ভারতে ধর্মনিরপেক্ষতার মৌলিক কাঠামোর ভিত্তিতে আঘাত হানছে হিন্দুত্ববাদীরা৷ এমন পরিস্থিতির কারণে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে সমালোচনার ঝড় উঠছে৷ বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মৌলবাদী শক্তি উৎসাহিত হচ্ছে৷
বিজ্ঞাপন
বেড়ে চলা অসহিষ্ণুতার অভিযোগে ভারতের সাহিত্যিক, বুদ্ধিজীবী, অভিনেতারা সোচ্চার হয়ে উঠছেন৷ দলমত নির্বিশেষে লেখকরা দলে দলে সাহিত্য অ্যাকাডেমি পুরস্কার ফিরিয়ে দিচ্ছেন৷ অথচ সরকার এর পেছনে রাজনৈতিক চক্রান্ত দেখছে৷ হিন্দুত্ববাদীদের রোষের মুখে প্রাণ দিতে হয়েছে কর্ণাটক রাজ্যের শিক্ষাবিদ কালবুর্গি থেকে শুরু করে উত্তর প্রদেশের দাদরিতে মহম্মদ আখলাককে৷ বিহার রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনে মোদীর বিজেপি দলের বিপর্যয়কে সেই সব মানুষ অসহিষ্ণুতার রাজনীতির বিরুদ্ধে ভোটারদের রায় হিসেবে দেখছেন, যাঁরা ভারতের ধর্মনিরপেক্ষ কাঠামোয় বিশ্বাসী৷
একজন নরেন্দ্র মোদী
উগ্র সাম্প্রদায়িক আদর্শ এবং বিভাজনের রাজনীতির কারণে ভারতের বহু মানুষের কাছে তিনি খলনায়ক৷ ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে নিজেকে নতুন মোড়কে সামনে এনে সেই নরেন্দ্র মোদীই শোনাচ্ছেন ভারতকে বদলে দেয়ার মন্ত্র৷
ছবি: dapd
চা ওয়ালা
১৯৫০ সালে গুজরাটের নিম্নবিত্ত এক ঘাঞ্চি পরিবারে জন্ম নেয়া নরেন্দ্র মোদী কৈশরে বাবাকে সাহায্য করতে রেল ক্যান্টিনে চা বিক্রি করেছেন৷ ঘাঞ্চি সম্প্রদায়ের রীতি অনুযায়ী ১৭ বছর বয়সে যশোদাবেন নামের এক বালিকার সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়, যদিও বেশিদিন সংসার করা হয়নি৷ ছাত্র হিসেবে সাদামাটা হলেও মোদী বিতর্কে ছিলেন ওস্তাদ৷ ১৯৭১ সালে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ বা আরএসএস-এর প্রচারক হিসাবে রাজনীতির দরজায় পা রাখেন মোদী৷
ছবি: UNI
গুজরাটের গদিধারী
১৯৮৫ সালে আরএসএস থেকে বিজেপিতে যোগ দেয়ার ১০ বছরের মাথায় দলের ন্যাশনাল সেক্রেটারির দায়িত্ব পান ১৯৯৫ সালে গুজরাটের নির্বাচনে চমক দেখানো মোদী৷ ১৯৯৮ সালে নেন দলের জেনারেল সেক্রেটারির দায়িত্ব৷ ২০০১ সালে কেশুভাই প্যাটেলের স্বাস্থ্যের অবনতি হলে দলের মনোনয়নে গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে আবির্ভূত হন নরেন্দ্র মোদী, যে দায়িত্ব তিনি এখনো পালন করে চলেছেন৷
ছবি: Reuters
দাঙ্গার কালিমা
মোদীকে নিয়ে আলোচনায় ২০০২ সালের দাঙ্গার প্রসঙ্গ আসে অবধারিতভাবে৷ স্বাধীন ভারতের সবচেয়ে ভয়াবহ সেই সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় গুজরাটে প্রায় ১২০০ মানুষ নিহত হন৷ মোদীর বিরুদ্ধে অভিযোগ, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হয়েও তিনি দাঙ্গায় উসকানি দেন৷ তিনি এ অভিযোগ স্বীকার করেননি, আদালতও তাঁকে রেহাই দিয়েছে৷ তবে দাঙ্গার পক্ষে কার্যত সাফাই গেয়ে, হিন্দুত্ববাদের গান শুনিয়েই তিন দফা নির্বাচনে জয় পান মোদী৷
ছবি: AP
রূপান্তর
দাঙ্গার পর নিজের ভাবমূর্তি ফেরানোর উদ্যোগ নেন নরেন্দ্র মোদী৷ একজন বিতর্কিত নেতার বদলে উন্নয়নের কাণ্ডারি হিসাবে তাঁকে প্রতিষ্ঠা দিতে শুরু হয় ‘গুজরাট মডেল’-এর প্রচার৷ ২০০৭ সালের পর নিজেকে একজন সর্বভারতীয় নেতা হিসাবে তুলে ধরতে নতুন প্রচার শুরু করেন এই বিজেপি নেতা, প্রতিষ্ঠা করেন ‘ব্র্যান্ড মোদী’৷গুজরাটের উন্নয়নের চিত্র দেখিয়ে কলঙ্কিত ভাবমূর্তিকে তিনি পরিণত করেন ভারতের ত্রাতার চেহারায়৷
ছবি: UNI
ভারতের পথে পথে
ভারতের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌঁড়ে নরেন্দ্র মোদী পাড়ি দিয়েছেন তিন লাখ কিলোমিটার পথ৷ সারা ভারতে পাঁচ হাজার ৮২৭টি জনসভায় তিনি অংশ নিয়েছেন, নয় মাসে মুখোমুখি হয়েছেন পাঁচ কোটি মানুষের৷ কট্টর হিন্দুত্ববাদী নেতা হিসাবে শুরু করলেও এবার তিনি হিন্দুত্ব নিয়ে প্রচার এড়িয়ে গেছেন সচেতনভাবে, যদিও বাংলাদেশের মানুষ, ভূখণ্ড এবং ধর্ম নিয়ে নরেন্দ্র মোদী এবং বিজেপি নেতাদের বক্তব্য নতুন সমালোচনার জন্ম দিয়েছে৷
ছবি: AP
নতুন ইতিহাস
ভারতীয় জনতা পার্টি বা বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোটই যে এবার ভারতে সরকারগঠন করতে যাচ্ছে, বুথফেরত জরিপ থেকে তা আগেই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল৷ ৬৩ বছর বয়সি মোদীর নেতৃত্বে এই বিজয়ের মধ্য দিয়ে তৃতীয়বারের মতো সরকার গঠন করতে যাচ্ছে হিন্দুত্ববাদী দল বিজেপি৷ ৭ই এপ্রিল থেকে ১২ই মে অনুষ্ঠিত ইতিহাসের সবচেয়ে বড় এ নির্বাচনে ভোটার ছিলেন ৮১ কোটি ৪০ লাখ৷ তাঁদের মধ্যে রেকর্ড ৬৬ দশমিক ৩৮ শতাংশ ভোট দিয়েছেন৷
ছবি: picture-alliance/dpa
শেষ হাসি
নির্বাচনে বিজেপির প্রতিশ্রুতি ছিল – মোদী প্রধানমন্ত্রী হলে দেশের অর্থনীতি নতুন গতি পাবে, গুজরাটের আদলে তিনি ভারতকে বদলে দেবেন৷ অবশ্য সমালোচকরা বলছেন, ‘কলঙ্কিত ভাবমূর্তি’ ঢাকতে এসব মোদীর ফাঁপা বুলি৷ তাঁর স্বৈরাচারী মেজাজ, শিক্ষা ও অর্থনীতির জ্ঞান নিয়েও ঠাট্টা-বিদ্রুপ হয়েছে৷ বলা হচ্ছে, ভোটাররা টানা তৃতীয়বার কংগ্রেসকে চায়নি বলেই বিজেপি জয় পেয়েছে৷ যদিও শেষ হাসি দেখা যাচ্ছে নরেন্দ্র মোদীর মুখেই৷
ছবি: dapd
7 ছবি1 | 7
মোদীর হিন্দুত্ববাদী রাজনীতির দিকে লক্ষ্য রাখছে প্রতিবেশী দেশগুলিও৷ সেখানেও অসহিষ্ণুতার দীর্ঘ ঐতিহ্য রয়েছে৷ ১৯৭৭ সালে অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করে জেনারেল জিয়া উল হক পাকিস্তানের চরিত্রই বদলে দিয়েছিলেন৷ উগ্র ইসলামি ভাবধারার সেই বীজ আজ শিকড় গেড়ে বসেছে৷ গণতন্ত্র আর ঠিকমতো মাথা তুলে দাঁড়াতে পারেনি৷ বাংলাদেশেও ধর্মীয় মৌলবাদীদের দৌরাত্ম্য বেড়ে চলেছে৷ এই দুই দেশের ইসলামি মৌলবাদীদের কাছে প্রতিবেশী দেশ ভারতে হিন্দুত্মবাদীদের রমরমা সুখবর বৈকি৷ কারণ তারাও ঠিক এমনই এক ধর্মভিত্তিক স্বৈরতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থা গড়ে তুলতে চাইছে৷ ভারতে এক অসহিষ্ণু হিন্দু রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হলে পাকিস্তান ও বাংলাদেশেও মৌলবাদীদের সাফল্যের সম্ভাবনা বেড়ে যাবে৷ উদারপন্থি ও গণতান্ত্রিক শক্তি পুরোপুরি কোণঠাসা হয়ে পড়বে৷ এমনকি তাদের একটা বড় অংশকেই হয়তো বাধ্য হয়ে দেশ ছাড়তে হবে৷
এই তিন দেশের ধর্মীয়-মৌলবাদী শক্তির লক্ষ্য একই৷ তারা সবাই নিজ নিজ দেশের সংবিধানে মৌলিক পরিবর্তন এনে ধর্মীয় সংখ্যাগরিষ্ঠ সম্প্রদায়ের কর্তৃত্ব কায়েম করতে চায়৷ সংখ্যালঘু সম্প্রদায় সেখানে কোণঠাসা হয়ে থাকবে৷ সংখ্যাগরিষ্ঠ সম্প্রদায়কেও কড়া অনুশাসনের মধ্যে থাকতে হবে৷ ভিন্নমত পোষণের কোনো জায়গা সেখানে থাকবে না৷ অর্থাৎ পাকিস্তান ও বাংলাদেশে এক কট্টরপন্থি সুন্নি/ওয়াহাবি ভাবধারা প্রতিষ্ঠিত হবে৷ ভারতেও হিন্দুদের একইরকম কট্টর অনুশাসন অনুযায়ী বসবাস করতে হবে৷ হিন্দুত্ববাদীদের লেখা ইতিহাস তাদের মেনে নিতে হবে৷ প্রকাশ্যে গোমাংস খাওয়া পুরোপুরি নিষিদ্ধ হবে৷
কখনো অক্ষরে অক্ষরে ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি হয় না বটে, কিন্তু তা সত্ত্বেও ইতিহাস থেকে শিক্ষা নেওয়া উচিত৷ ভারতের আজকের প্রবণতা জার্মানিতে নাৎসি স্বৈরতন্ত্রের প্রথম পর্যায়ের কথা মনে করিয়ে দেয়৷ ভারতে মোদী-বিরোধীদের অনেকেই নাৎসি-বিরোধী যাজক মার্টিন নিম্যোলার-এর মতো ভাবছেন:
‘‘নাৎসিরা যখন কমিউনিস্টদের ধরতে এলো, আমি তখন নীরব ছিলাম৷
আমি তো আর কমিউনিস্ট ছিলাম না৷
ওরা যখন সামাজিক গণতন্ত্রীদের জেলে পুরলো, আমি তখন নীরব ছিলাম৷
আমি তো আর সামাজিক গণতন্ত্রী ছিলাম না৷
ওরা যখন শ্রমিক নেতাদের ধরলো, আমি তখন নীরব ছিলাম৷
আমি তো আর সামাজিক গণতন্ত্রী ছিলাম না৷
ওরা যখন আমাকে ধরতে এলো৷
তখন প্রতিবাদ করার জন্য আর কেউ অবশিষ্ট ছিল না৷'
এমন প্রেক্ষাপটেই আজ মোদীর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ বাড়ছে৷ সমাজে উদারপন্থিদের মনে ভীতি দেখা দিচ্ছে৷ লেখকরা তাঁদের পুরস্কার ফিরিয়ে দিচ্ছেন৷ বিহারের নির্বাচনে পরাজয়ের ফলে হিন্দুত্ববাদীরা দমে যাবে, এমনটা ধরে নেওয়া যায় না৷ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মোদী ক্ষমতায় আসার ১৮ মাস পর তাঁর আধুনিক ভারত গড়ার স্বপ্নের একটা কালো দিক ক্রমশঃ আরও স্পষ্ট হয়ে উঠছে৷ ভারতের সব মানুষের প্রধানমন্ত্রী হবার প্রতিশ্রুতি আর বিশ্বাসযোগ্য মনে হচ্ছে না৷ ভারত সংঘাতের দিকে এগিয়ে চলেছে৷
যোগচর্চা নিয়ে রাজনীতি, বিতর্ক
সারা বিশ্বেই আজ যোগাসনের কদর৷ পশ্চিমে দেহ-মন চর্চার এক পরিচিত নাম হয়ে উঠেছে যোগব্যায়াম বা ‘ইয়োগা’৷ ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদী স্কুলগুলোয় যোগাভ্যাসকে বাধ্যতামূলক করতে চান৷ আর সেখানেই সমস্যা!
ছবি: Fotolia/W. Goldswain
স্বাস্থ্য সুরক্ষার দারুণ উপায়
সুস্থ, সুন্দর স্বাস্থ্যের জন্য যোগব্যায়ামের তুলনা নেই৷ তাই শিশুদের নিয়মানুবর্তিতা শেখাতে ও শারীরিকভাবে সুস্থ রাখতে যোগচর্চা যে সাহায্য করবে, তাতে কোনো সন্দেহ নেই৷ তার ওপর মানসিক চাপ কমাতে যোগাসনের তুলনা হয় না৷ ‘ওয়েলনেস আর ফিটনেস’-এর জগতে ‘ইয়োগা’ আজ এক অপরিহার্য অঙ্গ৷ কিন্তু তাই বলে সকলের জন্য বাধ্যতামূলক যোগশিক্ষা?
ছবি: MFA+ FilmDistribution e.K./ Jan Schmidt-Garre
বাধ্যতামূলক যোগচর্চা
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং তাঁর হিন্দু জাতীয়তাবাদী দল বিজেপি চাইছে, যোগচর্চা বা ‘ইয়োগা’-কে ভারতের জাতীয় সাংস্কৃতিক কার্যক্রমের অংশ হিসেবে তুলে ধরার৷ তাই স্কুলগুলোর পাঠ্যক্রমে যোগব্যায়ামকে বাধ্যতামূলক করতে লবি-ও করা হচ্ছে৷ কিন্তু ভারতের কট্টর মুসলমানদের মধ্যে অনেকেই এই যোগচর্চার বিরোধী৷
ছবি: AFP/Getty Images/I. S. Kodikara
সুপ্ত বিচ্ছিন্নতাবাদ?
যোগাভ্যাসের সময় সাধারণত বেশ কিছু সংস্কৃত শব্দ এবং শ্লোকের ব্যবহার করা হয়৷ সাধনার জন্য ‘ওম’ ধ্বনির প্রচলন সর্বজনসিদ্ধ৷ এছাড়া আসনগুলোর নামেও রয়েছে পৌরাণিক ছোঁয়া৷ তাই স্কুলগুলোয় যোগব্যায়াম অন্তর্ভুক্ত করার বিরোধীদের বক্তব্য স্পষ্ট: এমন কিছু করলে তা ভারতের অ-হিন্দু জনগোষ্ঠীকে বিচ্ছিন্ন করবে৷
ছবি: AP
‘ইন্টারন্যাশনাল ইয়োগা ডে’
ভারতের ‘মুসলিম পার্সোনাল ল’ বোর্ডের সদস্যরা বলছেন, স্কুলের শিশুদের যোগাসন ও সূর্যপ্রণাম করতে বাধ্য করা তাদের ধর্মবিশ্বাসের বিরোধী৷ তাই সারা দেশব্যাপী আন্দোলন গড়ে তুলতে প্রস্তুত তাঁরা৷ ওদিকে, যোগশিক্ষাকে বাধ্যতামূলক করার লক্ষ্য নিয়ে ২১শে জুনকে ‘ইন্টারন্যাশনাল ইয়োগা ডে’ হিসেবে পালন করার পরিকল্পনা করছে সরকার৷
ছবি: picture-alliance/dpa
যোগ, তুমি কার?
যোগসাধনার গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা নয়, পাঠক্রমে ‘সূর্যপ্রণাম’ থাকবে কিনা – তা নিয়ে রাজনীতির ‘টাগ অফ ওয়ার’ চলছে এখন৷ অথচ যোগচর্চাকে কি আজ আদৌ ভারতীয় বলা যায়? বিশ্বজুড়ে এক ব্যবসা হয়ে দাঁড়িয়েছে যোগাভ্যাস৷ যুক্তরাষ্ট্রে অন্তত দু’কোটি মানুষ যোগব্যায়াম করেন – এর মধ্যে আছেন অগণিত খ্রিষ্টান, মুসলমান, ইহুদি এবং নাস্তিকও৷
ছবি: Fotolia/XtravaganT
সাংস্কৃতিক আদান-প্রদান
জার্মানির হাইডেলব্যার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারততত্ত্ব বিভাগের প্রফেসর ড. আক্সেল মিশায়েল যোগসাধনার নানা মার্গের সঙ্গে পরিচিত৷ তাঁর কথায়, ‘‘যোগচর্চা আজ যে রূপ নিয়েছে, তা ভারতীয়ও নয়, নয় পশ্চিমেরও৷ এ হলো বহুজাতিক, আন্তঃসাংস্কৃতিক৷ বিভিন্ন সংস্কৃতির মাঝে এর অবস্থান৷ তাই হিন্দুধর্মের ঐতিহ্য থেকে যোগসাধনাকে বের করে আনলে চলবে না৷’’
ছবি: Colourbox/George Dolgikh
যোগসাধনা করতে হবে স্বেচ্ছায়
হলিউডের এর ‘ওয়েলনেস গুরু’ দীপক চোপরা মনে করেন, যোগ গোটা মানবজাতির উত্তরাধিকার৷ এছাড়া আধুনিক শরীরনির্ভর, পশ্চিমে জনপ্রিয় ‘হঠযোগ’ ১০০ বছরের বেশি প্রাচীন নয়৷ তাই যোগব্যায়াম নিয়ে রাজনীতি নয়, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের সামনে এর গুণাগুণ তুলে ধরা প্রয়োজন৷ তবে সেটা গায়ের জোরে নয়, আর আইন করে তো নয়ই৷
ছবি: Africa Yoga Project
7 ছবি1 | 7
ভারত কি মৌলবাদের কালোয় ঢাকা পড়ছে? জানিয়ে দিন নীচের মন্তব্যের ঘরে৷