1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ভারত ও মিয়ানমারের নতুনদিল্লি শীর্ষ বৈঠক

১৪ অক্টোবর ২০১১

আজ নতুনদিল্লিতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী এবং মিয়ানমারের সফররত প্রেসিডেন্টের নেতৃত্বে দুদেশের প্রতিনিধি স্তরের শীর্ষবৈঠকে কৌশলগত সহযোগিতা মজবুত করার পাশাপাশি বিভিন্ন দ্বিপাক্ষিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ইস্যু নিয়ে আলোচনা হয়৷

ভারতের প্রধানমন্ত্রী ড. মনমোহন সিংছবি: AP

মিয়ানমারের সঙ্গে কৌশলগত সহযোগিতা মজবুত করার পাশাপাশি অন্যান্য যে-সব দ্বিপাক্ষিক ইস্যু নিয়ে প্রধানমন্ত্রী ড. মনমোহন সিং এবং চারদিনের ভারত সফররত মিয়ানমারের প্রেসিডেন্ট উ-থেইন সেইনের নেতৃত্বে প্রতিনিধি পর্যায়ে আলোচনার শীর্ষে ছিল, সন্ত্রাস, প্রতিরক্ষা, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, প্রাকৃতিক সম্পদ, কৃষি,স্বাস্থ্য, শিক্ষা এবং যোগাযোগ পরিকাঠামো৷ সই হয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সহযোগিতা ও স্বাস্থ্য পরিষেবা নিয়ে চুক্তি৷

মিয়ানমারের ভূখণ্ডে ঘাঁটি গেড়ে আছে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বহু জঙ্গি গোষ্ঠী৷অবিলম্বে সেই ঘাঁটিগুলি নির্মূল করতে ভারত অনুরোধ করলে মিয়ানমারের প্রেসিডেন্ট সেবিষয়ে ইতিবাচক পদক্ষেপ নেবার আশ্বাস দেন৷ উল্লেখ্য, অরুণাচল, নাগাল্যান্ড, মনিপুর এবং মিজোরাম উত্তর-পূর্বাঞ্চলের এই চারটি রাজ্যের সঙ্গে মিয়ানমারের ১৬০০ কিলোমিটার সীমান্ত৷

মিয়ানমারের প্রেসিডেন্ট উ-থেইন সেইনছবি: AP

উভয় নেতা দক্ষিণপূর্ব এশিয়া ও ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের মধ্যে যোগাযোগ পরিকাঠামো বাড়াতে রাজি হন৷ স্থির হয়, ১২ কোটি ডলার ব্যয়ে ভারত মিয়ানমারের সিতউই গভীর সমুদ্র বন্দর নির্মাণের কাজ ত্বরান্বিত করবে যাতে ২০১৩ সালে তা চালু করা যায়৷

মনমোহন সিং সরকারের পুবে তাকাও নীতির বাস্তবায়নে সম্প্রতি যথেষ্ট তৎপর নতুনদিল্লি৷ দক্ষিণপূর্ব এশিয়ায় নিজেদের প্রভাব বাড়াতে অর্থনৈতিক ও কৌশলগত - দু'ধরণের কূটনীতির ওপর জোর দেয়া হচ্ছে যাতে চীনকে পরোক্ষভাবে চাপে রাখা যায়৷ চীন দক্ষিণপূর্ব এশিয়ায় যেভাবে নিজেদের প্রতাপ প্রতিপত্তি বাড়িয়ে চলেছে তাতে চীনের সঙ্গে বকেয়া হিসেব মেটাতে এই পাল্টা চাপের দরকার আছে বলে মনে করা হচ্ছে৷

মিয়ানমারে গণতন্ত্র ও মানবাধিকার পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে মিয়ানমারের সঙ্গে ভারতে ঘনিষ্ঠতা বাড়ানো কতটা যুক্তিযুক্ত সে সম্পর্কে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক অধ্যাপক ইমন কল্যাণ লাহিড়ি ডয়চে ভেলেকে বললেন, ভারতের স্পষ্ট নীতি অন্য দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করা৷ সেদিক থেকে মনে হয়না এতে ভারতের কোন ক্ষতি হবে৷ দেখা গেছে থাইল্যান্ডের স্বৈরাচারী সামরিক শাসকদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়িয়েছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র৷ তাছাড়া, ট্রানজিট রুটের জন্য ভারতের দরকার মিয়ানমারকে৷

ডয়চে ভেলের কাছে এর বিরুদ্ধমত ব্যক্ত করলেন বিশিষ্ট রাষ্ট্রবিজ্ঞানী ড. অমল মুখোপাধ্যায়৷ তিনি বললেন, যে- দেশে গণতন্ত্র এবং মানবাধিকারের টুঁটি চেপে রাখা হয়েছে সে দেশের সঙ্গে ভারতের এই গলাগলি অনভিপ্রেত৷ কিন্তু মিয়ানমারে গণতন্ত্র ফিরে আসার একটা লক্ষণ দেখা যাচ্ছে এর উত্তরে ড. মুখোপাধ্যায় বললেন, মানসিকতায় কী কোন পরিবর্তন হয়েছে ? হয়নি৷

প্রতিবেদন: অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুনদিল্লি

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ