1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে সীমান্ত ম্যাপ বিনিময়

অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুন দিল্লি১৫ জানুয়ারি ২০১৩

এই প্রথম ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে চার হাজার কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্ত ম্যাপ বিনিময় হবে৷ দু’দেশের সার্ভে ও ল্যান্ড রেকর্ড বিভাগের শীর্ষ কর্তাদের বৈঠকে এ ম্যাপ চূড়ান্ত করা হয়৷ যাতে ১৬২টি ছিটমহলের ভৌগলিক অবস্থান প্রতিফলিত হয়৷

ছবি: AFP/Getty Images

ছিটমহলসহ ভারত-বাংলাদেশের অভিন্ন সীমান্ত চিহ্নিতকরণের কাজ ৬৪ বছরেও চূড়ান্ত না হওয়ার দরুণ তৈরি হয় সীমান্ত বিরোধ ইস্যু৷ এর যথাযথ সমাধানের জন্য দু'দেশের সার্ভে এবং ল্যান্ড রেকর্ড বিভাগের শীর্ষ কর্মকর্তাদের গতকালের বৈঠকে সীমান্ত ম্যাপ চূড়ান্ত করা হয়৷ এই ম্যাপে রয়েছে দু'দেশের সীমান্ত বরাবর দু'দিকের গুরুত্বপূর্ণ রুট, প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্য, গ্রাম ও শহরের সুবিধা ইত্যাদি৷

এ মাসের শেষে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুশীল শিন্ডে যাচ্ছেন ঢাকা৷ সে সময় দু'দেশের মধ্যে দীর্ঘদিন ঝুলে থাকা প্রত্যর্পণ চুক্তি সই হতে পারে৷ সই হলে বাংলাদেশের ভূখণ্ডে ঘাঁটি গাড়া ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলির জঙ্গিদের ভারতে ফেরত পাঠাতে এবং ভারতের জেলে আটক বাংলাদেশি অপরাধীদের বাংলাদেশের হাতে তুলে দেয়ার কাজ সহজ হবে৷ তবে বাংলাদেশ সরকার প্রত্যর্পণ চুক্তির কিছু সংশোধন করায় কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় তা এখনও পাশ হয়নি৷

২০১১ সালে প্রধানমন্ত্রী ড. মনমোহন সিং-এর ঢাকা সফরে দু'দেশের মধ্যে সই হয় ১৬২টি ছিটমহল হস্তান্তরের ঐতিহাসিক চুক্তি৷ ১৬২টি ছিটমহলের মধ্যে ৫১টি পড়ে ভারতে এবং ১১১টি বাংলাদেশে৷ ছিটমহলগুলিতে বসবাস করে ৫১ হাজার মানুষ, যাঁদের জীবন নানা সমস্যায় জর্জরিত, নাগরিক সুযোগসুবিধা থেকে বঞ্চিত৷ চুক্তি অনুযায়ী, ছিটমহলের অধিবাসিরা পছন্দ মতো দেশের নাগরিকত্ব চাইতে পারেন৷ ছিটমহল হলো এক দেশের ছোট্ট একটি ভূখণ্ড, যা অন্য দেশের সীমান্ত দিয়ে পরিবেষ্টিত৷

কোনোদিন কী উঠবে এই কাঁটা তারের বেড়া?ছবি: AP

ভারতীয় ছিটমহল আছে বাংলাদেশের চারটি জেলায়৷ আর বাংলাদেশের সব ছিটমহল আছে ভারতের কোচবিহার জেলায়৷ চুক্তি অনুসারে, বাংলাদেশ পাবে দহগ্রাম ও আঙ্গারপোতা৷ ভারতের তিনবিঘা করিডোর দিয়ে ঐ দুটি ছিটমহলের অধিবাসিদের যাতায়াত করতে হয়৷ এ বিষয়ে ১৯৭৪ সালে ইন্দিরা-মুজিব সরকারের মধ্যে ঐকমত্য হবার পর, তা এতদিন ঝুলে ছিল৷

কিন্তু তিস্তা চুক্তির এই চুক্তিরও বিরোধীতা করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মমতা বন্দোপাধ্যায় সরকার৷ আশঙ্কা, চুক্তি কার্যকর হলে রাজ্য হারাবে ১০ হাজার একর জমি৷ তাছাড়া, বাড়তে পারে শরণার্থী আগমন৷ মমতা জানিয়েছেন, তাঁদের দায়দায়িত্ব বহন করা রাজ্য সরকারের পক্ষে সম্ভব নয়৷

এ প্রসঙ্গে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ইমন কল্যাণ লাহিড়ি ডয়চে ভেলেকে বললেন, দিল্লির পররাষ্ট্রনীতির স্বার্থে কেন্দ্রীয় সরকারের উচিত আরো কড়া হওয়া৷ যেহেতু এটা আন্তর্জাতিক চুক্তি, তাতে সংশ্লিষ্ট রাজ্যের বক্তব্য থাকতেই পারে, কিন্তু জাতীয় স্বার্থে, প্রতিবেশি বাংলাদেশের জনগণের স্বার্থে তা মানা বাধ্যতামূলক নয়৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ