1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ভারত-চীন সীমান্তে স্থিতাবস্থা ফেরানোর চূড়ান্ত চুক্তি

২২ অক্টোবর ২০২৪

ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শংকর জানিয়েছেন, দুই দেশের মধ্য়ে এই চুক্তি হয়েছে। এর ফলে ২০২০ সালে গালওয়ান সংঘর্ষের আগে দুই দেশের সীমান্ত সুরক্ষা বাহিনী যেভাবে সীমান্তে পেট্রোলিং করতো, তারা আবার তা করতে পারবে।

লাদাখে ভারতীয় সেনার কনভয়
গালওয়ান অঞ্চলে ভারতীয় সেনা কনভয়ছবি: Mukhtar Khan/ASSOCIATED PRESS/picture alliance

এই চুক্তির ফলে সীমান্ত থেকে সেনার সংখ্যাও কমাবে দুই দেশ। খেয়াল রাখা হবে, যাতে কোনো সংঘর্ষের পরিবেশ নতুন করে তৈরি না হয়।

গালওয়ান সংঘর্ষ

২০২০ সালের জুন মাসে লাদাখের গালওয়ানে চীন সমীন্তে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছিল ভারত এবং চীনের। ভারতের বহু সেনা জওয়ান ওই সংঘর্ষে নিহত হয়েছিলেন। পরে জানা যায়, চীনেরও বেশ কিছু সেনা জওয়ান সংঘর্ষে নিহত হয়েছেন। এরপর দুই দেশের মধ্যে একাধিক বৈঠক হলেও সীমান্ত সমস্যা পুরোপুরি দূর হয়নি। লাদাখে ভারত-চীন সীমান্তকে বলা হয় এলএসি বা লাইন অফ অ্যাকচুয়াল কন্ট্রোল। সেখানে কোন দেশের সেনা কীভাবে পেট্রোলিং করবে, তা নিয়ে বিতর্ক চলছিলই। শেষপর্যন্ত সেই বিতর্কের অবসান হয়েছে বলেই মনে করা হচ্ছে।

ভারতের লাদাখ সীমান্তে ঢুকে পড়ছে চীন?

07:32

This browser does not support the video element.

ডি এসকালেশন বা স্থিতাবস্থা ফেরানো

গালওয়ানের ঘটনার পর ভারত এবং চীন দুই দেশই এলএসি-র দু'পাশে বিপুল পরিমাণ সেনা এবং যুদ্ধাস্ত্র মজুত করেছিল। ২০২০ সালে ভারতীয় সেনা বাহিনীর সূত্র ডিডাব্লিউকে জানিয়েছিল, ভারত এলএসি-র কাছে প্রায় ৭০ হাজার সেনা মোতায়েন করেছে। এরফলে সীমান্তের ধারে উত্তেজনা চরমে পৌঁছেছিল। উত্তেজনা কমানোর জন্য দুই দেশের সেনা এবং কূটনৈতিক মহলে একাধিক আলোচনা হলেও গত চার বছরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়নি। সাম্প্রতিক চুক্তির ফলে দুই দেশই সীমান্ত থেকে অতিরিক্ত সেনা সরানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ফলে সীমান্তে উত্তেজনার পরিবেশ আগের চেয়ে কমবে বলে মনে করা হচ্ছে।   

রাজনৈতিক প্রভাব

এই চুক্তি দুই দেশের রাজনৈতিক সম্পর্কেও প্রভাব ফেলবে বলে মনে করা হচ্ছে। বিভিন্ন ফোরামে দুই দেশের কূটনীতিক এবং রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের মধ্যে আলোচনার পরিবেশ তৈরি হবে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। দুই দেশই চাইছে, এলএসি-তে স্থিতাবস্থা ফিরে আসুক।

সমস্যা থেকেই গেল

লাদাখে ভারত-চীন সীমান্তে একাধিক বিতর্কিত অঞ্চল আছে। ভারত এবং চীন দুই দেশই ওই এলাকাগুলি নিজেদের জায়গা বলে দাবি করে। এছাড়া অরুণাচলপ্রদেশ নিয়েও দুই দেশের মধ্যে বিতর্ক আছে। চীন অরুণাচলের একটা বড় অংশ নিজেদের বলে মনে করে, ভারত স্বাভাবিকভাবেই তা সমর্থন করে না। এই বিতর্কিত অঞ্চলগুলি নিয়ে কোনো সমাধানসূত্রে পৌঁছাতে পারেনি দুই দেশে।

বস্তুত, লাদাখের প্যাংগং লেক অঞ্চল, ডেমচক, হট স্প্রিং, ডেপসাং অঞ্চলে দুই দেশের মধ্যে তীব্র বিতর্ক আছে। প্যাংগংয়ের ৫০ শতাংশ তিব্বত অর্থাৎ, চীনের। ৪০ শতাংশ ভারতের। ১০ শতাংশ বিতর্কিত অঞ্চল। সেখানে দুই দেশই পেট্রোলিং করার চেষ্টা করে। হট স্প্রিং, ডেপসাংয়ের মতো অঞ্চলেও একই সমস্যা আছে। সাম্প্রতিক চুক্তিতে এই সমস্যার সমাধান সম্ভব হয়নি। তবে দুই দেশই সংঘর্ষ এড়িয়ে চলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এখন দেখার এই সিদ্ধান্ত কতদিন কার্যকর হয়।

এসজি/জিএইচ (পিটিআই, এনডিটিভি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ