ভারতীয় সেনা বাহিনীর সার্জিক্যাল স্ট্রাইককে মনগড়া বলে পাকিস্তানের অপপ্রচার বন্ধ করতে উপযুক্ত প্রমাণ সামনে আনার দাবি জানিয়েছে বিরোধী পক্ষ৷ তাঁরা জানতে চায়, সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের প্রমাণ দিতে দেরি করছেন কেন মোদী সরকার?
বিজ্ঞাপন
প্রশ্ন হলো, ২৯শে সেপ্টেম্বর জম্মু-কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণ রেখা অতিক্রম করে সফলভাবে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক চালিয়ে পাকিস্তানি সন্ত্রাসী ঘাঁটিগুলি গুঁড়িয়ে দেয়ার যে দাবি জানিয়েছে ভারত, তা প্রত্যাখ্যান করে পাকিস্তান বলেছে, এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও মনগড়া কথা৷ দেশি-বিদেশি কিছু সাংবাদিককে নিয়ে সেসব জায়গা দেখিয়েও এনেছে পাকিস্তানি সেনা কর্তৃপক্ষ৷ তবে ভারতের কোনো সাংবাদিককে তাঁরা দেখায়নি৷ এদিকে বিরোধী রাজনৈতিক দল, বিশেষ করে কংগ্রেস ও আম আদমি পার্টিও এই ইস্যুতে সরব হয়ে উঠেছে৷ বিষয়টি নিয়ে সংশয় প্রকাশ করে প্রশ্ন রেখেছে, সত্যিই কি সার্জিক্যাল স্ট্রাইক হয়েছে? হয়ে থাকলে তার প্রমাণ কোথায়?
দিল্লির আম আদমি পার্টির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল বলেছেন, সেনা অভিযানের প্রমাণ না দেওয়া অবধি তা তিনি বিশ্বাস করবেন না৷ কংগ্রেসের সঞ্জয় নিরুপম তো সরাসরি বলেই বসলেন, সেনা অভিযান সাজানো৷ তা না হলে পাকিস্তানের মিথ্যা প্রচারের জবাব দিতে উপযুক্ত প্রমাণ সামনে আনতে এত দেরি করছে কেন মোদী সরকার?
অথচ সেনা অভিযানের কথা প্রথম ঘোষণা করতেই দলমত নির্বিশেষে বিরোধী পক্ষ সেনা বাহিনী এবং মোদী সরকারকে জোরগলায় সমর্থন জানিয়েছিল৷ কংগ্রেস অবশ্য আবার সুর কিছুটা নরম করে বলেছে যে, প্রমান দেখতে চাওয়ার অর্থ সেনা বাহিনীর সাফল্যকে খাটো করা নয়৷
কাশ্মীরে বহুদিনের সংঘাত, বহুদিনের ক্ষত
স্বাধীনতার পর থেকেই ভারত ও পাকিস্তানের সম্পর্কে যেন গলার ফাঁস হয়ে রয়েছে কাশ্মীর৷ তাই কাশ্মীর সংক্রান্ত ঘটনাবলী আজ নিজেরাই ইতিহাস৷
ছবি: Getty Images/AFP/R. Bhat
১৯৪৭
বলা হয় দেশবিভাগের পর পাকিস্তান থেকে আগত উপজাতিক যোদ্ধারা কাশ্মীর আক্রমণ করে৷ তখন কাশ্মীরের মহারাজা ভারতের সাথে সংযোজনের চুক্তি করেন, যা থেকে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হয়ে যায়৷
ছবি: dapd
১৯৪৮
ভারত জাতিসংঘে কাশ্মীর প্রসঙ্গ উত্থাপন করলে পর, ৪৭ ক্রমিক সংখ্যক প্রস্তাবটি গৃহীত হয়৷ ঐ প্রস্তাব অনুযায়ী গোটা কাশ্মীরে গণভোট অনুষ্ঠিত হবার কথা রয়েছে৷
ছবি: Keystone/Getty Images
১৯৪৮
কিন্তু পাকিস্তান প্রস্তাব অনুযায়ী, কাশ্মীর থেকে সৈন্যাপসারণ করতে অস্বীকার করে৷ অতঃপর কাশ্মীরকে দু’ভাগে ভাগ করা হয়৷
ছবি: Getty Images
১৯৫১
ভারতীয় কাশ্মীরে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ও ভারতের সঙ্গে সংযোজনকে সমর্থন করা হয়৷ অতঃপর ভারত বলে, আর গণভোট অনুষ্ঠানের কোনো প্রয়োজন নেই৷ জাতিসংঘ ও পাকিস্তানের মতে, গণভোট অনুষ্ঠিত হওয়া আবশ্যক৷
ছবি: picture-alliance/dpa/F. Khan
১৯৫৩
কাশ্মীরের ‘প্রধানমন্ত্রী’ শেখ আব্দুল্লাহ গণভোটের সমর্থক ছিলেন ও ভারতের সঙ্গে সংযোজনকে বিলম্বিত করার চেষ্টা করেন৷ ফলে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়৷ জম্মু-কাশ্মীরের নতুন সরকার ভারতের সঙ্গে কাশ্মীরের সংযোজনকে পাকা করেন৷
ছবি: picture-alliance/dpa/F. Khan
১৯৬২-৬৩
১৯৬২ সালের যুদ্ধে চীন আকসাই দখল করে৷ তার আগের বছর পাকিস্তান কাশ্মীরের ট্রান্স কারাকোরাম ট্র্যাক্ট এলাকাটি চীনকে প্রদান করে৷
ছবি: Getty Images
১৯৬৫
কাশ্মীরকে কেন্দ্র করে আবার ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ হয়৷ কিন্তু যুদ্ধশেষে উভয় দেশের সেনা তাদের পুরোনো অবস্থানে ফিরে যায়৷
ছবি: picture-alliance/dpa/J. Singh
১৯৭১-৭২
আবার ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ৷ যুদ্ধে পাকিস্তানের পরাজয়ের পর সিমলা চুক্তি সম্পাদিত হয় ১৯৭২ সালে৷ যুদ্ধবিরতি রেখাকে লাইন অফ কন্ট্রোল বা নিয়ন্ত্রণ রেখায় পরিণত করা হয় ও আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে বিবাদ সমাধান সম্পর্কে ঐকমত্য অর্জিত হয়৷
ছবি: AP
১৯৮৪
ভারত সিয়াচেন হিমবাহ নিজ নিয়ন্ত্রণে আনার পর পাকিস্তান তা একাধিকবার দখল করার চেষ্টা করেছে, কিন্তু সফল হতে পারেনি৷
ছবি: AP
১৯৮৭
জম্মু-কাশ্মীরে বিতর্কিত নির্বাচনের পর রাজ্যে বিচ্ছিন্নতাবাদী স্বাধীনতা আন্দোলন শুরু হয়৷ ভারত পাকিস্তানের বিরুদ্ধে উগ্রপন্থাকে উসকানি দেওয়ার অভিযোগ করে, কিন্তু পাকিস্তান সে দোষারোপ চিরকাল অস্বীকার করে এসেছে৷
ছবি: AP
১৯৯০
গওকাদল সেতুর কাছে ভারতীয় সিআরপি রক্ষীবাহিনী কাশ্মীরি বিক্ষোভকারীদের উপর গুলি চালালে পর শতাধিক আন্দোলনকারী নিহত হন৷ প্রায় সমস্ত হিন্দু কাশ্মীর উপত্যকা ছেড়ে চলে যান৷ জম্মু-কাশ্মীরে সেনাবাহিনীকে আফসা বা আর্মড ফোর্সেস স্পেশাল পাওয়ার্স অ্যাক্ট অনুযায়ী বিশেষ ক্ষমতা প্রদান করা হয়৷
ছবি: AFP/Getty Images/Tauseef Mustafa
১৯৯৯
কাশ্মীর ভ্যালিতে গোটা নব্বই-এর দশক ধরে অশান্তি চলে৷ ১৯৯৯ সালে আবার ভারত-পাকিস্তানের লড়াই হয়, এবার কারগিলে৷
ছবি: picture-alliance/dpa
২০০১-২০০৮
ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে আলাপ-আলোচনার যাবতীয় প্রচেষ্টা প্রথমে নতুন দিল্লির সংসদ ভবন ও পরে মুম্বই হামলার ফলে ব্যর্থ হয়৷
ছবি: picture-alliance/Pacific Press/F. Khan
২০১০
ভারতীয় সেনার গুলি লেগে এক বিক্ষোভকারীর মৃত্যুর পর কাশ্মীর ভ্যালি উত্তেজনায় ফেটে পড়ে৷ বিক্ষোভ চলে বেশ কয়েক সপ্তাহ ধরে, প্রাণ হারান অন্তত ১০০ জন৷
ছবি: picture-alliance/Pacific Press/U. Asif
২০১৩
সংসদ ভবনের উপর হামলার মুখ্য অপরাধী আফজল গুরুকে ফাঁসি দেওয়া হয়৷ এর পর যে বিক্ষোভ চলে, তা-তে দু’জন প্রাণ হারায়৷ এই বছরই ভারত আর পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীদ্বয় মিলিত হয়ে উত্তেজনা উপশমের কথা বলেন৷
ছবি: Reuters
২০১৪
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ উপস্থিত থাকেন৷ কিন্তু এর পর নতুন দিল্লিতে পাকিস্তানি হাই কমিশনার কাশ্মীরি বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সঙ্গে মিলিত হওয়ায় ভারত আলাপ-আলোচনা স্থগিত রাখে৷
ছবি: Reuters
২০১৬
আজাদ কাশ্মীর ভিত্তিক হিজবুল মুজাহিদীন-এর অধিনায়ক বুরহান ওয়ানি-র মৃত্যুর পর কাশ্মীরে স্বাধীনতা সমর্থকরা আবার পথে নেমেছেন৷ এই আন্দোলনে এ পর্যন্ত অন্তত ১০০ জনের মৃত্যু হয়েছে ও বিক্ষোভ অব্যাহত আছে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/R.S.Hussain
২০১৯
২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে জম্মু-কাশ্মীরের পুলওয়ামা সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্স (সিআরপিএফ)-এর গাড়িবহরে বোমা হামলার ঘটনা ঘটে৷ এতে ৪২ জওয়ান নিহত হন৷ বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন জৈশ-ই-মোহাম্মদ হামলার দায় স্বীকার করেছে৷ এরপর ২৬ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তান সীমান্তের ভেতরে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের ঘাঁটিতে বিমান হামলা চালায় ভারতীয় বিমান বাহিনী৷
ছবি: picture-alliance/ZUMA Wire/P. Kumar Verma
২০১৯
ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ নং ধারা অনুযায়ী, জম্মু ও কাশ্মীরের কাছে কিছু বিশেষ অধিকার ছিল। ৫ আগস্ট স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ৩৭০ ধারাটি অবসানের দাবি তোলেন৷ বিল পাস হয়। একই দিনে তাতে সই করেন ভারতের রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ৷ ফলে, কাশ্মীরের ‘বিশেষ মর্যাদা' বাতিল হয়। তাছাড়া মোদী সরকারের সিদ্ধান্তের ফলে জম্মু ও কাশ্মীর রাজ্যের মর্যাদা হারায়। জম্মু ও কাশ্মীর ও লাদাখ নামে দুইটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল গঠিত হয়।
ছবি: Reuters
19 ছবি1 | 19
কংগ্রেস ও আম আদমি পার্টির বক্তব্যকে অবশ্য চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, যথাসময়ে সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের প্রমাণ সামনে রাখা হবে৷ কেজরিয়ালকে কটাক্ষ করে বলা হয়, তিনি যে পাকিস্তানের সুরে কথা বলছেন এর পেছনে কি বিশেষ কোনো কারণ আছে? বিজেপি সমর্থকরা গতকাল কেজরিয়ালের বাসভবনের সামনে বিক্ষোভ দেখায়৷ ‘কেজরিয়াল পাকিস্তানি সন্ত্রাসী হাফিজ সাঈদের দালাল' বলে স্লোগান দেয়া হয়৷
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন, সেই উপযুক্ত সময় কি আসবে রাজনৈতিক লাভ লোকসান হিসেব করে? শাসক দল বিজেপি এখন চেষ্টা করছে জাতীয়তাবাদের ধুয়ো তুলে বিরোধীপক্ষকে হেয় করতে৷ অন্যদিকে বিরোধী পক্ষ কি সরকারকে এখন প্রশ্নচিহ্নের মুখে দাঁড় করাতে চাইছে সেনা অভিযান নিয়ে সরকারের জনপ্রিয়তা লক্ষ্য করে? একটা রাজনৈতিক স্বার্থ এর পেছনে যে কাজ করছে, সেটা বোঝা কঠিন নয়৷ আসল কথা সেই ভোটের রাজনীতি৷ উত্তরপ্রদেশ এবং পাঞ্জাব বিধানসভার আসন্ন নির্বাচন৷
এই রাজনৈতিক বিতর্কের প্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী অন্যান্য মন্ত্রীদের বুক ফুলিয়ে কিছু বলতে আপাতত নিষেধ করেছেন৷ জানা গেছে, সেনা অভিযান সম্পর্কে কিছু ভিডিও ফুটেজ প্রধানমন্ত্রীকে দেওয়া হয়৷ যদিও সেনা কর্তৃপক্ষ এবং গোয়েন্দা প্রধানরা এই ভিডিও ফুটেজ সবার সঙ্গে শেয়ার না করার পরামর্শ দিয়েছেন৷ এই ভিডিও তোলা হয় চালকবিহীন বিমান ইউএভির সাহায্যে৷ সেনা অভিযান নিয়ে তোলা ভিডিও ফুটেজ সবাইকে দেখানোর দাবিতে অসন্তোষ ব্যক্ত করেছেন প্রাক্তন সেনা প্রধানরা৷ জেনারেল শংকর রায় চৌধুরি মনে করেন, এই সেনা অভিযানের কৌশল বা টেকনিক সবাইকে দেখানো হলে তা থেকে পাকিস্তান ফায়দা তুলবে৷ ভারতীয় সেনাবাহিনীর বিশেষ যুদ্ধ কৌশল জেনে নিয়ে সেটা ভারতের বিরুদ্ধেই কাজে লাগাতে পারে৷ অন্য এক প্রাক্তন সেনা প্রধান মনে করেন, সেনা অভিযান নিয়ে প্রশ্ন তোলার অধিকার কারো নেই৷ কথা হচ্ছে, যদি তাই হয় তাহলে পাকিস্তানের সন্দেহকেই কি টিকিয়ে রাখা হবে না?
ভারতে পাকিস্তানি যে ৭ তারকাকে নিষিদ্ধ করার দাবি উঠেছে
ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে যে উত্তেজনা চলছে, এর জের ধরে এবার সাতজন পাকিস্তানি তারকাকে ভারতে নিষিদ্ধের দাবি জানিয়েছে মহারাষ্ট্র নবনির্মাণ সেনা৷ অবিলম্বে তাঁদের ভারত ছাড়ার হুমকি দিয়েছে সংগঠনটি৷
ছবি: Getty Images/AFP/STR
ফাওয়াদ খান
বর্তমানে বলিউডে সবচেয়ে জনপ্রিয় পাকিস্তানি তারকা ফাওয়াদ খান৷ ২০১৪ সালে ‘খুবসুরত’ মুভির মাধ্যমে তিনি বলিউডে ঘাঁটি গাড়েন৷
ছবি: STRDEL/AFP/Getty Images
মীরা
পাকিস্তানি অভিনেত্রী মীরা যখন বলিউডে পদার্পণ করলেন, তখন তাঁকে নিয়ে বেশ আলোচনা হয়েছিল৷ বলিউডে তাঁর সবশেষ মুভি ‘ভড়াস’, যা ২০১৩ সালে মুক্তি পায়৷
ছবি: Getty Images/AFP/STR
বীণা মালিক
বীণা মালিক বিগ বস-এর মাধ্যমে ভারতীয় মিডিয়ায় আলোচনায় আসেন৷ এরপর তিনি বলিউডে প্রবেশ করেন৷ ‘ডাল মে কুছ কালা হ্যায়’ তাঁর প্রথম হিন্দি ছবি৷ কিন্তু দর্শক তাঁকে ভালোভাবে নেয়নি৷
ছবি: Getty Images/AFP/STR
আতিফ আসলাম
গায়ক অভিজিতসহ বলিউডের বেশ কিছু ব্যক্তি বরাবরই আতিফ আসলামের বিরোধিতা করে আসছেন৷ কিন্তু এরপরই বলিউডের বেশ কিছু জনপ্রিয় চলচ্চিত্রের সুপারহিট গানে কণ্ঠ দিয়েছেন আতিফ আসলাম৷
ছবি: Getty Images/AFP/STRDEL
জাবেদ শেখ
‘জান্নাত’, ‘যুবরাজ, ‘তামাশা’সহ বেশ কিছু জনপ্রিয় হিন্দি চলচ্চিত্রের অভিনয়ের মাধ্যমে বলিউডে জায়গা করে নিয়েছেন জাবেদ শেখ৷
ছবি: DW/T. Saeed
আলী জাফর
‘তেরে বিন লাদেন’ ছবির মাধ্যমে দর্শকদের নজর কেড়েছিলেন আলী জাফর৷ এরপর বেশ কিছু হিন্দি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি৷
ছবি: Imago/Hindustan Times/W. Gashroo
রাহাত ফাতেহ আলী খান
‘তুঝে দেখ দেখ সোনা’ রাহাত ফাতেহ আলী খানের অন্যতম জনপ্রিয় গান৷ এরপরও বহু হিন্দি চলচিত্রে অনেক জনপ্রিয় গান উপহার দিয়েছেন তিনি শ্রোতাদের৷