1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ভারতে ৫ কোটি মানসিক রোগী

চিনা কাপুর, নতুন দিল্লি/এপিবি৪ সেপ্টেম্বর ২০১৬

১২০ কোটি জনসংখ্যার দেশ ভারতে মানসিক রোগীর সংখ্যা পাঁচ কোটি৷ কিন্তু এদের যথার্থ চিকিৎসা দেওয়া হয় না৷ এ সমস্যা নিয়ে কথাও বলে না কেউ৷ রাজধানী দিল্লিতে এদের নিয়ে বিশেষ এক উদ্যোগ নিয়েছে একটি এনজিও৷

Indien Neu Delhi street clinic
ছবি: Cheena Kapoor

দিল্লির ঐতিহাসিক জামা মসজিদের সামনে দিয়ে আপনি মিনা বাজারের অলিগলিতে ঢুকলেন, অনেক দোকান, প্রচুর ভিড়, অলংকার থেকে প্রসাধন সামগ্রি বা পুতুল, জামাকাপড়, জুতোর সারি সারি দোকান৷ এই ব্যস্ত অলিগলি পেড়িয়ে উর্দু পার্ক, যেখানে হকাররা বসে৷ এই ব্যস্তততম জায়গায় দু'টি চেয়ার নিয়ে বসে থাকতে দেখা যায় একজন মনোচিকিৎসক ও একজন মনোবিজ্ঞানীকে৷ চেয়ার দু'টোর সামনে চোখে পড়ে দীর্ঘ লাইন৷

এদের যথার্থ চিকিৎসা দেওয়া হয় নাছবি: Cheena Kapoor

সপ্তাহে অন্তত দু'দিন তাঁরা উর্দু পার্কে আসেন৷ মানসিক রোগীদের সাহায্য করাই তাঁদের প্রধান উদ্দেশ্য৷ তবে শুধুমাত্র রোগীদের চিকিৎসাই করেন না তাঁরা, বিনামূল্যে ওষুধও দেন৷

এনজিও-টার নাম – আশ্রয় অধিকার অভিযান বা ‘ট্রিপল এ'৷ ১০ বছর আগে গৃহহীনদের জন্য প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল এই সাহায্য সংগঠন৷ কিন্তু আজ এদের পরিচিতি মানসিক রোগীদের সাহায্য করার জন্য৷ দিল্লিভিত্তিক এই বেসরকারি সংস্থাটি গত কয়েক বছরে বিভিন্ন সড়কে ছোট ছোট ক্লিনিক স্থাপন করেছে৷

রোগীরা লম্বা লাইন দিয়ে অপেক্ষা করছেনছবি: Cheena Kapoor

২০০৮ সাল থেকে এক হাজারেরও বেশি মানসিক রোগীকে সাহায্য করে আসছে সংস্থাটি৷ উর্দু পার্ক প্রকল্পে সেচ্ছাসেবীরা ইনস্টিটিউট অফ হিউম্যান বিহেভিয়ার অ্যান্ড অ্যালায়েড সায়েন্স বা আইএইচবিএএস-এর চিকিৎসা বিশেষজ্ঞদের সাহায্য নিয়ে কাজটি করছেন৷ ‘ট্রিপল এ'-এর উপ-পরিচালক সঞ্জয় কুমার ডয়চে ভেলেকে জানালেন, প্রথমে এই মানসিক রোগীদের জীবনমানের উন্নতি করার চেষ্টা করেন তাঁরা৷ তাঁদের সমস্যাগুলো নথিভুক্ত করেন, কী উপায়ে তাঁরা সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন বা পেরেছেন, সেটাও লেখা থাকে৷ এছাড়া এনজিও-টি খাবার, পোশাক, সাবান, আশ্রয় এবং ওষুধ দিয়ে থাকে এই সব মানসিক রোগীদের৷ প্রতি মাসে যার জন্য খরচ হয় অন্ততপক্ষে ২৫ হাজার রুপি৷

রিকশা চালক সুশীলছবি: Cheena Kapoor

পরিবারের অবহেলা

ঋতিকা শর্মাকে এই ক্লিনিকে নিয়ে এসেছিল পুলিশ৷ আইএইচবিএএস-এর তত্ত্বাবধানে এক মাস চিকিৎসার পর তাঁকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে৷ কিন্তু মূল সমস্যাটা হচ্ছে, এই রোগীদের পরিবার আর তাঁদের দায়িত্ব নিতে চায় না৷ ক্লিনিকে ভর্তি হওয়ার পর কারো ঠিকানা জানা গেলে অথবা যোগাযোগ করা হলে, তাঁদের সঙ্গে পরিবারের মানুষজন দেখা করতেও আসে না৷ ফলে এই রোগীদের পুরোপুরি সেরে ওঠাটা খুব কঠিন, জানালেন সঞ্জয়৷

তাঁর প্রশ্ন, ভারতের মতো এত বড় একটা দেশে মনোচিকিৎসক এবং মনোবিদের সংখ্যা এত কম কেন? স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের এক গবেষণায় দেখা যায়, মানসিক রোগীদের চিকিৎসার জন্য ভারতে যেখানে ৫৪ হাজার ৭৫০ জন মনোচিকিৎসক, মনোবিজ্ঞানী ও মনোচিকিৎসা কর্মী প্রয়োজন, সেখানে আছেন মাত্র ৭ হাজার৷

বন্ধু, আপনার মতামত লিখুন নীচের মন্তব্যের ঘরে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

বাংলাদেশ