1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ভারতের সংসদ ভবনে শুধুই নিরামিষ!

রাজীব চক্রবর্তী নতুন দিল্লি
১৫ জানুয়ারি ২০২০

কে কী খাবেন, সরকার ঠিক করে দেবে?‌ভারতে বিতর্ক চলছে ছ'‌বছর ধরে৷ এখন আবার জেগেছে সেই বিতর্ক৷ কারণ, সংসদ ভবনে এতদিন আমিষ ও নিরামিষ দু-‌ধরনের খাবার পাওয়া যেতো৷ এবার মিলবে শুধুই নিরামিষ!‌

Indien Land und Leute Kochen und Essen
ছবি: DW/S. Waheed

সংসদেও খাদ্যে কোপ মারবে সরকার?‌সংসদের মেনু থেকে মাছ, মাংস বা আমিষ খাবার বাদ পড়তে চলেছে, মিলবে শুধুমাত্র নিরামিষ খাবার৷ সংসদ ভবনে সেন্ট্রাল হল-‌সহ আরও কয়েকটি ক্যান্টিনে পরিবর্তন আনার কথা বলেছিল সরকার৷ খুব শীঘ্রই খাদ্য তালিকায় আমূল পরিবর্তন আনতে চলেছে নরেন্দ্র মোদী সরকার৷ সংসদ সূত্রের খবর, তুলে দেওয়া হবে খাবারে সমস্ত ভর্তুকি৷ ভারতীয় রেলের নিজস্ব সংস্থা আইআরসিটিসি-‌কে সরিয়ে দেওয়া হবে৷ পরিবর্তে সংসদ ভবনে খাদ্য সরবরাহের দায়িত্বে আনা হতে পারে বেসরকারি সংস্থা হলদিরাম বা বিকানের ভুজিয়াওয়ালা-‌র মতো সংস্থাদের৷ ‘‌না লাভ, না লোকসান'‌নীতিতে ক্যান্টিন চালাবে তারা৷ এতে নাকি সরকারের কোষাগারে বছরে ১৭ কোটি টাকা সাশ্রয় হবে৷

দীর্ঘদিন ধরে দেশের সংসদ ভবনে খাদ্য সরবরাহের দায়িত্ব সামলাচ্ছে আইআরসিটিসি৷ এটি রেলের সংস্থা৷ লোকসভা ও রাজ্যসভার সাংসদরা বিশ্রাম নেওয়া বা অন্য কারণে যেখানে বসেন সেটি সেন্ট্রাল হল৷ এই সেন্ট্রাল হল-সহ আও কিছু জায়গায় ক্যান্টিন রয়েছে৷ রিসেপশন বিল্ডিংয়েও রান্না করা খাবার সরবরাহ করা হয়৷ সাধারণত অন্য ক্যান্টিন গুলির মেনু বেশ সাদামাটা৷ তবে, সেন্ট্রাল হলে মিলত আমিষ, নিরামিষ জাতীয় যাবতীয় ভালো খাবার৷ সবটাই মিলত ভর্তুকিযুক্ত মূল্যে৷

এদিকে, সংসদে স্বল্পমূলের খাবার নিয়ে দেশজুড়ে হইচই হয়েছে বিস্তর৷ যার জেরে কিছুদিন আগেই ভর্তুকি প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার৷ সর্বদলীয় বৈঠকে আগেই সেকথা জানিয়েছেন লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা৷ এবার শোনা যাচ্ছে, সংসদ ভবন থেকে তুলে নেওয়া হবে আমিষ খাবারও!‌স্বভাবতই শুরু হয়েছে বিতর্ক৷ এই খবরে বেজায় চটেছেন সাংসদদের একাংশ৷

রাজ্যসভার নির্দল সাংসদ ঋতব্রত ব্যানার্জি বললেন, ‘‌ভুলে গেলে চলবে না সংসদের সেন্ট্রাল হলে বসেই আমাদের পূর্বপুরুষরা দেশের সংবিধান রচনা করেছিলেন৷ সংবিধানে নিজের রুচি অনুযায়ী খাওয়া, পরার অধিকার দেওয়া রয়েছে৷ ‌তাঁর অভিযোগ, ‘‌‘‌এই সিদ্ধান্তে একদিকে সরকারি সংস্থার হাত থেকে বরাত কেড়ে নিয়ে বেনিয়া গোষ্ঠীর হাতে দেওয়ার অভিষন্ধি রয়েছে৷ অন্যদিকে, খাবারের রুচি জোর করে চাপিয়ে দিয়ে মানুষের সাংবিধানিক অধিকারে সরাসরি হস্তক্ষেপ করতে চাইছে মোদী সরকার৷'‌'‌বিরোধীদের পাশাপাশি শাসক দল বিজেপি‌র সাংসদরাও ক্ষোভ প্রকাশ করছেন৷ বাংলা থেকে মনোনীত রাজ্যসভার এক বিজেপি সাংসদের প্রশ্ন, ‌যে নতুন দুটি সংস্থার কথা শুনছি, তারা কেউই আমিষ খাবার তৈরি বা সরবরাহ করে না৷ তাহলে কি শাকাহারী হয়ে যেতে হবে?‌

তৃণণূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র মোদী সরকারকে কটাক্ষ করে বলেছেন, ‘‌‘‌শুধু হিন্দিতে কথা বলতে হবে৷ একমাত্র রামের পুজো করতে হবে৷ নিরামিষ খাবারই খেতে হবে৷ দেশবাসী ও সাংসদদের জন্য এমনই মত সব নরেন্দ্র মোদী ও অমিত ‌শাহর৷'‌'‌

যদিও এমনিতে আইআরসিটিসি খাবার নিয়ে বিস্তর অভিযোগ রয়েছে সাংসদদের৷ বিশেষত খাবারের গুণ, মান ও পরিমাণ নিয়ে অসন্তুষ্ট থাকেন সাংসদরা৷ বেশ কিছুদিন ধরেই সংস্থা পরিবর্তন করার কথা ভাবছিল সরকার৷ যদিও এ ব্যাপারে এখনও পর্যন্ত সরকারি কোনও ঘোষণা হয়নি৷‌তবে, যেকোনো সময় সংসদের ফুড প্যানেলের উপস্থিতিতে সিদ্ধান্ত জানাতে পারেন লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ