1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ভারতের আসন্ন নির্বাচন

অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুন দিল্লি২৩ অক্টোবর ২০১৩

ভারতে ২০১৪ সালের সংসদীয় নির্বাচনের ফলাফল কী হবে, সে বিষয়ে এক সমীক্ষা চালিয়ে দেখা গেছে একক বৃহত্তম দল হিসেবে বিজেপির উঠে আসার সম্ভাবনা বেশি৷ তবে সরকার গঠন করতে আঞ্চলিক দলগুলির সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধতে হবে৷

ছবি: AP

ভোটারদের মধ্যে প্রাক-নির্বাচনি সমীক্ষা চালিয়ে দেখা গেছে যে, ২০১৪ সালের মে মাসে সংসদীয় নির্বাচনের ফলাফলে একক বৃহত্তম দল হিসেবে উঠে আসতে পারে ভারতীয় জনতা পার্টি বা বিজেপি৷ সংসদের নিম্নসভা লোকসভার মোট ৫৪৩টি আসনের মধ্যে কংগ্রেসের চেয়ে অনেকটাই এগিয়ে থাকতে পারে বিজেপি৷ পেতে পারে ১৬২টি আসন আর কংগ্রেস পেতে পারে ১০২টি আসন৷ নিজের শক্তিতে সরকার গড়ার ম্যাজিক সংখ্যা ২৭২-এর চেয়ে অনেক কম৷ বিজেপি নেতৃত্বাধীন জোট পেতে পারে ১৮৬টি আসন৷ কংগ্রেস-নেতৃত্বাধীন জোট পাবে মাত্র ১১৭টি আসন৷

পাটিগণিতের হিসেবে বিজেপি-জোট এবং কংগ্রেস-জোটের মোট আসনের মোট যোগফল ৩০৩ হলে, ২৪০টি আসন থাকছে আঞ্চলিক দলগুলির ঝুলিতে৷ তার মধ্যে কয়েকটি দলের কংগ্রেস বা বিজেপির সঙ্গে ঠিক খাপ খাবে না৷ যেমন তৃণমূল কংগ্রেস, বামফ্রন্ট বা সমাজবাদি পার্টি বা বহুজন সমাজ পার্টি৷ ফলে সরকার গড়তে যথেষ্ট বেগ পেতে হবে বলে মনে করছেন সমীক্ষকরা৷৷

সরকার গড়তে নির্ভর করতে হবে আঞ্চলিক দলগুলির ওপর৷ অর্থাৎ, সরকার গড়ার আসল চাবিকাঠি থাকবে আঞ্চলিক দলগুলির কাছে, তাই বিজেপি হোক বা কংগ্রেস হোক হাত পাততে হবে আঞ্চলিক দলগুলির কাছে৷ সমীক্ষালব্ধ পূর্বাভাষে বলা হয়েছে, আঞ্চলিক দলগুলির মধ্যে ৩২টি আসন পেয়ে এগিয়ে থাকবে বামফ্রন্ট৷ তারপর বিএসপি ৩১টি, জয়ললিতার এআইএডিএমকে ২৮টি, এসপি ২৫টি এবং তৃণমূল ২৩টি করে আসন পেতে পারে৷ বিজেপি-জোট ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়ায় বিহারের নীতীশ কুমারের জেডি (ইউ) পার্টি জবরদস্ত ধাক্কা খাবে৷ ২০০৯ সালে যেখানে পেয়েছিল ২০টি আসন ২০১৪ সালে ভোটে পাবে মাত্র নয়টি আসন৷

নরেন্দ্র মোদীছবি: Sam Panthaky/AFP/Getty Images

নির্বাচনি প্রচার এখন চলেছে জোরকদমে৷ বিজেপির প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী নরেন্দ্র মোদীকে সামনে রেখে প্রচার অভিযানে কোনো খামতি রাখছে না বিজেপি নেতৃত্ব৷ উত্তরপ্রদেশ বিজেপির জিওন কাঠি৷ গত সপ্তাহে উত্তরপ্রদেশে নির্বাচনি সভায় মোদীর ভাষণে হিন্দুত্ববাদের নামগন্ধ ছিল না৷ বলেছেন, হিন্দুত্বাদ নিয়ে ভোটের রাজনীতি ঢের হয়েছে৷ এখন চাই উন্নয়ন৷ স্রেফ উন্নয়ন আর সুশাসন যেটা কংগ্রেস সরকার দিতে পারেনি৷ এটা মোদীর নিজস্ব ভোট-কৌশল৷ কারণ বিজেপি বা সংঘপরিবার হিন্দুত্ববাদকে সরিয়ে রাখতে পারে না৷ নেপথ্যে তারা নিজের মতো করে হিন্দুত্ববাদকে তুলে ধরার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে৷

তাহলে মোদী নয় কেন? মোদী দেশের প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী৷ তাঁকে হিন্দু-মুসলিম উভয়কে সঙ্গে নিয়ে চলতে হবে৷ আগামী ২৭শে অক্টোবর মোদী জনসভা করবেন বিহারে৷ প্রচার চালাবেন ‘‘হুংকার রথে'' চড়ে৷ ভিড় জমাতে ১১টি বিশেষ ট্রেন এবং ছয় হাজার বাসের ব্যবস্থা করা হয়েছে, জেডি (ইউ)-এর রাজত্বে বিজেপির উপস্থিতি জোরেসোরে তুলে ধরতে৷

অন্যদিকে কংগ্রেস আমজনতার মন জয়ে প্রচার চালাচ্ছে খাদ্য সুরক্ষা,সরকারের দেয়া ভরতুকির টাকা সরাসরি যাতে সমাজের গরিব লোকেরা পায়, তার ব্যবস্থা করার মতো ইস্যুগুলি তুলে ধরে গরিব বন্ধুদের কাছে টানতে৷ এখন আনতে চাইছে সাম্প্রদায়িক হিংসা বিরোধী বিল৷

পাঁচটি রাজ্য দিল্লি, রাজস্থান, মধ্য প্রদেশ, ছত্তিশগড় ও মিজোরাম বিধানসভার ভোট আগামী ১১ই নভেম্বর থেকে ৪ঠা ডিসেম্বর৷ দিল্লিতে শাসকদল কংগ্রেস এবং বিরোধী দল বিজেপির প্রচার এখন তুঙ্গে৷ বিজেপি জিতলে মুখ্যমন্ত্রীর দাবিদার কে হবেন, তা নিয়ে দলের মধ্যে কাজিয়া চলেছে গোয়েল বনাম হর্ষবর্ধনের মধ্যে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ