বাংলাদেশ ও ভারত একসঙ্গেই অক্সফোর্ডের টিকা পাওয়ার কথা৷ ভারত টিকার অনুমোদন দেয়ার পাশাপাশি এরিমধ্যে ড্রাই রান বা মহড়াও চালিয়েছে৷ কিন্তু বাংলাদেশের প্রস্তুতি কতটুকু?
বিজ্ঞাপন
করোনার দুইটি টিকা জরুরি ব্যবহারের জন্য রোববার অনুমোদন দিয়েছে ভারতের ঔষধ নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর৷ তার একটি অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়-আস্ট্রাজেনেকার৷ এর একদিন আগেই চারটি রাজ্যে শুরু হয়েছে টিকাদান কর্মসূচির মহড়া৷ এতে টিকা দেয়া ছাড়া বাকি সব কাজেরই পরীক্ষা চালানো হচ্ছে৷ দেখে নেয়া হচ্ছে ব্যবস্থাপনা ও সক্ষমতাও৷ যার মধ্য দিয়ে আসছে সপ্তাহেই সেখানে টিকাদান শুরু হতে পারে৷
ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটের মাধ্যমে অক্সফোর্ড-আস্ট্রাজেনেকার টিকাটি পাওয়ার কথা বাংলাদেশেরও৷ কিন্ত ভারত টিকাদানের সবকিছু চূড়ান্ত করলেও বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত কোন তালিকাই হয়নি৷ শুধু কারা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পাবেন তার ক্যাটাগরি নির্ধারণ করা হয়েছে৷ বাংলাদেশ এখন ব্যস্ত টিকার দাম পরিশোধ নিয়ে৷ কারণ ভারত চায় টিকা পাঠানোর আগেই বাংলাদেশ তার অনুমোদন এবং আগাম দাম পরিশোধ করুক৷ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (আইএমএস) ডা. মো. হাবিবুর রহমান জানিয়েছেন, ‘‘এই সপ্তাহের মধ্যেই টিকার দাম যাতে পরিশোধ করা যায় তার প্রস্তুতি চলছে৷’’
ডা. হাবিবুর রহমান
বাংলাদেশে ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে?
ভারতের সেরাম ইনন্সিটিউট থেকে তিন কোটি টিকা আনবে বাংলাদেশ৷ এ নিয়ে গত নভেম্বরে সেরাম ইনস্টিটিউট ও বেক্সিমকোর মধ্যে একটি চুক্তি সই হয়৷ প্রতি ডোজ টিকার দাম পড়বে পাঁচ ডলার৷ পরিবহণ খরচ এক ডলার৷ বাংলাদেশ ও ভারত একই সময়ে একই দামে টিকা পাবে বলে চুক্তিতে লেখা আছে৷ তিন কোটি টিকার প্রথম কিস্তির ৫০ লাখ চলতি মাসেই পাওয়ার আশা করছেন ডা. হাবিবুর রহমান৷ বাকি টিকা ধাপে ধাপে পাওয়া যাবে৷ এই সপ্তাহে কত টিকার দাম পরিশোধ করা হচ্ছে প্রশ্ন করলে তিনি তা জানাতে রাজি হননি৷ বলেন, ‘‘যখন দাম পরিশোধ করব তখনই জানতে পারবেন৷’’
তবে অধিদপ্তরের কয়েকজন কর্মকর্তার সাথে কথা বলে জানা গেছে দেড় কোটি টিকার জন্য দাম পরিশোধ করা হতে পারে৷ বাকিটা প্রথম কিস্তি আসার পর পরিশোধ করা হবে৷ বাংলাদেশে এই টিকা দেয়ার কোন ড্রাই রান বা মহড়া হবে কিনা তা নিশ্চিত নয়৷ কারণ তার কোনো প্রস্তুতির কথা কেউ জানাতে পারেন নি৷
কারা প্রথম ধাপে টিকা পাবেন গত মাসেই তার পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রকাশের কথা জানিয়েছিলেন ন্যাশনাল ভ্যাকসিন ডেপ্লয়মেন্ট কমিটির চেয়ার ও স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা৷ কিন্তু সেই তালিকা এখনও হয়নি৷ কোন পর্যায়ে রয়েছে জানতে চাইলে তিনি রোববার বলেন, ‘‘সব প্রস্তুতি নিয়েই আমরা কাজ করছি৷ সময়মত জানতে পারবেন৷’’ তিনি বলেন, ‘‘ভারতের সাথে আমাদের চুক্তি হল ওরা যখন টিকা দেয়া শুরু করবে আমরাও তখন দেয়া শুরু করব৷ আশা করি আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহে টিকা দেয়া শুরু হবে৷’’
প্রথম ধাপে যে ২৫ লাখ ব্যক্তিকে ৫০ লাখ টিকা দেয়া হবে (একেকজন দুই ডোজ করে) সে তালিকা বাস্তবে এখনও করা হয়নি৷ শুধু অগ্রাধিকার তালিকা চূড়ান্ত হয়েছে৷ সেখানে রয়েছেন মুক্তিযোদ্ধা, করোনা মোকাবিলায় নিয়োজিত চিকিৎসক ও স্বাস্থ্য কর্মী, সম্মুখসারির কর্মী, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাহীন জনগোষ্ঠী, বয়োজ্যেষ্ঠ জনগোষ্ঠী, দীর্ঘ মেয়াদি রোগে আক্রান্ত প্রাপ্তবয়স্ক জনগোষ্ঠী, শিক্ষাকর্মী, গণপরিবহন কর্মী৷
ডা. ইমতিয়াজ সামাদ
জেলা পর্যায়ের চিত্র
টিকার অগ্রাধিকার তালিকা তৈরি ও প্রস্তুতির জন্য জেলা উপজেলায় কমিটি গঠনের কথা বলা হলেও মাঠের চিত্র ইতিবাচক নয়৷ নারয়ণগঞ্জ জেলার সিভিল সার্জন ডা. ইমতিয়াজ সামাদ জানান, তারা এখনও কোনো তালিকা করেননি৷ তাদের কোনো ড্রাই রানের প্রস্তুতিও নিতে বলা হয়নি৷ জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে৷ কীভাবে এবং কী প্রক্রিয়ায় টিকা দেয়ার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘‘ইপিআই (সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচি) এবং আমাদের স্বাস্থ্যকর্মীরা টিকা দেবেন৷ তাদের দুই দিনের একটা প্রশিক্ষণ দেয়া হবে৷ আর তালিকা হবে অনলাইনে৷ তবে তালিকা তৈরির কোনো কাজ এখনও শুরু হয়নি৷’’
আরো কয়েকটি জেলায় খবর নিয়ে একই তথ্য পাওয়া গেছে৷ কোনো কোনো জেলায় কমিটি হলেও এখনো কোনো বৈঠক হয়নি৷ বিশেষ করে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় টিকা কারা প্রথমে পাবেন তাদের তালিকাই তৈরি হয়নি এখনও৷
টিকা সংরক্ষণ ও পরিবহণে ইপিআই'র ওপরই নির্ভর বরা হচ্ছে৷ তবে প্রয়োজনে বিকল্প ব্যবস্থারও সুযোগ রাখা হয়েছে৷ কিন্তু এই টিকা প্রয়োগ করার আগে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদন চায় বাংলাদেশ৷ সেই সঙ্গে বাংলাদেশের ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরেরও অনুমোদন লাগবে৷
ডা. মো. হাবিবুর রহমান জানান, টিকার অনুমোদনের জন্য ঔষধ প্রশাসনে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দেয়া হয়েছে৷ অনুমোদনের প্রক্রিয়া চলছে৷ তিনি বলেন, ‘‘এটার জন্য তো টিকার নমুনা এনে পরীক্ষা করা হবে না৷ তার প্রয়োজনও নাই৷ দ্রুতই অনুমোদন পাওয়া যাবে৷’’
হারুন উর রশীদ স্বপন(ঢাকা)
২০২০ সালকে যেভাবে মনে রাখবে ভবিষ্যৎ
ক্যালেন্ডার বদলানো আর আট-দশটা বছরের মতো নয় ২০২০৷ শুধু নিকট ভবিষ্যৎ নয়, প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে বারবার গল্প হয়ে ফিরবে সালটি৷ সেই গল্পের বিষয়বস্তুগুলো কী হতে পারে দেখুন ছবিঘরে৷
ছবি: Reuters/J. Malone
‘অজানা’ এক ভাইরাস এসেছিল
২০১৯ সালের শেষে চীনের হুবেই প্রদেশের উহানের মানুষেরা অজানা অসুখে ভুগতে শুরু করে৷ গণমাধ্যমে একটু-আধটু সেই খবর আসতে শুরু করলেও কে ভেবেছিল পরবর্তী এক বছর গোটা বিশ্বকে তা নাড়িয়ে দেবে! ৩১ ডিসেম্বর ২০১৯ সালে উহানের স্বাস্থ্য কমিশন নিউমোনিয়া ছড়িয়ে পড়ার কথা জানায়৷ পাঁচ জানুয়ারি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এই সংক্রান্ত প্রথম প্রতিবেদন প্রকাশ করে৷
ছবি: Getty Images/AFP/STR
নাম সার্স-কোভ-টু
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা নতুন এই করোনা ভাইরাসের নাম দেয় সার্স-কোভ-টু৷ আর এর থেকে সৃষ্ট রোগের নাম কোভিড-১৯৷ ১২ জানুয়ারি ভাইরাসটির জিন রহস্য প্রকাশ করে চীন৷ তখন পর্যন্ত সেটি কিন্তু চীনবন্দিই ছিল৷ একদিন পরই প্রথমবারের মতো ধরা পড়ে থাইল্যান্ডে৷ এরপর আর আটকে রাখা যায়নি ক্ষুদে সেই দানবকে৷
ছবি: Reuters/NEXU Science Communication
নীরব ঘাতক
প্রথম ধরা পড়ার ৪৭ দিনের মাথায় চীনে ৬৬ হাজার মানুষকে ভাইরাস আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত করা হয়৷ মারা যান ১৫০০ জন৷ শহর থেকে শহরে, দেশ থেকে দেশে নিয়ন্ত্রণহীনভাবে ছড়িয়ে পড়ে নভেল করোনা৷ সংক্রমণ বাড়তে থাকে লাফিয়ে লাফিয়ে৷ মৃত্যুর খাতায়ও দৈনিক যোগ হতে থাকে কয়েক হাজার সংখ্যা৷ স্মরণকালে এমন মহামারির মুখোমুখি হয়নি মানুষ৷
ছবি: picture-alliance/dpa/F. Maohua
কাছে আসতে মানা
ঔষধ নেই, প্রতিষেধক নেই৷ কিভাবে রোখা যাবে এই ভাইরাসকে, সেটি বড় প্রশ্ন হয়ে উঠে৷ দেয়া হয় মানুষে-মানুষে শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখার পরামর্শ৷ ব্যবধান রাখতে হবে দেড় থেকে দুই মিটার, যার নাম দেয়া হয় ‘সামাজিক দূরত্ব’৷ গোটা পৃথিবীর চেহারা আর যোগাযোগের ধরনটাই রাতারাতি বদলে যায় তাতে৷
ছবি: Reuters/A. Kelly
হ্যান্ডশেকে বাধা
সৌজন্য হিসেবে হ্যান্ডশেক বা হাত মেলানোর রীতিকে বিদায় জানায় মানুষ৷ তার বদলে সৌজন্য আর উষ্ণতা প্রকাশের অভিনব সব উপায়ও তারা বের করে৷ কেউ মুষ্টিবদ্ধ হাত মেলায়, কেউবা কনুই, আবার হাতের বদলে পায়ে-পায়ে স্পর্শেরও চল দেখা যায়৷ তবে দূরে দাঁড়িয়ে মৌখিকভাবে সৌজন্য প্রকাশই নিরাপদ হিসেবে বিবেচিত হয়৷
ছবি: Reuters/FIDE/M. Emelianova
মাস্ক যখন পরিধেয়
মাস্ক পরলে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি কমানো যায় কিনা শুরুতে এ নিয়ে বিতর্ক উঠেছিল৷ কিন্তু একে একে সব দেশ জনপরিসরে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করে৷ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও সবার মাস্ক পরার পক্ষে মত দেয়৷ সংস্কৃতি ভেদে পোশাকে ভিন্নতা থাকলেও সারা বিশ্বেই মাস্ক হয়ে উঠে অপরিহার্য পরিধেয়৷
ছবি: Getty Images/NYFW - The Shows
যারা সুপারহিরো
করোনার বিরুদ্ধে এক অসম লড়াইয়ে নামতে হয় চিকিৎসকদের৷ দেশে দেশে নিরাপত্তা সরঞ্জামের অভাবের মধ্যেই অচেনা শত্রুর বিরুদ্ধে কঠিন এক যুদ্ধের মুখোমুখি হন স্বাস্থ্যকর্মীরা৷ অন্যকে বাঁচানোর সেই চ্যালেঞ্জে অনেকেই জীবন দেন৷ লকডাউনে তাদের প্রতি নানা উপায়ে ধন্যবাদ আর ভালোবাসা জানাতে ভোলে না বিভিন্ন দেশের কৃতজ্ঞ মানুষেরা৷
ছবি: Reuters/S. Vera
বিচ্ছিন্ন পৃথিবী
এত কিছুর পরও ঠেকানো যায়নি সংক্রমণ, থামছিল না মৃত্যুর মিছিলও৷ লাগাম ধরতে দেশে দেশে চলে লকডাউন৷ সীমান্তে আরোপ করা হয় কড়াকড়ি৷ বন্ধ হয়ে যায় ব্যবসা-বাণিজ্য, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ অর্থনৈতিক আর বিনোদনমূলক সব কর্মকাণ্ড৷ ২০০৮ সালের অর্থনৈতিক মন্দার পর পুঁজিবাজারগুলোর লেনদেনে লাগে সবচেয়ে বড় ধাক্কা৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo/T. Camus
ব্যালকনি বা অনলাইন কনসার্ট
আশাহীন সময়েও মানুষ আনন্দে বাঁচার উপায় ঠিক খুঁজে নেয়৷ স্পেন, ইটালিসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশের ঘরবন্দি মানুষেরা ব্যালকনিতে কনসার্ট জমিয়ে ফেলে৷ অনলাইনে ডুব দেয়া মানুষকে নতুন প্রযুক্তির মাধ্যমে নানাভাবে বিনোদিত করার চেষ্টা করেন তারকারাও৷
ছবি: AFP/P. Singh
প্রকৃতির ফুরসত
আধুনিক জীবনযাত্রার চাপে কোণঠাসা প্রকৃতি যেন এই দফা হাঁফ ছেড়ে বাঁচে৷ বিশ্বের অর্ধেকের বেশি মানুষ যখন ঘরবন্দি, তখন নিজেকে নতুন করে ফিরে পাওয়ারই তো তার সময়৷ কোনো কোনো নির্জন মহানগরীর বুকে এমনকি বুনো প্রাণীরাও নেমে আসে৷ আর গবেষণায় দেখা যায়, ২০২০ সালে বিশ্বের কার্বন নিঃসরণ সাত ভাগ কমেছে, যা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে নতুন রেকর্ড৷
ছবি: picture-alliance/empics/P. Byrne
পড়তি ঢেউ
আক্রান্ত আর মৃত্যুর রেখাচিত্র জুন নাগাদ নামতে শুরু করে৷ ধীরে ধীরে লকডাউন তুলে নেয় দেশগুলো৷ শুরু হয় ব্যবসা-বাণিজ্য, যাতায়াত৷ খুলে দেয়া হয় এয়ারপোর্ট৷ কিন্তু এর মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্রে বেকারত্বের হার পৌঁছে যায় মহামন্দার সময়ের পর সর্বোচ্চ ১৪ দশমিক সাত ভাগে৷ বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশগুলোর দারিদ্র্য বিমোচনে বিগত দেড় দশকের অর্জন ম্লান হয়ে যেতে থাকে৷
ছবি: picture-alliance/Zumapress/J. Merida
দর্শকবিহীন খেলা
আন্তর্জাতিক সিরিজ বা বিভিন্ন লিগের খেলা হবে, অথচ মাঠে দর্শক থাকবে না- অন্য সময় হলে এমন কথা বললে সেটি নির্ঘাত উদ্ভট শোনাতো৷ অথচ ২০২০ সালে ইউরোপীয় ফুটবল লিগ কিংবা আইপিএলসহ বিভিন্ন ক্রীড়া আসর অনুষ্ঠিত হয় স্টেডিয়ামে শূন্য বা সীমিত দর্শক উপস্থিতি নিয়ে৷
ছবি: Angel MartinezGES/picture alliance
দ্বিতীয় ঢেউ
শীতের মৌসুমে বিভিন্ন দেশে নভেম্বর থেকে নতুন করে বাড়তে শুরু করে করোনার প্রকোপ৷ এই ধাক্কায় আবার বিপর্যস্ত ইউরোপ৷ একে একে আবারো লকডাউনে ফিরে দেশগুলো৷ শুধু তাই নয় যুক্তরাজ্যে নতুন ধরনের করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়, যেটি আগের চেয়েও দ্রুত গতিতে সংক্রমণ ঘটায়৷এ কারণে নতুন করে ব্রিটেনের সঙ্গে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা দেয় বিভিন্ন দেশ৷
ছবি: Sebastian Kahnert/dpa/picture alliance
অসম্ভবকে সম্ভব
একটি ভ্যাকসিন উদ্ভাবন থেকে শুরু করে পরীক্ষা- সবগুলো ধাপ পেরিয়ে সরবরাহ পর্যন্ত কমপক্ষে ১০ বছর সময় লাগে৷ কিন্ত এক বছরের কম সময়ে একাধিক ভ্যাকসিন উদ্ভাবনের মাধ্যমে অসম্ভবকে সম্ভব করেন বিজ্ঞানীরা৷ ডিসেম্বর থেকেই কয়েকটির প্রয়োগ শুরু হয় দেশে দেশে৷ করোনার অন্ধকার এক টানেলের যাত্রা দিয়ে ২০২০ সালের সূচনা হলেও, বিদায়টা হয় শেষ প্রান্তে টিকার আলোতে৷
এফএস/এসিবি