ভারতের এক গ্রামে পুরুষদের মদ খাওয়া নিয়ে রোজ বাড়িতে লেগে থাকে অশান্তি আর ঝগড়াঝাটি৷ সহ্য করতে না পেরে বাড়ির শিশুরা বাড়ি ছেড়ে পালাতে থাকে৷ সহজ শিকার হয় পাচারকারীদের৷ গ্রামের কিশোরীরাই গ্রামের হাল ধরতে এগিয়ে এসেছে৷
বিজ্ঞাপন
ভারতের তামিলনাড়ু রাজ্যের থেন্নাম্মাদেবি গ্রামের পুরুষরা রোজ বিকেলের দিকে দল বেঁধে মাঠের দিকে ছুটতো মদের নেশায়৷ গ্রামের শ-দেড়েক পুরুষের এটা নিত্য নেশা৷ চোলাই মদে অকালে মারা গেলে বিধবা হয় ৯০ জন মহিলা৷ থেন্নাম্মাদেবি গ্রামের ক্রমশই সর্বনাশ ঘনিয়ে আসতে থাকে৷ ঘরের নিত্যনৈমিত্তিক অশান্তি সহ্য করতে না পেরে শেষে একদিন ঘর ছেড়ে পালাতো বাচ্চারা৷
এই সর্বনাশা অভিশাপের মধ্যে একটা অদ্ভুত পরিবর্তনের আলো লক্ষ্য করা গেছে গত ছয় মাসে৷ অনাকাঙ্ক্ষিত জীবন থেকে মুক্তির দিশা দেখাতে গ্রামের হাল ধরেছে গ্রামেরই কিশোরীরা৷ রেখেছে নিজেদের গ্রামের সার্বিক বিকাশে স্বশক্তিকরণের এক অসামান্য নজির৷ গ্রামের কিশোরীরা ইয়ং গার্ল ক্লাব গঠন করে গ্রামের বিকাশের হাল ধরেছে৷
রাস্তায় লাগিয়েছে আলো, গ্রামের জনস্বাস্থ্য সমীক্ষা চালাচ্ছে, মোবাইল ক্লিনিক খোলার উদ্যোগ নিয়েছে, লাইব্রেরি খুলেছে৷ নানা রকম বই রেখেছে৷ ইচ্ছামত যেমন খুশি বই নিয়ে পড়াশুনা করছে৷ গ্রামের অল্পবয়সী মেয়েদের এই উদ্যোগ নজর কেড়েছে রাজ্যে রাজনীতিক এবং স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাগুলোর৷ রাস্তার আলোর নীচে বসে প্রতিমাসে একবার তাঁরা নিজেদের কাজকর্ম পর্যালোচনার জন্য মিলিত হয়৷ মত বিনিময় করে কিভাবে গ্রামের আরো উন্নতি করা যায়৷ তাঁদের গ্রামের আশপাশ দিয়ে কোন বাস যায় না৷
ভারতের নিখোঁজ শিশুরা
বছরের পর বছর ভারতে হাজারো শিশু নিখোঁজ হওয়ার খবর শোনা যায়, যাদের অনেকেরই আর কোনো খোঁজই পাওয়া যায় না৷ এদের কেউ নিজেই বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়, আবার কাউকে অপহরণ করে নানা রকম কাজ করতে বাধ্য করা হয়৷
ছবি: DW/B. Das
ভাগ্যের লিখন
ভারতে ‘শিশু বাঁচাও আন্দোলন’ সংগঠনের একটি সমীক্ষার ফলাফলে দেখা গেছে যে, ভারতে প্রতি ঘণ্টায় ১১ জন শিশু নিখোঁজ হয়ে থাকে৷ এদের মধ্যে কমপক্ষে চারজনকে আর কখনো খুঁজে পাওয়া যায় না৷
ছবি: DW/B. Das
বন্দিদশা
দিল্লির একটি মধ্যবিত্ত পরিবারের ১৬ বছর বয়সি মেয়ে পিংকিকে খুঁজে পাওয়া গেছে অপরিচিত একটি বাড়িতে৷ সেখানে ওকে জোর করে ঘরের কাজ করানো হচ্ছে এবং বলা বাহুল্য, কোনো বেতন ছাড়াই৷
ছবি: DW/B. Das
দেশব্যাপী অনুসন্ধান
ছবিটিতে এক বাবার হাতে তাঁর হারিয়ে যাওয়া ছেলের ছবি আর তাঁর অন্য হাতে একটি বাক্স৷ সে বাক্সে রয়েছে মানুষের সাহায্য করা অর্থ, যে অর্থ দিয়ে এই বাবা তাঁর ছেলেকে খুঁজে বের করতে সারা দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে যাবেন বলে ঠিক করেছেন৷
ছবি: DW/B. Das
পালিয়ে যায়
যেসব শিশুরা বাড়ি থেকে নিজের ইচ্ছায় চলে যায় বা পালিয়ে যায়, ওরা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই পরবর্তীতে কাজের ছেলে-মেয়ে হিসেবে বা এ ধরণেরই কোনো কাজ করে থাকে৷ যেমন চায়ের দোকান, পেট্রোল পাম্প বা কার্পেট তৈরি কারখানায়৷ ভারতের রাজধানী নতুন দিল্লির একটি পেট্রোল পাম্প থেকে এমনই কিছু শিশুকে উদ্ধার করেছে পুলিশ৷
ছবি: DW/B. Das
ধৈর্য ধরে থাকা
ছেলেটির হাতে ছয় বছর আগে ওর হারিয়ে যাওয়া বোনদের ছবি৷ ওদের খুঁজে পাবে এই আশায় এখনো বুক বেধে আছে ছেলেটির পুরো পরিবার৷ নিখোঁজ বোনদের ফিরে পাওয়ার জন্য পরিবার থেকে মাঝে মাঝেই বোনদের ছবি এবং নিখোঁজ বিজ্ঞপ্তিসহ প্রচারপত্র বিলি করা হয়৷
ছবি: DW/B. Das
দীর্ঘ প্রতিক্ষা
নিখোঁজ হয়ে যাওয়া এই শিশুটিকে খুঁজে পাওয়া গেছে অবশেষে৷ শিশুটি ওর বাবা-মায়ের কাছে যাওয়ার জন্য ঠিক এ জায়গাতেই অপেক্ষা করছে গত প্রায় এক বছর যাবত৷ কবে শেষ হবে এই অপেক্ষার পালা?
ছবি: DW/B. Das
খুশির দিন ফিরে এসেছে
নিখোঁজ হয়ে যাওয়া অর্জুন আবারো মায়ের কোলে ফিরে এসে অত্যন্ত আনন্দিত, ভীষণ খুশি৷ অর্জুন ওর মাকে তার কষ্টের কথা জানিয়েছে৷ বলেছে, গত দু’বছর ওকে বেধে রাখা হয়েছিল এবং কাজ করতে বাধ্যও করা হয়েছিল৷ তবে ওর মা কিন্তু অর্জুনকে ফিরে পাবার আশা কখনো ছেড়ে দেয়নি৷
ছবি: DW/B. Das
অতিরিক্ত সাবধানতা
এই মা তাঁর কয়েকজন শিশুর মধ্যে একজনকে হারিয়েছেন৷ তাঁর কথায়, ‘‘আর কখনো আমি আমার শিশুদের চোখের আড়াল হতে দেব না৷ উল্লেখ্য, ‘শিশু বাঁচাও আন্দোলন’ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য রয়েছে www.bba.org.in ঠিকানায়৷
ছবি: DW/B. Das
8 ছবি1 | 8
তাঁরা দরখাস্ত করে গ্রাম পঞ্চায়েতের কাছে৷ ইয়ং গার্লস ক্লাবের প্রেসিডেন্ট ১৬ বছরের সৌমিয়া বলেন,‘‘ সবকিছুই আমরা সহমতের ভিত্তিতেই কোরে থাকি৷ গ্রামের রূপান্তর ঘটাতে আমরা সবাই কৃতসংকল্প৷ পাশাপাশি আমরা জোর দিয়েছি বয়ঃসন্ধিকালীন মেয়েদের স্বাস্থ্য সচেতনতা গড়ে তোলার দিকে৷ ঋতুকালীন পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা, ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার দিকে৷'' ১৬ বছরের ট্রেনার রাজেন্ধীরান শ্রীদেবি জানান, ‘‘ওরা লক্ষ্য করেছে স্বচ্ছল জীবনের আশায় অনেক ছেলেমেয়ে গ্রাম ছেড়ে শহরমুখী হচ্ছে৷ তারপর আর তাঁদের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না৷ গ্রামের প্রায় দেড়শো বাচ্চা এইভাবে নিরুদ্দেশ৷''
গ্রাম থেকে ৫-৬ কিলোমিটার দূরে রেলওয়ে জংশন স্টেশন নামভিল্লুপুরম৷ স্কোপ ইন্ডিয়া নামে এক সংস্থার ডিরেক্টর এস.বাবু যখন থেন্নাম্মাদেবি গ্রামের নিখোঁজ বাচ্চাদের নিখোঁজ হবার কারণ অনুসন্ধানে যান সবাই আঙ্গুল দেখায় ঐ বড় জাংশন স্টেশনটার দিকে৷ বিভিন্ন প্লাটফর্মে দিশেহারার মতো ঘুরে বেড়াতে দেখা যায় অনেক বাচ্চাকে৷ পরনে ময়লা ছেঁড়া জামাকাপড়৷ অনাহারের থাকার ক্লিষ্ট ছাপ৷ গত দু'বছরে এক হাজারেরও বেশি ঘরছাড়া বাচ্চা ছেলেমেয়েদের ঘুরে বেড়াতে দেখা গেছে রেল স্টেশনের প্লাটফর্মে৷
জিজ্ঞাসা করলে কেউ কেউ বলে বাড়ির নরক পরিবেশে থাকতে না পেরে তাঁরা ঘর ছেড়েছে৷ ১৫ বছরের এক কিশোরী জানায়, ‘‘মদ্যপ বাবার হাত থেকে রেহাই পেতে পালিয়েছি৷ এরপর কোথায় যাবো, কি খাবো জানি না৷ আপাতত চেন্নাই যেতে চাই৷ শেষে, তাঁকে সরকারি হোমে নিয়ে আসা হয়৷ এখন সে টেকনিক্যাল ইন্সিটিউটে পড়ছে৷''
‘পাচারকারীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া সহজ নয়’
স্কোপ ইন্টারন্যাশনালের পার্টনার দি চ্যারিটি রেলওয়ে চিলল্ড্রেন এইসব ঘর পালানো বাচ্চাদের দিকে নজর রাখতে ৪০জন রেলওয়ে ক্লিনারকে কাজে লাগিয়েছে৷ তবুও থেন্নাম্মাদেবি গ্রামের সমস্যা দূর হয়নি৷ প্রায় ২০০শোরও বেশি নাবালিকার বিয়ে দেওয়া হয় অসম বয়সি পুরুষের সঙ্গে এক রকম জোর করে, বাচ্চা পাচারও বন্ধ হয়নি৷ বাচ্চারা বেশিরভাগই গরিব ঘরের নীচু জাতের৷ তবে এর থেকে বড় সমস্যা থেন্নাম্মাদেবি গ্রামের পুরুষদের মদের নেশা৷ পুরো সংসার উজাড় হয়ে যাচ্ছে এই মদের নেশার অভিশাপে, বলেন মানব পাচার বিরোধী অফিসার সি. পদ্মশ্রী৷
ঘর ছাড়া এইসব বাচ্চাদেরপাচারকারীদের হাত থেকে উদ্ধার করতে চাইল্ড ইন নিড ইন্সটিটিউটের (সিনি) ভূমিকা কি ? ডয়চে ভেলের এই প্রশ্নের উত্তরে সংস্থার উত্তরবঙ্গ শাখার কর্মকর্তা মহেন্দ্র গুপ্তের জানালেন, ‘‘প্রথমত, ১০৯৮ নম্বরে আমাদের কাছে ফোন এলে আমরা যাই৷ আশপাশের লোকজনদের কাছ থেকে খোঁজখবর নিই বাড়িতে কি রকম অশান্তি বা সমস্যা৷ যদি দেখি বাবা মদ্যপ, পরিবেশ বাস্তবিকই খারাপ, যে-কোন সময়ে বাচ্চারা ঘর থেকে পালিয়ে যেতে পারে, তখন তাঁদের নিয়ে আসি৷ শিশু কল্যাণ কমিশনকে জানাই৷ কমিশনের এবং সরকারি হোমে রেখে কাউন্সেলিং করি৷ মেয়েদের অবশ্য রাখা হয় সরকারি হোমে৷’’
পাচারকারীদের ধরা যাচ্ছে না কেন ? উত্তরে সিনিয়র আঞ্চলিক কর্মকর্তা মহেন্দ্র গুপ্ত ডয়চে ভেলে অকপটে বললেন, ‘‘দেখুন, উত্তরবঙ্গের ডুয়ার্স এলাকার চা-বাগানগুলো একের পর এক বন্ধ হয়ে যাচ্ছে৷ চা-বাগান ছাড়া এই অঞ্চলে রুজি রোজগারের অন্য কিছু বিকল্প সংস্থান নেই৷ স্থানীয় পাচারকারীরা বাড়ির লোকেদের বোঝায় দিল্লি, মুম্বাই গেলে সম্পন্ন পরিবারের ঘরে কাজ পাইয়ে দেবে, ভালো মাইনে পাবে৷ তাঁদের ঘরেই থাকবে৷ বাইরে যেতে হবে না৷ মা বাবা তখন ছেড়ে দেয়৷''
তিনি আরও বলেন, ‘‘দিল্লিগামী সব ট্রেনই যায় নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন দিয়ে৷ আমাদের সংস্থা সেইসব ট্রেনের দিকে নজর রাখে৷ অজ্ঞাত পরিচয় কোনো ব্যক্তির সঙ্গে বাচ্চা ছেলে মেয়েদের যেতে দেখলে বা আমাদের সন্দেহ হলে তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করি এবং সেই বুঝে উদ্ধার করি৷ তবে পাচারকারীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া সহজ নয়৷ এক তো তাঁদের নেটওয়ার্ক বিরাট৷ দ্বিতীয়ত রেল পুলিশ হামেশাই গা করে না৷ চট করে কেস নিতে চায় না৷ আর পাচারকারীরা জানে বলেই বাচ্চাদের একসঙ্গে না বসিয়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে বসায় স্টেশনের বিভিন্ন জায়গায়৷ তবে পাচারকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবার আগে ঘর পালানো বাচ্চাদের আটকানোর সবথেকে ভালো উপায় বাড়িতে পুরুষদের মদের নেশা দূর করা৷ এর থেকেই শুরু সাংসারিক অশান্তি৷''
নতুন দিল্লির ডিস্কোয় নারী দ্বাররক্ষী
ভারতের এক মুসলিম পরিবারের মেয়ে নাইট ক্লাবের গেটে ‘বাউন্সার’-এর কাজ করছেন, এ ভাবাই যায় না৷ কিন্তু মেহরুন্নিসা শওকত আলির পেশাই হলো তাই৷
ছবি: Reuters/A. Abidi
দ্য নাইট ইজ ইয়ং
‘সোশ্যাল’ রেস্টুরেন্টটি যখন সন্ধ্যায় ভোল পালটে একটি নাইট ক্লাবে পরিণত হয়, তখন মেহরুন্নিসার কাজ শুরু হয়৷ হ্যান্ডব্যাগ চেক করা, মাদক বাজেয়াপ্ত করা, কে ঢুকবে বা না ঢুকবে, তা নির্দেশ করা৷ ৩০ বছর বয়সি মেহরুন্নিসা নতুন দিল্লির একটি নামকরা নাইট ক্লাবের বাউন্সার৷
ছবি: Reuters/A. Abidi
ড্যান্স থ্রু দ্য নাইট
হাউস খাস ভিলেজে যারা খানাপিনা, নাচগান করতে আসেন, তারা তরুণ, প্রাণোচ্ছ্ল ও – সবচেয়ে বড় কথা – স্বচ্ছল৷ কাজেই ‘সোশ্যাল’ নাইটক্লাবে গান ও নাচ চলে সারা রাত ধরে – গেটে নজর রাখেন মেহরুন্নিসা৷
ছবি: Reuters/A. Abidi
বক মধ্যে হংস যথা
পুরুষ অধ্যুষিত পেশাটিতে মেহরুন্নিসা নিজের জায়গা করে নিয়েছেন একটি বিশেষ কারণে৷ ‘‘আমরা মহিলা বাউন্সার নিয়োগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি, যাতে আমাদের মহিলা অতিথিরা স্বস্তি বোধ করেন,’’ বলেন ‘সোশ্যাল’-এর মালিক রিয়াজ আমলানি: ‘‘মেহরুন্নিসা এ কাজের জন্য দারুণ৷’’
ছবি: Reuters/A. Abidi
দুই বোন
রাত শেষ হলে মেহরুন্নিসা (ডানে) তাঁর ছোটবোন তরন্নুমকে নিয়ে ট্যাক্সি স্ট্যান্ডের দিকে যান৷ তরন্নুমও হাউসখাসের একটি নাইট ক্লাবে কাজ করেন৷ দু’জনে মিলে মাসে ৩০,০০০ রুপি রোজগার করেন৷
ছবি: Reuters/A. Abidi
রঙবাহার
দিনে দুই বোনকে দেখলে চিনতে পারা যাবে না, কেন এখন তাদের পরণে কাজের কালো পোশাক নেই, আছে রঙিন সালওয়ার-কামিজ৷ ঈদ-উল-ফিতরের বাজার করতে বেরিয়েছেন দু’জনে৷
ছবি: Reuters/A. Abidi
সংসার চালান এই দু’জন
আব্বার চাকরি যাবার পর থেকে মেহরুন্নিসা আর তরন্নুমের রোজগারে সংসার চলে: বাবা-মা, দুই বোন আর তাদের তিন ছেলেমেয়ে৷ ছোট্ট একটি এক কামরার বাসায় সকলের বাস৷
ছবি: Reuters/A. Abidi
বাবা-মায়ের দোয়া শুধু নয়, বিশ্বাস
পরিবারের সকলে যে গোড়ায় মেহরুন্নিসার নতুন পেশা ও চাকরিতে সুখি ছিলেন, এমন নয় – জানালেন মেহরুন্নিসা৷ তাঁর ভাই আজও মাঝেমধ্যে জিগ্যেস করেন, মেহরুন্নিসার কাজের ধরনটা ঠিক কী৷ তবে মেহরুন্নিসা আর তাতে গা করেন না, ‘‘কেননা আমার আব্বা আর আম্মা আমাকে বিশ্বাস করেন, আমার ওপর আস্থা রাখেন৷’’
ছবি: Reuters/A. Abidi
আম্মা
মেহপুন্নিসার মায়ের জেদেই একসময় দুই বোন ইস্কুলে যেতে পেরেছিল – যদিও আব্বা তার বিশেষ প্রয়োজন দেখেননি৷
ছবি: Reuters/A. Abidi
অনেক বাধা পার হয়ে
মেহরুন্নিসা যেমন অনেক পুরনো আচার-আচরণ ও প্রথা ভঙ্গ করেছেন, তেমনই তিনি তাঁর ধর্মকে ধরে রেখেছেন৷
ছবি: Reuters/A. Abidi
শক্ত থাকো, ফিট থাকো
জিমে ওয়ার্কআউট করার সময় প্রায়শই দেখা যায় যে, মেহরুন্নিসা ও তার বোন এখানে একমাত্র মহিলা৷ তবুও তারা প্রায় প্রতিদিন জিমে আসেন – নাইটক্লাবের যে সব অতিথি একটু বেশি পান করে ফেলেছেন, তাদের বার করে দেবার মতো শক্তি থাকা চাই৷ এছাড়া মহিলা অতিথিদের সুরক্ষার জন্যও বলপ্রয়োগের প্রয়োজন পড়তে পারে৷
ছবি: Reuters/A. Abidi
কিছুটা গর্বিত বৈকি
অতিথিরা মেহরুন্নিসাকে পছন্দ করেন৷ বিশেষ করে কমবয়সি মেয়েরা তার ভক্ত, কেননা মেহরুন্নিসা কাছাকাছি থাকলে তারা নিজেদের নিরাপদ বোধ করে৷ বাউন্সারের কাজ খুব সহজ নয়, মেহরুন্নিসা সেটা জানেন: ‘‘তবুও আমি যা করি, সে ব্যাপারে আমি গর্বিত৷’’