনদেনের পরিমাণ ২০১০-১১ সালে ৯১ বিলিয়ান ডলারের মত৷ এফটিএ সই হলে ২০১৫ সালে তা বেড়ে হতে পারে ২০৭ বিলিয়ান ডলার – এমনটাই বলা হচ্ছে৷ তবে এই চুক্তি সই হতে হবে ২০১৩ সালের মধ্যে৷ তা না হলে আর এই নিয়ে আলোচনা হবে না – এমন হুঁশিয়ারি দিয়েছে জার্মানি তথা ইইউ৷

জার্মানিতে প্রধানমন্ত্রীর কর্মসূচির মধ্যে আছে জার্মানিতে চলা এক বছর ব্যাপী ভারত উৎসবের সমাপ্তি ঘোষণা করা৷ সাক্ষাৎ করবেন জার্মান প্রেসিডেন্ট ইওয়াখিম গাউকের সঙ্গে৷ চ্যান্সেলার আঙ্গেলা ম্যার্কেল বুধবার ড. সিং-এর সম্মানে দেবেন নৈশভোজ৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ