‘জাতীয় সন্ত্রাস মোকাবিলা কেন্দ্র নিয়ে বিতর্ক’
২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৩![Investigating officers use a sniffer dog as they inspect the site of an explosion at Dilsukh Nagar, in the southern Indian city of Hyderabad February 21, 2013. Two bombs placed on bicycles exploded in a crowded market-place in Hyderabad on Thursday, and the federal home minister said at least 11 people were killed and 50 wounded. REUTERS/Stringer (INDIA - Tags: CIVIL UNREST DISASTER ANIMALS)](https://static.dw.com/image/16620096_800.webp)
গত সপ্তাহে হায়দ্রাবাদের ধারাবাহিক বিস্ফোরণের পর দেশজুড়ে জঙ্গি তৎপরতা দমনে ফের জাতীয় সন্ত্রাস মোকাবিলা কেন্দ্র সংক্ষেপে এনসিটিসি গঠন নিয়ে ভাবনাচিন্তা শুরু করেছে কেন্দ্রীয় সরকার৷ কিন্তু বিতর্ক দেখা দিয়েছে রাজ্যের অধিকার নিয়ে৷ আইন শৃঙ্খলা যেহেতু রাজ্যের এক্তিয়ার তাই পশ্চিমবঙ্গ, গুজরাট ও পাঞ্জাবের মতো কোনো কোনো রাজ্য এতে সম্মত নয়৷ তাদের মতে, এতে রাজ্যগুলির ক্ষমতায় হস্তক্ষেপ করা হবে৷ লংঘিত হবে ভারতীয় সংবিধানের যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো৷
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুশীল শিন্দে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনা করার পর বলেন, কেন্দ্র-রাজ্য সম্পর্কের একটা ব্যাপার আছে৷ রাজ্যের অধিকারে হস্তক্ষেপ না করে একটা পথ বের করার চেষ্টা করছি৷ এ বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রীর দৃষ্টিভঙ্গি ইতিবাচক৷ এমনকি বেআইনি কার্যকলাপ দমন আইনেও উনি সমর্থনের কথা বলেছেন৷ উল্লেখ্য, আগে মমতার তৃণমূল কংগ্রেসের অবস্থান ছিল এর বিপরীত৷
তৃণমূল নেতার ভিন্ন মন্তব্য, তাঁরা সন্ত্রাস দমনে কড়া ব্যবস্থা নেবার পক্ষপাতি৷ কিন্তু এনসিটিসি গঠন করে তার সমাধান হবেনা, বরং রাজ্যের অধিকারে হস্তক্ষেপ করা হবে৷ তবে সবথেকে সোচ্চার বিজেপি৷ বিজেপির মুখপাত্র বলেন, এনসিটিসি একটা বিকৃত বিল৷ এতে গোয়েন্দা বিভাগকে এমন ক্ষমতা দেয়া হবে, যাতে যে কোনো ব্যক্তিকে যখন তখন গ্রেপ্তার করা যাবে৷ এটা গণতান্ত্রিক দেশে চলতে পারেনা৷ সরকার এই আইনকে কাজে লাগাবে রাজনৈতিকভাবে৷
সিপিএম সাংসদ বৃন্দা কারাত বলেন, সংবিধানের যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো বজায় রেখে কেন্দ্রের উচিত, রাজ্যগুলিকে সঙ্গে নিয়ে চলা৷ কেন্দ্র ও রাজ্যগুলির মধ্যে সমন্বয়ে কাজ করা৷
গত বছর সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পি চিদাম্বরম এনসিটিসি নিয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছিলেন৷ সর্বভারতীয় স্তরে সন্ত্রাসী হামলা দমনে গোয়েন্দা তথ্য বিনিময়ে এর গুরুত্বের কথা তুলে ধরেছিলেন৷ কিন্তু এই আইনের আড়ালে রাজ্যগুলির অধিকারে হস্তক্ষেপ করা হতে পারে, এই আশঙ্কায় কিছু কিছু রাজ্য তাতে সাড়া দেয়নি৷