1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ভারতে দুর্নীতির অভিযোগ

২২ মার্চ ২০১২

২০০৪ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত কয়লাখনি বণ্টনের ক্ষেত্রে মারাত্মক অনিয়মের জের ধরে ভারতের প্রায় ২১,০০০ কোটি ডলার ক্ষতি হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছে একটি সংবাদপত্র৷ সরকার এই অভিযোগ অস্বীকার করছে৷

ছবি: dapd

ভারতের মনমোহন সিং সরকার এমনিতেই টেলিকম সহ একাধিক দুর্নীতি কেলেঙ্কারিতে জর্জরিত৷ শুধু বিরোধী পক্ষ নয়, সরকারি জোটের শরিক দলগুলিকে সামলাতে তাদের হিমশিম খেতে হচ্ছে৷ এরই মধ্যে অভিযোগ উঠলো নতুন দুর্নীতির, যার মাত্রা প্রায় ২১,০০০ কোটি ডলার বলে দাবি করা হচ্ছে৷

ঘটনার সূত্রপাত ‘টাইমস অব ইন্ডিয়া' সংবাদপত্রের এক প্রতিবেদনকে ঘিরে৷ তাতে কম্পট্রোলার ও অডিটার জেনারেল দপ্তরের ফাঁস হয়ে যাওয়া একটি খসড়া রিপোর্ট থেকে কিছু তথ্য উদ্ধৃত করা হয়েছে৷ টিওআই'এর মতে, টেন্ডার বা দরপত্র সংক্রান্ত নিয়মের তোয়াক্কা না করে প্রায় ১০০টি সরকারি ও বেসরকারি ১৫৫টি কয়লাখনি বণ্টন করা হয়েছে৷ ২০০৪ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত এমন মারাত্মক অনিয়ম ঘটেছে৷ এর মধ্যে কিছু সময় মনমোহন সিং নিজে কয়লা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে ছিলেন৷

কোণঠাসা প্রধানমন্ত্রী ড.মনমোহন সিংছবি: AP

সেসময়ে কয়লা খনিগুলির মূল্য অনেক কম করে দেখানোর ফলে রাষ্ট্রের প্রায় ২১,০০০ কোটি ডলার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করা হচ্ছে৷

টেলিকম কেলেঙ্কারিতে জড়িত থাকার অভিযোগে গতি খোয়াতে হয়েছিল মন্ত্রী এ রাজাকেছবি: picture alliance/dpa

প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর এই দাবি পুরোপুরি অস্বীকার করেছে৷ সেখান থেকে সিএজি'র দপ্তরের একটি চিঠি প্রকাশ করা হয়৷ সেই চিঠি অনুযায়ী, সংবাদপত্রে উল্লিখিত প্রতিবেদনে যেসব খুঁটিনাটি বিষয়ের কথা বলা হয়েছে, সেগুলি সম্পর্কে এখনো কোনো চূড়ান্ত তথ্য পাওয়া যায় নি৷ ফলে সম্পূর্ণ ভুল ধারণার সৃষ্টি হয়েছে৷ প্রাথমিক অবস্থায় রিপোর্ট ফাঁস হয়ে যাওয়ায় বেশ বিবৃত হয়ে পড়েছে সিএজি'র দপ্তর৷ বর্তমান কয়লা মন্ত্রী শ্রীপ্রকাশ জয়েসওয়াল বলেছেন, সরকার নিয়ম অনুযায়ী সংবাদপত্রে বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে টেন্ডার ডেকেছিল৷ সংশ্লিষ্ট সব রাজ্য সরকারগুলির সঙ্গেও এবিষয়ে আলোচনা করা হয়েছিল৷

বিরোধী পক্ষ অবশ্য সরকারের তুমুল সমালোচনায় সোচ্চার হয়ে উঠেছে৷ বিজেপি'র মুখপাত্র প্রকাশ জাভেদকর বলেন, ‘‘বর্তমান সরকার দেশকে লুটে নিচ্ছে৷ এটা চলতে দেওয়া যায় না৷'' বিজেপি কেন্দ্রীয় তদন্ত ব্যুরো সিবিআই'কে দিয়ে ঘটনার তদন্তের দাবি জানিয়েছে৷

প্রতিবেদন: সঞ্জীব বর্মন

সম্পাদনা: দেবারতি গুহ

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ