করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে মোদী সরকারের লেজে-গোবরে অবস্থা৷ সোমবার মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে তা আরো স্পষ্ট হলো৷
বিজ্ঞাপন
তবে মোদীর বিরুদ্ধে বিজেপি শাসিত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদেরও সোচ্চার হতে দেখে বোঝা গেল ভারতে এখনো গণতন্ত্র জোরদার আছে৷
সাংবাদিক বলে যে কোনো খবরের তথ্য এবং বিশ্লেষণ আমাকে সমানভাবে টানে৷ বিশ্লেষণে তুলনামূলক বিশ্লেষণেরও গুরুত্বপূর্ণ জায়গা রয়েছে৷ বাংলাদেশের নাগরিক বলে দক্ষিণ এশিয়ার দেশ ভারত, পাকিস্তান, নেপাল, ভুটান, আফগানিস্তান, এমনকি মালদ্বীপের খবর নিয়ে ভাবতে বসলেও বাংলাদেশের সঙ্গে একটা তুলনা আপনাআপনি মাথায় চলে আসে৷
সোমবার লকডাউন নিয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে যে ভিডিও কনফারেন্স করলেন তার খুঁটিনাটি পড়তে গিয়েও আমার মাথায় কিছু তুলনামূলক আলোচনা শুরু হয়েছে৷ কিছু প্রশ্নও জেগেছে মনে৷ সবচেয়ে বড় প্রশ্নটা হলো, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের খুব বড় কোনো নেতাও কি এভাবে মুখ খুলতে পারবেন? মুখ খুললে ‘চাকরি’ থাকবে? বাংলাদেশে কবে সেই পরিস্থিতি ছিল?
আগের চারটির মতো সোমবারের ভিডিও বৈঠকেও মোদী যে তুমুল বিরোধিতার মুখে পড়বেন তা প্রত্যাশিতই ছিল৷ জার্মানির মতো দেশে, আঙ্গেলা ম্যার্কেলের মতো চ্যান্সেলরও তো লকডাউন প্রশ্নে ১৬ রাজ্যের চাপের কাছে ‘নতি স্বীকার’ করতে বাধ্য হয়েছেন, সেখানে ভারতের মতো দেশের মুখ্যমন্ত্রীরা গত দু মাসে ভাঙতে ভাঙতে প্রায় গুড়িয়ে যাওয়া অর্থনীতির প্রসঙ্গ তুলে বিরোধিতা করবেন না? কেন্দ্র থেকে বিজেপি সরকার যে কোনো সিদ্ধান্ত দিলে বিরোধীরা তা মেনে নেবে?
বিশেষ করে বিরোধী দল বা জোট শাসিত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা যে ‘জ্বী হুজুর, জ্বী হুজুর’ বলে মোদীর সব কথা মেনে নেবেন না তা বোঝা যাচ্ছিলো৷
ভারতেও হিন্দুরা সংখ্যালঘু!
ভারতে মোট ৭৯ দশমিক ৮ শতাংশ মানুষ হিন্দু ধর্মাবলম্বী হওয়া সত্ত্বেও সংখ্যার বিচারে ভারতের কোন সাতটি রাজ্যে হিন্দুরা সংখ্যালঘু, জানুন ছবিঘরে...
ছবি: picture-alliance/AP Photo/B. Armangue
জম্মু ও কাশ্মীর
উত্তর ভারতের জম্মু ও কাশ্মীর রাজ্যে মোট জনসংখ্যার ৬৮ দশমিক ৩ শতাংশ মানুষ ইসলাম ধর্মাবলম্বী৷ ফলে, রাজ্যের ২৮ দশমিক ৪ শতাংশ হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা সেখানে সংখ্যালঘু৷
ছবি: Getty Images/AFP
পাঞ্জাব
পাঞ্জাবে সংখ্যাগরিষ্ঠের ধর্ম শিখ ধর্ম৷ মোট জনসংখ্যার ৫৭ দশমিক ৭ শতাংশ মানুষ এই ধর্ম অনুসরণ করেন৷ সেখানের ৩৮ দশমিক ৪ শতাংশ< হিন্দু তাই সংখ্যালঘু৷
ছবি: AFP/Getty Images/N. Nanu
লাক্ষাদ্বীপ
লাক্ষাদ্বীপের মোট ৯৬ দশমিক ২ শতাংশ মানুষই নিজের পরিচয় দেন মুসলমান হিসাবে৷ সেখানের হিন্দু জনসংখ্যা মাত্র আড়াই শতাংশ!
লাক্ষাদ্বীপের মতো মিজোরামের চিত্রও প্রায় একই৷ হিন্দু জনসংখ্যা সেখানে ২ দশমিক ৭ শতাংশ, অন্যদিকে, ৮৭ শতাংশ মানুষ সেখানে খ্রীষ্টধর্মের অনুসারী৷ রয়েছেন সাড়ে আট শতাংশের কাছাকাছি বৌদ্ধও৷
ছবি: Getty Images/AFP/A. Dey
নাগাল্যান্ড
‘সবচেয়ে বেশি ব্যাপটিস্ট রাজ্য’ নামে খ্যাত নাগাল্যান্ডের মোট জনসংখ্যার মাত্র ৮ দশমিক ৭ শতাংশ মানুষ সেখানে হিন্দু ধর্মের অন্তর্গত৷ স্বাভাবিকভাবেই, সেখানে খ্রিষ্টান রয়েছেন ৮৮ শতাংশ৷
ছবি: Souvid Datta
অরুণাচল প্রদেশ
উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলিতে হিন্দুদের সংখ্যালঘু হওয়ার ধারা অরুণাচল প্রদেশেও অব্যাহত৷ এখানে হিন্দুদের মোট সংখ্যা অন্যান্য রাজ্যের তুলনায় বেশি, প্রায় ২৯ শতাংশের কাছাকাছি৷ অল্পের জন্য এগিয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠের তকমা জুটেছে খ্রিষ্টানদের ,যারা মোট জনসংখ্যার ৩০ শতাংশ৷ রয়েছেন ২৬ শতাংশ ‘দোনয়ি পোলো’ নামের আদিবাসী ধর্মানুসারীরাও৷
ছবি: picture-alliance/dpa/Str
মেঘালয়
মেঘালয়ের ১১ দশমিক ৫৩ শতাংশ মানুষ হিন্দু ধর্মের অনুসারী৷ মাতৃতান্ত্রিক সামজব্যবস্থায় চলা এই রাজ্যের মোট ৭৫ শতাংশ মানুষ খ্রিষ্টান৷
7 ছবি1 | 7
মোটামুটি জানাই ছিল যে, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি কেন্দ্রের কাছে রাজ্যের প্রাপ্য ৬১ হাজার কোটি টাকা এই সুযোগে চাইবেন৷ তবে মমতা চাইলেই যে মোদী তা সঙ্গে সঙ্গে দিয়ে দেবেন না, তা-ও জানা ছিল৷
কারণ, এসব ক্ষেত্রে ভারতের রাজনীতি মোটাদাগে বাংলাদেশের মতোই৷ বাংলাদেশেও তো যুগ যুগ ধরে বিরোধী দলের সাংসদ বা মেয়রের প্রাপ্য অনুদান বা বরাদ্দ জোটে না, কিন্তু সরকারি দলের সাংসদ বা মেয়র অর্থস্রোতে ভাসতে ভাসতে উন্নয়নের পাশাপাশ দুর্নীতিও করতে পারেন৷ বৈষম্যটা দিন দিন শুধু বাড়ছে, এই যা!
মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে মোদীর বৈঠকে বিরোধী দল বা জোট শাসিত রাজ্যের দিক থেকে যে বিরোধিতা এসেছে, তা আমাকে খুব একটা নাড়া দেয়নি৷ বিরোধীরা তো বিরোধিতা করবেনই৷ বাংলাদেশের সংসদে যে সেই অর্থে বিরোধী দলের অংশগ্রহণ নেই, থাকলেও বিরোধিতা করে লাভ হতো কিনা সেটা অবশ্য অন্য প্রশ্ন৷
কথা হলো, বিরোধিতা যদি যৌক্তিক এবং প্রকৃত অর্থে কল্যাণকর হয়, তাহলে সবারই উচিত ‘যো হুকুম জাহাপনা’ না বলে ভিন্নমত স্পষ্ট ভাষায় জানানো৷
কেন্দ্রীয় সরকার যখন বলবে, যেভাবে বলবে, তখন সেভাবেই লকডাউন তোলা সম্ভব নয়, উচিতও নয়- এই বক্তব্যটা খুব যৌক্তিক এবং সংশ্লিষ্ট রাজ্যের নাগরিকদের জন্য দৃশ্যত কল্যাণকর ছিল৷ ভারতে গণতন্ত্র আছে বলে এই যৌক্তিক বক্তব্য
সব মুখ্যমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীর দিকে সরাসরি তাকিয়েই তুলে ধরতে পেরেছেন৷ এবং কথাটা শুধু বিরোধী দলের নেতারাই বলেননি৷ হরিয়ানার বিজেপি মুখ্যমন্ত্রীও সোজাসাপ্টা বলেছেন, কোন রাজ্যের কোথায় গ্রিন জোন, কোথায় রেড জোন হবে, তা রাজ্য ঠিক করবে, কেন্দ্র তা ঠিক করতে পারে না৷
দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী, আম আদমি পার্টির নেতা অরবিন্দ কেজরিওয়াল আর বিজেপি শাসিত কর্ণাটক রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এক সুরে বলেছেন, একটা জেলাকে পুরোপুরি লকডাউন না করে নির্দিষ্ট অংশকে করলে ভালো হয় কিনা, তা ভেবে দেখা দরকার৷
যৌক্তিক দাবি সরকারি দল এবং বিরোধীদলের তরফ থেকে উঠেছে বলেই নরেন্দ্র মোদী বাধ্য হয়ে লকডাউন প্রশ্নে কোন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর কী বক্তব্য, কী পরামর্শ তা আগামী ১৫ ই মে-র মধ্যে লিখিতভাবে জানাতে বলেছেন৷
এমনকি রোববার কেন্দ্র যে একতরফাভাবে যাত্রীবাহী ট্রেন চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, মাত্র একদিন পর সেই বিষয়েও সরাসরি আপত্তি জানানো হয়েছে৷ তেলেঙ্গানা ও তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন, ‘‘এখন তো নয়ই, এমনকি আগামী ৩১ মে পর্যন্ত যাত্রীবাহী ট্রেন চালু করার কোনো দরকার নেই৷’’
গণতন্ত্রের সৌন্দর্য এখানেই৷
তাই বলে ভারতে কি আমরা খুব সুন্দর, একেবারে আদর্শ গণতন্ত্র দেখছি? মোটেই না৷ ভোটের গণতন্ত্রের অনেক দুর্বলতা ফুটে উঠছে সেখানেও৷
ভারতের ধর্মনিরপেক্ষতাও প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে বারবার৷ এমন নয় যে, সাংবিধানিকভাবে ‘ধর্মনিরপেক্ষ’ বলে সে দেশে আগে সাম্প্রদায়িকতা ছিল না৷ সাম্প্রদায়িকতা অবশ্যই ছিল৷ তবে ধর্ম নিয়ে ‘প্রকাশ্যে কদর্য রাজনীতি’ একটা সময় পর্যন্ত দেখা যায়নি বললেই চলে৷
ভারতে সাম্প্রদায়িকতার বিস্তার নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়তো আরেকদিন করা যাবে৷ তবে একটা কথা আজ অবশ্যই বলে রাখা যায়৷ ‘অহিংস রাজনীতির জনক’ মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধীর দেশ ভারত এখন নরেন্দ্র মোদী আর বিজেপির দেশ৷ গান্ধী সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা রুখতে নোয়াখালী পর্যন্ত গিয়েছিলেন, মোদী দিল্লির দাঙ্গার সময়ও নীরব, নিষ্ক্রিয় থাকেন৷ সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে সরব হয়ে প্রাণ দিতে হয়েছিল মহাত্মা গান্ধীকে৷ নরেন্দ্র মোদী দিল্লির দাঙ্গার সময়ও নীরবে, নিরাপদে ভোটের হিসাব কষেন!
৪ মার্চের ছবিঘরটি দেখুন...
দিল্লির দাঙ্গা নিয়ে বিশ্বের প্রতিক্রিয়া
ভারতের দিল্লিতে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় কমপক্ষে ৪৬ জন প্রাণ হারিয়েছেন৷ এই ঘটনায় অনেকে উদ্বেগ প্রকাশ করে বিবৃতি দিয়েছেন৷
ছবি: DW/S. Ghosh
বাংলাদেশের বিশিষ্ট নাগরিকদের বিবৃতি
বাংলাদেশের ১২ জন বিশিষ্ট নাগরিক ভারতে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বৃহস্পতিবার বিবৃতি দিয়েছেন৷ তাঁরা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষায় দ্রুত পদক্ষেপ নিতে ভারত সরকার ও নাগরিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন৷ ভারত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ব্যর্থ হলে প্রতিবেশী দেশগুলোতে শান্তি, গণতন্ত্র, উন্নয়ন ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট হওয়ার মতো পরিবেশ তৈরি হতে পারে বলেও বিবৃতিতে আশঙ্কা প্রকাশ করেন তাঁরা৷
ছবি: DW/S. Ghosh
ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী
জাভেদ জারিফ সোমবার এক টুইটে লিখেছেন, ‘‘ভারতীয় মুসলমানদের বিরুদ্ধে সংঘবদ্ধ সহিংসতার সমালোচনা করছে ইরান৷ গত কয়েক শতাব্দী ধরে ইরান ভারতের বন্ধু৷ সব ভারতীয়র মঙ্গল নিশ্চিত করতে এবং অর্থহীন গুন্ডামি চলতে না দিতে ভারতীয় কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি আমরা৷’’ এদিকে, জারিফের প্রতিক্রিয়ার প্রতিবাদ জানাতে ভারত মঙ্গলবার ইরানের রাষ্ট্রদূতকে ডেকে পাঠিয়েছিল৷
ছবি: picture-alliance/dpa/T. Hase
ডনাল্ড ট্রাম্প
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প সম্প্রতি ভারত সফরে গিয়েছিলেন৷ সেই সময় দিল্লিতে দাঙ্গা শুরু হয়৷ তবে এই বিষয় নিয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে তাঁর আলোচনা হয়নি বলে জানিয়েছেন ট্রাম্প৷ অবশ্য সহিংসতার বিষয়টি তিনি শুনেছেন বলে স্বীকার করেছেন৷
ছবি: Reuters/A. Drago
মার্কিন প্রেসিডেন্ট প্রার্থী
ডেমোক্র্যাট দল থেকে প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচনে আগ্রহী দুই প্রার্থী বার্নি স্যান্ডার্স ও এলিজাবেথ ওয়ারেন টুইটারে প্রকাশিত বিবৃতিতে ভারতে সহিংসতার বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেয়ার জন্য ট্রাম্প প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন৷ ‘‘২০ কোটির বেশি মুসলমান ভারতকে নিজেদের দেশ মনে করেন,’’ বলেন স্যান্ডার্স৷ জবাবে ট্রাম্প বলেন, ‘‘এটা ভারতের ব্যাপার৷ মানবাধিকার নিয়ে কাজ করা নেতৃত্বের ব্যর্থতা এটা৷’’
ছবি: picture-alliance/newscom/E. M. PioRoda
ইমরান খান
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বলেছেন, ‘‘ভারতে ২০ কোটি মুসলমানকে ‘টার্গেট’ করা হচ্ছে৷ বিশ্ব সম্প্রদায়কে এখন অবশ্যই এগিয়ে আসতে হবে৷’’
মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদ
যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি পরিষদের পররাষ্ট্র বিষয়ক কমিটির চেয়ারম্যান এলিয়ট অ্যাঙ্গেল বলেছেন, ‘‘গত কয়েকদিন ধরে ভারতে সাম্প্রদায়িক সহিংসতায় প্রাণহানির খবরে আমরা খুবই উদ্বিগ্ন৷’’
ছবি: Getty Images/S. Corum
ওআইসি
বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে ‘অর্গানাইজেশন অফ ইসলামিক কোঅপারেশন’ ওআইসি ‘ভারতে মুসলমানদের বিরুদ্ধে চলমান ভয়াবহ হামলা এবং মসজিদ ও মুসলমানদের সম্পত্তিতে আগুন দেয়া ও ভাঙচুরের’ সমালোচনা করেছে৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo
রেচেপ তাইয়্যিপ এর্দোয়ান
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এর্দোয়ান বৃহস্পতিবার এক বক্তব্যে বলেন, ‘‘বর্তমানে ভারত এমন এক দেশে পরিণত হয়েছে যেখানে নির্বিচারে হত্যাকাণ্ড চলছে৷ কাদের হত্যা করা হচ্ছে? মুসলমানদের৷ কারা করছে? হিন্দুরা৷’’
ছবি: Getty Images/AFP/A. Altan
জাতিসংঘের মানবাধিকার প্রধান
‘অফিস অফ দ্য ইউনাইটেড নেশনস হাই কমিশনার ফর হিউম্যান রাইটস’ ওএইচসিএইচআর কমিশনার মিশেল বাচেলেট ভারতে মুসলমানদের বিরুদ্ধে হামলার সময় পুলিশের নীরব ভূমিকার খবরে উদ্বেগ প্রকাশ করেন৷
ছবি: picture-alliance/dpa/Agencio Uno/S. B. Gaete
ইউএসসিআইএফআর
যুক্তরাষ্ট্রের ‘ইউএস কমিশন ফর ইন্টারন্যাশনাল রেলিজিয়াস ফ্রিডম’ ইউএসসিআইএফআর এক টুইটে দিল্লিতে মুসলমানদের উপর হামলার খবরে উদ্বেগ প্রকাশ করে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের রক্ষায় পদক্ষেপ নিতে মোদী সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে৷
ছবি: DW/S. Ghosh
রাশিদা তালিব
মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদে ডেমোক্র্যাট দলের সদস্য রাশিদা তালিব ভারতে ট্রাম্পের সফরের সময় টুইটে বলেছিলেন, এই মুহূর্তে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সংবাদ হওয়া উচিত মুসলমানদের লক্ষ্য করে চলা সাম্প্রদায়িক সহিংসতা৷ ‘‘মুসলমানবিরোধী সহিংসতা চলার সময় আমরা বসে থাকতে পারি না,’’ বলেন তিনি৷
ছবি: picture-alliance/dpa/P. Sancya
ভারতের সমালোচনা
দাঙ্গা নিয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতিক্রিয়ার সমালোচনা করেছে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়৷ এক বিবৃতিতে তারা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সমালোচনাকে ‘বিভ্রান্তিকর ও অসত্য’ বলে আখ্যায়িত করেছে৷ একই সঙ্গে ভারতের এমন ‘স্পর্শকাতর সময়ে দায়িত্বজ্ঞানহীন মন্তব্য’ না করারও আহ্বান জানানো হয়েছে৷