আদানি বন্দরের বিরোধিতাকারী ও পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষে আহত ৮০
২৮ নভেম্বর ২০২২কয়েক বাস যাবত গ্রামবাসীরা এই বন্দর নির্মাণের বিরোধিতা করে আসছিল৷ নির্মাণ কাজে বাধা প্রদান করলে এই সংঘর্ষ হয়৷
গ্রামবাসীরা, যাদের অধিকাংশই খ্রিস্টান জেলে, অভিযোগ করে আসছে যে, এই বন্দর নির্মাণের ফলে উপকূলে ভাঙন শুরু হয়েছে, ফলে তাদের জীবন জীবিকা ব্যাহত হচ্ছে৷
গ্রামবাসীদের বাধা ও বিক্ষোভ গৌতম আদানির জন্য বড় চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে৷ তার ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান সেখানে একটি বন্দরসহ লজিস্টিক কোম্পানি নির্মাণের জন্য ২৩ বিলিয়ন ডলার খরচ করছে৷ কিন্তু গ্রামবাসীদের প্রতিবাদ ও বিরোধিতার কারণে কয়েকমাস ধরে নির্মাণ কাজ বন্ধ রয়েছে৷ তারা নির্মাণকর্মীদের ও নির্মাণ সামগ্রী বহনকারী যান নির্মাণস্থলে ঢুকতে বাধা প্রদান করছে৷
নির্মাণ কাজ শুরু করা সংক্রান্ত কেরালার প্রাদেশিক আদালতের আদেশ উপেক্ষা করে নির্মাণ কাজে বাধা প্রদান অব্যাহত রাখলে পুলিশ বেশ কয়েকজন গ্রামবাসীকে আটক করে৷
পুলিশের নথি ও স্থানীয় টেলিভিশনের খবরে জানা গেছে, এর প্রতিবাদে শত শত মানুষ কয়েকজন রোমান ক্যাথলিক যাজকের নেতৃত্ব স্থানীয় থানা অভিমুখে যাত্রা করে৷ তারা পুলিশের সাথে সংঘর্ষে লিপ্ত হয় এবং কয়েকটি গাড়ি ভাংচুর করে৷
পুলিশ কর্মকর্তা এম আর অজিত কুমার জানান, ৩৬ পুলিশ কর্মকর্তা এই সংঘর্ষে আহত হয়৷ অন্যদিকে, বিক্ষোভকারীদের নেতা জোসেফ জনসন বলেন, তাদের কমপক্ষে ৩৬ জন আহত হয়েছে৷
ভারতে দক্ষিণপ্রান্তে নির্মাণাধীন এই বন্দরের মাধ্যমে বর্তমানে বিশ্বের তৃতীয় শীর্ষ ধনী গৌতম আদানি দক্ষিণ-পশ্চিমের লাভজনক ব্যবসার রুট কব্জা করে বিশ্বব্যাপী ব্যবসাকে আরও নাগালের মধ্যে আনতে চান৷
একেএ/জেডএইচ (রয়টার্স)