1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ভোটের আগে জনকল্যাণ

৫ জুলাই ২০১৩

গরিব মানুষের জন্য সস্তার খাদ্য নিশ্চিত করা – এমন উদ্যোগকে নিঃসন্দেহে সাধুবাদ জানানো উচিত৷ কিন্তু সাধারণ নির্বাচনের আগে সরকারের এমন তড়িঘড়ি পদক্ষেপ ভারতে চরম বিতর্কের সৃষ্টি করেছে৷

ছবি: picture-alliance/akg

কংগ্রেস নেতৃত্বে বর্তমান ইউপিএ জোট সরকারের ঘোষিত উদ্দেশ্য দেশের মানুষের খাদ্যের অধিকার নিশ্চিত করা৷ কর্মসূচির অঙ্ক প্রায় ২,২০০ কোটি ডলার৷ তবে এর আগে সংসদে বিভিন্ন প্রস্তাব পাশ করাতে গিয়ে সরকার বিপাকে পড়ে শিক্ষা নিয়েছে৷ বিরোধীরা যখন-তখন সংসদ প্রায় অচল করে দিয়েছে৷ প্রধান বিরোধী দল বিজেপি আগামী বর্ষা অধিবেশনও অচল করে দিতে পারে, এই আশঙ্কা অমূলক নয়৷ তাই গুরুত্বপূর্ণ এই বিল কার্যকর করতে আইনসভার মাধ্যমে না গিয়ে, অর্ডিন্যান্স আনার সিদ্ধান্ত নিল সরকার৷ রাষ্ট্রপতির সম্মতির ফলে আর কোনো বাধাও বাকি নেই৷ আগস্ট মাসেই এই আইন কার্যকর হবে বলে সরকার আশা করছে৷ গরিবদের মন জয় করতে পারলে ২০১৪ সালের সাধারণ নির্বাচনে ভালো ফল করার আশায় রয়েছে কংগ্রেস দল৷ বিরোধী বিজেপি সহ অনেক দল নীতিগতভাবে এমন কর্মসূচির পক্ষে থাকলেও সরকারকে সমস্যায় ফেলতে সংসদে বিষয়টি আলোচনার দাবি জানিয়েছিল৷

কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া গান্ধী এই কর্মসূচির দ্রুত রূপায়নের উপর জোর দিচ্ছেনছবি: dapd

ভারতের মানুষের খাদ্যের অধিকার বিলের সারমর্ম হলো এ রকম৷ সরকারের দাবি, খোলা বাজারের পাশাপাশি গরিব বলে স্বীকৃত মানুষ অত্যন্ত কম দামে খাদ্যশস্য কিনতে পারবেন৷ প্রায় ১২০ কোটি জনসংখ্যার দেশের প্রায় ৬৭ শতাংশ মানুষ এই সুযোগ পাবেন৷ উল্লেখ্য, জাতিসংঘের সূত্র অনুযায়ী গোটা বিশ্বের গরিব অভুক্ত মানুষের প্রায় এক-চতুর্থাংশই ভারতে বাস করে৷ অথচ ভারত বিশ্বের অন্যতম প্রধান খাদ্য উৎপাদনকারী দেশ হিসেবেও পরিচিত৷ একটানা অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির কারণেও ভারত বিশ্বের অনেক দেশের ঈর্ষার কারণ৷ তবে সম্প্রতি সেই প্রবৃদ্ধির হার কিছুটা কমে গেছে৷

এমন এক বিশাল কর্মসূচির বিভিন্ন দিক নিয়ে সমালোচনার ঝড় উঠেছে৷ সস্তায় এত মানুষকে খাদ্যশস্য বিক্রি করতে হলে যে পরিমাণ ভরতুকি দিতে হবে, তার ফলে সরকারি কোষাগারে বিশাল টান পড়তে বাধ্য৷ এই কর্মসূচির আওতায় শুধু প্রথম বছরেই মোট ভরতুকির অঙ্ক ২,২০০ কোটি ডলার হয়ে দাঁড়াবে বলে অনুমান করা হচ্ছে৷ সে ক্ষেত্রে মোট খাদ্য সংক্রান্ত ভরতুকির মাত্রা ৪৫ শতাংশ বেড়ে যাবে৷ ভারতে উৎপাদিত মোট খাদ্যশস্যের ৩০ শতাংশ সরকারকেই কিনে নিতে হবে৷ এমন হিসাবের তালিকা বেশ লম্বা৷

স্বাধীনতার পর থেকেই গরিবদের সহায়তা করতে ভারতে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে৷ তবে ব্যাপক দুর্নীতির কারণে রেশন দোকানের মাধ্যমে শস্তায় খাদ্যশস্য বিক্রির কর্মসূচি তেমন সফল হয় নি৷ বিশেষজ্ঞদের মতে, গরিবদের জন্য ধার্য খাদ্যের প্রায় ৪০ শতাংশই শেষ পর্যন্ত খোলা বাজারে চলে যায়৷

এসবি/ডিজি (এএফপি, রয়টার্স)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ