1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ভারতের মন্ত্রিসভায় লোকপাল বিল অনুমোদিত

২৮ জুলাই ২০১১

বিতর্কিত লোকপাল বিল আজ কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় অনুমোদিত হয়৷ প্রধানমন্ত্রী ও বিচারবিভাগকে বিলের আওতায় রাখা হয়নি যেটা চেয়েছিলেন আন্না হাজারের নেতৃত্বাধীন নাগরিক সমাজ৷ বিলটি এবার পেশ করা হবে সংসদের আসন্ন অধিবেশনে৷

বিতর্কিত লোকপাল বিল নিয়ে চাপের মুখে মনমোহন সিংছবি: UNI

দুর্নীতি রোধে সরকারের লোকপাল বিলের খসড়াটি আজ কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা অনুমোদন করে৷ দুর্নীতি দমনে আন্না হাজারের নেতৃত্বাধীন নাগরিক সমাজের পৃথক জনলোকপাল বিলের সঙ্গে অনুমোদিত বিলের মৌলিক পার্থক্য হলো, নাগরিক সমাজের বিলের আওতায় প্রধানমন্ত্রী, বিচারবিভাগ, সাংসদ ও আমলাদের রাখার কথা বলা হয়েছিল৷ মন্ত্রিসভায় তা খারিজ হয়ে যায়৷ সংসদের আসন্ন বাদল অধিবেশনে বিলটি পেশ করা হবে আলোচনার জন্য৷

লোকবাল বিলের পক্ষে জনমত গড়ার কাজে এগিয়ে এসেছিলেন আন্না হাজারেছবি: picture alliance/dpa

অনুমোদিত বিলের অন্যান্য বিষয় হলো: প্রধানমন্ত্রীকে অভিযুক্ত করা যাবে প্রধানমন্ত্রীর পদ ছাড়ার পর৷ সাংসদ ও আমলাদের রাখা হয়েছে বিলের আওতার বাইরে৷ লোকপাল সংস্থায় থাকবেন চেয়ারপার্সনসহ ৯জন সদস্য৷ এরমধ্যে পাঁচজন বিচার বিভাগের৷ লোকপাল ও তার সদস্যদের নিয়োগ করবেন প্রধানমন্ত্রী, সংসদের উভয় সভার বিরোধী নেতা, নিম্নকক্ষের স্পীকার ও উচ্চকক্ষের চেয়ারম্যানকে নিয়ে গঠিত এক কমিটি৷ সদস্যদের ভাবমূর্তি হবে অমলিন এবংথাকতে হবে অন্তত ২৫ বছরের জনজীবনের অভিজ্ঞতা৷ চেয়ারপার্সন হবেন সুপ্রিম কোর্টের কর্মরত বা অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি অথবা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি৷

অনশন ঝর্মঘটের মাধ্যমে সরকারের উপর চাপ সৃষ্টি করেছিলেন আন্না হাজারের অনুঘামীরাছবি: AP

লোকপালের নিরপেক্ষ ও স্বাধীন তদন্তের অধিকার থাকবে৷ তবে অপরাধীদের শাস্তিদানের ক্ষমতা থাকবেনা৷ সেজন্য সুপারিশ পাঠাতে হবে উচ্চ আদালতে৷ লোকপালকে অপসারিত করার ক্ষমতা রাষ্ট্রপতির৷ লোকপাল সেইসব দুর্নীতির অভিযোগের তদন্ত করবেন যেগুলি সাত বছরের বেশি পুরানো নয়৷

আন্না হাজারের নাগরিক সমাজ এই বিলের সমালোচনা করে বলেছেন, বিলে আমজনতার কোন লাভ হবেনা৷ দুর্নীতির আসল ইস্যুটাই বাদ পড়েছে৷এটা একটা ভাঙাচোরা বিল৷ বাম দল ও বিজেপি প্রধানমন্ত্রীকে বিলের বাইরে রাখার সমালোচনা করেছে৷

আন্না হাজারে বলেছেন, সরকার যদি কড়া লোকপাল আনতো তাহলে গোটা দেশ সরকারের কাছে ঋণী থাকতো৷

প্রতিবেদন: অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুনদিল্লি

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ