1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ভারতের শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে নেপালের প্রধানমন্ত্রীর বৈঠক

২১ অক্টোবর ২০১১

নেপালের প্রধানমন্ত্রী বাবুরাম ভট্টরাই আজ নতুন দিল্লিতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং-এর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে কী ভাবে নতুন গতি আনা যায়, সে বিষয়ে আলোচনা করেন৷ উঠে আসে ব্যবসা, পরিকাঠামো, উন্নয়ন ও প্রতিরক্ষা ইস্যু৷

Indian Prime Minister Manmohan Singh,during a signing of agreement in Dhaka, Bangladesh, Tuesday, Sept. 6, 2011. Singh began a visit to Bangladesh on Tuesday aimed at warming often prickly ties between the two South Asian neighbors. Singh and Hasina are working to reach agreement on their disputed 2,545-mile (4,096-kilometer) border, explore cooperation in the power sector and enhance trade. (AP Photo/Zia Islam)
ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংছবি: AP

নেপালের মাওবাদী সরকারের প্রধানমন্ত্রী ড. বাবুরাম ভট্টরাই-এর চারদিনের ভারত সফরের মধ্যে দিয়ে শুরু হলো দুদেশের সম্পর্কের নতুন অধ্যায়৷ আজ দুদেশের প্রতিনিধিস্তরে প্রধানমন্ত্রী ড. মনোহন সিং এবং ড. ভট্টরাই-এর মধ্যে বৈঠকে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে আস্থার ঘাটতি পূরণ করে কীভাবে দুদেশের সম্পর্কের ভিত মজবুত করা যায় সেটাই ছিল আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু৷

সেই সূত্রে উঠে আসে ব্যবসা বাণিজ্য, অবকাঠামো উন্নয়ন ও প্রতিরক্ষার ইস্যুগুলি৷ ভারতের সহায়তায় নেপালে বিদ্যুৎ প্রকল্পগুলির কাজ দ্রুত শেষ করে নেপালের বিদ্যুৎ ঘাটতি পূরণের অনুরোধ জানায় নেপাল৷ ভারত ১২২৩ কোটি টাকার ঋণ দিতে রাজি হয়৷ নেপালে একটি নতুন বিমানবন্দর ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় নির্মাণের প্রস্তাবও করা হয় নেপালের দিক থেকে৷

নেপালের প্রধানমন্ত্রী ড. বাবুরাম ভট্টরাইছবি: picture-alliance/dpa

নেপালের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে বামপন্থী প্রধানমন্ত্রী বাবুরাম ভট্টরাই-এর ভারত সফরের গুরুত্ব কতটা সে বিষয়ে রবীন্দ্র ভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অধ্যাপক সব্যসাচী বসুরায় চৌধুরি ডয়চে ভেলেকে বললেন, এই সফরের দু তিনটি বিষয় লক্ষনীয়৷ এক, বাবুরামের পূর্বসূরি প্রধানমন্ত্রী দাহাল ভারতে আসেননি৷ প্রধানমন্ত্রী প্রচণ্ড, যাঁকে চীনের ঘনিষ্ঠ মনে করা হয়, তিনি প্রথমে গিয়েছিলেন চীনে৷ পরে ভারতে৷ প্রধানমন্ত্রী হয়ে বাবুরাম ভট্টরাই তাঁর বিদেশ সফরে প্রথমেই এলেন ভারতে৷ সেটা তাৎপর্যপূর্ণ৷

দ্বিতীয়ত, সফরে আসার আগে ভট্টরাই যে মন্তব্য করেন সেটা আগেকার সরকারের প্রচলিত নীতি থেকে আলাদা৷ ভারত ও চীনের মধ্যে নেপাল নিজেকে একটা বাফার স্টেট হিসেবে দেখার পক্ষপাতী৷ সেখানে উনি বলার চেষ্টা করেছেন, আগামী দিনে তাঁর সরকার চীন ও দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে নেপাল এক সেতুবন্ধনের উদ্যোগ নেবে৷

চীন যেভাবে দক্ষিণ এশিয়ায় তার উপস্থিতি বাড়াবার চেষ্টা করছে, সেক্ষেত্রে নেপাল যদি সেতুবন্ধনের কাজ করে তাহলে সেটা স্বাগতযোগ্য৷ কিন্তু তা নাহলে ব্যাপারটা ভারতের পক্ষে হবে উদ্বেগের কারণ৷

নেপালকে কাছে টানার উপায় নেপালের তরাই অঞ্চলের উন্নয়নে ভারতের সহায়তা৷ তবে সেটা এমনভাবে করতে হবে যাতে আধিপত্য বিস্তার বলে মনে না হয়, বলেন অধ্যাপক বসুরায়চৌধুরি৷

প্রতিবেদন: অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুন দিল্লি

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ