1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ভারতে নারী নিগ্রহের বাস্তব পরিস্থিতি পর্যালোচনা বৈঠক

অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুন দিল্লি৪ জানুয়ারি ২০১৩

দিল্লি ধর্ষণকাণ্ডের প্রেক্ষিতে রাজ্যগুলির মুখ্যসচিব ও পুলিশ প্রধানদের সম্মেলনে নারীদের ওপর অপরাধের বাস্তব পরিস্থিতি পর্যালোচনা হয়৷ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, নারী নির্যাতন দমনে প্রযুক্তির সাহায্য নিতে চলেছে সরকার৷

ছবি: dapd

১৬ই ডিসেম্বর দিল্লি গণধর্ষণের ঘটনার প্রেক্ষিতে শুক্রবার নতুন দিল্লিতে বসে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ডাকা রাজ্যগুলির মুখ্যসচিব এবং পুলিশ প্রধানদের বৈঠক৷ পর্যালোচনা করা হয় দেশে নারী নিগ্রহের ভূমিগত বাস্তবতা৷ মহিলাদের প্রতি অপরাধ দমনের কাজে পুলিশের পারদর্শিতা এবং কার্যকারিতা বাড়াতে আধুনিক প্রযুক্তির সাহায্য নেবার কথা বলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী৷ অপরাধীদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নিলেই আইনের প্রতি আস্থা বাড়বে মানুষের৷

আধুনিক প্রযুক্তি তদন্ত কাজে সাহায্য করবে সরকারের স্বচ্ছতা ও দায়বদ্ধতা এনে৷ ক্রাইম অ্যান্ড ক্রিমিনাল ট্র্যাকিং নেটওয়ার্ক সিস্টেম সংক্ষেপে সিসিটিএনএস ব্যবস্থা সেই লক্ষ্যে এক বড় পদক্ষেপ৷ দেশব্যাপী এই নেটওয়ার্কের মাধ্যমে তদন্ত কাজে অপরাধ সংক্রান্ত তথ্যাদি সংগ্রহ করতে কতটা সময় লাগছে, তা জানতে পারবে থানা এবং উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাগণ৷ এতে তদন্ত কাজে সাধারণ মানুষের আস্থা বাড়বে৷

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এ বছরের এপ্রিল থেকে নাগরিক পরিষেবার অঙ্গ হিসেবে চালু করা হবে অন-লাইন অভিযোগ তথা এফআইআর মনিটারিং৷ নারী নিগ্রহের ক্রমবর্ধমান ঘটনায় আইন প্রয়োগকারী সংস্থা এবং ক্রিমিনাল জাস্টিস সিস্টেমের ওপর বাড়ছে আমজনতার ক্ষোভ৷

ধর্ষককারীদের ফাঁসি দেয়া হোক, দাবি জনগণের...ছবি: Getty Images

বৈঠকে বক্তব্য রাখেন মহিলা ও শিশুকল্যাণমন্ত্রী৷ ধর্ষণের শাস্তি বিষয়ে মিশ্র মত দেখা যাচ্ছে৷ ফাঁসি থেকে কেমিক্যাল ক্যাস্ট্রেশন পর্যন্ত৷ প্রথাগতভাবে ফাঁসিই হবে উপযুক্ত৷ এটা সামাজিক ইস্যু৷ তাই সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন জরুরি৷ সেক্ষেত্রে প্রচার মাধ্যমগুলিরও ভূমিকা আছে৷

এদিকে, ধর্ষণ সম্পর্কে বিভিন্ন মহল থেকে উঠছে বিভিন্ন মন্তব্য৷ তৈরি হচ্ছে নতুন নতুন বিতর্ক৷ যেমন, হিন্দু সংগঠন আরএসএস-এর প্রধান বলেছেন, ধর্ষণ হয় শহরে, গ্রামে নয়৷ কারণ শহরে মেয়েরা পাশ্চাত্য জীবনধারায় অভ্যস্ত৷ এক বিজেপি নেতার মন্তব্য, ‘‘মেয়েরা যখন লক্ষণরেখা পার হয়, তখনই নিজেদের বিপদ ডেকে আনে৷ সীতারও তাই হয়েছিল''৷

এখানেই শেষ নয়৷ কারণ, হরিয়ানার খাপ পঞ্চায়েত তো আরও এক ধাপ এগিয়েছে৷ তারা বলেছে, ছেলেরা চাউমিন খায়, তাতে হর্মোনাল ভারসাম্য নষ্ট হয় এবং তা গড়ায় ধর্ষণে৷ তাছাড়া, মেয়েদের কম বয়সে বিয়ে দেবারও ওকালতি করে তারা৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ