1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বাংলাদেশ-আসাম সীমান্ত বন্ধের ঘোষণা

হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা৩ জুন ২০১৬

বাংলাদেশ-আসাম সীমান্ত বন্ধ করে দেয়ার দিন-ক্ষণ ঘোষণা করেছেন ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং৷ ২০১৭ সালের জুন নাগাদ সীমান্ত বন্ধ হবে৷ বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের সংখ্যালঘুদের ভারতের নাগরিক করার প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে বলে খবর৷

Die Grenze zwischen Indien und Bangladesch
ছবি: S. Rahman/Getty Images

বাংলাদেশ-আসাম সীমান্ত স্থল ও নৌ সীমা মিলিয়ে মোট ২৮৪ দশমিক ৪ কিলোমিটারের৷ ভারতের বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিজেপি নেতৃত্ব প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল চোরাচালান ও অনুপ্রবেশ ঠেকাতে আসামে ভারত-বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক সীমান্ত তারা বন্ধ করে দেবে৷ গত জানুয়ারিতে ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং আসামের করিমগঞ্জ জেলার সীমান্ত পরিদর্শনে গিয়ে বলেছিলেন, ‘‘চলতি বছরের মধ্যেই বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত বন্ধ করা হবে৷''

নূর খান

This browser does not support the audio element.

আসামে বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির জয়ের সুবাদে সেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন সর্বানন্দ সনোওয়াল৷ নির্বাচনের আগে এক সাক্ষাত্‍কারে তিনিও বলেছিলেন, ‘‘অবৈধ অনুপ্রবেশ ঠেকাতে ভারত আগামী দুই বছরের মধ্যে বাংলাদেশের সঙ্গে থাকা আসাম রাজ্যের সীমান্ত বন্ধ করে দেবে৷ নদী-সীমান্তও এর বাইরে থাকবে না৷'' সেই ধারাবাহিকতায় এবার সীমান্ত বন্ধের কাজ শেষ করার নির্দিষ্ট দিনক্ষণ বেঁধে দেওয়া হলো৷

ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, এ পর্যন্ত বাংলাদেশ-আসামের ২২৭ দশমিক ৭ কিলোমিটার সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া দেয়া হয়েছে৷ তবে এখনো ৬০ দশমিক ৭ কিলোমিটার এলাকার ১২২টি জায়গায় কোনো ধরণের প্রতিবন্ধকতা নেই৷ সিদ্ধান্ত হয়েছে যে, এর মধ্যে ১১ দশমিক ৯ কি.মি এলাকার ১০০টি অংশে কাঁটাতারের বেড়াসহ প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা হবে৷ আর জলসীমার ৪৮ দশমিক ৮ কি. মি. এলাকায় প্রযুক্তিগত প্রতিবন্ধকতা স্থাপন করা হবে৷ আর আগামী বছরের জুন মাস নাগাদ এই কাজ শেষ হবে৷

...ছিটমহল সমস্যার সমাধান হয়েছে...ছবি: S. Rahman/Getty Images

ভারতীয় সংবাদ মাধ্যমের খবর, ‘‘নির্বাচনি প্রতিশ্রুতি পূরণের অংশ হিসেবে বিধানসভা নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার পরপরই আসাম-বাংলাদেশ সীমান্ত বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার৷ এর বিপরীতে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের সংখ্যালঘুদের নাগরিকত্ব দিতে ভারতের নাগরিকত্ব আইন পরিবর্তনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে৷ চূড়ান্ত করা হয়েছে আইনের খসড়া সংশোধনী৷'

খসড়া অনুযায়ী ধর্মীয় কারণে পাকিস্তান ও বাংলাদেশ থেকে সংখ্যালঘুরা ভারতে গেলে তাদের ‘অবৈধ অনুপ্রবেশকারী' বিবেচনা করা হবে না৷ তাদের ভারতে থাকার নিশ্চয়তা বিধান করা হবে৷

এ বিষয়ে মানবাধিকার কর্মী, আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক)-এর ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী পরিচালক নূর খান ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘চোরাচালান এবং অবৈধ অনুপ্রবেশ বন্ধ করার জন্য আসাম সীমান্ত বন্ধ করছে ভারত৷ তবে বিষয়টি একপাক্ষিক নয়৷ আর সীমান্ত ‘সিল' করা বা কাঁটাতারের বেড়া দিয়ে বন্ধ করাও সমাধান নয়৷ কাঁটাতারের বেড়ায় দুই দেশের সম্পর্কও আহত হয়৷''

তিনি আরো বলেন, ‘‘সীমান্তে দেয়াল তুলে মনের দেয়াল খোলা রাখা যায়না৷ আস্থায় চিড় ধরে৷ ভারত রাজনৈতিক কারণে এটা করছে বলে আমার মনে হয়৷''

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ