1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ভারতে জনপ্রিয় হচ্ছে ই-রিকশা

৬ মার্চ ২০২৪

ভারতে বৈদ্যুতিক যানের জনপ্রিয়তা বাড়ছে৷ সরকারি নীতি, বেসরকারি ক্ষেত্রের উৎসাহ ও মানুষের মধ্যে পরিবেশ সম্পর্কে বেড়ে চলা সচেতনতা এ ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখছে৷

ভারতের একটি ই-রিকশা
ভারতে বেড়ে চলেছে বিদ্যুৎচালিত যানের ব্যবহার৷ছবি: DW

প্রতিদিন বিশেষ করে ভারতের শহরাঞ্চলে জনসংখ্যা বেড়ে চলায় আরো বেশি রিকশাচালক নোংরা ডিজেল ত্যাগ করার সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন৷ ২০৫০ সালের মধ্যে শুধু যানের সংখ্যাই দ্বিগুণ হয়ে যাবে বলে বিশেষজ্ঞরা অনুমান করছেন৷ সেইসঙ্গে ইঞ্জিনের ধোঁয়াও বাড়বে৷

ভারতের রাজপথে এখনো লাখ লাখ ডিজেলচালিত দুই চাকার যান চালু আছে৷ তা সত্ত্বেও ভারতে বিদ্যুতচালিত যানের বাজার বাড়ছে৷ গত অর্থবছরে প্রায় সাত লাখ তিরিশ হাজার দুই চাকার ইলেকট্রিক যান বিক্রি হয়েছে৷ তার আগের বছরে সংখ্যাটা ছিল আড়াই লাখের সামান্য বেশি৷ বিশেষজ্ঞরা এই প্রবণতার জন্য কয়েকটি কারণ চিহ্নিত করেছেন৷ থিংকট্যাংক সিএসটিইপি-র প্রতিনিধি এনসি তিরুমালাই বলেন, ‘‘ভারতে এই বৃদ্ধির পেছনে আমি তিনটি কারণ দেখতে পাচ্ছি৷ প্রথমত জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলার অঙ্গীকার এবং সরকারি নীতি আইসিই থেকে বৈদ্যুতিক যানের চল বাড়ানোর প্রবণতা তরান্বিত করেছে৷ আমার মতে অর্থনৈতিক কারণও কাজ করছে৷ তৃতীয় কারণ হলো ভারতের স্টার্টআপ কোম্পানিগুলি ইলেকট্রিক যান তৈরি করে এ ক্ষেত্রে উৎপাদন বাড়িয়ে রূপান্তরের সূচনা ঘটিয়েছে৷''

ভারতে কদর বেড়েছে ই-রিকশার

04:18

This browser does not support the video element.

অনেক ক্ষেত্রে সহজ মডেল কাজে লাগানো হয়েছে৷ বড় বড় ব্যাটারি ব্লকের বদলে ছোট আকারের কম আয়ুর সেল ব্যবহার করা হয়েছে, যেগুলি অশোক চৌহানের মতো ড্রাইভারের পকেটের নাগালে পড়ে৷ তিনি বলেন, ‘‘চার চাকার যানে এক লিটারে কমপক্ষে ২০ কিলোমিটার যাওয়া যায়৷ এটির ক্ষেত্রে ৫০ থেকে ৬০ টাকা খরচ হয়৷ তা দিয়ে ১০০ কিলোমিটার চলবে৷''

তিনি নতুন ইলেকট্রিক রিকশা কিনতে দোকানে গেছেন৷ তবে তিনি এখনো মনস্থির করতে পারছেন না৷ ভারত সরকার ইলেকট্রোমোবিলিটি ক্ষেত্রে বিশাল বিনিয়োগ করেছে এবং ক্রেতা ও বিক্রেতা দুই পক্ষকেই মদত দিচ্ছে৷ কোম্পানির প্রধান কুন্দন আদানা বলেন, ‘‘এমন এক যানের দাম আগে প্রায় ৩,০০০ মার্কিন ডলারের মতো ছিল৷ কিন্তু সরকারি ভরতুকির কল্যাণে ক্রেতাদের এর অর্ধেক দাম দিতে হচ্ছে. যা তেলচালিত গাড়ির তুলনায়ও কম৷''

প্রথম দর্শনে চোখে না পড়লেও বিনোদ সৈনের গাড়ির সিটের নীচে ব্যাটারি রাখা রয়েছে৷ সেই ইলেকট্রিক রিকশা তাঁর জন্য সত্যি এক সম্পদ৷ অশোক চৌহান নতুন যান চালিয়ে দেখার সুযোগ পাচ্ছেন৷ এখন তিনি নতুন এক বৈদ্যুতিক যান কিনতে চান৷ এই দোকানে মাসে প্রায় ২০০ যান বিক্রি হয়৷

কোম্পানির প্রধান হিসেবে কুন্দন আদানা আরো নতুন কর্মী নিয়োগ করতে চান৷ তিনি বলেন, ‘‘আমরা প্রায় দশ বছর ধরে ব্যবসা করছি এবং আমাদের বাৎসরিক বৃদ্ধি বেশ ভালো৷ কোভিডের পর গত দুই বছরে এই শিল্পখাতে অভাবনীয় বৃদ্ধি ঘটেছে৷ ইলেকট্রিক মোবিলিটির প্রতি মানুষের ঝোঁক বাড়ছে৷ ভবিষ্যতেও আমি বিশাল সাফল্যের আশা করছি৷''

ভারতে অনেক কোম্পানি সেই পথেই এগোচ্ছে৷ ফলে বিনোদ সৈনের মতো আরো বেশি মানুষ স্বনির্ভর হয়ে উঠছেন৷ সেইসঙ্গে পরিবেশ দূষণের মাত্রাও কমছে৷

ইয়ুলিয়া হাইনরিশমান/এসবি

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ