1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ভারতে দুই ডোজ টিকা পেয়েছেন মাত্র তিন শতাংশ

৭ মে ২০২১

একদিকে টিকা সংকট, অন্যদিকে করোনার সংক্রমণবৃদ্ধি। তারই মধ্যে কেন্দ্রীয় সরকারের তথ্য থেকে জানা গেল, মাত্র তিন শতাংশ মানুষকে দুই ডোজ টিকা দেওয়া গেছে।

নরেন্দ্র মোদী
ছবি: PIB/AFP

বিরোধীরা অভিযোগ করেছিলেন আগেই, এবার কেন্দ্রীয় সরকারের তথ্যে সেই বিষয়টিই ধরা পড়ল। নরেন্দ্র মোদী যতই বলুন যে দেশে দ্রুত টিকাকরণ হচ্ছে, বাস্তব পরিসংখ্যান বলছে, এখনো পর্যন্ত দেশে মাত্র তিন শতাংশ টিকাকরণ সম্ভব হয়েছে।

মার্চ মাস থেকে দেশ জুড়ে টিকাকরণ কর্মসূচি শুরু করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। গত একমাস ধরে বিভিন্ন রাজ্য অভিযোগ করছিল, প্রয়োজনীয় ভ্যাকসিন রাজ্যগুলিকে পাঠাতে পারছে না কেন্দ্রীয় সরকার। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে নির্বাচনের সভায় এসেও মোদী বলেন, অত্যন্ত দ্রুত গতিতে টিকাকরণ হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে টিকাকরণ নিয়ে বৈঠকে বসেছিলেন মোদী। এই প্রথম সেই বৈঠকে ডাকা হয় রাজনাথ সিংহ, হর্ষবর্ধনদেরও। সেই বৈঠকে প্রশাসনিক কর্তারা মোদীকে জানান, এখনো পর্যন্ত গোটা দেশে দুই ডোজ টিকা দেওয়া গেছে মাত্র তিন শতাংশ মানুষকে। গত কয়েকদিনে টিকা দেওয়ার পরিমাণও কমেছে। কারণ, প্রয়োজনের তুলনায় টিকা উৎপাদনের পরিমাণ অনেকটাই কম।

কেন্দ্রীয় সরকার মার্চ মাসে যে টিকাকরণ কর্মসূচি শুরু করেছিল, তাতে বলা হয়েছিল ষাট বছরের বেশি যাদের বয়স তাদের প্রথমে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। এপ্রিল মাসে জানানো হয় ৪৫ এর উপর সকলকে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। মে মাসে এসে তা ১৮ বছর করে দেয়া হয়। রাজ্যগুলি জানায়, প্রথম ডোজ ভ্যাকসিন যাদের দেওয়া হয়েছে, তাদের দ্বিতীয় ডোজের ব্যবস্থা না করে এ ভাবে বয়স কমানো উচিত নয়।

ভারতে করোনায় আক্রান্ত দুই কোটির বেশি

01:16

This browser does not support the video element.

বস্তুত বাস্তবেও দেখা যায় দ্বিতীয় ডোজ ভ্যাকসিন পেতে অনেকেই সমস্যায় পড়েন। কারণ রাজ্যগুলিকে যথেষ্ট পরিমাণ ভ্যাকসিন দিতে পারেনি কেন্দ্র। এপ্রিলের শেষ থেকেই বিভিন্ন রাজ্য ভ্যাকসিন সংকট শুরু হয়। কেন্দ্র আশ্বাস দিলেও বহু রাজ্যে ১৮ বছরের উপরে প্রথম ডোজ ভ্যাকসিন দেওয়া এখনো শুরু হয়নি। দুই একটি বেসরকারি হাসপাতালই কেবলমাত্র তা দিচ্ছে।

বৃহস্পতিবারের বৈঠকে মোদী বলেছেন, কোনোভাবেই টিকাকরণ কমানো যাবে না। বৃহস্পতিবারই বিভিন্ন রাজ্যকে নতুন ভ্যাকসিন পাঠানো হয়েছে বলেও তিনি জানিয়েছেন। তবে ৪৫ বছরের কম বয়সীদের অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ভ্যাকসিন কিনতে হবে বলে ইঙ্গিত দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। পাশাপাশি ঠিক হয়েছে ফ্রন্টলাইন ওয়ার্কার এবং প্রবীণদের যাতে দ্রুত দ্বিতীয় ডোজ ভ্যাকসিন দিয়ে দেওয়া যায়, সে দিকে খেয়াল রাখা হবে।

এসজি/জিএইচ (পিটিআই, এনডিটিভি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ