1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ভারতে নির্মাণ বর্জ্য পুনর্ব্যবহারের উদ্যোগ

১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩

বিশ্বের অনেক শহরে পুরানো বাড়িঘর ভেঙে বিশাল ভবন তৈরি হচ্ছে৷ ফলে নির্মাণ শিল্পের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বাড়তি গুরুত্ব পাচ্ছে৷ ভারতের মতো উন্নয়নশীল দেশে এখনো কোনো সংগঠিত প্রণালী না থাকায় স্বেচ্ছাসেবীদের সক্রিয় হতে হচ্ছে৷

DW Sendung Eco India
ছবি: DW

নয়ডা শহরের একশো মিটার উঁচু সুপারটেক টাওয়ার দশ সেকেন্ডের মধ্যেই গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল৷ গার্ডিয়ান সংবাদপত্রের অনলাইন সংস্করণে সেই ঘটনার ভিডিও স্থান পেয়েছে৷ ৮৫০টি ফ্ল্যাটের সেই ভবন ধ্বংস করতে ৩,৭০০ কিলো বিস্ফোরক ব্যবহার করা হয়েছিল৷ ভারতের সুপ্রিম কোর্ট বেআইনি নির্মাণের অভিযোগ মেনে নিয়ে ভবনটি ভেঙে ফেলার নির্দেশ দেয়৷

ভবনটি ধ্বংসের ফলে প্রায় ৮০ হাজার টন বর্জ্য সৃষ্টি হয়েছিল৷ রি-সাস্টেনেবিলিটি নামের কনস্ট্রাকশন অ্যান্ড ডিমোলিশন ওয়েস্ট রিসাইক্লিং প্লান্ট সেগুলি কাজে লাগানোর চেষ্টা করছে৷ ভারতের বৃহত্তর রাজধানী অঞ্চলে এমন কিছু কোম্পানি সক্রিয় রয়েছে৷ যেমন একটি কেন্দ্র দিনে প্রায় ৮০০ টন বর্জ্য রিসাইকেল করে৷ প্রকল্পের প্রধান মুকেশ ধীমান বলেন, ‘‘নয়ডা পৌর কর্তৃপক্ষ আমাদের টুইন টাওয়ার ধ্বংসের ফলে সৃষ্টি হওয়া ২৮ হাজার টন বর্জ্য প্রক্রিয়াজাত করার দায়িত্ব দিয়েছে৷ সেই প্রক্রিয়ার শেষে যে ব্যবহারযোগ্য উপাদান অবশিষ্ট থাকবে, আমরা খোলা বাজারে সেগুলি টাইলসের আকারে বিক্রি করবো৷''

ভারতের নির্মাণ খাতে বছরে প্রায় ১৫ কোটি টন বর্জ্য সৃষ্টি হয়৷ শহর এলাকার কঠিন বর্জ্যের এক তৃতীয়াংশের সামান্য কম অংশের জন্য নির্মাণ শিল্প দায়ী৷ নির্মাণ ও ধ্বংসের বর্জ্য প্রায়ই বেআইনিভাবে যেখানে-সেখানে ফেলে দেওয়া হয়৷

স্বেচ্ছাসেবীদের এক দল দিল্লির মেহেরৌলি এলাকায় পায়ে হেঁটে এমন বর্জ্যের সন্ধান করছেন৷ মালওয়া প্রকল্পের স্বেচ্ছাসেবীরা ধ্বংসস্তূপের ছবি তুলে কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠিয়ে সেগুলি ঠিকমতো দূর করার অনুরোধ করেন৷

শহরে এমন বর্জ্যের জন্য ২০০টি কালেকশন পয়েন্ট ও পাঁচটি রিসাইক্লিং সেন্টার রয়েছে৷ মালওয়া টিমের তৈরি ডিজিটাল মানচিত্রে নীল ও সবুজ বিন্দু দিয়ে সেই সব জায়গা চিহ্নিত করা হয়৷মালবা প্রকল্পের প্রতিষ্ঠাতা

শমিতা চৌধুরী বলেন, ‘‘সেইসঙ্গে লাল রং বেআইনি ডাম্পিং সাইট চিহ্নিত করে৷ স্থানীয় মানুষ আমাদের তথ্য পাঠান,  ছবি তোলেন৷ আমরা মানুষকে নিজেদের পাড়ায় বেআইনি বর্জ্য দেখলে জানাতে বলি৷ আমরা ম্যাপে সেগুলি চিহ্নিত করে কর্তৃপক্ষের নজর আকর্ষণ করে সে সব সাফ করার উদ্যোগ নিতে বলি৷''

গোটা শহর জুড়ে ১০০টি কালেকশন পয়েন্ট থাকলেও বেশিরভাগ নির্মাণ কোম্পানি বেআইনি ভাবে বর্জ্য ফেলার পথ বেছে নেয়৷ অসংগঠিত ময়লা কুড়ানিদের কাজে লাগিয়ে রাতের অন্ধকারে লোকচক্ষুর অন্তরালে সেই কাজ করা হয়৷ এমন ঝুঁকিপূর্ণ কাজের জন্য তাদের নামমাত্র পারিশ্রমিক দেওয়া হয়৷ শমিতা চৌধুরী বলেন, ‘‘ব্যবসামনস্ক কিছু মানুষ রয়েছেন৷ তাঁরা টাকা বাঁচাতে চান, আরও টাকা আয় করতে চান৷ অর্থনৈতিক মানদণ্ডে তাঁদের কাছে বেআইনিভাবে বর্জ্য ফেলার কোনো অর্থ হয় না৷ তাঁরা বরং এমন কাউকে বর্জ্য বিক্রি করতে চান, যার হয়তো গোনো গর্ত ভরাট করতে সেটার প্রয়োজন রয়েছে৷ এমন কোনো জায়গা না পেলে মরিয়া হয়ে যেখানে-সেখানে ফেলে দেন৷ কারণ আর্থিক লক্ষ্য পূরণ করতে ট্রাক দিনে নির্দিষ্ট কয়েকবার যাতায়াত করতে পারে৷''

বাড়ি ভাঙা, বর্জ্য সংগ্রহ ও পরিবহণের মতো ধাপগুলির মধ্যে সমন্বয় করতে নির্মাণ ক্ষেত্রে এখনো বর্জ্য পুনর্ব্যবহারের কোনো সংগঠিত প্রণালী নেই৷ অথচ প্রকৃত চক্রাকার অর্থনীতির জন্য এমনটা অপরিহার্য৷ এখনো দীর্ঘ পথ চলা বাকি৷ ফলে মালওয়া প্রকল্পের স্বেচ্ছাসেবীদের আরও অনেককাল সক্রিয় থাকতে হবে বলে মনে হচ্ছে৷

ক্রয়েৎসবুক/ম্যার্গেনটালার/এসবি

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ