সংসদে যত আসনই দখলে থাক, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী কি ভারতের প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন? হ্যাঁ এবং না–এর পাল্লা সমান ভারি৷
বিজ্ঞাপন
১৯ জানুয়ারি কলকাতার ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডে মহা সমাবেশের ডাক দিয়েছে মমতা ব্যানার্জির দল তৃণমূল কংগ্রেস৷ রাজনৈতিক মহলের প্রত্যাশা, দেশজুড়ে বিজেপিবিরোধী মহাজোট গড়ার যে উদ্যোগ নিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী, তার একটা চেহারা দেখা যাবে এই সমাবেশে৷ গত কয়েক মাসে একাধিক আঞ্চলিক দলের নেতা কলকাতায় এসে মমতার সঙ্গে দেখা করে, কথা বলে গেছেন৷ তার মধ্যে তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী, এবারের বিধানসভা নির্বাচনেও বিপুল ভোটে জিতে ক্ষমতায় ফিরে আসা তেলেঙ্গানা রাষ্ট্রীয় সমিতির কে চন্দ্রশেখর রাও আছেন৷ জম্মু-কাশ্মীরের ন্যাশনাল কনফারেন্সের নেতা ওমর আবদুল্লা আছেন৷ গত বছর আগস্টে দিল্লিতে কংগ্রেসের ডাকে যে বিজেপিবিরোধী বৈঠক হয়েছিল সমমনস্ক রাজনৈতিক দলগুলোর, সেখানেও মমতা হাজির ছিলেন৷ এবং বিজেপিকে হারাতে মমতা যে ফরমুলা বেঁধে দিয়েছেন, সেটি মোটামুটি সর্বদলস্বীকৃত রাস্তা হিসেবে গ্রাহ্য হয়েছে৷ মমতা যা বলেছেন, তা নিছক ভোটের অঙ্ক৷ বিজেপিবিরোধী ভোট যাতে ভাগ না হয়ে যায়, সেদিকেই নজর দিতে বলেছেন মমতা৷ তার জন্য মমতার ফরমুলা, যে দল যেখানে শক্তিশালী, বিজেপির বিরুদ্ধে সেখানে তারাই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে৷ বাকি দলগুলি এবং তাদের ভোট থাকবে সহযোগী শক্তি হিসেবে৷ আঞ্চলিক পর্যায়ের নির্বাচনে এই ফরমুলা সবসময় কার্যকর না হলেও, সমবেতভাবে বিজেপিকে হটানোর লক্ষ্যে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি এই রণকৌশল একরকম মেনে নিয়েছে৷
নোট বাতিলের পর ভারতের নাজেহাল অবস্থা
ভারতে ৫০০ আর ১,০০০ টাকার নোট বাতিল হয়েছে৷ কিন্তু পরিস্থিতি সামাল দেবার যথেষ্ট ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি৷ কাজেই হয়রান ও অধৈর্য হচ্ছেন মানুষ, দানা বাঁধছে রাজনৈতিক প্রতিরোধ৷
ছবি: REUTERS/File Photo/A. Dave
টাকা বাতিলে আতঙ্ক সর্বত্র
৮ই নভেম্বর ২০১৬ তারিখে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ঘোষণা করেন যে, ৯ই নভেম্বর থেকে পাঁচশ’ ও হাজার টাকার নোট বাতিল করা হচ্ছে৷ পরের বৃহস্পতিবার থেকেই ব্যাংকে ঢুকে টাকা বদল করার জন্য মানুষের ভিড় ও ধস্তাধস্তি৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo/Altaf Qadri
লেডিজ ফার্স্ট
নতুন দিল্লির একটি ব্যাংকে নোট বদলানোর জন্য মহিলাদের আলাদা লাইন৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo/A. Qadri
ব্যাংক কর্মীরাও ব্যতিব্যস্ত
আসামের গুয়াহাটির একটি ব্যাংকে এক ব্যাংক কর্মী নোট তুলে ধরে দেখছেন, তা সাচ্চা কিনা৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo/A. Nath
অনন্ত প্রতীক্ষা
রাজধানী নতুন দিল্লির একটি ব্যাংকের সামনে সুদীর্ঘ লাইন৷ ধীরে ধীরে শৃঙ্খলা ফিরে আসছে, যদিও বাড়ছে অসন্তোষ৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo/S. Das
ভুক্তভোগী
মুম্বইতেও মানুষজন লাইন করে দাঁড়িয়েছেন, টাকা বদলানোর আশায়৷ কিন্তু বয়স্ক মানুষদের জন্য কোনো আলাদা ব্যবস্থা রাখা হয়নি৷ চূড়ান্ত অসুবিধেয় পড়েছেন পেনশনভোগী ও ‘দিন-আনি-দিন-খাই’ সাধারণ মানুষ৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo/R. Kakade
প্রতিরোধ দানা বাঁধছে
সোমবার, ২৮শে নভেম্বর ভারত বনধ-এর ডাক দেয় বিরোধীরা৷ দেশ জুড়ে প্রতিবাদ মিছিল ও সমাবেশের আয়োজন করা হয়৷ ছবিতে বনধের দিনে মুম্বই৷
ছবি: Getty Images/AFP/I. Mukherjee
ধর্মঘটের দিনেও টাকা বদলানোর লাইন
দৃশ্যটা কলকাতার৷ ২৮শে নভেম্বর ১২ ঘণ্টা বনধের ডাক দিয়েছিল বামফ্রন্ট৷ মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি যা সমর্থন করেননি৷ জানিয়েছিলেন, জনজীবন স্বাভাবিক থাকবে৷ বস্তুত পশ্চিমবঙ্গে ছিলও তাই৷
ছবি: Getty Images/AFP/D. Sarkar
‘দিদি’ মাঠে নামলেন
সোমবার আঠাশে নভেম্বর কলকাতার কলেজ স্কোয়্যার থেকে ধর্মতলা অবধি মিছিল করেন তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা ব্যানার্জি৷ সেদিন নরেন্দ্র মোদীকে ক্ষমতা থেকে উৎখাত করার হুমকিও দেন তিনি৷ মমতা আগামী ৬ই ডিসেম্বর অবধি এক বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন৷
ছবি: DW/S. Bandopadhyay
8 ছবি1 | 8
মমতা ব্যানার্জি এই রকম মহাজোটের উদ্যোগ এবারই যে প্রথম নিচ্ছেন, তা নয়৷ ২০১৪ সালেও মমতা কংগ্রেসকে বাইরে রেখে এরকমইএকটি বিজেপিবিরোধী জোটের ডাক দিয়েছিলেন৷ সেই জোট সফল হয়নি, কারণ, উত্তর প্রদেশে মায়াবতীর বহুজন সমাজ পার্টি এবং মুলায়ম-অখিলেশ যাদবের সমাজবাদী পার্টি একেবারে শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত মহাজোটের সম্ভাবনাকে ঝুলিয়ে রেখেছিল৷ এবারও কি পরিস্থিতির কোনো পরিবর্তন হয়েছে? এখনও পর্যন্ত না৷ উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনে সমাজবাদী পার্টি এবং বহুজন সমাজ পার্টির বোঝাপড়া হওয়ায় জিততে রীতিমতো বেগ পেতে হযেছিল বিজেপিকে৷ এখনো ওই দুই দল কোনো স্পষ্ট সঙ্কেত পাঠাচ্ছে না যে, লোকসভা ভোটে তারা কী করতে চলেছে৷ ওদিকে এই মুহূর্তে কংগ্রেসকে বাদ দিয়ে কোনো মহাজোট গড়ার সম্ভাবনার কথা এবারে আর মমতার পক্ষে ভাবা সম্ভব নয়৷ তার কারণ, সদ্য হয়ে যাওয়া পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা ভোটে কংগ্রেসের ফলাফল এবং বিরোধী নেতা হিসেবে জাতীয় সংসদে রাহুল গান্ধীর নিজেকে ক্রমশই আরো শক্ত মাটিতে প্রতিষ্ঠা করা৷ রাফাল যুদ্ধবিমান চুক্তি নিয়ে কংগ্রেস সভাপতি রাহুলই কার্যত একা হাতে আক্রমণ শানিয়ে যাচ্ছেন মোদী সরকারের বিরুদ্ধে৷
ডয়চে ভেলের মুখোমুখি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
04:20
এবার প্রশ্ন হচ্ছে, মমতার ফরমুলা মেনে, বিজেপিবিরোধী ভোটব্যাঙ্ক অক্ষত রেখে লোকসভা নির্বাচনে যদি সত্যিই বিজেপিকে হারানো সম্ভব হয়, তা হলে মমতা ব্যানার্জির নামই কি পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বিবেচিত হবে? উত্তর হ্যাঁ এবং না৷ আঞ্চলিক রাজনীতি থেকে সরাসরি সর্বভারতীয় রাজনীতির প্রধান আসনটিতে উঠে আসার ঘটনা আগেও ঘটেছে এইচ ডি দেবগৌড়া এবং ইন্দ্রকুমার গুজরালের ক্ষেত্রে৷ জাতীয় রাজনীতিতে নেহাতই অপরিচিত নাম ছিলেন তাঁরা, যদিও দেশের বিদেশ মন্ত্রকের দায়িত্ব সামলেছেন গুজরাল৷ সেখানে মমতার রাজনৈতিক গুরুত্ব অনেক বেশি৷ পশ্চিমবঙ্গে যে বামফ্রন্ট সরকারকে অপরাজেয় মনে করা হতো, ৩৪ বছরের সেই জগদ্দল সরকারকে ফেলে দিয়ে মমতা ক্ষমতায় এসেছেন৷ জাতীয় রাজনীতিতেও বাস্তববাদী দর্শনের কারণে নিজের জায়গা করে নিতে পেরেছেন৷ এবং তিনি যদি একদিন দেশের প্রদানমন্ত্রী হন, নেহাত খারাপ হবে না বলে এমনকি তাঁর অনেক বিরোধীও জনান্তিকে স্বীকার করছেন৷ পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর মমতা একাধিক জনহিতকর সামাজিক প্রকল্প চালু করেছেন, যা সহজেই এবং সাফল্যের সঙ্গে সর্বভারতীয় ক্ষেত্রেও প্রয়োগ করা যায়৷ এবং প্রশাসক ও জননেত্রী হিসেবেও মমতা ব্যানার্জি বারবার এটা প্রমাণ করেছেন যে, ক্ষুরধার রাজনৈতিক মস্তিষ্কের পাশাপাশি তাঁর একটি মানবিক হৃদয়ও আছে৷
কিন্তু প্রশ্ন অন্যত্র৷ যে আঞ্চলিক দলগুলির ভরসায় মমতা মহাজোট গড়তে উদ্যোগী, তাদের নেতা-নেত্রীরাও সবাই কিন্তু ওই একটি আশা নিয়েই অপেক্ষায়৷ দেশের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার৷ অন্ধ্রের চন্দ্রবাবু নাইডু বারবার নিজেই প্রসঙ্গটা তোলেন এবং স্বেচ্ছায় ঘোষণা করেন, কে প্রধানমন্ত্রী হবে, সেটা পরের ব্যাপার৷ উত্তরপ্রদেশে মায়াবতী, অখিলেশ যাদব, তেলেঙ্গানায় চন্দ্রশেখর রাও, সবাই একই স্বপ্ন দেখে আসছেন৷ আর দল হিসেবে কংগ্রেসের যে উত্থান শুরু হয়েছে, তা যদি ২০১৯ লোকসভা ভোট অবধি বজায় থাকে, কংগ্রেসের নির্বাচনি সাফল্য আরো মজবুত হয়, তাহলে রাহুল গান্ধীর প্রধানমন্ত্রিত্বের দাবি কি কংগ্রেস ছেড়ে দেবে?
শেখ হাসিনা ভারতে এলেও তিস্তা চুক্তি আপাতত হচ্ছে না৷ তারপরেও তিস্তার দিকে চাতক পাখির মতো তাকিয়ে আছে বাংলাদেশ৷ আশা-আকাঙ্খায় দিন গুনছে বহু মানুষ৷ চলুন জেনে নেওয়া যাক ভারতের কয়েকজন সাধারণ মানুষ এ সম্পর্কে কী ভাবছেন৷
ছবি: DW/A. Chatterjee
সুস্মিতা সর্বাধিকারী, কবি ও সমাজসেবী
তিস্তা নদী ভারতের যে যে রাজ্যের ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে, বাংলাদেশের সঙ্গে জলবণ্টন চুক্তিতে সেই রাজ্যগুলির স্বার্থ অক্ষুণ্ণ রেখে আন্তর্জাতিক স্তরে চুক্তিবদ্ধ হওয়া আবশ্যক৷ তা না হলে অন্যান্য জলচুক্তির ক্ষেত্রে ভারত যে শিক্ষা পেয়েছে, এক্ষেত্রেও তা-ই হবে৷ মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির অবস্থান সাধুবাদের যোগ্য৷
ছবি: DW/R. Chakraborty
মলয় হালদার, পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন প্রশাসনিক কর্তা
নদীর গতিপথ যখন প্রাকৃতিকভাবে নিয়ন্ত্রিত হতো, তখন কোনো দেশের একক সিদ্ধান্ত কার্যকর করা সহজ হতো না৷ এখন ভাটির দেশকে নির্ভর করতে হয় উজান দেশের মনোভাবের ওপর৷ তিস্তার জল যেমন ভারতের, তেমনি বাংলাদেশেরও৷ শুধু উত্তরবঙ্গের কথা বলে আন্তর্জাতিক বন্ধুত্বকে বলি দেওয়া সমীচীন নয়৷
ছবি: DW/R. Chakraborty
পাপন মালাকার, বেসরকারি সংস্থার কর্মী
বাংলাদেশের সঙ্গে কোথায় যেন আত্মার টান অনুভব করি৷ আমরা জল অপচয় করব আর প্রতিবেশী দেশের ভাই-বোনেরা জলের অভাবে কষ্ট পাবে এটা মন থেকে মেনে নিতে পারি না৷ তবে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি যে যুক্তি দেখিয়েছেন তা নিয়েও আলোচনা প্রয়োজন৷
ছবি: DW/R. Chakraborty
কমলিকা ভট্টাচার্য, চাকুরিজীবী
তিস্তা একটি আন্তর্জাতিক নদী৷ এই ধরনের নদীতে কোনো একটি দেশ বা রাজ্যের একছত্র অধিকার থাকে না৷ সিকিম থেকে গজলডোবা পর্যন্ত তিস্তার ওপর বেশ কয়েকটি বাঁধ নির্মাণের কারণে বাংলাদেশের রংপুর-রাজশাহী অঞ্চল মরুর চেহারা নিচ্ছে৷ সেক্ষেত্রে নদী বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিয়ে প্রতি বছর এপ্রিল থেকে অক্টোবর পর্যন্ত শুখা মরশুমে দুই দেশের মধ্যে সমবন্টনের নীতি গ্রহন করা উটিত৷
ছবি: DW/R. Chakraborty
অসীম দাস, সমাজসেবী
নদীর জল আটকে রাখার চেষ্টা, নিজের অধিকারের এক্তিয়ার বলে মনে করা নেহাৎ মুর্খামি৷ ভারত বা বাংলাদেশ উভয়েই কৃষিপ্রধান দেশ৷ কৃষিকাজ না হলে দুর্ভিক্ষ নেমে আসবে৷ বাংলাদেশকে তিস্তার জল না দিয়ে ভারত যদি শুধুমাত্র নিজের স্বার্থ দেখে, তাহলে ভবিষ্যতে নেপাল যদি ভারতকে ব্রহ্মপুত্র নদীর জল দিতে অস্বীকার করে, কী হবে তখন?
ছবি: DW/R. Chakraborty
বনশ্রী কোনার, হোম মেকার
দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী যখন বাংলাদেশের সঙ্গে সুসম্পর্ককে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাইছেন, তখন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি ‘ইগো’ নিয়ে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন৷ এমনটা কখনওই কাম্য নয়৷ দেশ তথা সার্বিক স্বার্থকে সর্বাধিক গুরুত্ব দেওয়া উচিত৷
ছবি: DW/R. Chakraborty
অভিজিৎ চ্যাটার্জি, প্রকাশনী সংস্থার কর্মী
তিস্তা জলবণ্টন চুক্তি হোক বা না হোক, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীকে নিজের রাজ্যে রাজনীতি করতেই হবে৷ তাই তাঁকে রাজ্যবাসীর স্বার্থ অক্ষুণ্ণ রেখে কাজ করতে হয়৷ নদীর জলে কোনোরকম নিয়ন্ত্রণ না রেখে উত্তরবঙ্গকে বঞ্চিত করে বাংলাদেশকে জল দেওয়ার মধ্যে কোনও মহত্ব নেই৷ বরং সবার আগে রাজ্যবাসীর দিকে তাকানো উচিত৷
ছবি: DW/R. Chakraborty
মানবেন্দু সরকার, কলেজ শিক্ষক
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতে আসছেন৷ তিস্তা জলবণ্টন চুক্তি নিয়ে চূড়ান্ত আলোচনা করে প্রাথমিক সিদ্ধান্তে পৌঁছানোর এটাই উপযুক্ত সময়৷ হাসিনা চাইছেন, নরেন্দ্র মোদী চাইছেন৷ সিকিমের মুখ্যমন্ত্রীও চাইছেন৷ বেঁকে বসেছেন মমতা ব্যানার্জি৷ এটা সৌহার্দ্যের ছবি নয়৷ ভুল বার্তা যাচ্ছে৷
ছবি: DW/R. Chakraborty
রাখী বিশ্বাস, কলেজ ছাত্রী
দীর্ঘ কয়েক দশক ধরে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে তিস্তাচুক্তি নিয়ে আলোচনা চললেও তা ফলপ্রসূ হয়নি৷ ফলে তিস্তার জলের দিকে তাকিয়ে আছে বাংলাদেশ৷ মমতা ব্যানার্জিকেই ঠিক করতে হবে, উনি রাজনীতি করবেন, নাকি দেশের স্বার্থে প্রধানমন্ত্রীর পাশে দাঁড়াবেন৷