ভারতের মন্ত্রিসভায় লোকপাল বিল অনুমোদিত
২৮ জুলাই ২০১১দুর্নীতি রোধে সরকারের লোকপাল বিলের খসড়াটি আজ কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা অনুমোদন করে৷ দুর্নীতি দমনে আন্না হাজারের নেতৃত্বাধীন নাগরিক সমাজের পৃথক জনলোকপাল বিলের সঙ্গে অনুমোদিত বিলের মৌলিক পার্থক্য হলো, নাগরিক সমাজের বিলের আওতায় প্রধানমন্ত্রী, বিচারবিভাগ, সাংসদ ও আমলাদের রাখার কথা বলা হয়েছিল৷ মন্ত্রিসভায় তা খারিজ হয়ে যায়৷ সংসদের আসন্ন বাদল অধিবেশনে বিলটি পেশ করা হবে আলোচনার জন্য৷
অনুমোদিত বিলের অন্যান্য বিষয় হলো: প্রধানমন্ত্রীকে অভিযুক্ত করা যাবে প্রধানমন্ত্রীর পদ ছাড়ার পর৷ সাংসদ ও আমলাদের রাখা হয়েছে বিলের আওতার বাইরে৷ লোকপাল সংস্থায় থাকবেন চেয়ারপার্সনসহ ৯জন সদস্য৷ এরমধ্যে পাঁচজন বিচার বিভাগের৷ লোকপাল ও তার সদস্যদের নিয়োগ করবেন প্রধানমন্ত্রী, সংসদের উভয় সভার বিরোধী নেতা, নিম্নকক্ষের স্পীকার ও উচ্চকক্ষের চেয়ারম্যানকে নিয়ে গঠিত এক কমিটি৷ সদস্যদের ভাবমূর্তি হবে অমলিন এবংথাকতে হবে অন্তত ২৫ বছরের জনজীবনের অভিজ্ঞতা৷ চেয়ারপার্সন হবেন সুপ্রিম কোর্টের কর্মরত বা অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি অথবা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি৷
লোকপালের নিরপেক্ষ ও স্বাধীন তদন্তের অধিকার থাকবে৷ তবে অপরাধীদের শাস্তিদানের ক্ষমতা থাকবেনা৷ সেজন্য সুপারিশ পাঠাতে হবে উচ্চ আদালতে৷ লোকপালকে অপসারিত করার ক্ষমতা রাষ্ট্রপতির৷ লোকপাল সেইসব দুর্নীতির অভিযোগের তদন্ত করবেন যেগুলি সাত বছরের বেশি পুরানো নয়৷
আন্না হাজারের নাগরিক সমাজ এই বিলের সমালোচনা করে বলেছেন, বিলে আমজনতার কোন লাভ হবেনা৷ দুর্নীতির আসল ইস্যুটাই বাদ পড়েছে৷এটা একটা ভাঙাচোরা বিল৷ বাম দল ও বিজেপি প্রধানমন্ত্রীকে বিলের বাইরে রাখার সমালোচনা করেছে৷
আন্না হাজারে বলেছেন, সরকার যদি কড়া লোকপাল আনতো তাহলে গোটা দেশ সরকারের কাছে ঋণী থাকতো৷
প্রতিবেদন: অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুনদিল্লি
সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক