ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে কিডনি বেচাকেনার ব্যবসা চলছে৷ এর পেছনে আছে দালালদের এক সংগঠিত চক্র৷ প্রতিস্থাপনের জন্য কিডনির চাহিদা ও যোগানের মধ্যে বিস্তর ফারাকই এ ব্যবসা গজিয়ে ওঠার কারণ৷
বিজ্ঞাপন
প্রতিস্থাপনের জন্য ভারতে বছরে যেখানে দুই লাখেরও বেশি মানুষের নতুন কিডনির দরকার হয়, সেখানে পাওয়া যায় বড়জোর আট হাজারের মতো কিডনি৷ চাহিদা ও জোগানের মধ্যে ব্যবধান এত বেশি হওয়ায় কিডনি, লিভার হার্ট ও অন্যান্য অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের লাভজনক অবৈধ ব্যবসা ফুলে-ফেঁপে উঠছে৷ চলছে লাখ লাখ টাকার খেলা৷ কিডনি অপারেশনে সাধারণত খরচ পড়ে গড়ে ১৫ থেকে ২৫ লাখ টাকা৷ কিডনি পাচারকারীরা প্রত্যন্ত গ্রামে গ্রামে গিয়ে অতি গরিব পরিবার এবং দিন আনে দিন খায় এমন ‘অশিক্ষিত' লোকদের টার্গট করে৷ তাঁদের নানাভাবে মগজ ধোলাই করে৷ বোঝায়, মানুষের দুটো কিডনির একটা দিলে তাঁর কোনো ক্ষতি হয় না৷ কয়েকদিনের মধ্যে সে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে আসতে পারবে৷ অপারেশন হবে শহরের বড় বড় সব হাসপাতালে৷ এজন্য সে পেয়ে যাবে একসঙ্গে তিন-চার লাখ টাকা৷ লোভ সামলাতে পারে না বেচারা গরিব পরিবার, রাজি হয়ে যায়৷
কিডনি ভালো রাখার আটটি উপায়
কিডনি রক্ত ফিলটার করে, মূত্রের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করে, হর্মোন উৎপাদন করে৷ এই সব ক্ষেত্রে সমস্যা দেখা দিলে তার অর্থ, কিডনি ঠিকমতো কাজ করছে না৷ কিডনি ভালো রাখার পন্থাগুলো দেখা যাক৷
ছবি: Colourbox
সচল থাকুন! সক্রিয় থাকুন!
খেলাধুলা, হাঁটাচলা, এক্সারসাইজ হল ব্লাড প্রেসার কমিয়ে রাখার এবং ডায়াবেটিস রোখার শ্রেষ্ঠ পন্থা৷ ডায়াবেটিস থেকেই কিডনি’র সমস্যা দেখা দেয়৷ ডায়ালিসিস পেশেন্টদের ৩০ শতাংশ হল ডায়াবেটিসের রোগী৷
ছবি: Colourbox/Vincent Hazat/6PA/MAXPPP
ব্লাড সুগার চেক করান!
ব্লাড সুগারের লেভেল স্টেডি থাকা চাই৷ উচ্চ ব্লাড সুগার কিডনির ভেতরের ব্লাড ভেসেল’গুলোর ক্ষতি করে, ফলে ঠিকমতো রক্ত পরিশোধন হয় না৷ ব্লাড সুগার ঠিক থাকলে, কিডনিও ভালো থাকে৷
ছবি: Colourbox/E. Wodicka
ব্লাড প্রেসারের খেয়াল রাখুন!
উচ্চ রক্তচাপ কিডনি ফেইলিওর-এর দ্বিতীয় প্রধান কারণ৷ দীর্ঘমেয়াদে হাই ব্লাড প্রেসার ব্লাড ভেসেলগুলোর ক্ষতি করতে পারে৷ কিডনির কর্মক্ষমতা অক্ষত রাখার জন্য রক্তচাপ ১৪০/৯০-এর বেশি হলে চলবে না৷ রক্তচাপ কম রাখার জন্য দরকার পড়লে ওষুধ খেতে হবে৷
ছবি: Colourbox
স্বাস্থ্যকর খাবার খাবেন!
কথায় বলে ‘ব্যালেন্সড ডায়েট’, মানে ফলমূল, শাকসবজি, ফাইবার ইত্যাদি খেয়ে ওজন ঠিক রাখা প্রয়োজন৷ বেশি মোটা হওয়ার সঙ্গে রক্তের উচ্চচাপ এবং ডায়াবেটিস, উভয়েরই যোগ আছে৷ যতো কম সম্ভব লবণ খাওয়া উচিত, কেননা অতিরিক্ত পরিমাণ লবণ কিডনির ক্ষতি করে৷
ছবি: Colourbox
পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি খাবেন!
শরীর থেকে হানিকর পদার্থ ফিলটার করে বার করার জন্য কিডনির পানি লাগে৷ কাজেই দিনে দেড় থেকে দু’লিটার পানি খাওয়া উচিত৷ ক্রীড়াবিদদের আরো বেশি পানি লাগবে৷ ডায়ালিসিস-এর পেশেন্টদের অনেক কমেই কাজ চলে যায়৷
ছবি: Colourbox
ধূমপান ছাড়ুন!
ব্লাড ভেসেল-এর সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করে ধূমপান৷ এছাড়া সাধারণভাবেই ধূমপান স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর৷
ছবি: Colourbox
পেইনকিলার বেশিদিন নেবেন না!
বহুদিন ধরে ব্যথা কমানোর ওষুধ খেলে কিডনির ক্ষতি হয়৷ আগে থেকেই কিডনির ক্ষতি হয়ে থাকলে, বাজারে কেনা যায়, এমন পেইনকিলার নেওয়াটাও বিপজ্জনক হয়ে দাঁড়াতে পারে৷ সর্বক্ষেত্রেই ডাক্তারকে জিজ্ঞাসা করে দেখা ভালো৷
ছবি: Colourbox/J. Pavlinec
প্রতি বছর কিডনি চেক করান!
বিশেষ করে যাঁরা বেশি ঝুঁকিতে আছেন: যাঁদের বয়স ষাটের বেশি; যাঁদের ডায়াবেটিস কিংবা হাই ব্লাড প্রেসার আছে; যাঁদের মেদ বেশি অথবা যাঁদের পরিবারের কারুর কিডনি ফেইলিওর হয়েছে৷
ছবি: Colourbox
8 ছবি1 | 8
কিডনি প্রতিস্থাপনের জন্য ২০-২৫ লাখ টাকা খরচ করার মতো দেশে অনেক রোগী আছে৷ এছাড়া ইউরোপ, অ্যামেরিকা এবং মধ্যপ্রাচ্যের ধনী দেশগুলো থেকে আসেন অনেক শাঁসালো গ্রহীতা৷ এই তো গত বুধবার ভারতের দক্ষিণী রাজ্য তামিলনাড়ুতে জয়ললিতার এআইএডিএমকে দলের বিতর্কিত নেত্রী শশিকলার স্বামী নটরাজনের কিডনি ও লিভার প্রতিস্থাপন অপারেশন হয় চেন্নাই-এর এক বেসরকারি হাসপাতালে৷ অভিযোগ ওঠে, অন্য শহর থেকে এক ব্যক্তিকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে উড়িয়ে আনা হয় এবং হাসপাতালে তাঁকে ব্রেন-ডেড ঘোষণা করা হয়৷ তাঁর অঙ্গ কিভাবে দান করা হয় এবং কত টাকা খরচ করা হয়, দাতার পরিবারকে কত টাকা দেওয়া হয় এইসব বিষয়ে তদন্তের দাবি জানায় রাজ্যের বিজেপি সভাপতি৷ অভিযোগ ওঠে, অনেক বেসরকারি হাসপাতাল বাণিজ্যিকভাবে এটা করে৷ সরকারি হাসপাতালগুলিতে এই অঙ্গ প্রতিস্থাপন অপারেশন সাধারণত হয় না বললেই চলে৷ কেন ? কারণ, সেখানে ব্যবসাটা ঠিকমতো জমে না, তাই৷
প্রতিস্থাপনের জন্য কিডনি বা অঙ্গ পাচার রোধে কঠোর আইন রয়েছে ভারতে৷ সেই আইনের চোখে ধুলো দিতে তৈরি করা হয় ভুয়ো কাগজপত্র৷ যেমন জাল ভোটার পরিচয়পত্র, জন্মের তারিখ এবং স্কুলের সার্টিফিকেট, ব্যাঙ্কের পাসবুক ইত্যাদি৷ সেইসব জাল কাগজপত্র দেখিয়ে প্রমাণ করা হয় কিডনির দাতা ও গ্রহীতা পরস্পরের আত্মীয়-পরিজন৷ কারণ, নিকট আত্মীয় ছাড়া অঙ্গদান নিষিদ্ধ৷ আইন অনুসারে কেউ যদি স্বেচ্ছায় কিডনি দিতে চান শ্রদ্ধা বা ভালবাসার টানে বা দয়া পরবশ হয়ে, সেটা ব্যতিক্রম বলে ধরা হবে৷ কিন্তু তাতে টাকার প্রশ্ন থাকবে না৷ যেমন, এই কিছুদিন আগে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রী সুষমা স্বরাজের কিডনির সফল প্রতিস্থাপন হয়৷ কিডনি যিনি দেন, তিনি তাঁর পরিবারের কেউ নন৷ কিন্তু তাঁর শুভানুধ্যায়ী৷
পশ্চিমবঙ্গের চিকিৎসা ব্যবস্থা
ভারতীয় সংবিধান অনুযায়ী জনতাকে চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়ার ভার কেন্দ্রের নয়, রাজ্য সরকারের৷ পশ্চিমবঙ্গে সরকারি চিকিৎসার সমান্তরালে বিকল্প ব্যয়বহুল পরিষেবা থাকলেও, সিংহভাগ মানুষ সরকারি পরিষেবার ওপরই নির্ভরশীল৷
ছবি: The Week/Gunjan Sharma
মাত্র দু’টাকায় চিকিৎসা
দারিদ্র্যসীমার নীচে বসবাসকারী মানুষরা চিকিৎসার জন্য মূলত সরকারি হাসপাতালের ওপরই নির্ভরশীল৷ হাসপাতালের বহির্বিভাগে মাত্র দু’টাকার বিনিময়ে চিকিৎসার পাশাপাশি কম খরচে পেসমেকার স্থাপন, অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টি, আল্ট্রাসাউন্ড বা ইসিজির মতো পরিষেবাও পাওয়া যায়৷
ছবি: DW/P. Samanta
চেতনা বাড়াতে টিভি
প্রসূতির দেখাশোনা বা নবজাতকের প্রতিপালনের নিয়ম সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে হাসপাতালের সরকারি হাসপাতালের ন্যাটাল ওয়ার্ডে এখন হাজির টিভি৷ তাতে মেগা সিরিয়ালের বদলে সচেতনামূলক অনুষ্ঠান দেখানো হয়!
ছবি: DW/P. Samanta
সর্বক্ষণের চিকিৎসক
রাতবিরেতে অসুখ-বিসুখে সরকারি হাসপাতালই ভরসা৷ এখানে আপৎকালীন পরিষেবা ছাড়াও ২৪x৭ চিকিৎসক পাওয়া যায়৷ সারা পশ্চিমবঙ্গেই বেসরকারি হাসপাতালের তুলনায় এই ক্ষেত্রে সরকারি হাসপাতাল অনেকটা এগিয়ে৷
ছবি: DW/P. Samanta
উন্নতমানের পরিষেবা
সম্প্রতি সরকারি হাসপাতালে সংকটাপন্ন রোগী ও শিশুদের বিশেষ পরিচর্যার জন্য এসএনসিইউ, সিসিইউ, এইচডিইউ চালু করা হয়েছে, যা এতদিন ছিল কেবল বেসরকারি হাসপাতাল বা নার্সিংহোমেই৷ উপকৃত হয়েছে দরিদ্র ও নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবার৷
ছবি: DW/P. Samanta
ন্যায্য মূল্যে ওষুধ
ব্র্যান্ডের থাবা থেকে ওষুধ মুক্তি পেতেই মানুষের মুখে হাসি ফুটেছে৷ চিকিৎসক জেনেরিক নামে ওষুধ লেখার ফলে ন্যায্য মূল্যের ওষুধের দোকানে মানুষের যাতায়াত বেড়েছে৷ এ সব দোকানে ৭৭ শতাংশ পর্যন্ত ছাড় মেলে৷
ছবি: DW/P. Samanta
নাগালে আধুনিক পরিষেবা
সরকারি হাসপাতালে ডিজিটাল এক্স-রে, ইউএসজি, সিটি স্ক্যানের মতো আধুনিক পরিষেবা পাওয়া যায়৷ তবে রোগীর চাপে অনেক সময়েই এসব যন্ত্রপাতি দীর্ঘদিন বিকল হয়ে পড়ে থাকে৷
ছবি: DW/P. Samanta
নানারকম প্রকল্প
পশ্চিমবঙ্গে সরকারি স্তরে স্বাস্থ্য পরিষেবায় নানা প্রকল্প নেওয়া হয়েছে৷ জননী শিশু সুরক্ষার মতো প্রকল্প এখন বেশ জনপ্রিয়৷ এর সাহায্যে মায়ের প্রসবকালীন মৃত্যুর হারও কমিয়ে ফেলা গেছে৷
ছবি: DW/P. Samanta
সরকারি হাসপাতাল প্রাঙ্গণ
বেশিরভাগ সময়েই তিল ধারণের জায়গা থাকে না৷ তবুও পরিষেবার খোঁজে দৈনিক কত না মানুষের জমায়েত হয় সরকারি হাসপাতালে! তৃতীয় বিশ্বের জনবহুল দেশে এটাই দস্তুর৷
ছবি: DW/P. Samanta
অতিথি দেবঃ ভব
সরকারি হাসপাতাল আগের থেকে পরিচ্ছন্ন হয়েছে, সুলভে মিলছে পরিষেবা: কিন্তু কিছু ছবি এখনও বদলায়নি: যেমন বিভিন্ন ওয়ার্ডে চারপেয়েদের অবাধ বিচরণ৷
ছবি: DW/P. Samanta
স্বাস্থ্য যখন পণ্য
যাঁদের হাতে টাকা রয়েছে, তাঁরা সরকারি হাসপাতালে ভিড় এড়াতে বেসরকারি পরিষেবার সুযোগ নেন৷ যদিও কলকাতার এমন বেসরকারি ক্লিনিকেও এখন ভালো ভিড় নজরে পড়ে৷
ছবি: DW/P. Samanta
যেখানে বিশ্বাস
অ্যালোপ্যাথির পাশাপাশি এ রাজ্যে হৈ হৈ করে হোমিওপ্যাথি বা আয়ুর্বেদ চিকিৎসাও চলছে৷ এর খরচ কম, তাছাড়া ব্যয়সাপেক্ষ পরীক্ষার ঝামেলা থাকে না বলে অনেকেই এ সবের উপর আস্থা রাখেন৷
ছবি: DW/P. Samanta
নার্সিংহোম দিকে দিকে
এখন পশ্চিমবঙ্গে সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল চালু হয়েছে৷ তবুও নার্সিংহোমের রমরমা কিন্তু কমেনি৷ সার্জারি, ডায়ালিসিস ইত্যাদির জন্য মানুষ এখনও এদের ওপর নির্ভরশীল৷
ছবি: DW/P. Samanta
বহুরূপে সম্মুখে
কলকাতা সহ সর্বত্রই রক্তসহ নানা পরীক্ষাগার বা প্যাথোলজি ল্যাব গজিয়ে উঠেছে৷ গুণগত মান নিয়ে প্রশ্ন থাকলেও দিব্যি তারা লাভজনক ব্যবসা করছে৷ উল্টোদিকে গ্রামীণ এলাকায় অনেক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে কোনো ল্যাবরেটরি টেকনিশিয়ান নেই৷
ছবি: DW/P. Samanta
13 ছবি1 | 13
গত বছর জুন মাসে পুলিশ তিনটি বড় কিডনি পাচার চক্রের হদিস পায়, গ্রেপ্তার করা হয় ১৩ জনকে৷ সবচেয়ে বিস্ময়কর এই পাচার চক্রের মূল পান্ডা ৬৫ বছর বয়সি একজন ডাক্তার, নাম অমিত কুমার৷ একের পর এক বহু লোকের কিডনি অপারেশন করেছেন তিনি নাম ভাঁড়িয়ে৷ এক শহর থেকে অন্য শহরে গিয়ে৷ মোটা টাকার বিনিময়ে৷ ধরা পড়লে সহজেই জামিন পেয়ে যান৷ ধীরে ধীরে জড়িয়ে পড়েন অবৈধ কিডনি অপারেশনে পাচার চক্রের সঙ্গে হাত মিলিয়ে৷ প্রথমে শুরু করেছিলেন মুম্বাইয়ে৷ তারপর দিল্লিতে৷ সেখান থেকে হরিয়ানা, রাজস্থান, গুজরাট, অন্ধ্রপ্রদেশ এবং মহারাষ্ট্রের অন্য অঞ্চলে৷
কিডনি প্রতিস্থাপনের চাহিদা এত বাড়ছে কেন? নেফ্রোলজিস্টদের মতে, এর মূল কারণ ডায়বেটিস, মানসিক চাপ এবং লাইফ স্টাইল৷ মানুষের গড় আয়ু বাড়ছে৷ কম বয়সেই কিডনি আক্রান্ত হচ্ছে, অকেজো হয়ে পড়ছে৷ এখন কিডনি প্রতিস্থাপনের বেশির ভাগ ক্ষেত্রে গড় বয়স সাধারণত ৫০ বছরের নীচে, বললেন দিল্লির অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সের নেফ্রোলজিস্ট ড. সন্দীপ মহাজন৷ ভারতে প্রতি বছর দেড়-দু' লাখ মানুষ সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যায়৷ তাঁদের মধ্যে ৬৫ শতাংশ ব্রেন-ডেড৷ এইসব ক্ষেত্রে যদি তাঁদের দুটো কিডনি উদ্ধার করা যায়, তাহলে বহু লোকের প্রাণ বাঁচানো সম্ভব হতে পারে বলে মনে করেন তিনি৷