1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ধর্ষণ-প্রতিরোধ বিল

অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুন দিল্লি২১ মার্চ ২০১৩

ভারতের সংসদে পাস হলো ধর্ষণ-প্রতিরোধ বিল৷ সামগ্রিকভাবে সব দলই এই বিল সমর্থন করেছে৷ তবে কড়া আইন করার পাশাপাশি মহিলাদের সচেতনতা বাড়ানোর এবং সরকারকে আইন বলবৎ করতে আরো সক্রিয় হবার ওপর জোর দেয়া হয়৷

ছবি: AP

দিল্লির বাসে গত ১৬ই ডিসেম্বর তরুণীর গণধর্ষণের ঘটনার পর ধর্ষণে কড়া শাস্তির সুপারিশ করেছিল ভার্মা কমিটি৷ তারই ভিত্তিতে সংসদে পাশ হলো ধর্ষণ-প্রতিরোধ বিল৷ তাতে বিধান রয়েছে, ধর্ষণের অপরাধে কমপক্ষে ২০ বছর কিংবা আজীবন জেল হবে৷ একাধিকবার ধর্ষণের মত অপরাধে মৃত্যুদণ্ড দেয়া যাবে৷ নতুন আইনে মেয়েদের পিছু নেওয়া বা গোপনে ব্যক্তিগত মুহূর্তের ছবি তোলা বা মহিলার ওপর অ্যাসিড হামলার ক্ষেত্রে কমপক্ষে ১০ বছর কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে বিলে৷ সর্বোপরি, যৌন সম্পর্কের ক্ষেত্রে সম্মতি দেবার ন্যূনতম বয়সসীমা ১৬ বছর থেকে বাড়িয়ে করা হয়েছে ১৮ বছর৷

সহবাসে সম্মতি জানানোর বয়সসীমা বাড়ানোর পক্ষে যাঁরা, তাঁদের মত হলো আঠারো বছরের কম বয়সী কেউ ধর্ষণের অভিযোগে ধরা পড়লে তাঁর বিচার হবে নাবালক আইনে৷ তাহলে ১৬ বছরের নাবালক বা নাবালিকা কি করে সহবাসে সম্মতি জানাতে পারে৷ তবে ১৫ বছর বয়সী বৌ-এর সঙ্গে সহবাসকে ধর্ষণ বলে গণ্য করা হবে না৷

ধর্ষক যদি পুলিশ বা সেনাবাহিনীর সদস্য, সরকারী কর্মচারী, হাসপাতাল কর্মচারী হয়, তাহলে তাঁদের ক্ষেত্রে ন্যূনতম শাস্তি সাত বছরের জেল কিংবা তা আজীবন কারাদণ্ড হতে পারে৷ রাজনৈতিক দলের একাংশ এই আইনের অপব্যবহার সম্পর্কে সরকারকে সতর্ক করে দিয়েছে৷ বলেছে, কড়া আইনই যথেষ্ট নয়, মানুষের চেতনা ও বিবেককেও জাগ্রত করতে হবে৷ দেশের মহিলাদেরও থাকতে হবে নিজেদের অধিকার সম্পর্কে সচেতন৷

ধর্ষণ-প্রতিরোধের কড়া আইন সম্পর্কে দুর্বার নামে এক এনজিওর প্রধান ভারতী দে ডয়চে ভেলেকে তাঁর সন্তোষ ব্যক্ত করে বলেন, ‘‘সহবাসের সম্মতির বয়সসীমা ১৬ বছর রাখলেই ভালো হতো৷ প্রশাসনকে দেখতে হবে পুলিশের কাছে ডাইরি করতে গিয়ে কোনো মহিলাকে যেন হয়রানির শিকার হতে না হয়৷ তবে আসল কথা, আইনের সঙ্গে সামাজিক দায়দায়িত্ব যেন একসঙ্গে কাজ করে৷''

একে এক অদ্ভুত সমাপতন বলা যায়৷ একদিকে ধর্ষণ-প্রতিরোধ আইন পাশ হলো, আর অন্যদিকে বিদেশি মহিলা পর্যটকদের ওপর বাড়ছে যৌন নিগ্রহের ঘটনা৷ কিছুদিন আগে এক সুইস মহিলা মধ্যপ্রদেশে গণধর্ষিতা হবার দুদিন পরেই আগ্রার এক হোটেলে এক ব্রিটিশ তরুণীর শ্লীলতাহানির চেষ্টা করা হয়৷ তরুণী হোটেলের বারান্দা থেকে ঝাঁপ দিয়ে নিজেকে বাঁচান৷

বারবার এই ধরণের ঘটনায় সরকার নড়েচড়ে বসেছে৷ কেন্দ্রীয় পর্যটন মন্ত্রী এই নিয়ে কথা বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে৷ ঐ হোটেলের লাইসেন্স কেন বাতিল করা হবেনা তার কারণ দর্শাবার নোটিশ দেয়া হয়েছে৷ গ্রেপ্তার করা হয়েছে হোটেলের মালিককে৷ সোমবার অন্ধ্রপ্রদেশের নিজামাবাদে নরওয়ের এক মহিলাকে বাসের মধ্যে উত্ত্যক্ত করার অভিযোগে ৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ৷ ব্রিটিশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকেও ব্রিটিশ মহিলা পর্যটকদের ভারতে গেলে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেয়া হয়েছে৷

বিদেশি পর্যটকদের শ্লীলতাহানির ঘটনার সঙ্গে জড়িত ভারতের ভাবমূর্তির প্রশ্ন৷ বিশ্বে পর্যটন আজ এক বড় ব্যবসা৷ সেই ব্যবসাই শুধু মার খাবেনা, দেশ হিসেবে ভারতকে লজ্জায় মুখ ঢাকতে হবে৷ যদি না স্থানীয় পুলিশ-প্রশাসন পর্যটকদের উপযুক্ত নিরাপত্তা দিতে পারে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ