ভারতের সব চেয়ে বড় সংবাদসংস্থা পিটিআই কি জাতীয়তাবিরোধী? ভারত-চীন বিতর্কের পরিপ্রেক্ষিতে এই অভিযোগ করেছে সরকারি সংবাদমাধ্যম প্রসার ভারতী।
বিজ্ঞাপন
পুরো নাম প্রেস ট্রাস্ট অফ ইন্ডিয়া, সংক্ষেপে পিটিআই। ভারতে ইংরাজি ভাষায় সব চেয়ে জনপ্রিয় ও বড় সংবাদসংস্থা। দুই পক্ষের বক্তব্য দিয়ে ঠিক সংবাদ পরিবেশনের ক্ষেত্রে তাঁদের সুনাম রয়েছে। কিন্তু ভারত-চীন সাম্প্রতিক বিরোধের মধ্যে অভিযোগ করা হয়েছে, তারা জাতীয়তাবিরোধী খবর পরিবেশন করেছে। তারা জাতীয় স্বার্থ ও আঞ্চলিক সংহতির বিরুদ্ধে কাজ করেছে।
অভিযোগকারী সরকারি সংবাদমাধ্যম প্রসার ভারতী। যার অধীনে রয়েছে দূরদর্শন এবং আকাশবাণী, মানে সরকারি টিভি ও রেডিও। এই অভিযোগ করার পর পিটিআই-এর সঙ্গে তাঁদের আর্থিক সম্পর্ক ছিন্ন করার হুমকিও দিয়েছে প্রসার ভারতী।
কেন এই অভিযোগ? প্রসার ভারতী বলেছে, সম্প্রতি পিটিআই যে খবর করেছে তা জাতীয় স্বার্থের বিরোধী। দেশের ভিতরে তো বটেই বিদেশেও সেই খবর বহু সংবাদমাধ্যম ব্যবহার করেছে। সূত্র জানাচ্ছে, পিটিআই এর একটা খবর ও একটা টুইট নিয়ে প্রসার ভারতী এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রকের ঘোরতর আপত্তি রয়েছে। খবরটি হলো, দিল্লিতে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎকার ভিত্তিক প্রতিবেদন। যেখানে তিনি দাবি করেছিলেন, ভারতই লাদাখে চীনের এলাকায় ঢুকেছিল। সংঘর্ষে চীনের কোনও দায় নেই। যাবতীয় দায় তিনি ভারতের ঘাড়ে চাপিয়ে দিয়েছিলেন।
কার্যকর গণমাধ্যমের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ কি?
গণমাধ্যমের কার্যকারিতা নিয়ে ১৬টি ডিজিটাল মিডিয়া স্টার্টআপের একটি দল কাজ করছে। মানসম্পন্ন সংবাদ প্রকাশ এবং টিকে থাকার ক্ষেত্রে গণমাধ্যম সংস্থাগুলোকে কি ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হয় জানালেন বিভিন্ন দেশের এই সাংবাদিকেরা।
ছবি: DW Akademie
ডিজিটাল মিডিয়ার অগ্রদূত যারা
১৬টি ডিজিটাল মিডিয়া স্টার্টআপের একটি দল গণমাধ্যমের কার্যকারিতা নিয়ে কাজ করছে। তারা জবাব দিচ্ছে: তাদের দেশে গণমাধ্যমের কার্যকারিতার ক্ষেত্রে কি কি চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হয়?
ছবি: DW Akademie
লিকা আনতাদজে, জর্জিয়া, চায় খানা
‘’নিরপেক্ষ, স্বচ্ছ সংবাদ পরিবেশন, একই সাথে দীর্ঘ সময় টিকে থাকা এবং ভালো পাঠক ও দর্শক তৈরি করা সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।‘’
ছবি: DW Akademie
তানিয়া এল মন্তালভো, মেক্সিকো, অ্যানিমেল পলিটিকো
‘’মত প্রকাশের স্বাধীনতা, নিরপেক্ষ সংবাদ পরিবেশনা, মানসম্পন্ন সংবাদ পরিবেশন, মাথায় রাখা পাঠকরা কোন বিষয়গুলো জানতে চায়-এগুলোই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।‘’
ছবি: DW Akademie
টিডিয়ানে হামাদৌ, সেনেগাল, ওয়েস্তাফ নিউজ
‘’গণমাধ্যমের উদ্যোগকে স্বাগত জানানোর কোন বাধ্যবাধকতা জনগণের নেই। তবে নিরপেক্ষ সংবাদ মাধ্যম তাদের জন্য কিছু একটা করতে পারে এবং এটার একটা মূল্য আছে, এই বিষয়টা তারা ভালো বোঝে।‘’
ছবি: DW Akademie
পিং জিন থুম, সিঙ্গাপুর, নিউ ন্যারাটিফ
‘’দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় মত প্রকাশের স্বাধীনতা একটা বড় চ্যালেঞ্জ। গণমাধ্যমের স্বাধীনতা খর্ব করতে আইন করেছে সরকার। সরকারের সহযোগীদের হাতে বেশিরভাগ গণমাধ্যমের মালিকানা। নিরপেক্ষ গণমাধ্যমকে হয়রানি করা হয়, মামলা দেয়া হয় বা কিনে নেয়া হয়। ওয়ার্ল্ড প্রেস ফ্রিডম ইনডেক্স বা বিশ্ব গণমাধ্যম স্বাধীনতা সূচিতে এশিয়ার দেশগুলোর অবস্থান বেশ নিচে।‘’
ছবি: DW Akademie
লুসিয়া মেনেনডেজ, গুয়াতেমালা, নোমাডা
‘’যে দেশের পাঠকেরা মানসম্পন্ন সাংবাদিকতায় অভ্যস্ত না, তাদের নিরপেক্ষ সংবাদে অন্তর্ভুক্ত করা একটা বড় চ্যালেঞ্জ।‘’
ছবি: DW Akademie
কিরিলো লুকেরেংকো, ইউক্রেন, রোমাদস্কে রেডিও
‘’আইনের অবৈধ ব্যবহার ইউক্রেনের গণমাধ্যমের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।‘’
ছবি: DW Akademie
লুসিয়া মার্টিনেজ, আর্জেন্টিনা, চেকুয়াদো
‘’সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হল এমন একটি প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা যা দীর্ঘ সময় ধরে মানসম্পন্ন সাংবাদিকতা ধরে রাখবে।‘’
ছবি: DW Akademie
ডেভিড হিলাডগো ভেগা, পেরু, ওজো পাবলিকো
‘’লাতিন অ্যামেরিকায় গণমাধ্যমের কার্যকারিকার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হল, জনগণের চাহিদার কথা মাথায় রেখে বিভিন্ন ধরণের খবর পরিবেশন।‘’
ছবি: DW Akademie
রোমান ফিলিপভ, মলদোভা, রাইজ মলদোভা
‘’যে দেশে শাসকগোষ্ঠীর হাতে বেশিরভাগ গণমাধ্যম, সেখানে একটা নিরপেক্ষ গণমাধ্যম হিসেবে গুণগত ও মানসম্পন্ন সাংবাদিকতা ধরে রাখা বড় চ্যালেঞ্জ।‘’
ছবি: DW Akademie
তামারা কারাইন, জার্ডান, এআরআইজে
‘’আয়, নেতৃত্ব এবং প্রাতিষ্ঠানিক চ্যালেঞ্জ।‘’
ছবি: DW Akademie
11 ছবি1 | 11
দ্বিতীয় হলো একটি টুইট। চীনে নিযুক্ত ভারতীয় রাষ্ট্রদূতের মন্তব্য নিয়ে একটি টুইট। সেখানে বলা হয়েছিল, চীনে নিযুক্ত ভারতীয় রাষ্ট্রদূত বলেছেন, বার বার ভারতীয় ভূখণ্ডে ঢুকে পড়া এবং কাঠামো তৈরি করার অভ্যাস চীনকে ছাড়তে হবে। এই টুইট নিয়ে অভিযোগ হলো, প্রধানমন্ত্রী যেখানে বলেছেন, ভারতীয় ভূখণ্ডে কেউ নেই, কোনও পোস্টও অন্য দেশের অধিকারে নেই, সেখানে কেন এই ধরনের টুইট করা হলো?
প্রসার ভারতী প্রতি বছর পিটিআই-কে প্রায় সাত কোটি টাকা দেয়। সেই চুক্তি বাতিল করার হুমকি দিয়েছে তারা। পিটিআই-এর প্রাথমিক প্রতিক্রিয়া, তারা চিঠি খতিয়ে দেখে জানাবে। সংবাদমাধ্যম দ্য ওয়্যার জানাচ্ছে, পিটিআই দ্য প্রিন্টকে বলেছে, প্রসার ভারতীর প্রতিক্রিয়া 'অন্যায্য ও অপ্রয়োজনীয়'।
এরপরই শুরু হয়েছে বিতর্ক। কারণ, এটা শুধু পিটিআই-এর প্রশ্ন নয়। সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার প্রশ্নও এর সঙ্গে জড়িত। প্রশ্ন হলো, এইভাবে দেশের সব চেয়ে পুরনো সংবাদসংস্থাকে কি জাতীয়তাবিরোধী আখ্যা দেওয়া যায়? তাদের ওপর চাপ দিয়ে সরকার কি নিজেদের পছন্দমতো খবর করতে বাধ্য করতে পারে? পিটিআই-এর অবসরপ্রাপ্ত ব্যুরো প্রধান অমিতাভ রায়চৌধুরী ডয়চে ভেলেকে জানিয়েছেন, ''পিটিআই তো বহুদিন ধরে সংবাদিকতার চালু পদ্ধতিই অনুসরণ করেছে। দুই পক্ষের কথা তুলে ধরে খবর করেছে। যে প্রতিবেদনের কথা বলা হচ্ছে, সেটা ছিল চীনের রষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎকারভিত্তিক প্রতিবেদন। ভারতের অবস্থান নিয়ে পিটিআই প্রচুর খবর করেছে। নিরপেক্ষ সংবাদিকতা হলো গণতন্ত্রের কষ্টিপাথর। তাই সেটা অবশ্যই বজায় রাখা উচিত।''
ওয়ার্ল্ড প্রেস ফ্রিডম ইনডেক্স ২০১৯: কোন দেশ কোন অবস্থানে
সাংবাদিকদের কর্মপরিবেশ এবং কাজের স্বাধীনতা নিয়ে ২০১৯ সালের ওয়ার্ল্ড প্রেস ফ্রিডম ইনডেক্স প্রকাশ করেছে রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারস৷ চলুন দেখে নিই এই ইনডেক্সে কোন দেশ কোন অবস্থানে আছে৷
ছবি: UNESCO
বৈশ্বিক অবস্থা
১৮০টি দেশকে অন্তর্ভুক্ত করে ওয়ার্ল্ড প্রেস ফ্রিডম ইনডেক্স প্রকাশ করা হয়েছে৷ শতকরা ২৪ ভাগ দেশের পরিবেশ সাংবাদিকদের জন্য ‘ভালো’ কিংবা ‘সন্তোষজনক’ বলছে রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারস৷ ৩৭ শতাংশ দেশকে ‘প্রবলেমেটিক’, ২৯ ভাগ দেশকে ‘সংকটজনক’ ও ১১ শতাংশ দেশকে ‘খুব মারাত্মক’ হিসাবে বিবেচনা করেছে তারা৷ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সাংবাদিকরা বিরূপ পরিবেশ মোকাবেলা করলেও আফ্রিকার বিভিন্ন দেশের এগিয়ে যাওয়া আশা দেখাচ্ছে৷
ছবি: UNESCO
সবচেয়ে খারাপ অবস্থানে তুর্কমেনিস্তান
সাংবাদিকদের কর্মপরিবেশ এবং কাজের স্বাধীনতার দিক থেকে ওয়ার্ল্ড প্রেস ফ্রিডম ইনডেক্সে সবচেয়ে খারাপ অবস্থানে আছে তুর্কমেনিস্তান৷ গত বছর উত্তর কোরিয়ার অবস্থান সবার শেষে থাকলেও এবার তাদের অবস্থান তুর্কমেনিস্তানের ঠিক আগে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/M. Scholz
আবারো শীর্ষে নরওয়ে
বিগত বছরের মতো ওয়ার্ল্ড প্রেস ফ্রিডম ইনডেক্সে শীর্ষে অবস্থান করছে নরওয়ে৷ তার পরের অবস্থান ফিনল্যান্ড এবং সুইডেনের৷ ব়্যাংকিংয়ে তৃতীয় শীর্ষ দেশ থেকে নেমে গেছে নেদারল্যান্ডস৷
ছবি: Imago
দুই ধাপ এগিয়েছে জার্মানি
আগের বছরের পঞ্চদশ অবস্থান থেকে ত্রয়োদশ অবস্থানে উঠে এসেছে জার্মানি৷ তবে সাংবাদিকদের জন্য প্রতিকুল অবস্থার মধ্যেও জার্মানির এই অগ্রগতির কারণ অন্যদের পিছিয়ে যাওয়া৷ যেমন- অস্ট্রিয়া গত বছরের একাদশ অবস্থান থেকে এবার ষোড়শ অবস্থানে চলে গিয়েছে৷
ছবি: picture alliance / ZUMAPRESS.com
পূর্বের অবস্থানে বাংলাদেশ
২০১৯ সালের প্রেস ফ্রিডম ইনডেক্সে গতবারের জায়গায় অবস্থান করছে বাংলাদেশ৷ ১৮০ দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১৫০ তম৷ ব়্যাংকিংয়ে ৪ ধাপ পেছালেও অন্য দেশগুলো বেশি পিছিয়ে যাওয়ার কারণে অবস্থানের কোনো পরিবর্তন হয়নি৷
ছবি: Reuters/M. Ponir Hossain
দক্ষিণ এশিয়ায় ভালো অবস্থানে ভুটান
গ্লোবাল ইনডেক্সে ৮০তম অবস্থানে থাকলেও দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর শীর্ষে অবস্থান করছে ভুটান৷ ৯৮তম স্থান নিয়ে দক্ষিণ এশিয়ায় ভুটানের পরে অবস্থান করছে মালদ্বীপ৷
ছবি: picture-alliance/Zumapress
ভারত-পাকিস্তান কাছাকাছি
সাংবাদিকদের কর্ম পরিবেশের দিক থেকে কাছাকাছি অবস্থান রয়েছে ভারত ও পাকিস্তান৷ আগের বছরের মতো ১৪০ তম অবস্থানে আছে ভারত এবং ১৪২তম স্থানে পাকিস্তান৷
ছবি: Getty Images/AFP/A. Qureshi
‘সমস্যাগ্রস্ত’ যুক্তরাষ্ট্র
স্কোর অনুযায়ী, তিন ধাপ নেমে ইনডেক্সে ৪৮তম অবস্থানে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র৷ ইনডেক্স অনুযায়ী, ৩৭শতাংশ দেশের মতো ‘সমস্যাগ্রস্ত’ (প্রবলেমেটিক) দেশ বিবেচিত হয়েছে দেশটি৷ সাংবাদিকদের বিষয়ে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরূপ অবস্থানকে এর জন্য দায়ী করেছে রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারস৷
ছবি: Getty Images/J. Thys
8 ছবি1 | 8
নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রকের এক আধিকারিকের বক্তব্য, ''এটা স্বাভাবিক সময় নয়। লাদাখে চীনের সঙ্গে রক্তাক্ত সংঘর্ষ হয়েছে। পরিস্থিতি রীতিমতো উত্তেজক। সেই সময় দেশের সব চেয়ে বড় সংবাদসংস্থার একটা দায়িত্ব রয়েছে। তারা সেই দায়িত্ব থেকে বিচ্যূত হয়েছে। তাদের খবরে বিভ্রান্তি দেখা দিতেই পারে।'' বিশেষজ্ঞদের মতে, পিটিআই-এর কাছে যে হুমকি চিঠি পাঠিয়েছে প্রসার ভারতী, তার পিছনে সরকারের মদত রয়েছে। তারা খাতায় কলমে স্বশাসিত সংস্থা হলেও মূলত সরকার নির্দেশিত পথেই চলে।
প্রবীণ সাংবাদিক জয়ন্ত ভট্টাচার্য ডয়চে ভেলেকে জানিয়েছেন, ''লাদাখে ভারত ও চীনের মধ্যে সংঘাত হয়েছে। যে প্রতিবেদন নিয়ে আপত্তি তোলা হয়েছে, সেখানে চীনের মতামত তুলে ধরা হয়েছে। আমরা যদি ওই প্রতিবেদনের ইন্ট্রো পড়ি, তা হলে দেখা যাবে, চীনের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তুলেই তারা কপি শুরু করেছে। তারপর তারা চীনের রাষ্ট্রদূতের কোট দিয়েছে। সেখানে দেশদ্রোহের বিষয়টা আমি ঠিক বুঝতে পারলাম না। এর পরের ফলো আপ কপি অবশ্যই ভারতের কথা নিয়ে যাবে।''
আরেক প্রবীণ সাংবাদিক শরদ গুপ্তা ডয়চে ভেলেকে বলেছেন, ''চীনের রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎকারের পর ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের পাবলিসিটি উইং আছে, তারা উপযুক্ত ও কড়া জবাব দিতে পারত। এর জন্য কেন পিটিআই-কে হুমকি দেওয়া হবে? বড় অঙ্কের টাকা বন্ধ করার কথা বলা হবে?''
পিটিআই-এর একটা দীর্ঘ ইতিহাস আছে। একসময় কে সি রায় তৈরি করেছিলেন অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস অফ ইন্ডিয়া বা এপিআই। ১৯১৯ সালে তা রয়টার্স অধিগ্রহণ করে। তবে এপিআই নাম রেখে দেয়। ১৯৪৭ সালের ২৭ অগাস্ট পিটিআই তৈরি হয়। দুই বছর পরে তারা এপিআই-এর সঙ্গে যুক্ত হয়। তবে রয়টার্সের সঙ্গে তখনও যোগ ছিল। সেটা ছিন্ন হয় ১৯৫৩ সালে। জরুরি অবস্থার সময় ১৯৭৬ সালে পিটিআই, ইউএনআই, হিন্দুস্তান সমাচার, সমাচার ভারতী মিলে তৈরি হয় সমাচার। জরুরি অবস্থার পরে ১৯৭৮ সালে আবার সংবাদসংস্থা আলাদা হয়ে যায়। সারা দেশ জুড়ে পিটিআই-এর এক হাজারের বেশি কর্মী আছেন। আর পিটিআই চালায় একটি ট্রাস্ট, যেখানে দেশের বিভিন্ন সংবাদপত্রের প্রতিনিধিরা আছেন। বোর্ডে তাঁদের প্রতিনিধিরা থাকেন। তিনজন মনোনীত প্রতিনিধি থাকেন। তাঁরা সাধারণত প্রথিতযশা ব্যক্তি হন।
ভারতে অন্যতম প্রধান এই সংবাদসংস্থার ওপর এই ধরনের চাপ দেওয়া নিয়ে তাই প্রবল আলোড়ন দেখা দিয়েছে।