1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ভারতে গাছের লড়াই জোরদার

শীর্ষ বন্দ্যোপাধ্যায় কলকাতা 
১৫ জানুয়ারি ২০১৮

যশোর রোড চওড়া করতে ৪০০০ গাছ কেটে ফেলার বিষয়টি নিয়ে আন্দোলন আরও জোরদার হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গে৷

Indien Protest Baumfällung Jessore Road
ছবি: Shantanu Haldar

গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষা সমিতি, সংক্ষেপে এপিডিআর প্রথম মামলাটি করেছিল সরকারি সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে৷ যশোর রোড, অর্থাৎ ১২ এবং ১১২ নং জাতীয় সড়ক চওড়া করতে প্রায় ৪০০০ গাছ কেটে ফেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল রাজ্য পূর্ত দপ্তর৷ এই গাছগুলির কোনও কোনওটার বয়স ২০০ বছরেরও বেশি৷ কোনও কোনও গাছের গুঁড়ি এত প্রকাণ্ড যে, আধ ডজন মানুষ মিলেও তা বেড়ে পাবে না৷ যশোর রোডের মাথার ওপর প্রাকৃতিক ছাতা হয়ে বছরের পর বছর টিকে থেকেছে যে গাছ, তাদের খুনের চেষ্টার বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন উত্তর ২৪ পরগণার মানুষও৷ দ্বিতীয় আরেকটি মামলা দায়ের হয়েছিল তাঁদের তরফ থেকেও৷

‘মামলার প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার মুখে’

This browser does not support the audio element.

হাইকোর্ট গাছ কাটার ওপর স্থগিতাদেশ জারি করে এবং কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি নিশীথা মাত্রে'র এজলাসে এই দুটি মামলার একসঙ্গে শুনানি শুরু হয়৷ শুনানি পর্ব শেষও হয়ে গিয়েছিল৷ হাইকোর্ট নিযুক্ত এক কমিটি পরিদর্শনের পর রিপোর্ট দিয়েছিল, গাছ না কেটে যশোর রোড চওড়া করা সম্ভব নয়৷ কিন্তু মামলার রায় দানের সময় যখন এগিয়ে এসেছে, তখনই প্রধান বিচারপতি পদে নিশীথা মাত্রের মেয়াদ শেষ হয়৷ তাঁর পরিবর্তে যিনি হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি হন, তিনি বিষয়টি দ্বিতীয়বার খতিয়ে দেখার সিদ্ধান্ত নেন৷ সেই প্রক্রিয়াও এবার শেষ হওয়ার মুখে৷ ডয়চে ভেলেকে জানালেন সীমান্ত শহর বনগাঁর বাসিন্দা, কবি এবং এই গাছ বাঁচাও আন্দোলনের সঙ্গে প্রথম থেকে যুক্ত বিভাস রায়চৌধুরি৷

‘আরও বেশি মানুষ ও সংগঠনকে আন্দোলনে সামিল করাই মূল লক্ষ্য’

This browser does not support the audio element.

তবে আদালতে আইনি প্রক্রিয়ার পাশাপাশি গাছ বাঁচাও আন্দোলনকেও জোরদার করে চলেছেন পরিবেশ কর্মী রাহুল বিশ্বাস৷ এর আগে তিনি যশোর রোডের ওপর দিয়েই একেবারে বনগাঁ সীমান্ত পর্যন্ত পদযাত্রা করেছেন৷ তিনি ডয়চে ভেলেকে জানাচ্ছেন, যশোর রোডের বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে স্থানীয় মানুষদের বোঝানো, সচেতন করার কাজও জারি আছে৷ পাশাপাশি, ফেব্রুয়ারি মাস থেকে এক মাসেরও বেশি সময় ধরে এক পদযাত্রার কর্মসূচি নিয়েছেন তাঁরা, যা শুরু হবে দার্জিলিংয়ে, শেষ হবে সাগরদ্বীপে৷ রাহুল জানাচ্ছেন, আরও বেশি মানুষ এবং সংগঠনকে পরিবেশ বাঁচানোর আন্দোলনে সামিল করাই তাঁদের মূল লক্ষ্য৷

কেবল যশোর রোডের গাছ বাঁচানোই না, রাজ্যের অন্য এলাকার পরিবেশ সমস্যার বিষয়গুলিকেও একই সূত্রে গাঁথতে চান তাঁরা৷ ওদিকে আইনি প্রক্রিয়ার ক্ষেত্রে ইঙ্গিত মিলেছে, খুব শিগগিরই যশোর রোডের গাছ বাঁচানোর প্রশ্নে সওয়াল-জবাব শেষ করে নিজের রায় জানাবে আদালত৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ