1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ভারতে অসহিষ্ণুতা

সাক্ষাৎকার: শামিল শামস/এসি৬ ডিসেম্বর ২০১৫

নরেন্দ্র মোদী প্রধানমন্ত্রী হবার পর থেকে ভরতে ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক অসহিষ্ণুতা বেড়ে চলেছে৷ লন্ডন স্কুল অফ ইকনমিক্সের শকুন্তলা বানাজি ব্যাপারটাকে দেখেন অর্থনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে৷

Sethusamudram Projekt. Proteste Indien
ছবি: AP

ডিডাব্লিউ: ভারত কি সত্যিই আরো অসহিষ্ণু হয়ে উঠছে, নাকি পুরোটাই একটা মিডিয়া হাইপ?

শকুন্তলা বানাজি: এটা সত্যি যে, দঙ্গল বেঁধে মারা, অনলাইন ও অফলাইন প্রতিহিংসা, অসহিষ্ণু, আগ্রাসী আচরণের প্রতি প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সমর্থন ইত্যাদির ঘটনা গত এক বছরে খুব বেড়েছে৷

ভারত জুড়ে যে সব সংঘাত ও নিপীড়ন চলেছে, তার কারণ সামাজিক এবং অর্থনৈতিক: শকুন্তলা বানাজিছবি: Privat

ভারতে অসহিষ্ণুতা সম্পর্কে দেশি ও বিদেশি মিডিয়ায় কী ধরনের বিবরণ দেওয়া হচ্ছে?

ভারতীয় অথবা ইংরেজি ভাষায় ভারতের মেইনস্ট্রিম মিডিয়া একটা বড় ভূমিকা নিয়েছে৷ অনেক মিডিয়া আউটলেট অসহিষ্ণু আচার-আচরণে বিশেষভাবে সম্পৃক্ত, বিশেষ করে সেই সব সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে যারা ‘‘এনকাউন্টার কিলিং'', নির্মমতা, দাঙ্গা ও দুর্নীতির প্ররোচনা ইত্যাদির ক্ষেত্রে নির্দেশ কোথা থেকে এসেছে অথবা কে দিয়েছে, এই সব নিয়ে অনুসন্ধান করছেন৷ এই সব ইস্যুকে ‘হাইপ' না দিয়ে, সে বিষয়ে আলোচনাকে ধামাচাপা দেওয়া হচ্ছে ‘‘বিদেশে ভারতের ভাবমূর্তির'' দোহাই দিয়ে৷ যে সব সাংবাদিক সমালোচনা করেন অথবা নিজেদের সততা বজায় রাখেন, তাদের ছাঁটাই করা হয়, অথবা মালিক ও সম্পাদকরা তাদের উপর প্রচণ্ড চাপ সৃষ্টি করেন৷

ভারতে অনৈক্য কি একটি সামাজিক সমস্যা, নাকি তার অন্যান্য অর্থনৈতিক কারণও আছে?

ভারত জুড়ে যে সব সংঘাত ও নিপীড়ন চলেছে, তার কারণ সামাজিক এবং অর্থনৈতিক৷ গ্রামাঞ্চল ও শহরাঞ্চল মিলিয়ে প্রায় ৫০ কোটি মানুষের জন্য বুনিয়াদি অর্থনৈতিক ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে না পারা; আরো ৩০ কোটি মানুষকে এমন চরম দারিদ্র্য ও অধিকারহীনতায় রেখে দেওয়া যে, অনন্ত শ্রম, এমনকি শিশুশ্রম দিয়েও দু'বেলা পেট ভরানো সম্ভব হয় না – এটা শুধু কোনো একক সরকারের ব্যর্থতা নয়, এটা বিগত কয়েক দশক ধরে একের পর এক সরকারের ব্যর্থতা – সেই সঙ্গে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক অর্থ সংস্থার দায়িত্ব, যারা অর্থনৈতিক কাঠামো বদলের শর্ত দিয়ে এসেছে, বেসরকারি মালিকানা বাড়ানোর তাগিদ দিয়ে এসেছে৷

...(অপরদিকে) ‘‘মেক ইন ইন্ডিয়া''-র মতো বিভিন্ন অভিযান (অসহিষ্ণু আচরণকে) জাতীয়তাবাদ ও দেশপ্রেমের নামান্তর হিসেবে এক ধরনের বৈধতা দিয়েছে, বিশেষ করে মধ্যবিত্ত শ্রেণির কাছে, যারা বিজেপি ও মোদীকে সমর্থন করে থাকে৷....কাজেই গরিবির উল্লেখ করাটাই জাতীয়তা-বিরোধী; যারা আদিবাসীদের জমি নিয়ে দেশি কিংবা বিদেশি বিনিয়োগকারীদের দেয়, তারাই হলো দেশপ্রেমী!

ভারতে অসহিষ্ণুতা বৃদ্ধির কারণ পাকিস্তানে ইসলামি জঙ্গিবাদের উত্থান, এ কথা বলা কি ঠিক?

না, আমি ঐ বিশ্লেষকদের সঙ্গে একমত নই৷....পাকিস্তানে ইসলামি জঙ্গিবাদের উত্থান ঘটেছে একটা সম্পূর্ণ আলাদা ভূরাজনৈতিক আঙ্গিকে, এবং তার ফলে সরলমনা আন্তর্জাতিক মিডিয়া ভারতে হিন্দুত্ববাদী জঙ্গিবাদের উত্থান ও তার ফলশ্রুতি সম্যক উপলব্ধি করতে পারেনি৷

শকুন্তলা বানাজি লন্ডন স্কুল অফ ইকনমিক্সের ডিপার্টমেন্ট অফ মিডিয়া অ্যান্ড কমিউনিকেশনস-এর লেকচারার৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ