1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বিতর্কিত ধর্মীয় গুরুর সাজা, সহিংসতা

২৫ আগস্ট ২০১৭

বিতর্কিত ধর্মীয় গুরু গুরমিত রাম রহিম সিংকে ধর্ষণের অভিযোগে সাজা দেয়ায় শুরু হয়েছে সহিংসতা৷ এরই মধ্যে নিহত হয়েছেন অন্তত ৩১ জন৷ ২০০২ সালে দুই নারী অনুসারীকে ধর্ষণের অভিযোগ প্রমাণ হওয়ায় শুক্রবার এ রায় দেয় হরিয়ানার এক আদালত৷

Indien Panchkula - Ausschreitungen Unterstützer des religiösen Führers Gurmeet Ram Rahim Singh
ছবি: Getty Images/AFP/M. Sharma

অভিযোগ প্রমাণ হওয়ায় সাত থেকে দশ বছর কারাদণ্ড হতে পারে রাম রহিমের৷ তবে দণ্ড ঘোষণা করা হবে সোমবার৷ রায় ঘোষণার পরপরই বিতর্কিত এ ধর্মীয় নেতার অনুসারীরা সহিংস বিক্ষোভ শুরু করে৷ আদালত চত্ত্বরে অবস্থান করা সাংবাদিকদের আক্রমণ করা হয়৷ ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয় সংবাদমাধ্যমের গাড়িতে৷

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গেলে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সাথে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে জনতা৷ টিয়ার গ্যাস, জলকামান, এমনকি ফাঁকা গুলি ছুঁড়েও নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়নি রাম রহিমের অনুসারীদের৷

পঞ্চকুলায় এরই মধ্যে পুলিশ ও প্যারামিলিটারির পাশাপাশি সেনা মোতায়েনও করা হয়েছে৷ হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী মনোহর লাল সহিংসতায় জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন৷

Protests after Indian guru convicted of rape

00:32

This browser does not support the video element.

রাম রহিমের মূল ঘাঁটি বলে পরিচিত হরিয়ানার সিরসা শহরেও চলে তাণ্ডব৷ পার্শবর্তী রাজ্য পাঞ্জাব ও দিল্লিতেও কিছু বাস এবং দু'টি ট্রেনে আগুন ধরিয়ে দেয় বিক্ষোভকারীরা৷

রণক্ষেত্র পঞ্চকুলা

রায় কেমন হতে পারে আগে থেকেই অনুমান করতে পারছিলেন বিতর্কিত এ ধর্মীয় নেতার অনুসারীরা৷ ফলে আগের রাত থেকেই তারা দলে দলে জড়ো হতে থাকেন শহরটিতে৷ বিভিন্ন পার্ক, সুপারমার্কেট, রাস্তায় রাত কাটিয়ে আদালত চত্ত্বরে জড়ো হয় অনুসারীরা৷

পরিস্থিতি মোকাবেলায় শহরজুড়ে ১৫ হাজার পুলিশ সদস্য এবং প্যারামিলিটারি মোতায়েন করা হয়েছিলে৷ এমনকি উত্তর ভারতের বেশ কিছু শহরে বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল ইন্টারনেট সংযোগও৷ কিন্তু তারপরও নিয়ন্ত্রণ করা যায়নি পরিস্থিতি৷

এর আগেও শীর্ষ ধর্মীয় নেতাদের কারণে সহিংস পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে৷ ২০১৪ সালে আরেক প্রভাবশালী ধর্মীয় নেতা গুরু রামপালকে হত্যার অভিযোগে গ্রেপ্তার করতে গেলে তার অনুসারীরা পুলিশের ওপর লাঠি ও পাথর নিয়ে চড়াও হয়৷

এডিকে/ডিজি (এএফপি, রয়টার্স, এপি)

ভারতীয় সংস্কৃতিতে সত্যিই কি অসহিষ্ণুতা বাড়ছে? লিখুন নীচের ঘরে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ