1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে রেষারেষি বন্ধ হচ্ছে না

১৫ আগস্ট ২০১১

ভারত এবং পাকিস্তান পালন করেছে তাদের স্বাধীনতা দিবস৷ প্রতিবেশী হওয়া সত্ত্বেও দুটি দেশের মধ্যে বৈরী সম্পর্ক এখনও বিরাজ করছে৷ ৬৪ বছর পার হয়ে গেছে, দুটি দেশের মধ্যে বিভিন্ন সংঘর্ষে দশ লক্ষেরও বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছে৷

দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের মধ্যে সম্প্রতি আলোচনা হয়েছেছবি: dapd

ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে সুসম্পর্ক না থাকার দরুন গোটা দক্ষিণ এশিয়ায় তার নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে৷ উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে পিছিয়ে পড়েছে পুরো অঞ্চল৷ আফগানিস্তানে যুদ্ধের মৃতের সংখ্যা, পাকিস্তানে প্রায় প্রতিদিনই বোমা হামলা – এসব কিছুতেই কমছে না৷ সার্কের সাহায্য নিয়েও কোনভাবে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে বৈরী ভাব দূর করা সম্ভব হয়নি৷

মার্কিন প্রশাসন আফগানিস্তানে ভারতের ভূমিকাকে স্বাগত জানাচ্ছেছবি: dapd

এর পাশাপাশি রয়েছে দুটি দেশের মধ্যে পরমাণু বোমা নিয়ে হৈ চৈ৷ ভারত জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে স্থায়ী সদস্য পদের জন্য চেষ্টা করে আসছে দীর্ঘদিন ধরে৷ তাহলে দেশটি বিশ্বের ক্ষমতাধারী দেশগুলোর মধ্যে একটি হতে পারবে৷ অন্যদিকে পাকিস্তানকে ‘ফেইল্ড স্টেট' বা ব্যর্থ রাষ্ট্র হিসেবে ব্যাখ্যা করেছে পশ্চিমা বিশ্ব৷ সন্ত্রাসীরা ডানা মেলে রয়েছে পাকিস্তানে৷ এই প্রমাণ দিয়েছে সেদেশে দীর্ঘদিন ধরে ওসামা বিন লাদেনের উপস্থিতি৷

দুটি দেশের মধ্যে তিন তিনবার যুদ্ধ হয়েছে, এর মধ্যে দুটি ছিল কাশ্মীরকে কেন্দ্র করে৷ লাহোরের রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ সাজ্জাদ নাসির বললেন, ‘‘উদাহরণস্বরূপ বলা যেতে পারে যে, ১৯৮৪ সালের আগে সিয়াচেন হিমবাহ নিয়ে কোন আলোচনাই শুরু হয়নি৷ এছাড়া দুটি দেশের উপকূলবর্তী সীমান্তে সার ক্রিক নিয়েও কোন কথা-বার্তা শুরু হয়নি৷ অথবা বাঁধ নির্মাণ প্রকল্প নিয়ে কোন মতবিরোধ বা তেমন কোন আলোচনার সুযোগ আমরা পাইনি৷ তাই বলতেই হচ্ছে এখানে শুধু কাশ্মীরই নয়, দুটি দেশের মধ্যে আরো অনেক বিষয় নিয়ে সমস্যা রয়েছে৷''

২০০৮ সালের মুম্বই হামলা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের অবনতি ঘটিয়েছিলছবি: AP

২০১৪ সালের মধ্যে মার্কিন সেনাদের প্রত্যাহার করে নেয়া হবে আফগানিস্তান থেকে৷ পাকিস্তানের ওপর পূর্ণ আস্থা ওয়াশিংটনের আগের মত নেই৷ ওয়াশিংটন চাইছে তালেবান এবং সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে শুধু পাকিস্তান একা নয়, ভারতও শরিক হোক৷ মার্কিন সেনাদের চলে যাওয়ার পর গোটা অঞ্চলে নিরাপত্তার দায়িত্ব কে নেবে সে বিষয়ে আলোচনা করা উচিত৷ তবে সাজ্জাদ নাসির মনে করেন, দুটি দেশের মধ্যে উত্তেজনা থাকবেই৷ তিনি বললেন, ‘‘দুটি দেশের মধ্যে একটি জায়গায় ভীষণভাবে মিল রয়েছে৷ আর তা হল দারিদ্র্য৷ দুটি দেশেই দরিদ্রতা চোখে পড়বে৷ শুধুমাত্র যদি দেশে শান্তি আসে তাহলে দরিদ্রতার মোকাবিলা করা সম্ভব৷ বাণিজ্যের মাধ্যমেও সম্পর্কের অগ্রগতি আসতে পারে৷ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উন্নতির লক্ষ্যে আমাদের কাজ করে যেতে হবে৷ সেখানে বাইরের কোনো ঘটনা এই প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করতে চলবে না৷''

২০০৮ সালে মুম্বই-এ হামলার পর ভারত-পাকিস্তানের সম্পর্ক আবারো খারাপ হয়৷ তারা পরস্পরকে ক্রমাগত দোষারোপ করে যেতে থাকে৷ দুটি দেশই নিজেদের সেনাবাহিনীর পেছনে পয়সা ঢালতে ব্যস্ত৷ অথচ শিক্ষা ব্যবস্থা বা দেশের অবকাঠামোর পেছনে অর্থ খরচ করলে দুটি দেশই এগিয়ে যেতে পারে৷

জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের দক্ষিণ এশিয়া বিশেষজ্ঞ সবিতা পান্ডে জানান, ‘‘যদি ভারত আর পাকিস্তানের মধ্যে সম্পর্ক ভাল হয় তাহলে সার্ক-ও আগের চেয়ে অনেক বেশি কার্যক্ষম হবে৷ অর্থনৈতিক সম্পর্ক এখানে মূল বিষয় নয়, রাজনৈতিক সমীকরণই গুরুত্বপূর্ণ৷ একদিন যুদ্ধ হয়, পরের দিন অস্ত্র বিরতি৷ তারপর দুই পক্ষের কথা বন্ধ হয়ে যায়৷ শেষে আবার সম্পর্ক স্বাভাবিক হয়ে উঠছে৷''

প্রতিবেদন: মারিনা জোয়ারদার

সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ