ভারতের কৈলাশ সত্যার্থীকে দেওয়া ২০১৪ সালের নোবেল শান্তি পুরস্কার৷ দক্ষিণ দিল্লির বাসভবন থেকে গত মঙ্গলবার খোয়া গেল সেই নোবেল পদকটি৷ তবে বাঁচোয়া, এটি আসল নয়, নকল৷ আসলের প্রতিরুপ৷ আসলটি রাখা আছে রাষ্ট্রপতি ভবনের সংগ্রহালয়ে৷
বিজ্ঞাপন
খবরটা শুনে সবাই চমকে উঠেছিল৷ রবীন্দ্রনাথের নোবেল সাহিত্য পুরস্কারের মতোই কি চুরি গেল ভারতের আরও একটি নোবেল পদক? এবারে চুরি যাওয়া নোবেল শান্তি পদকটি ‘বাচপান বাঁচাও আন্দোলন' নামে শিশু অধিকার রক্ষা এজিও'র প্রাণপুরুষ, সমাজকর্মী কৈলাশ সত্যার্থীকে দেওয়া হয় ২০০১৪ সালে পাকিস্তানি কিশোরী ইউসুফজাই-এর সঙ্গে যৌথভাবে৷ চুরি যায় মঙ্গলবার ভোর রাতে সত্যার্থীর দক্ষিণ দিল্লির মধ্যবিত্ত কলোনি কালকাজীর বাসভবন থেকে৷ সত্যার্থীর বাসভবনটি কিছুদিন তালাবন্ধ ছিল৷ কারণ, তখন ঘটনাচক্রে তিনি সস্ত্রীক বোগোটায় গিয়েছিলেন নোবেল শান্তি পুরস্কার নিয়ে এক আন্তর্জাতিক আলোচনাচক্রে যোগ দিতে৷ পানামা হয়ে তাঁর দিল্লি ফেরার কথা শনিবার৷ জাতির সম্মান এই নোবেল পুরস্কার চুরি যাওয়ার আঘাত সামলানো গেল যখন পুলিশি তদন্তে এবং সত্যার্থীর নিজস্ব বয়ানে জানা গেল যে, নোবেল পদকটি আসল নয়, তার প্রতিরূপ৷ আসল নোবেল পদকটি জাতির নামে উত্সর্গ করে কৈলাশ সত্যার্থী রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ের হাতে তুলে দিলে তিনি সেটিকে রাষ্ট্রপতি ভবনের মিউজিয়ামে রেখে দেন৷ বেলার দিকে সেটা শুনে সবাই স্বস্তি পায়৷
শান্তিতে নোবেল জয়ী জুড়ি – মালালা এবং সত্যার্থী
সবচেয়ে কম বয়সে নোবেল জয় করেছেন মালালা ইউসুফজাই৷ তবে তিনি একা নন, ২০১৪ সালের নোবেল পুরস্কারটি যৌথভাবে তাঁকে এবং ভারতের কৈলাশ সত্যার্থী৷ এই নিয়ে আমাদের ছবিঘর৷
ছবি: Getty Images/AFP
শান্তিতে নোবেল জয়ী মালালা, কৈলাশ
২০১৪ সালে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার জয় করেছেন পাকিস্তানের মালালা ইউসুফজাই এবং ভারতের কৈলাস সত্যার্থী৷ নারী অধিকার নিয়ে গোটা বিশ্বের সোচ্চার মালালা ২০১২ সালে তালেবান জঙ্গিদের হামলায় গুরুতর আহত হন৷ মূলত এরপরই আলোচনায় আসেন তিনি৷ অন্যদিকে কৈলাস শিশু অধিকার অ্যাক্টিভিস্ট৷
ছবি: Reuters/Getty Images
সবচেয়ে কম বয়সি মালালা
এখন অবধি নোবেল জয়ীদের মধ্যে সবচেয়ে কম বয়সি হচ্ছেন মালালা ইউসুফজাই৷ শুক্রবার নোবেল কমিটি যখন তাঁর নাম ঘোষণা করে, তখন তিনি ছিলেন লন্ডনের একটি স্কুলে৷ তাঁর বয়স ১৭ বছর৷ এর আগে ১৯১৫ সালে ২৫ বছর বয়সে পদার্থবিদ্যায় নোবেল জিতেছিলেন স্যার উইলিয়াম লওরেন্স ব্রেগ৷
ছবি: Reuters/L. MacGregor
প্রত্যাশা, প্রাপ্তি
বলাবাহুল্য, মালালার নোবেল জয়ের বিষয়টি অনেকেই প্রত্যাশা করছিলেন৷ বিশেষ করে গতবছর তিনি শান্তিতে নোবেল জয় করবেন বলে ধরে নিয়েছিলেন অনেকেই৷ তবে গতবছর শান্তিতে নোবেল জয় করে ‘অর্গানাইজেশন ফর দ্য প্রহিবিশন অফ কেমিকাল উইপনস৷’
ছবি: picture-alliance/AP Photo/S. Walsh
ফ্রিডম পুরস্কারে ভূষিত মালালা
মালালা ইউসুফজাই ইতোমধ্যে বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক পুরস্কার পেয়েছেন৷ ২০১৩ সালে ইউরোপীয় পার্লামেন্টের ‘সাখারভ প্রাইজ ফর ফ্রিডম অফ থট’ পুরস্কারে ভূষিত হন তিনি৷
ছবি: Reuters
‘সবচেয়ে প্রভাবশালীর’ তালিকায় মালালা
২০১৩ সালে টাইম ম্যাগাজিনে প্রকাশিত বিশ্বের ১০০ সবচেয়ে প্রভাবশালী ব্যক্তির তালিকায় রয়েছেন মালালা ইউসুফজাই৷ এর আগে ২০১২ সালের ডিসেম্বরে শান্তি এবং মানবিক কর্মকাণ্ড বিষয়ক ‘রোম প্রাইজ’ জয় করেন তিনি৷
ছবি: Reuters
পাকিস্তান সরকারের অভিনন্দন
শান্তিতে নোবেল জয়ের খবর প্রকাশের পর মালালাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নেওয়াজ শরিফ৷ দেশটির একমাত্র শান্তিতে নোবেল জয়ী মালালা৷
ছবি: picture-alliance/dpa
পাকিস্তানে সমালোচিত মালালা
প্রসঙ্গত, নারী শিক্ষা এবং নারী অধিকার নিয়ে সোচ্চার মালালা বিশ্বজুড়ে সুখ্যাতি অর্জন করছেন৷ তবে নিজের দেশে সমালোচিত তিনি৷ পাকিস্তানের অনেকে মনে করেন, মালালাকে নিয়ে বাড়াবাড়ি করা হচ্ছে৷
ছবি: Getty Images
নিষিদ্ধ মালালার বই
এমনকি পাকিস্তানের কিছু স্কুলে মালালার লেখা বই ‘আই অ্যাম মালালা’ নিষিদ্ধ করা হয়েছে৷ বেসরকারি স্কুলগুলোর একটি সংগঠন দাবি করেছে, বইটি তরুণ শিক্ষার্থীদের নীতিভ্রষ্ট করতে পারে৷
ছবি: Andrew Cowie/AFP/Getty Images
‘সংগ্রামের স্বীকৃতি’
এদিকে মালালার সঙ্গে নোবেলজয়ী কৈলাশ সত্যার্থী তাঁর প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন, শিশুদের অধিকার নিয়ে আমাদের লড়াইয়ের স্বীকৃতি এই পুরস্কার৷ ৬০ বছর বয়সি কৈলাশ নোবেল কমিটিকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন৷
ছবি: Ravi Raveendran/AFP/Getty Images
দক্ষিণ এশিয়ার শান্তিতে নোবেল জয়ীরা
উল্লেখ্য, এর আগে ২০০৬ সালে যৌথভাবে শান্তিতে নোবেল জয় করেন বাংলাদেশের অর্থনীতিবিদ মুহাম্মদ ইউনূস এবং গ্রামীণ ব্যাংক৷ আর দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম শান্তিতে নোবেল জয়ী হচ্ছেন মিয়ানমারের গণতন্ত্রের মানসকন্যা অং সান সু চি৷
ছবি: Getty Images/AFP
10 ছবি1 | 10
কিভাবে চুরি গেল? পুলিশের ধারণা, চোরেরা কয়েকদিন ধরে ঐ বাড়িটির দিকে নজর রাখছিল৷ যখন বুঝতে পারে, নোবেলজয়ী দিল্লিতে নেই, তখন জানালার শিক ভেঙে চোরেরা ঘরে ঢোকে এবং লোহার রড ও হাতুড়ি দিয়ে লকার ভেঙ্গে ঘর লন্ডভন্ড করে সব দামি দামি জিনিষপত্র নিয়ে পালায়৷ তার মধ্যে নোবেল শান্তি পদক ছাড়াও ছিল দেশবিদেশ থেকে পাওয়া সোনা রুপোর অনেক নামি দামি স্মারক, শাল, উত্তরীয় এবং অঙ্গবস্র৷ প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ নিশ্চিত হতে পারছে না যে, ডাকাতি করতেই চোরেরা ঢুকেছিল নাকি নোবেল পদকটির দিকেই তাঁদের নজর ছিল৷ কারণ, নোবেল পদকটি সোনার৷ গয়না হিসেবেও তার বাজার দাম যথেষ্ট৷ দিল্লি অপরাধ শাখা এবং ফরেনসিক বিশেষজ্ঞদের নিয়ে গঠিত ছয়টি দল তদন্তে নেমে পড়েছে৷ পুলিশ সিসিটিভি ফুটেজ পরীক্ষা করছে এবং ঐ এলাকায় নিজেদের গোপন ইনফর্মারদের সঙ্গে যোগাযোগ করছে৷ পুলিশের মতে, এটা পেশাদার চোরেদের কাজ৷ সত্যার্থীর বাসভবন এক হাউজিং সোসাইটিতে৷ সেখানে নিরাপত্তা রক্ষী থাকে৷ তবে তালা ভাঙ্গার সময় রক্ষীরা সম্ভবত ঘুমিয়ে পড়েছিল৷
ভারতে নোবেল পদক চুরি যাবার এটি দ্বিতীয় ঘটনা৷ ২০০৪ সালের ২৫শে মার্চ শান্তিনিকেতনে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের মিউজিয়াম থেকে রবীন্দ্রনাথের নোবেল পদকসহ খোয়া যায় ৪০টি মূল্যবান সামগ্রী৷ রাজ্যের গোয়েন্দা পুলিশ তদন্তে নেমে চুরির কোনো কিনারা করতে পারেনি, তারপর সেটি যায় পশ্চিমবঙ্গ বিশেষ পুলিশ টিমের হাতে৷ সন্দেহভাজন একজনকে গ্রেপ্তার করা হয় গত বছর৷
নোবেল বিজয়ীদের সান্নিধ্যে তিন বাংলাদেশি
জার্মানির দক্ষিণের দ্বীপ শহর লিন্ডাউ-এ ৩০ জুন থেকে বসেছে নোবেল বিজয়ীদের মেলা৷ তাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন বাংলাদেশের তিনজন সহ ৮০টি দেশের প্রায় সাড়ে ছয়শো তরুণ বিজ্ঞানী৷
ছবি: DW/M. Haque
৬৩ তম লিন্ডাউ সম্মেলন
জার্মানির দক্ষিণের ছোট্ট দ্বীপ লিন্ডাউ থেকে একদিকে অস্ট্রিয়া, আরেকদিকে সুইজারল্যান্ড দেখা যায়৷ অপরূপ সুন্দর এই শহরে সারা বিশ্ব থেকে আসা প্রায় সাড়ে তিনশো তরুণ বিজ্ঞানী আড্ডা দিচ্ছেন নোবেল পাওয়া ৩৪ বিজ্ঞানীর সঙ্গে৷ প্রতি বছর লিন্ডাউ-তে নোবেল বিজয়ীদের সঙ্গে তরুণদের এমন সাক্ষাতের ব্যবস্থা করা হয়৷ এবার তার ৬৩তম পর্ব৷ আর এবার এসেছেন রসায়নে নোবেল প্রাপ্ত বিজ্ঞানীরা৷
প্যানেল আলোচনা
৩০ জুন, ২০১৩’তে শুরু হওয়া লিন্ডাউ সম্মেলনে প্রতিদিনই নোবেল বিজয়ীরা বিভিন্ন বিষয়ের উপর লেকচার দিচ্ছেন৷ সেই সঙ্গে শুনছেন তরুণদের কথা৷ বিনিময় করছেন তাঁদের অভিজ্ঞতালব্ধ জ্ঞান৷ সম্মেলন চলবে ৫ জুলাই পর্যন্ত৷
ছবি: Rolf Schultes
বিশেষজ্ঞ বক্তব্য
ফ্রান্সের এই রসায়নবিদ জ্যঁ-মারি লেন ১৯৮৭ সালে নোবেল জয় করেন৷ লিন্ডাউ সম্মেলনে তিনি তরুণদের তাঁর অভিজ্ঞতার কথা শুনিয়েছেন৷
ছবি: Rolf Schultes
নোবেল বিজয়ী যখন বন্ধু
ছবিতে একজন নোবেলজয়ীকে কয়েক তরুণের সঙ্গে খাবার টেবিলে আলোচনা করতে দেখা যাচ্ছে৷ এর ফলে আরও অন্তরঙ্গভাবে গুণী বিজ্ঞানীদের সঙ্গে মিশতে পারছেন তরুণ গবেষকরা৷
ছবি: Rolf Schultes
নিজেদের মধ্যেও আলোচনা
সারা বিশ্ব থেকে আসা তরুণ বিজ্ঞানীরা যে শুধু জ্ঞানী-গুণীদের কথা শুনছেন তাই নয়৷ তারা নিজেদের মধ্যেও যার যার গবেষণা নিয়ে নিজেদের অভিজ্ঞতা শেয়ার করছেন৷
ছবি: Rolf Schultes
মনোযোগী শ্রোতা
লিন্ডাউ সম্মেলনের প্রতিটি পর্বই দারুণ গুরুত্ব দিয়ে উপভোগ করছেন অংশগ্রহণকারীরা৷ কেননা অল্প বয়সে এতজন নোবেল বিজয়ীর কথা শুনতে পারাটা তাদের জন্য যেমন এক পরম পাওয়া, তেমনি উৎসাহমূলকও৷
ছবি: Rolf Schultes
বাদ নেই বিনোদনও
লিন্ডাউ সম্মেলনে যে শুধু গুরুগম্ভীর বিষয় নিয়েই আলোচনা হচ্ছে তা নয়৷ অংশগ্রহণকারীদের উজ্জীবিত রাখতে ও তাদের মনে প্রাণের সঞ্চার জাগাতে আয়োজন করা হচ্ছে বিভিন্ন বিনোদনমূলক অনুষ্ঠানও৷
ছবি: Christian Flemming
লিন্ডাউ-তে বাংলাদেশ
বেশ কয়েকবছর ধরে বাংলাদেশের তরুণ বিজ্ঞানীরাও অংশ নিচ্ছেন লিন্ডাউ সম্মেলনে৷ এবার এসেছেন তিনজন৷ এর মধ্যে একজন ড. আবু বিন ইমরান৷ তিনি বুয়েটের একজন সহকারী অধ্যাপক৷ জাপানে পিএইচডি করার সময় তিনি এক বিশেষ ধরনের জেল উদ্ভাবন করেন, যেটা রোগ নির্ণয় ও হাড়ের তরুণাস্থি চিকিৎসায় সহায়তা করতে পারবে৷
ছবি: DW/M. Haque
চিংড়ির খোসা দিয়ে চর্বি কমানো!
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফলিত রসায়ন বিষয়ে পড়াশোনা করা তসলিম উর রশিদ এর গবেষণার বিষয় চিংড়ির খোসা৷ তিনি খোসায় থাকা এক ধরনের রাসায়নিক পদার্থ থেকে এমন একটি বিষয় উদ্ভাবনের চেষ্টা করছেন যেটা চর্বি জাতীয় খাবার খেলেও তার ক্ষতির পরিমাণটা কমাতে সহায়তা করবে৷
ছবি: DW/M. Haque
পিতামাতার পরিচয় খোঁজা আরও সহজ হবে
মো. নুরুজ্জামান খান হীরা বর্তমানে জার্মানির হাইডেলব্যার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণারত আছেন৷ তাঁর গবেষণার বিষয় বায়োলজিক্যাল চিপ, যেটা দিয়ে রোগ নির্ণয় সহ আরও অনেক কাজ সহজ ও কম খরচে করা যাবে৷
ছবি: DW/M. Haque
10 ছবি1 | 10
১৯১৩ সালে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পান রবীন্দ্রনাথ৷ পরে নোবেল ফাউন্ডেশন ২০০৫ সালে বিশ্ববিদ্য়ালয়কে নোবেল পদকের দুটি প্রতিরূপ উপহার দেয়৷ নোবেল পদক চুরি শুধু ভারতেই নয়, বিশ্বের অন্য অনেক দেশেই হয়েছে৷ তার মধ্যে কিছু উদ্ধার হয়েছে৷ কিছু হয়নি৷ যেমন, দক্ষিণ আফ্রিকার আর্চবিশপ ডেসমন্ড টুটুর নোবেল পদক চুরি যাবার ৩৬ ঘন্টার মধ্যেই তা উদ্ধার করা হয়৷ টুটু বর্ণবিদ্বেষের বিরুদ্ধে লড়াই করার স্বীকৃতি হিসেবে ১৯৮৪ সালে নোবেল শান্তি পুরস্কার পান৷ ফিলিস্তিনি নেতা ইয়াসের আরাফাতের পুরস্কারটি গাজা শহরের বাসভবন থেকে লুঠ করে তাঁর বিরুদ্ধবাদী সংগঠন হামাস৷ কিন্তু পরে তারা ফেরত দিয়ে দেয়৷ রবীন্দ্রনাথের নোবেল পদক আজও উদ্ধার করা যায়নি৷ যদিও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় জোরগলায় বলেছিলেন, রবীন্দ্রনাথের নোবেল পদক শিগগিরই উদ্ধার করা সম্ভব হবে৷