1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

দুর্নীতি বিরোধী বিল পাস হতে পারে

অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুন দিল্লি১৭ ডিসেম্বর ২০১৩

দুর্নীতি বিরোধী লোকপাল বিল ভারতীয় সংসদের চলতি শীতকালীন অধিবেশনে পাস হবার পথ অনেকটা মসৃণ৷ কারণ সরকার ও বিরোধীদল বিজেপি এক্ষেত্রে একমত হয়েছে৷ তবে সমাজবাদী পার্টি এখনো বিলের বিরোধিতায় অনড়৷

আম আদমি পার্টির প্রধান অরবিন্দ কেজরিওয়ালছবি: Reuters

সংসদের চলতি শীতকালীন অধিবেশনে লোকপাল বিল কী পাস হবে? প্রশ্নটা শোনা যাচ্ছে সংসদের ভেতরে, বাইরে ও সুশীল সমাজে৷ এই বিল পাস করাতে সরকার ও প্রধান বিরোধীপক্ষ হাত মেলানোর ফলে পথটা কার্যত অনেকটা মসৃণ হয়েছে৷ এমন কী বিনা আলোচনাতেই পাস করাতে রাজি হয়েছে বিজেপি৷ মুলায়েম সিং-এর সমাজবাদি পার্টি কিন্তু বিলের বিরোধিতায় অনড় রয়েছে৷ তারপরও সংসদের কাজকর্ম বিভিন্ন ইস্যুতে যেভাবে ব্যাহত হচ্ছে তাতে এই বিলের ভবিষ্যত নিয়ে সংশয়টা রয়েই গেছে৷ বলা হচ্ছে, না আঁচালে বিশ্বাস নেই৷ তবে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, দরকার হলে অধিবেশনের মেয়াদ বাড়ানো হবে৷

সুশীল সমাজের প্রতিনিধি হয়ে সমাজকর্মী আন্না হাজারে দুর্নীতি-বিরোধী জন লোকপাল বিল সংসদে পাস করাবার দাবিতে ২০১১ সালে বর্তমানে আম আদমি পার্টির প্রধান অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে পাশে নিয়ে অনশন ধর্মঘটে বসে গোটা দেশে বিপুল সাড়া জাগিয়েছিলেন৷ তারপর দিল্লির যমুনা নদী দিয়ে অনেক জল গড়িয়ে গেছে৷ কিন্তু কোনো রাজনৈতিক দল সে সময়ে এগিয়ে আসেনি সমর্থনের অঙ্গীকার নিয়ে৷ অবশেষে, নাগরিক সমাজের স্বত:স্ফুর্ত দাবিতে সংসদে আন্না হাজারের জন লোকপালের একটি সংশোধিত খসড়া সংসদের গত অধিবেশনে সংসদের নিম্নকক্ষ লোকসভায় পাস হবার পর সেটি পাঠানো হয় সংসদীয় কমিটিতে৷

সমাজকর্মী আন্না হাজারে দুর্নীতি-বিরোধী জন লোকপাল বিল সংসদে পাস করাবার দাবিতে ২০১১ সালে অনশন ধর্মঘটে বসে গোটা দেশে বিপুল সাড়া জাগিয়েছিলেন৷ছবি: AP

সংসদীয় কমিটি তাতে কিছু সংশোধন করেন৷ যেমন কোনো রাজ্য ইচ্ছা করলে লোকপাল কার্যকর করতে নাও পারে৷ পরিবর্তে লোকায়ুক্ত গঠন করতে পারে৷ লোকপালের সদস্যরা সরাসরি কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারবেন না৷ সরকারি আমলাদের বয়ান শোনার পরই সংশ্লিষ্ট আমলার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করা যাবে৷ তদন্ত চলাকালীন কোনো সিবিআই অফিসারকে বদলি করা যাবে না ইত্যাদি৷ তবু বিলটি ঝুলে থাকে সংসদের উচ্চকক্ষ রাজ্যসভায় সরকারের সংখ্যাগরিষ্ঠতা না থাকায়৷

এবার লোকপাল বিল নিয়ে আন্না হাজারে এবং তাঁর এককালীন শিষ্য কেজরিওয়ালের মতবিরোধ সামনে এসেছে৷ আন্না বিলের খসড়ায় সন্তুষ্ট হলেও কেজরিওয়াল তার বিপরীত৷ কেজরিওয়ালের মতে এই বিল পাস হলে সরকার না চাইলে কেউ জেলে যাবে না দুর্নীতির অপরাধে৷ কেন্দ্রীয় তদন্ত ব্যুরো সিবিআই থাকছে সরকারের প্রশাসনিক নিয়ন্ত্রণে৷ অন্যদিকে আন্নার মতে, লোকপাল যেসব অভিযোগের তদন্তভার সিবিআইকে দেবে তা নিয়ে সরকারের কাছে সিবিআইকে জবাবদিহি করতে হবে না৷ প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় এবং চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারিদের এই বিলের আওতায় আনা হয়েছে৷

প্রশ্ন হলো এই বিল পাসে এখন এতো তাড়া কেন কংগ্রেসের? সদ্য সমাপ্ত পাঁচটি রাজ্যের বিধানসভা ভোটে কংগ্রেসের ভরাডুবি হওয়াতে কংগ্রেসের প্রধানমন্ত্রী মুখ রাহুল গান্ধী দুর্নীতি ইস্যুতে দলের পিঠ বাঁচাতে এবং দলের ভাবমূর্তি ফিরিয়ে আনতে একমাত্র ঢাল করতে চাইছেন লোকপাল বিলকে৷ কারণ সামনে সংসদীয় নির্বাচন৷ দিল্লি ভোটে আম আদমি পার্টির প্রধান অরবিন্দ কেজরিওয়ালের সাফল্যের প্রেক্ষিতে সরকার সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিতে চাইছেন এই বিলকে, এমনটাই মনে করছে পর্যবেক্ষক মহল৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ